• No products in the cart.

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি ?

যখন আমরা অনলাইনে একটি প্যাসিভ ইনকাম সোর্স তৈরি করার কথা ভাবি তখন Freelancing-এর বিষয়টা আমাদের নজরে প্রথমেই পরে থাকে। একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে আমরা অনেক সুবিধাজনক ভাবে পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম টাকা ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে থাকি। তবে,এক্ষেত্রে শুরুতেই প্রত্যেকের মনের মধ্যে একটি প্রশ্ন অসহায় থেকে থাকে, “ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি” ?

ফ্রিল্যান্সিং এর সহজ কাজ গুলো খুঁজে সেগুলো ভালো করে করতে পারলেই অনেক সহজে অনেক টাকা ইনকাম করা যাবে।

নিজের খালি সময়ে ঘর থেকে অনলাইনে কাজ করার একটি দারুন উপায় হলো “Freelancing“.

আসলে আপনি চাইলে এই কাজটি একদিন একটি successful full-time business-এ রূপান্তরিত করতে পারবেন।

তবে, যদি এই ইন্ডাস্ট্রিতে আপনি একেবারেই নতুন এবং আপনার কোনো অভিজ্ঞতা নেই তাহলে কাজ পাওয়া আপনার জন্যে অনেক কঠিক হতে পারে।

এখানে, আপনার প্রয়োজন হবে উন্নত দক্ষতা বা প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা। বেশিরভাগ ক্ষেত্র আপনার মুখোমুখি হতে হবে প্রচুর প্রতিযোগিতার।

হতাশ হবেননা, আপনার জন্যে একটি ভালো খবর অবশই রয়েছে,

ফ্রিল্যান্সিং এর এরকম অনেক সহজ কাজ কিছু রয়েছে যেগুলো নতুনদের জন্যে একেবারেই উপযুক্ত।

ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনগুলো ?

নিচে আমি নতুনদের জন্য কিছু সেরা ও সহজ ফ্রিল্যান্সিংওয়ার্ক গুলোর বিষয়ে বলতে চলেছি।

এছাড়া, আপনার যদি কোনো অন্যান্য কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা আছে, তাহলে সেটা নিয়েও freelancing করতে পারবেন।

১. Social Media Manager

আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকেরাই প্রত্যেক দিন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলোতে প্রচুর সময় নষ্ট করে থাকি।

তবে, আমরা এটা বুঝিনা যে সোশ্যাল মিডিয়া গুলিও আমাদের অনলাইন ইনকামের একটি দারুন উৎস হয়ে দাঁড়াতে পারে।

বর্তমান সময়ে প্রায় প্রত্যেকটি business বা brands গুলো social media platform গুলোতে সক্রিয় থাকেন।

আর নিয়মিত সক্রিয় (active) থাকার জন্যে কোম্পানিগুলো বিভিন্ন freelancers-দের খুজেঁ ও কাজ দেন।

এক্ষেত্রে একজন freelancer-এর মূল কাজ থাকছে, নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করা, ফলোয়ার্স দের রিপ্লাই করা, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ইত্যাদি।

আপনাকে সেই প্রত্যেকটি কাজ করতে হয় যেগুলো আপনি নিজের social media profile-এর মধ্যে করে থাকেন।

তবে একজন freelancer হিসেবে আপনাকে এই কাজ নিজের client-এর জন্যে করতে হবে যার জন্যে সে আপনাকে ঘন্টা হিসেবে টাকা দিবেন।

২. Web Research

যদি আপনি গুগলের মধ্যে নিয়মিত কিছু না কিছু সার্চ করতে পছন্দ করে থাকেন তাহলে এই কাজ আপনার জন্যে সেরা।

অনেক এরকম কোম্পানি বা সংগঠন গুলো আছে যারা একজন ফ্রীল্যান্সার হিসেবে আপনাকে দিয়ে বিভিন্ন রিসার্চ এর কাজ করাবেন।

এই কাজের জন্যে কোম্পানি গুলো নতুন ভাবে কাজ শুরু করা ফ্রীল্যান্সার (entry-level freelancers) দের খুঁজে থাকেন।

এতে নতুন ফ্রীলান্সাররা সহজে কাজ পেয়ে যান এবং কোম্পানি গুলো কম টাকা দিয়ে নিজের কাজ গুলো করাতে পারেন।

এই ধরণের কাজে মূলত জড়িত থাকছে web research-এর কাজ।

এর দ্বারা কোম্পানি গুলো নতুন নতুন আর্টিকেল তৈরি, পণ্য এবং প্রতিযোগিতামূলত তথ্য গুলো সংগ্রহ করে থাকেন।

আপনাকে সরাসরি কিছু টপিক দিয়ে দেওয়া হবে যেগুলোর বিষয়ে গুগলে গিয়ে রিসার্চ করে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

৩. Content Writing

বর্তমান সময়ে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজটি প্রচুর লাভজনক ও জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনি যদি লেখালেখি করতে ইচ্ছুক বা লেখালেখি করে আপনার ভালো লাগে, তাহলে এই কাজ করতে পারেন।

আপনারা অনলাইনে থাকা বিভিন্ন website, blog বা company page গুলোর জন্যে আর্টিকেল লিখতে পারবেন।

আমার নিজের ওয়েবসাইট এর জন্যে ২ জন ফ্রিল্যান্স কনটেন্ট রাইটাররা কাজ করছেন যাদের পার্ট-টাইম কাজ করে ভালো উপার্জন হচ্ছে।

আপনি অনেক বেসিক রাইটিং স্কিলস এর সাথেই এই কাজ শুরু করতে পারবেন।

যেকোনো online freelancing marketplace-এ গিয়ে বা সরাসরি blog-এর মালিকদের সাথে যোগাযোগ করে কাজ খুঁজতে পারবেন।

কেবল ইংলিশ কনটেন্ট লেখার কথা আমি এখানে বলছিনা, আপনারা বাংলা বা হিন্দি কনটেন্ট লিখেও দারুন ইনকাম করতে পারবেন।

তবে মনে রাখবেন, কিভাবে একটি সেরা আর্টিকেল লিখতে হয়, এই বিষয়ে কিছুটা হলেও আপনার জানা থাকতে হবে।

৪. Virtual Assistant

নতুন ভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ যারা শুরু করতে চাইছেন তাদের জন্যে একটি দারুন কাজ রয়েছে যেখানে আপনার কোনো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই।

তবে, এই কাজের জন্যে আপনার প্রয়োজন হবে প্রচুর খালি সময়ের।

নতুন ভাবে শুরু করা ব্যবসা বা স্টার্টআপ গুলোর মালিকেরা অনেক ব্যস্ত থাকেন আর যার জন্যে তারা খুজেঁন “Virtual Assistants-দের“.

একজন Virtual Assistant হিসেবে আপনাকে আপনার ক্লায়েন্ট এর হয়ে কিছু সাধারণ কাজ গুলো করতে হয়।

যেমন, ইমেইল এর রিপ্লাই দেওয়া, সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ম্যানেজ করা, অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারিত করা ইত্যাদি।

মানে মূলত আপনাকে নিজের ক্লায়েন্ট এর বেশিরভাগ কাজ গুলো করে তাকে সম্পূর্ণ ভাবে ফ্রি করে দিতে হবে।

৫. Data Entry

বিভিন্ন ফ্রীল্যানসিং মার্কেটপ্লেস গুলোর কারণে এখন অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি জবস গুলো পাওয়া অনেক সহজ হয়ে পড়েছে।

কোম্পানি গুলো বিভিন্ন ধরণের ডাটা এন্ট্রি কাজ গুলো করানোর জন্যে freelancers-দের নিয়োগ করে থাকেন।

ধরুন একটি কোম্পানি তার কাছে থাকা প্রত্যেকটি পণ্যের একটি Excel spreadsheet তৈরি করতে চাইছেন।

এক্ষেত্রে, কোম্পানিকে সেই ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্যে একজন ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ করতে হবে।

যদি আপনি আমাকে প্রশ্ন করে থাকেন যে, “ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি ” ?

তাহলে আমার উত্তর হবে, “ডাটা এন্ট্রির কাজ“.

কারণ, এখানে আপনার কোনো বিশেষ জ্ঞান বা দক্ষতার প্রয়োজন নেই।

আপনাকে কেবল একটি জায়গার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আরেকটি ফাইল বা জায়গাতে তথ্য যোগ করতে হয়।

এই কাজ আপনারা নিজের ঘরে বসে আরামে গান শুনে বা টিভি দেখে দেখে করতে পারবেন।

৬. Video editing

প্রায় প্রত্যেক freelancing marketplace গুলোতে আপনারা ভিডিও এডিটিং এর কাজ গুলো পাবেন।

বর্তমান সময়ে প্রচুর ইউটিউবাররা রয়েছে যারা ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে আলাদা ভাবে একজন হেল্পার খোঁজেন।

তাই আপনি বিভিন্ন YouTuber-দের হয়ে তাদের ভিডিও এডিটিং এর কাজ গুলো করতে পারবেন।

এই কাজটিকে আমি একটি সহজ ফ্রিল্যান্সিং কাজ হিসেবে বলার কারণ এটাই যে, ভিডিও এডিটিং অনেক সহজেই শিখতে পারবেন।

ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে আলাদা ভাবে কোনো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই।

এছাড়া, সহজে ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখবেন এই বিষয়ে আমি আপনাদের আগেই বলেছি।

৭. Transcription
এই ফ্রিল্যান্সিং কাজটি আমার হিসেবে সবচে সহজ যদি আপনি নতুন করে কাজ শুরু করতে চলেছেন।

এখানে আপনাকে মূলত প্রতিলিপিকরণ এর কাজ গুলো করতে হয়।
ধরুন, একটি কোম্পানির কাছে প্রচুর পডকাস্ট ফাইল গুলো রয়েছে যেগুলো তারা ব্লগের আর্টিকেলে পরিণত করতে চায়।

এক্ষেত্রে কোম্পানিকে একজন freelance transcriber-কে নিয়োগ করতে হবে কাজটি করানোর জন্যে।

Transcription মানে হলো একটি অডিও বা ভিডিও থেকে বিষয়বস্তু গুলোকে নিয়ে করে টেক্সট ফাইলে পরিণত করা।

এটা আমার হিসেবে অনেক সোজা ও সহজ কাজ যেটা জেকেও করতে পারবেন।

৮. Voiceover

এরকম অনেক online company/website গুলো রয়েছে যেখানে নিয়মিত voice content গুলো তৈরি করে publish করতে হয়।

এক্ষেত্রে কোম্পানি গুলোর প্রয়োজন হয় একজন এমন ব্যক্তির যার রয়েছে সুন্দর ও নিখুঁত ভয়েস।

মানে, কোম্পানির প্রয়োজন হয় একজন Voiceover Artist-এর।

তাই, আপনি যদি সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে কথা বলতে দক্ষ তাহলে এই ফ্রিল্যান্সিং কাজ আপনার জন্যে অনেক সহজ।

তবে, একজন Voiceover Artist হিসেবে কাজ পাওয়ার জন্যে আপনার মধ্যে কিছু সাধারণ দক্ষতা অবশই থাকতে হবে।

এর জন্যে আপনারা শুরুতে কিছুদিন voice acting class এর সাহায্যে নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি করতে পারবেন।

এছাড়া, জোরে জোরে সুন্দর ভাবে কথা বলার নিয়মিত প্রাকটিস আপনাকে করতে হবে।

অন্যান্য voice actors-দের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তারা কিভাবে কাজ করছে সেটা জানুন।

উপসংহার,
ওপরে আমি যেই সহজ ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলোর কথা বলেছি সেগুলো প্রায় প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনারা পাবেন।

এমনিতে আমি আগেই আপনাদের সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর তালিকা দিয়ে দিয়েছি।

এই ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে আপনারা বিভিন্ন ধরণের কাজ গুলো পাবেন।

আশা করছি আমাদের আজকের আর্টিকেলের দ্বারা আপনারা কিছুটা হলেও লাভ পেয়েছেন।

আমাদের আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে অবশই জানাবেন।

0 responses on "নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি ?"

Leave a Message

Your email address will not be published. Required fields are marked *

top
Technical Bangla ©  All rights reserved.