SAMSUNG কোন দেশের কোম্পানি ? এই কোম্পানির মালিক, সিইও (CEO) এবং প্রতিষ্ঠাতা কে ?
অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবসার কোনো বিকল্প নেই।
নিজের দেশের মধ্যে এবং দেশের বাইরে, সারা বিশ্বে, উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসাই হলো লাভ অর্জনের একটি সহজ এবং গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি।
সাম্প্রতিক সময়ে অন্যান্য ব্যবসায়িক কোম্পানির থেকে ইলেকট্রনিক এবং টেকনোলজি উপর নির্ভর করে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে তারা অনেক এগিয়ে যাচ্ছে।
সেই সব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে অ্যাপল, মাইক্রোসফট এবং SAMSUNG সহ এরকম অন্যান্য অনেক কোম্পানি।
SAMSUNG মোবাইল ডিভিশন, SAMSUNG ইলেকট্রনিক্সের পাঁচটি বিভাগের মধ্যে একটি, যা স্যামসাং গ্রুপের অন্তর্গত।
মোবাইল কমিউনিকেশন বিভাগ, টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম বিভাগ, কম্পিউটার বিভাগ, MP3 বিজনেস টিম, মোবাইল সলিউশন সেন্টার এবং টেলিকমিউনিকেশন R&D সেন্টার নিয়ে গঠিত সমগ্র SAMSUNG কোম্পানি।
টেলিকমিউনিকেশন ব্যবসা, মোবাইল এবং অন্যান্য মোবাইল ডিভাইস যেমন MP3 প্লেয়ার এবং ল্যাপটপ এইসব বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এই কোম্পানি তৈরি করে।
টেলিকম ব্যবসা মোবাইল এবং মোবাইলের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ডিভাইস যেমন এমপি 3 প্লেয়ার, ল্যাপটপ ও টেলিযোগযোগ পরিকাঠামো এই সবই এই কোম্পানির প্রোডাক্ট লিস্টে রয়েছে।
এর সদর দপ্তরটি SUON, SOUTH KOREA তে অবস্থিত।
পরে, এই সংস্থাটি ফ্রিজ, এসি এবং মাইক্রোওয়েভের মতো আরও অনেক ইলেকট্রনিক পণ্য তৈরি করতে শুরু করে।
Owner / CEO
SAMSUNG কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠান করেন LEE BYUNG CHUL।
১৯৩৮ সালের ১লা মার্চ অর্থাৎ ৮১বছর আগে সূচনা হয় এই SAMSUNG কোম্পানির।
SAMSUNG মোবাইলের বর্তমান সি.ই.ও হলেন KYE-HYUN KYUNG এবং JONG-HEE HAN।
কোরিয় ভাষার SAMSUNG এর অর্থ হল তিন তারকা।
B.D.PARK হলেন স্যামসাং ইন্ডিয়ার বর্তমান সি.ই.ও।
SAMSUNG INDIA-র সদর দপ্তর ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামে অবস্থিত।
স্যামসাং কোন দেশের কোম্পানি – (Country)
Samsung হলো একটি South Korean company যেটাকে Lee Byung-Chull দ্বারা March 1938 তে প্রিতিষ্টাপিত করা হয়।
এই কোম্পানির সর্বপ্রথম electronic product ছিল black-and-white television.
বর্তমানে SAMSUNG এ মোট ৪ লাখ ৮৯ হাজার কর্মী কাজ করে।
বিশ্বের প্রায় সব দেশেই তাদের সার্ভিস পাওয়া যায় তবে কয়েকটি বড় বড় শহরে তারা তাদের রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে।
তাদের মোট কর্মী সংখ্যা এত বিশাল যে গুগল, অ্যাপল এবং মাইক্রোসফটের মোট কর্মীসংখ্যা এক করলেও তাদের সমান হবে না।
SAMSUNG হলো সাউথ কোরিয়ার সবথেকে বড় কোম্পানি।
দক্ষিণ কোরিয়ার মোট জিডিপির (gross domestic product) ১৭ শতাংশ SAMSUNG-এর।
এই কোম্পানিমোট ৮০ টি ব্যবসার সাথে সরাসরি ভাবে যুক্ত।
পুরো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের পণ্য এবং সার্ভিস SAMSUNG সরবরাহ করে।
SAMSUNG মোবাইলের মূলত ৬টি দেশে ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাক্টরি আছে।
দেশগুলি হল :
ভিয়েতনাম
চায়না
ইন্ডিয়া
ব্রাজিল
ইন্দোনেশিয়া আর অবশ্যই
দক্ষিণ কোরিয়া।
এর মধ্যে ৫০% তৈরি হয় ভিয়েতনামে, ৮% তৈরি হয় কোরিয়াতে আর বাকি ইন্ডিয়া, ব্রাজিল,ইন্দোনেশিয়া এবং চায়নাতে।
History
১৯১০ সালে SAMSUNG প্রতিষ্ঠা করেন দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ LEE BYUNG CHUL একথা তো আগেই বলেছি।
তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার ইউরিংয় এলাকার একটি ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৩৮ সালে তার কর্মজীবন শুরু করেন ডেইগ নামক একটি শহরে এসে।
সেখানে তিনি ৪০ জন কর্মী নিয়ে একটি নুডুলস তৈরির কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।
এই হলো শুরুর কাহিনী।
এই কোম্পানি তখন নুডুলস তৈরির পাশাপাশি পুরো শহরজুড়ে বিভিন্ন গ্রসারী পণ্য সরবরাহের কাজ করতো।
সে সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে পুরো পৃথিবীজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়।
এই মন্দা কাটিয়ে উঠতে এবং ব্যবসা বাড়াতে LEE BYUNG CHUL তার নুডুলস তৈরির কোম্পানির মূল অফিস দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে নিয়ে আসেন।
কোরিয়ায় যুদ্ধ চলাকালীন LEE BYUNG CHUL বুসানে একটি চিনি পরিশোধনাগার প্রতিষ্ঠা করেন।
এই প্রতিষ্ঠানটি SAMSUNG গ্রুপের একটি অংশ হিসেবে কাজ শুরু করে।
তারপর লি ডিয়েগো তে SAMSUNGএকটি উল তৈরির কারখানা স্থাপন করেন।
এভাবে ধীরে ধীরে LEE BYUNG CHUL SAMSUNG গ্রুপকে প্রসারিত বা এক্সপ্যান্ড করতে থাকেন।
SAMSUNG বিদেশী বিনিয়োগ করতে থাকে এবং জার্মানিতে একটি বিক্রয় সহায়ক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি পর্তুগালে একটি উৎপাদন সহায়ক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে।
সেই সময় আরও অনেক পণ্য উৎপাদন তালিকায় এই কোম্পানি যুক্ত হয়।
১৯৯০-এর দশকে SAMSUNG মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট এবং মোবাইল ফোন সিস্টেম তৈরি করে।
ফার্মটি চীনে উৎপাদন শুরু করে।
এর পর SAMSUNG ফ্ল্যাট-স্ক্রিন টেলিভিশন, ব্লু-রে-প্লেয়ার এবং কর্ডলেস ইন্টারনেট ফোনও তৈরি করতে শুরু করে।
২০০৭ সালে SAMSUNG মোবাইল ডিভিশন ৮০% এর বেশি ব্যবসা বৃদ্ধি করেছে এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ডিভাইস প্রস্তুতকারক হয়ে উঠেছে।
নভেম্বর ২০১১ এর শেষে, SAMSUNG ৩00 মিলিয়নেরও বেশি মোবাইল ডিভাইস বিক্রি করেছে।
১৯৭৭ সালে SAMSUNG ইলেকট্রনিক্স টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক চালু করে এবং ১৯৮৩ সালে এটি তার মোবাইল টেলিযোগাযোগ ব্যবসা শুরু করেএই আশা নিয়ে যে এটি কোম্পানির ভবিষ্যত-ব্যবসা বৃদ্ধির হাতিয়ার হয়ে উঠবে।
২০১৪ সালে তাদের মোট আয় ছিল ৩০ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।
২০১৫ সালে SAMSUNGএর বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩০৫ বিলিয়ন ডলার যা তার প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপল এবং গুগলের থেকে অনেক অনেক বেশি।
এই সব তথ্য থেকেই বোঝা যায় SAMSUNG বর্তমানে কত বড় একটি কোম্পানি।
ধীরে ধীরে SAMSUNG ইলেকট্রনিক, টেলিকমিউনিকেশন, কনস্ট্রাকশন সহ অন্যান্য ব্যবসা শুরু করে।
যার ফলে SAMSUNG দক্ষিণ কোরিয়ার সবথেকে বড় কোম্পানিতে পরিণত হয়।
Best products
আজকের বাজারে প্রত্যেকের জন্য কিছু না মডেলের SAMSUNG ফোন রয়েছে।
আপনাকে আপনার জন্য সেরা ডিভাইস বাছাই করতে এখানে কিছু সেরা SAMSUNG ফোনের মডেলের তালিকা দেওয়া হলো :
SAMSUNG GALAXY S22 ULTRA
ডিসপ্লে: 6.8-ইঞ্চি রঙিন
CPU: Snapdragon ।
RAM: 12GB ।
স্টোরেজ: 512GB পর্যন্ত।
ব্যাটারি: 45W দ্রুত চার্জিং সহ 5,000mAh।
পিছনের ক্যামেরা: 108MP + 10MP + 10MP + 12MP।
সামনের ক্যামেরা: 40MP।
OS: Android 12।
ওজন: 229 গ্রাম।
SAMSUNG GALAXY S22+
ডিসপ্লে: 6.4-ইঞ্চি কালার |
CPU: Exynos2100 |
RAM: 8GB |
স্টোরেজ: 256GB পর্যন্ত |
ব্যাটারি: 25W| সহ 4,500mAh
রিয়ার ক্যামেরা: 12MP + 12MP + 8MP |
সামনের ক্যামেরা: 32MP |
OS: Android 11 |
ওজন: ১৭৭ গ্রাম।
SAMSUNG GALAXY Z FOLD 3
ডিসপ্লে: 7.6-ইঞ্চি কালার
সিপিইউ: স্ন্যাপড্রাগন 888|
RAM: 12GB |
স্টোরেজ: 512GB |
ব্যাটারি: 25W দ্রুত চার্জিং সহ 4,400mAh |
রিয়ার ক্যামেরা: 12MP + 12MP + 12MP |
সামনের ক্যামেরা 10MP+4MP
OS: Android 11
ওজন: 271 গ্রাম।
SAMSUNG GALAXY Z FLIP 3
ডিসপ্লে: 6.7-ইঞ্চি কালার
প্রসেসর: স্ন্যাপড্রাগন 888 |
RAM: 8GB |
স্টোরেজ: 256GB |
সফটওয়্যার: অ্যান্ড্রয়েড 11
পিছনের ক্যামেরা: 12MP + 12MP |
সামনের ক্যামেরা: 10MP |
ব্যাটারি: 15W সহ 3300mAh |
ওজন: 183g |
ডাইমেনশনস: 166 × 72.2 × 6.9 মিমি
0 responses on "স্যামসাং কোন দেশের কোম্পানি ? মালিক, সিইও (CEO) এবং দেশ"