• No products in the cart.

Blogger-এ ফ্রি ব্লগ তৈরির নিয়ম ও টিউটোরিয়াল – (৫ মিনিটে ব্লগ রেডি)

কিভাবে ব্লগ তৈরী করবো ? সম্পূর্ণ ফ্রীতে একটি প্রফেশনাল ব্লগ তৈরির নিয়ম কি? ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো? এই বিষয় গুলো নিয়ে হয়তো আপনিও ভাবছেন যদি আপনি একটি নতুন ব্লগ তৈরি করার কথা ভাবছেন।

দেখুন, বর্তমান সময়ে একটি ব্লগ সাইট খোলার নিয়ম বলতে সে দুধরণের হতে পারে। হয়তো আপনাকে Blogger-এর দ্বারা সম্পূর্ণ ফ্রীতে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে, আর নাহলে WordPress-এর দ্বারা একটি প্রফেশনাল ব্লগ বানাতে হবে।

এমনিতে ব্লগার একাউন্ট তৈরি করার মাধমেও আপনি সম্পূর্ণ প্রফেশনাল ভাবে একটি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারবেন। WordPress-এর ক্ষেত্রে আপনাকে web hosting কিনে নিয়ে তারপর ব্লগ তৈরি করতে হয়। তবে, ব্লগার (blogger.com) এর ক্ষেত্রে আপনাকে আলাদা ভাবে ওয়েব হোস্টিং কিনতে হবেনা।

তবে চাইলে আপনি নিজের একটি টপ লেভেল ডোমেইন কিনে নিতে পারবেন।

আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা, একটি ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো এবং ব্লগার প্লাটফর্মটি ব্যবহার করে একটি ব্লগ সাইট তৈরির নিয়ম কি সেই বিষয়ে সম্পূর্ণটা আপনাদের বলবো।

মনে রাখবেন, Google এর blogger দ্বারা আপনি সম্পূর্ণ ফ্রীতে কোনো টাকা খরচ না করেই ব্লগ খুলতে পারবেন। এছাড়া, এর দ্বারা একটি ব্লগ তৈরি করার নিয়মও অনেক সোজা।

তবে আপনি চাইলে নিজের ব্লগার ব্লগে একটি Top Level Domain (.com, .info, .NET etc.) কানেক্ট করতে পারবেন যেটা ৪০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যেই কিনে নিতে পারবেন।

 

Blogger কি? ব্লগারে ব্লগ তৈরির জন্য কিসের প্রয়োজন?

 

Blogger বা ব্লগার Google এর দ্বারা নির্মিত এমন একটি ফ্রি ওয়েবসাইট বিল্ডার যেটা ব্যবহার করে জেকেও নিজের একটি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারবেন।

Google এর একটি পরিষেবা হওয়ার কারণে ব্লগার একটি অনেক বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম এবং ফ্রীতে ব্লগ বানানোর জন্য একটি অনেক কার্যকর পরিষেবা প্রদান করে থাকে। শুরুতে বেশিরভাগ লোকেরাই Blogger-এর মাধ্যম blogging শুরু করে থাকেন।

এখানে ব্লগ বানানোর জন্য আপনার কেবল একটি Google বা Gmail একাউন্টের  প্রয়োজন হবে। এছাড়া, আপনি একটি ব্লগার একাউন্টের মধ্যেই অনেকগুলি ব্লগ বানিয়ে হোস্ট করতে পারবেন। তবে যদি আপনার জিমেইল একাউন্ট নেই তাহলে জেনেনিন – Gmail একাউন্ট কিভাবে বানাবেন।

এখানে ব্লগ তৈরি করার জন্য আপনাকে কোনো রকম টাকা দেওয়ার প্রয়োজন হবেনা বা অন্য কোনো জিনিসে যেমন hosting বা theme ইত্যাদির জন্য টাকা দিতে হবেনা। পরিষেবাটি পুরোপুরি ফ্রি এবং এখানে বানানো ব্লগেও AdSense এর বিজ্ঞাপন লাগিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

তাহলে দেরি করে কি লাভ। চলুন, একটি ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো এবং এর দ্বারা ব্লগ তৈরির সম্পূর্ণ নিয়ম গুলো জেনেনেই।

ব্লগার দিয়ে কিভাবে ব্লগ তৈরী করবো? ব্লগ তৈরির নিয়ম

Blogger দিয়ে একটি ফ্রি ব্লগ কিভাবে তৈরি করে? আপনিও যদি এই বিষয়ে জানতে চাইছেন তাহলে চিন্তা করতে হবেনা। একটি ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো এবং তাতে ব্লগ সাইট বানানোর নিয়ম কি? এই বিষয়ে নিচে আমি স্টেপ বাই স্টেপ এবং সম্পূর্ণ তথ্য গুলো আপনাদের বলে দিয়েছি।

Blogger-এ ব্লগ বানানোর জন্য আপনি laptop বা computer ব্যবহার করতে হবে এবং তাতে internet connection থাকাটা জরুরি।

আমি আগেই বলেছি যে, ব্লগ বানানোর জন্য আপনার একটি Gmail বা Google একাউন্ট  থাকার প্রয়োজন।

ওপরে বলা জরুরি জিনিষগুলি তৈরি থাকলে, আমি নিচে বলা steps গুলি অনুসরণ করে ব্লগারে নিজের একটি ব্লগ বানিয়ে নিতে পারবেন।

তাহলে চলেন, এখন নিচে আমরা ব্লগার দিয়ে ব্লগ খোলার নিয়ম গুলি জেনেনেই।

স্টেপ ১. Google account লগইন করুন:

সবচে আগেই আপনার নিজের computer বা laptop থেকে Blogger.com ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর আপনি ওপরে ছবিতে দেখার মতোই ব্লগারের home page-টি দেখতে পাবেন।

  • আপনি সরাসরি, “Create your blog” বলে থাকা লিংক বা বটনটির মধ্যে click করুন।
  • “Create blog” বাটন এ ক্লিক করার পর আপনি Google account login পেজ দেখবেন।

Account login পেজে আপনি নিজের জিমেইল আইডি এবং password দিন এবং নিজের Google একাউন্টে লগইন করুন।

মনে রাখবেন, আপনার জিমেইল একাউন্টে লগইন করা মানেই blogger একাউন্টে লগইন করা।

আপনাকে আলাদা ভাবে একটি ব্লগার একাউন্ট তৈরি করতে হবেনা। জিমেইল দিয়ে লগইন করার পর আপনার Blogger account তৈরি হয়ে যাবে।

স্টেপ ২. ব্লগার profile name সেট করুন:

এখন জিমেইল একাউন্ট দিয়ে লগইন করার পর আপনি ব্লগারের ওয়েবসাইট বিল্ডার প্লাটফর্মে লগইন হয়ে যাবেন।

প্রথমেই আপনাকে আপনার ব্লগার প্রোফাইলের profile name set করতে বলা হবে।

আপনি ওপরে ছবিতে দেখতেই পারছেন, ওপরে “welcome to blogger” লেখা আছে এবং নিচে “confirm your profile” বলে লিখা আছে।

  • আপনাকে নিচে “Display name” বক্সে একটি profile name দিতে হবে।
  • আপনি যেকোনো নাম দিতে পারেন যেমন আমি দিয়েছি “banglatech”.
  • মনে রাখবেন, দিয়ে দেওয়া আপনার profile name-টি আপনার ব্লগে পাবলিশ করা আর্টিকেল গুলোর সাথে দেখানো হবে।
  • মানে এই profile name-এর সাথেই আপনার ব্লগার ব্লগে আর্টিকেল গুলি publish বা প্রচার করা হবে।

তাহলে এখন একটি ভালো profile name দিন এবং নিচে “Continue to blogger” button-এ ক্লিক করুন।

স্টেপ ৩. Blogger dashboard থেকে ব্লগ বানান:

এখন পরের পেজে আপনি নিজের ব্লগার dashboard দেখবেন।

আপনার ব্লগার একাউন্টে যিহেতু আগের থেকে বানানো একটি ব্লগ ও নেই তাই নিচে “create new blog” বলে একটি button বা লিংক দেখানো হবে।

ওপরে ছবিতে দেখানোর মতো আপনি “create new blog” লিংক দেখবেন যেখানে আপনাকে ক্লিক করতে হবে।

স্টেপ ৪. নতুন ব্লগের তথ্য:

এখন আপনি নিজের কম্পিউটার স্ক্রিনে কিছু option দেখবেন যেমন “title”, “address”, “theme”.

Blogger-এ ব্লগ বানানোর আগে আপনার এই ৩ টি option ভালো করে ফিলাপ করতে হবে।

  • Title – এই জায়গায় আপনাকে নিজের ব্লগের বিষয়ে এক লাইনে কিছু লিখতে হবে। একে ব্লগের টাইটেল বলা হয়। ভালো করে বুঝার জন্য আপনি ওপরে ছবিতে আমি কি টাইটেল লিখেছি সেটা দেখুন।
  • Address – এই ভাগে আপনাকে নিজের ব্লগার ব্লগের URL address সেট করতে হবে। আপনি যেকোনো একটি URL নাম দিয়ে সেট করতে পারবেন। যেমন, banglatechdotinfo.blogspot.com.

কিন্তু মনে রাখবেন আপনার দেওয়া blog address উপলব্ধ (available) থাকলেহে আপনি সেটা ব্যবহার করতে পারবেন।

দিয়ে দেওয়া URL address-টি available থাকলে, আপনাকে “this blog address is available” বলে লিখে দেখিয়ে দেওয়া হবে। নাহলে,আপনাকে অন্য একটি address দিতে হবে।

তবে, আপনি ব্লগ বানানোর পর অবশই নিজের ব্লগের জন্য একটি in, .com বা info র মতো top level domain set করতে পারবেন।

  • Theme – এখন আপনি theme বলে একটি option দেখবেন যেখানে আপনি অনেক রকমের ওয়েবসাইট থিম গুলো দেখবেন। থিম (theme) মানে হলো আগের থেকে তৈরি ব্লগের ডিজাইন। আপনি নিজের ব্লগের জন্য যেমন theme সিলেক্ট করবেন আপনার ব্লগটির ডিজাইন সেই হিসেবে সেট হবে।

আপনাকে সরাসরি দেখিয়ে দেওয়া থিম গুলোর মধ্যে থেকে নিজের পছন্দ মতো একটি থেকে সিলেক্ট করে নিতে হবে। এমনিতে, ব্লগ তৈরি করার পরও আপনি থিম পরিবর্তন করতে পারবেন। এর জন্যে উপযুক্ত অপসন আপনারা পাবেন।

  • এখন সবকিছু করার পর নিচে ডানদিকে থাকা “create blog” অপশনে ক্লিক করেদিন।

স্টেপ ৫. SKIP Google domain অপসন:

এখন, পরের পেজে আপনি একটি option বা box দেখবেন যেখানে “Google domain” লিখা থাকবে।

এখন আপনি find a domain বাক্সে নিজের ব্লগার ব্লগের জন্য top level domain যেমন in, com, info বা org domain সার্চ করে register করতে পারবেন।

মনে রাখবেন এতে আপনার কিছু টাকা domain কিনার জন্য দিতে লাগতে পারে।

তবে এটা সম্পূর্ণভাবে আপনার ব্যক্তিগত চয়েস। আপনি যদি চান তাহলে নিজের ব্লগের জন্য top level domain এখান থেকে রেজিস্টার করতে পারবেন।

যদি আপনি ডোমেইন রেজিস্টার করতে চাচ্ছেননা বা পরে একটি টপ লেভেল ডোমেইন কিনে নিবেন বলে ভাবছেন, তাহলে “No thanks” লিংকে ক্লিক করুন।

মনে রাখবেন, একটি top level domain কিনে blogger ব্লগে ব্যবহার করাটা বাধ্যতামূলক বা জরুরি নয়।

আপনি যদি চান তাহলে ব্লগারের ফ্রি blog URL address নিজের ব্লগে ব্যবহার করতে পারবেন।

তাহলে এখন সরাসরি “No thanks” লিংকে ক্লিক করুন।

স্টেপ ৬. আপনার ব্লগ তৈরী হয়ে গেছে:

এখন ওপরে no thanks লিংকে ক্লিক করার পর আপনার blogger ব্লগ তৈরির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।

আপনি এখন সরাসরি নিজের Blogger Blog-এর Dashboard-টি দেখতে পাবেন। আর এখান থেকেই আপনি নিজের ব্লগে আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারবেন।

Dashboard থেকে আপনি নিজের ব্লগের address-এ গিয়ে ব্লগের design বা live view দেখতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে “View blog” এর লিংকে click করতে হবে।

এর বাইরেও আপনি নিজের dashboard থেকে new post এ গিয়ে  নতুন article লিখতে পারবেন বা সেটা publish করতে পারবেন।

এছাড়া, theme অপশনে গিয়ে তৈরি করা নতুন ব্লগ এর জন্য থিম সেট করতে পারবেন।

নিজের ব্লগার ব্লগ থেকে Google AdSense এর জন্য apply করে টাকা আয় করার জন্য “Earnings” বাটনে click করতে হবে।

সোজাসোজি বললে আপনি নিজের blogger dashboard থেকে ব্লগের সাথে জড়িত প্রত্যেকটি অপসন গুলি পেয়ে যাবেন।

ব্লগটি তৈরি করার পর অপসন গুলিতে গিয়ে ভালো করে দেখে নিন, এমনিতেই বিষয় গুলো বুঝে যাবেন।

স্টেপ ৭. তৈরি করা নিজের নতুন ব্লগে ভিজিট করুন:

আপনার বানানো ব্লগটিকে দেখতে হলে আপনি নিজের blogger dashboard থেকে ওপরে বামদিকে থাকা “view blog” অপসন ক্লিক করুন।

এতে আপনি আপনার বানানো ব্লগটিতে প্রবেশ করে সেটিকে দেখে নিতে পারবেন।

আপনি যদি সরাসরি নিজের ব্লগে ভিসিট করতে চান বা অন্য কেও যদি আপনার ব্লগে সরাসরি প্রবেশ করতে চায়, তাহলে আপনার ব্লগের URL address যেটা আপনি ব্লগ বানানোর সময় দিয়েছিলেন সেটা ইন্টারনেটে সার্চ করলেই ব্লগটি খুঁজে পেয়ে যাবেন।

ব্লগ তৈরির জন্য WordPress ভালো না Blogger?

দেখুন, আমি গত ৭ বছর ধরেই ব্লগিং করছি এবং আমাকে এই প্রশ্নটি জিগেশ করলে আমার উত্তর হবে “WordPress”।

কারণ আজ ব্লগিং সম্পূর্ণ ভাবে একটি professional business হয়ে গিয়েছে এবং তাই আপনাকেও সম্পূর্ণ প্রফেশনাল ভাবে একটি ব্লগ তৈরি করতে হবে।

তবে, ব্লগ বানানোর ক্ষেত্রে Blogger একটি খারাপ প্লাটফর্ম কখনোই না। বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ব্যক্তিরা বর্তমানেও blogger-এর মাধ্যমে blog তৈরি করছেন।

কিন্তু কেন আমি WordPress-কে blogger-থেকে অধিক সুবিধাজনক ও ভালো blog তৈরির platform হিসেবে বিবেচিত করছি?

0 responses on "Blogger-এ ফ্রি ব্লগ তৈরির নিয়ম ও টিউটোরিয়াল – (৫ মিনিটে ব্লগ রেডি)"

Leave a Message

Your email address will not be published. Required fields are marked *

top
Technical Bangla ©  All rights reserved.