• No products in the cart.

সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার পর করণীয়

সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার আগে কি করণীয় সে সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানেন। এই সম্পর্কে ইতিমধ্যে জেনে না থাকলে বাংলাটেক এর ডেডিকেটেড পোস্ট ঘুরে আসতে পারেন। ব্যবহৃত ফোন বা সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন তো কিনলেন, এরপর কী করনীয়? সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার পর করণীয়সমূহ সম্পর্কে জানবেন এই পোস্টে। চলুন শুরু করা যাক।

ক্লিন করা

ব্যবহৃত ফোন এর ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ব্যাপার এটি ব্র‍্যান্ড নিউ ফোনের মত দেখতে হবেনা। অধিকাংশ ব্যবহৃত ফোন ক্লিন না থাকা বা তাতে ডাস্ট স্ক্র্যাচ থাকা স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার পর অবশ্যই উচিত ক্লিন করে নেওয়া।

সবচেয়ে ভালো হয় যদি ফোনে ইতিমধ্যে থাকা স্ক্রিন প্রটেক্টর পরিবর্তন করে নেওয়া হয় কারণ এর স্থায়িত্ব সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকা স্বাভাবিক। এছাড়া যেকোনো কারণে ফোন হাত থেকে পড়ে গিয়ে নষ্ট হওয়ার মত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ক্ষতি কিছুটা হলেও কমাতে কিনে নিতে পারেন ফোনের জন্য একটি কভার। বলে রাখা ভালো সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার পর ফোনে যদি কোনো ধরনের সিম কার্ড থাকে বা মেমোরি কার্ড থাকে তা খুলে ফেলা উত্তম ও তা উক্ত ফোনের মালিকের কাছে হস্তান্তর করে দিন।

রিসেট করা

কারো কাছ থেকে তার ব্যবহৃত ফোন কেনার আগে অবশ্যই উচিত উক্ত ফোনে থাকা তার যাবতীয় একাউন্ট, যেমন: গুগল একাউন্ট, অ্যাপল আইডি, ফেসবুক আইডি, এসব রিমুভ করে দিতে বলা। যদিওবা কোনো কারণে এসব পুরোনো আইডি ফোনে থেকেই যায়, তবে আগে এসব আইডি রিমুভ করে নিন। এরপর স্বাভাবিক নিয়মে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন রিসেট করতে পারবেন।

বলে রাখা ভালো সেকেন্ড হ্যান্ড ফোনে ইতিমধ্যে লগিন করা থাকা গুগল একাউন্ট কিংবা অ্যাপল আইডি লগআউট না করে যদি ফোন রিসেট করেন, তবে রিসেট এর পর পুনরায় উক্ত একাউন্টসমূহে লগিন করতে হবে। আর যদি উক্ত একাউন্টের লগিন ইনফো না থাকে, তবে রিসেট এর পর একাউন্টে লগিন করা নিয়ে ঝামেলা পড়ে যাবেন ও উক্ত ফোন লক হয়ে যাবে এবং অব্যবহারযোগ্য হয়ে যাবে। তাই অবশ্যই মনে করে সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন রিসেট এর আগে গুগল একাউন্ট বা অ্যাপল আইডি ও আইক্লাউড লগআউট করতে ভুলবেন না। মনে রাখবেন, আইফোনে অন্যের একাউন্ট দ্বারা আইক্লাউড লক করা থাকলে সেই ফোন আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না, যেকোনো সময় লক হয়ে যাবে।

প্রয়োজনীয় এক্সেসরিজ কেনা

একটি ফোন ঠিকমত ব্যবহারের জন্য চার্জার, হেডফোন, ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ এক্সেসরিজ লাগে। অধিকাংশ সময় সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কিনলে সাথে চার্জার বা হেডফোন ইত্যাদি পাওয়া যায়না। সেক্ষেত্রে সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার পর ডিভাইসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে অবশ্যই চার্জার কিনতে ভুলবেন না। অনেকে ফোনের সাথে অডিও শুনতে বা কথা বলতে ইয়ার ফোন বা হেডফোন ব্যবহার করে থাকেন, তারা তাদের প্রয়োজন অনুসারে হেডফোন কিনে নিতে পারেন।

একাউন্টসমূহ সেটাপ করা

সেকেন্ড হ্যান্ড অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার পর ফোনটি রিসেট করুন, এরপর প্রথম কাজ হচ্ছে ফোনে আপনার গুগল একাউন্টে লগিন করা৷ গুগল একাউন্টে লগিন করার পর অবশ্যই গুগল Find My Device সার্ভিসটি চালু করতে ভুলবেন না, এক্ষেত্রে ফোন হারিয়ে গেলে তা খুঁজে পেতে সাহায্য হবে।

অন্যদিকে ব্যবহৃত আইফোন কেনার পর ফোন রিসেট করে আপনার নিজস্ব অ্যাপল আইডি লগিন করুন। অন্য কারো অ্যাপল আইডি দিয়ে লগিন করলে উক্ত ব্যক্তি যেকোনো সময় আপনার ফোন ব্লক করে দিতে পারে। তাই সবসময় আপনার আইফোনে নিজের অ্যাপল আইডি ব্যবহার করুন। একাউন্ট সেটাপের পর আইফোন Find My সার্ভিস চালু করে রাখুন যাতে হারিয়ে গেলে ফোন খুঁজে পাওয়া সহজ হয়।

বিক্রেতার তথ্য সংরক্ষণ

সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার ক্ষেত্রে ফোনের আগের ব্যবহারকারির তথ্য সংরক্ষণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আগের ব্যবহারকারি ফোনটি কি কাজে কিভাবে ব্যবহার করেছেন সে সম্পর্কে জানা সম্ভব নয় যার ফলে পরে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। এই জন্য যে দোকান বা যার কাছ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কিনবেন তার তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা জরুরি।

 

0 responses on "সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার পর করণীয়"

Leave a Message

Your email address will not be published. Required fields are marked *

top
Technical Bangla ©  All rights reserved.