• No products in the cart.

যেভাবে বুঝবেন আপনার ফোনটি বদলে ফেলার সময় এসেছে

স্মার্টফোন প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতির কল্যাণে আপনার হাতের ফোনটি এক সময় আউটডেটেড হয়ে যেতেই পারে৷ স্মার্টফোন এর দাম দিনদিন বাড়ছে, যার কারণে একই ফোন দীর্ঘদিন ব্যবহারের প্রবণতা একটি স্বাভাবিক বিষয়। যেকোনো টেক প্রোডাক্ট নির্দিষ্ট সময় পর আউটডেটেড হওয়ার বিষয়টি সাধারণ হলেও হার্ডওয়্যার নাকি পারফরম্যান্স সম্পর্কিত সমস্যার কারণে আপনার হাতের ফোনটি পরিবর্তন উচিত তা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ।

কোনো সমস্যা ছাড়া কাজ সারা যায় এমন একটা ফোন সবার কাছেই থাকা জরুরি। আউটডেটেড স্মার্টফোন ব্যবহার করা বেশ ঝামেলার কারণ হতে পারে যার ফলে ফোন আপগ্রেড করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক কখন বুঝতে পারবেন আপনার ফোনটি আপগ্রেড করার সময় চলে এসেছে।

খারাপ ব্যাটারি লাইফ

ফোন পুরোনো হয়ে গেলে সবচেয়ে বড় ঝামেলায় পড়তে হয় ব্যাটারি লাইফ নিয়ে। ফোন বারবার চার্জ করার মত বিরক্তিকর বিষয় বোধহয় আর কিছুই হয়না। ফোনে যাই করি না কেনো, শান্তিমত তা করতে গেলে অবশ্যই যথাযথ পরিমাণ চার্জ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার হাতের ফোনটি আপনার সাধারণ ব্যবহারের প্রয়োজনই না মেটাতে পারে তবে ধরে নিন আপনার ফোনটি পরিবর্তনের সময় চলে এসেছে।

একটি ভালো ফোন এক চার্জে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ঘন্টা ব্যাকাপ দিবে। অত্যাধিক ব্যবহার না করলে প্রতিদিন ফোন চার্জ করার প্রয়োজন পড়বেনা, বা দিনশেষে একবার ফোন চার্জ করতে হতে পারে।তবে বর্তমানে হাই রিফ্রেশ রেট, পাওয়ার ইনটেনসিভ অ্যাপের কারণে ফোনের ব্যাটারি লাইফে কমতি এসেছে। আপনার ফোনের ব্যাটারি যদি যথেষ্ট ব্যাকাপ দিচ্ছেনা বলে মনে হয়, তবে ধরে নিন ফোন কিংবা অন্তত এর ব্যাটারি পরিবর্তন এর সময় চলে এসেছে।

ফোন র‍্যান্ডমলি বন্ধ হয়ে যাওয়া

হঠাৎ হঠাৎ ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টির মত বিরক্তিকর বোধহয় আর কিছুই নেই। কাজের মধ্যে ফোন নিজ থেকে বন্ধ হয়ে গেলে তা চালু করতে সময় নষ্ট হয় যা যেকারো কাছেই বিরক্তির কারণ। এভাবে ফোন বন্ধ-চালু হওয়া একটি লক্ষণ যার কারণে আপনার ফোন পরিবর্তন করা উচিত। তবে আপনি হয়ত মেরামতের চিন্তা করতে পারেন, যদি বাজেট নিয়ে সমস্যা থাকে।

ভালোভাবে কথা শুনতে না পাওয়া

ফোনে ফোন নেটওয়ার্ক আছে কিন্তু তবুও কথা বলার সময় ঠিকভাবে অপর পক্ষের কথা শুনতে পাচ্ছেন না? আবার এমনও হতে পারে যে আপনার কথা অপর প্রান্তে শোনা যাচ্ছে না। তবে আপনার উচিত পুরোনো ফোনটি বদলে ফেলা। যদিও এই ধরনের সমস্যা আপ-টু-ডেইট সিম না থাকা বা মাইক্রোফোনের সমস্যার কারণেও হতে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ সময় ফোনের জীবনকাল ফুরিয়ে আসায় এমন হয়ে থাকে। তবে কলে কথা বুঝা না গেলে সেক্ষেত্রে প্রথমে অবশ্যই ফোনের হার্ডওয়্যার বা সিমে কোনো সমস্যা কিনা তা যাচাই করুন। এরপর কাজ না হলে বুঝে নিন আপনার ফোন পরিবর্তন এর সময় চলে এসেছে।

স্টোরেজ এর টানাপোড়েন

অল্প ছবি তোলা বা ভিডিও রেকর্ড করার পর আপনার ফোনের স্টোরেজ যদি হরহামেশাই ফুল হয়ে যায় তাহলে বুঝে নিন একটি নতুন ফোন নেওয়ার সময় এসে গেছে৷ বিশেষ করে যাদের ফোনের স্টোরেজ ৩২জিবি বা ৬৪জিবি হয়, তাহলে সহজে স্টোরেজ শেষ হয়ে যাওয়া নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। বেশি স্টোরেজ থাকলে ইচ্ছেমত ছবি বা ভিডিও সেভ করার সুবিধা পাওয়া যায়।

সবসময় অ্যাপ ক্র‍্যাশ করা

আপনার ফোনের অধিকাংশ অ্যাপ যদি প্রায়সই ক্র‍্যাশ করে থাকে ও একই ব্যাপার যদি আপনার বন্ধুর ফোনে না হয়, তবে ধরে নেন আপনার ফোন আউটডেটেড হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অ্যাপ ক্র‍্যাশ ফোনের সমস্যার কারণেই করে থাকে। ফোনে থাকা র‍্যাম বা স্টোরেজ এর মধ্যে যেকোনো একটি সমস্যার কারণে অ্যাপ ক্র‍্যাশ করতে পারে। আবার ফোনের প্রসেসর যথেষ্ট শক্তিশালী না হলে সেক্ষেত্রেও অ্যাপ ক্র‍্যাশ করতে পারে। এক্ষেত্রে ভালো প্রসেসর ও অধিক র‍্যাম এর ফোনে সুইচ করতে হবে।

ফোন মাত্রাতিরিক্ত স্লো

ফোন মাঝেমধ্যে রিসেট করেও  স্লো হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি না পেলে ফোন বদলানোর সময় এসে গেছে ধরে নিতেই পারেন। ফোন বেশিরভাগ সময় কম র‍্যাম বা দূর্বল প্রসেসরের কারণে স্লো হয়ে থাকে৷ এইক্ষেত্রে উচিত অবশ্যই ভালো র‍্যাম ও প্রসেসরের ফোন নেওয়া।

সফটওয়্যার আপডেট আসেনা

যেসব স্মার্টফোনে নিয়মিত সফটওয়্যার আসেনা সেসব ফোন ব্যবহারের অনেক নিরাপত্তাগত ঝুঁকি রয়েছে। সব ফোনেই অনেকদিন ধরে সফটওয়্যার আপডেট আসেনা, কিন্তু বেশিদিন আগের ফোন হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে নিরাপত্তগত অনেক ধরনের জটিলতা দেখা যেতে পারে৷ এসবের কারণে বিভিন্ন এটাকের সম্মুখীন হতে পারে ফোন। তাই বেশিদিন পুরোনো মডেলের ফোন ব্যবহার করা উচিত নয়।

উপরের বিষয়গুলো বিবেচনা করে আপনার হাতের ফোনটি পরিবর্তন এর সময় এসেছে কিনা তা যাচাই করতে পারেন।

0 responses on "যেভাবে বুঝবেন আপনার ফোনটি বদলে ফেলার সময় এসেছে"

Leave a Reply

© Technial Bangla. All rights reserved. 2025