ব্লগিং হলো ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার সব থেকে সেরা উপায়।
যদি আপনিও ব্লগিং লিখে টাকা আয় করার কথা ভাবছেন, তাহলে কোন বিষয়ে ব্লগ তৈরি করবেন সেটা নিয়ে হয়তো চিন্তায় আছেন ?
চিন্তা করবেননা, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কিছু সেরা ব্লগিং নিশ গুলোর বিষয়ে জানবো যেগুলো এমনিতেই অনেক লাভজনক।
দেখুন, ব্লগিং বর্তমানে অনেকেই করছেন, কিন্তু সফলতা পাচ্ছেন কেবল ৩৫% ব্লগাররা।
এর কারণ, blogging শুরু করার আগেই বেশিরভাগ লোকেরা সঠিক নিশ (niche) বেঁচে নিতে ভুল করে থাকেন।
আপনি যদি একটি competitive niche নিয়ে ব্লগ তৈরি করে থাকেন, তাহলে অবশই সেই ব্লগে গুগল থেকে ট্রাফিক পেতে অনেক সময় লেগে যাবে।
কেননা, একটি competitive blogging niche মানে হলো, ব্লগের এমন একটি বিষয় যেটার ওপরে অত্যাধিক লোকেরা ব্লগিং করছেন।
তাই, ব্লগিং এর ক্যারিয়ারে তাড়াতাড়ি সফলতা পাওয়ার জন্য, আপনার ব্লগে তাড়াতাড়ি গুগল থেকে ট্রাফিক পাওয়ার জন্যে,
একটি low competitive blogging niche এর ওপরে কাজ শুরু করতে হবে।
Low competitive blogging niche মানে হলো, এমন কিছু topic বা subject যেগুলো নিয়ে বর্তমানে বেশি website বা blog ইন্টারনেটে নেই।
তাই, যদি আপনারা এই ধরণের কিছু topic / niche নিয়ে ব্লগিং শুরু করেন, তাহলে অবশই অনেক তাড়াতাড়ি সফলতা পাবেন।
নিচে দেওয়া এই topics গুলো নিয়ে ব্লগ তৈরি করলে, অনেক তাড়াতাড়ি Google Organic Traffic পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একটি জনপ্রিয় ব্লগিং নিশ / টপিক অবশই লাভজনক
দেখুন, যখন একটি লাভজনক ব্লগিং টপিক এর কথা আসছে, তখন কেবল low competitive topic দেখলেই কাজ হবেনা।
লাভজনক টপিক মানে, এমন একটি টপিক যেটাতে প্রতিযোগিতা (competition) কম থাকার সাথে সাথে সেই টপিক অনেক জনপ্রিয় এবং লোকেরা সেই টপিক নিয়ে ইন্টারনেটে প্রচুর সার্চ করেন।
কেননা, আপনি যেই বিষয় নিয়ে ব্লগ তৈরি করছেন, সেই বিষয়ে যদি ইন্টারনেটে সার্চ একেবারেই কম,
তাহলে, ব্লগে traffic পাওয়ার সুযোগ কিন্তু একেবারেই কম থাকছে।
উদাহরণ স্বরূপে,
ধরুন আমি একটি ব্লগ বানিয়েছি একটি জনপ্রিয় বিষয় নিয়ে। এমন একটি বিষয়, জেবিষয়ে ইন্টারনেটে প্রচুর সার্চ হয়ে থাকে।
এবার, আপনি একটি ব্লগ তৈরি করেছেন, একটি অনেক কম জনপ্রিয়তা থাকা টপিক নিয়ে।
এখন ধরুন, আমি আমার ব্লগে কেবল ১০ টি আর্টিকেল পাবলিশ করি এবং আপনি আপনার ব্লগে প্রায় ৫০ টি আর্টিকেল পাবলিশ করেছেন।
এক্ষেত্রে, যদিও আপনার ব্লগে আমার ব্লগ থেকে অধিক আর্টিকেল রয়েছে,
তথাপিও, আমার ব্লগে আপনার ব্লগের তুলনায় অধিক traffic আসার সুযোগ রয়েছে।
কারণ, ৫০ টা আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকলেও, আপনার লিখা আর্টিকেল এর বিষয় গুলোর জনপ্রিয়তা কম। তাই, ইন্টারনেটে আপনার আর্টিকেল গুলো সার্চ করা হচ্ছেনা।
ফলে অধিক আর্টিকেল লিখলেও আপনার blogging career সফল হচ্ছেনা।
এর বিপরীতে,
কেবল ১০ টি আর্টিকেল থাকলেও, আমার ব্লগের বিষয় গুলো অনেক জনপ্রিয় এবং লোকেরা সেগুলো নিয়ে ইন্টারনেটে প্রচুর সার্চ করছেন।
ফলে, কেবল ১০ টি আর্টিকেল থাকলেও আমার ব্লগে ইন্টারনেট থেকে প্রচুর ট্রাফিক আসবে এবং আপনার ৫০ টি আর্টিকেল থাকা ব্লগের তুলনায় অধিক বেশি আসবে।
তাহলে এবার বুঝলেন তো, আমি কেন বলছি যে, “সব সময় একটি জনপ্রিয় টপিক নিয়ে ব্লগ তৈরি করতে হয় ?“.
আশা করছি আপনি বুঝেছেন।
চলুন, নিচে আমরা এমন কিছু সেরা ব্লগিং টপিক গুলোর বিষয়ে জেনেনেই যেগুলো অনেক জনপ্রিয় এবং কম প্রতিযোগিতামূলক।
Blog বানিয়ে তাড়াতাড়ি traffic / income পাওয়ার জন্য সেরা ১১ টপিক
নিচে যেগুলো টপিক এর বিষয়ে আমি বলছি, সেগুলো বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় এবং ইন্টারনেটে এগুলো নিয়ে প্রচুর সার্চ হয়ে থাকে।
আপনি, যেকোনো একটি টপিক সিলেক্ট করে ব্লগ তৈরি করতে পারবেন।
তবে, নিচে দেওয়া topics গুলোর মধ্যে কোন গুলোতে আপনার রুচি, অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান বেশি, সেটার ওপর নজর দিয়েই টপিক সিলেক্ট করুন।
এতে, আপনি রেগুলার ভালো ভালো article / content নিজের ব্লগে publish করতে পারবেন।
১. Job & career
এটা হলো এমন একটি জনপ্রিয় ও লাভজনক ব্লগিং টপিক যেটা সব সময় চর্চাতে থাকে।
কারণ, আজ ইন্টারনেটে যেকোনো বিষয়ে তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর তাই, লোকেরা নতুন চাকরির বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে ইন্টারনেটেই সার্চ করে থাকেন।
আর, একটি ভালো চাকরির খবর পাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রত্যেক দিন লক্ষ লক্ষ লোকেরা গুগল সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে থাকেন।
এক্ষেত্রে, আপনি যদি একটি জব (job) এবং ক্যারিয়ার (career) এর সাথে জড়িত ব্লগ তৈরি করেন,
তাহলে প্রায় ২ মাসের মধ্যেই অধিক পরিমানের ট্রাফিক নিজের ব্লগে পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Google search এর মধ্যে চাকরি নিয়ে বিভিন্ন topic যেমন, “Government jobs” এবং “private jobs“, ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে প্রায় 100k থেকে 10M পর্যন্ত সার্চ প্রত্যেক মাসে হয়ে থাকে।
তবে, এই ধরণের job website বানালে আপনারা সেখানে প্রত্যেক দিন নতুন নতুন jobs এবং career tips এর বিষয়ে article publish করতে হবে।
Regular নতুন নতুন government jobs এবং job apply link এর বিষয়ে কনটেন্ট পাবলিশ করতে থাকলে, অনেক তাড়াতাড়ি এবং সব সময় লোকেরা আপনার ব্লগের সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকবে।
তাছাড়া, এই ধরণের বিষয় নিয়ে ইন্টারনেটে অনেক কম ব্লগ রয়েছে।
২. Health & fitness
এই টপিক নিয়ে ব্লগ তৈরি করলে ট্রাফিক অনেক তাড়াতাড়ি এবং অধিক সংখ্যায় পাবেন।
কারণ, যেকোনো ছোট ছোট শারীরিক সমস্যা নিয়ে লোকেরা ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন।
তাছাড়া, কিভাবে আমরা সুস্থ এবং সবল থাকতে পারবো, সেবিষয়েও লক্ষ লক্ষ লোকেরা সার্চ করেন।
তাই, যদি আপনি স্বাস্থ্য ও ফিটনেস নিয়ে একটি ব্লগ তৈরি করে সেখানে নিয়মিত কিছু লাভজনক আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকেন,
তাহলে অবশই কেবল ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে প্রচুর ট্রাফিক পেয়ে যাবেন।
দেখুন, স্বাস্থ্য ও ফিটনেস এর বিষয়ে লোকেরা চিরকাল ইন্টারনেটে সার্চ করতেই থাকবেন।
তাই, যদি আপনি ৮০ থেকে ১০০ টি ভালো ভালো আর্টিকেল লিখে তারপর আর আর্টিকেল নাও লিখে থাকেন,
তথাপিও আপনার ব্লগে ট্রাফিক আসতেই থাকবে।
সম্পূর্ণ বিশ্বের প্রায় ৫০% লোকেরা প্রায় প্রত্যেক দিন স্বাস্থ্য ও ফিটনেস নিয়ে গুগলে সার্চ করে থাকেন।
তাই, যদি আপনি একটি নতুন ব্লগ বানিয়ে সেখানে তাড়াতাড়ি ট্রাফিক পাওয়ার কথা ভাবছেন,
তাহলে এই বিষয়ে ব্লগ তৈরি করাটা সত্যি লাভজনক।
৩. Make money online
আমার মনে হয়না যে প্রথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তি রয়েছে যে ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার পদ্ধতি বা নিয়ম এর বিষয়ে কোনোদিন সার্চ করেনি।
আমি বলতে চাচ্ছি যে, আজ প্রত্যেকেই ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করার নতুন নতুন উপায় গুলোর বিষয়ে জেনেনিতে চাচ্ছেন।
এক্ষেত্রে, আপনি online income tips নিয়ে একটি ব্লগ তৈরি করতে পারেন।
এই বিষয়টি ইন্টারনেটে অনেক জনপ্রিয় এবং এবিষয়ে তথ্য পেতে লোকেরা অনেক পছন্দ করেন।
তাই, যদি নতুন ব্লগ তৈরি করার কথা ভাবছেন, তাহলে অনলাইনে টাকা আয় করার বিষয়টি নিয়ে একটি ব্লগ তৈরি করুন।
প্রচুর ট্রাফিক পাওয়ার সাথে সাথে এই টপিক নিয়ে বানানো ব্লগ গুলোতে অধিক গুগল এডসেন্স সিপিসি (CPC) পাওয়া যাবে।
ফলে, অধিক ট্রাফিক পাওয়ার সাথে সাথে আপনার এডসেন্স ইনকাম প্রচুর থাকবে।
মনে রাখবেন, বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকেই ঘরে বসে অনলাইন ইনকাম করতে চান।
৪. Food recipes
Food এবং food recipe নিয়ে ইন্টারনেটে অনেক বেশি পরিমানে সার্চ হয়ে থাকে।
তাই এটাও একটি অনেক জনপ্রিয় এবং লাভজনক ব্লগিং টপিক।
এই টপিক নিয়ে তৈরি করা ব্লগ গুলো অনেক তাড়াতাড়ি জনপ্রিয়তা পাওয়া দেখা গেছে।
তবে, আপনার প্রত্যেক দিন নতুন নতুন খাবারের রেসিপি গুলো নিজের ব্লগে পাবলিশ করতে হবে।
নিয়মিত ভালো ভালো এবং মজাদার রেসিপি পাবলিশ করতে থাকলে, আপনি নিজের ব্লগের জন্য প্রচুর ট্রাফিক পেতে থাকবেন।
এমনিতে, এই ধরণের ব্লগ চালিয়ে যাওয়াটা অনেক সহজ কাজ।
কারণ, খাবারের রেসিপি গুলো প্রায় একি ধরণের।
আর তাই, রেসিপি আর্টিকেল গুলো অনেক ছোট ও সংক্ষেপে ৰুপলিশ করলেই হয়ে যাবে।
আপনার কেবল একটি আকর্ষণীয় ছবির সাথে রেসিপি গুলোর বিষয়ে লোকেদের জানিয়ে দিতে হবে।
৫. Beauty & fashion
আজ প্রত্যেকেই নিজেকে আরো অধিক সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে নিতে চান।
উন্নত ও আধুনিক জীবনধারার প্রক্রিয়ার সাথে খাপ খেয়ে চলার জন্য লোকেরা নিজেকে অধিক সুন্দর এবং আরো ফ্যাশনেবল হিসেবে প্রকাশ করতে চান।
আর তাই, বর্তমানে beauty & fashion নিয়ে গুগল সার্চে প্রত্যেক দিন লক্ষ লক্ষ পুরুষ ও মহিলারা সার্চ করে থাকেন।
ফলে, এই বিষয়টি একটি নতুন ব্লগ তৈরি করার ক্ষেত্রে একটি অনেক লাভজনক বিষয় হিসেবে বলা যেতে পারে।
ইন্টারনেটে তেমন বেশি blog site নেই যেগুলো এই ধরণের beauty & fashion নিয়ে তৈরি।
তাই, যদি আপনার এই ধরণের বিষয়ে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা রয়েছে,
তাহলে অবশই এই টপিক নিয়ে ব্লগ তৈরি করার পরামর্শ আমি দিবো।
Beauty এবং fashion নিয়ে রেগুলার ভালো ভালো আর্টিকেল পাবলিশ করতে থাকলে,
অনেক তাড়াতাড়ি নিজের ব্লগে ট্রাফিক পেয়ে যাবেন।
তাছাড়া, ব্লগ থেকে ইনকাম করার জন্য “Google AdSense” এবং “এফিলিয়েট মার্কেটিং” দুটোই মাধ্যম ব্যাবহার করাটা লাভজনক হবে।
ইন্টারনেটের সাথে জড়িত বিভিন্ন বিষয় রয়েছে যেগুলোর বিষয়ে লোকেরা জেনেনিতে চান।
আর এই উদ্দেশ্যে, প্রত্যেক দিন প্রায় কোটি কোটি লোকেরা ইন্টারনেটের সাথে জড়িত বিষয় গুলো নিয়ে গুগলে সার্চ করেন।
তাই, যদি আপনি এমন একটি ব্লগ তৈরি করেন যেখানে ইন্টারনেটের সাথে জড়িত বিষয় গুলোর ব্যাপারে বলা হয়,
তাহলে অবশই অনেক তাড়াতাড়ি গুগল সার্চ থেকে ব্লগে ট্রাফিক পাবেন।
যেমন, গুগল ট্রান্সলেট কি ?, search engine কি ?, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট কি ?, ইত্যাদি এরকম অনেক হাজার হাজার বিষয় রয়েছে যেগুলো নিয়ে আপনি আর্টিকেল লিখতে পারেন।
আমি বা আপনি যেগুলো জানি প্রত্যেকেই যে সেগুলো জানেন, সেটা কোনো কথা না।
অনেকেই ইন্টারনেটের সাথে জড়িত অনেক কিছুই জানেননা যেগুলোর বিষয়ে আপনি তাদের বলতে পারেন।
৭. Motivational
প্রেরণামূলক কথা, গল্প ইত্যাদি আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কোনো না কোনো সময় কাজে আসে।
তাছাড়া, যখনি আমাদের মন খারাপ থাকে বা জীবনে সফল হওয়ার জন্য আমরা সংঘর্ষ করে থাকি,
তখন প্রেরণামূলক কথা, গল্প, বাণী বা চিন্তা (motivational thoughts) আমাদের অনেক সাহায্য করে।
আর তাই, বর্তমানে এই বিষয়টি ইন্টারনেটে অনেক জনপ্রিয় এবং অনেকেই এই বিষয়ে তথ্য খুঁজে থাকেন।
এমনিতে, এই ধরণের বিষয় নিয়ে ইন্টারনেটে তেমন ভালো ভালো ব্লগ নেই।
তাই, আপনি যদি একটি motivational blog তৈরি করে লোকেদের সাহায্য করতে পারেন,
তাহলে তাড়াতাড়ি traffic ও income পাওয়ার সুযোগ প্রচুর।
৮. “How to” & “what is”
যদি আপনারা “how to” এবং “what is” বিষয়টি নিয়ে ব্লগ তৈরি করে থাকেন, তাহলে অনেক তাড়াতাড়ি সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যেকোনো জিনিস কিভাবে করতে হয় বা যেকোনো জিনিস এর বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য, এই ধরণের টপিক নিয়ে ব্লগ তৈরি করতে হবে।
এই ধরণের টপিক নিয়ে তৈরি করা ব্লগ গুলো অনেক তাড়াতাড়ি গুগল সার্চে র্যাংকিং (ranking) পেয়ে যায়।
“কাকে বলে” এবং “যেকোনো জিনিস কিভাবে করতে হয়“, এগুলো নিয়ে গুগল সার্চে প্রতিদিন মিলিয়নে সার্চ হয়ে থাকে।
৯. Stories
গল্প পড়তে কে না ভালো পায়। এবং, নিজের ভাষায় গল্প পড়ার মজা কিন্তু আলাদা।
আর মনে রাখবেন, ইন্টারনেটে প্রত্যেক মাসে বিভিন্ন রকমের গল্প পড়ার উদ্দেশ্যে কোটি কোটি লোকেরা গুগল সার্চ করে থাকেন।
যেমন, ভূতের গল্প, রূপকথার গল্প, প্রেমের গল্প ইত্যাদি।
আপনি চাইলে, একটি বাংলা গল্পের ব্লগ তৈরি করতে পারেন।
কেননা, ইন্টারনেটে বাংলা গল্পের বিষয়ে প্রচুর পরিমানে লোকেরা সার্চ করে থাকেন।
তবে তেমন একটি ভালো বাংলা গল্পের ব্লগ কিন্তু এখনো নেই।
তাই, ভালো ভালো গল্প প্রত্যেক দিন পাবলিশ করতে থাকলে, কেবল ২ মাসের মধ্যে ভালো পরিমানের ট্রাফিক পেয়ে যাবেন।
নতুন ব্লগ তৈরি করে তাড়াতাড়ি ট্রাফিক পেয়ে ইনকাম করার ক্ষেত্রে এই টপিক কিন্তু কখনোই খারাপ না।
১০. Review blog
বর্তমান সময়ে একটি review niche নিয়ে তৈরি করা ব্লগে অনেক তাড়াতাড়ি গুগল সার্চ ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব।
কারণ, আজ প্রত্যেকেই smartphone, laptop, smart tv ইত্যাদি কিনে থাকেন।
আর, এই ধরণের ডিজিটাল উপকরণ গুলো কেনার আগে, আমরা প্রত্যেকেই ইন্টারনেটে এগুলোর বিষয়ে সার্চ করি।
কোনটা ভালো হবে, কোন মডেল কিনবো বা কম দামে কোন মোবাইল বা ল্যাপটপ সেরা।
এরকম অনেক ধরণের digital products গুলো নিয়ে সেগুলোর বিষয়ে নিজের ব্লগে পাবলিশ করতে পারবেন।
আজ একটি ৫,০০০ টাকার মোবাইল হোক বা ৫০,০০০ টাকার মোবাইল, প্রত্যেকেই মোবাইল গুলোর রিভিউ ইন্টারনেটে পড়ার পর সেটা কিনবেন কি কিনবেননা সেই সিদ্ধান্ত নেন।
তাই, বর্তমান সময়ে একটি digital product review blog অনেক তাড়াতাড়ি সফল হওয়া দেখা গেছে।
আপনি, affiliate marketing এবং Google AdSense দুটো মাধ্যমেই ইনকাম করতে পারবেন।
রেগুলার নতুন নতুন smartphone, laptop, smart-TV বা অন্যান্য ডিজিটাল প্রোডাক্ট গুলো নিয়ে রিভিউ আর্টিকেল পাবলিশ করতে থাকলেই কেবল ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে প্রচুর ট্রাফিক পাওয়া শুরু হয়ে যাবে।
১১. Blogging guide
শেষে সব থেকে সেরা এবং বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় ব্লগিং টপিক (niche) আইডিয়া হলো “blogging guide“.
আজ প্রত্যেকেই নিজের একটি ব্লগ তৈরি করে অনলাইন ইনকাম করতে চাচ্ছেন।
এবং, নতুন ব্লগার গুলোর প্রায় ৯০% ইন্টারনেটে এর মাধ্যমেই ব্লগিং শিখে থাকেন।
তাই, ব্লগিং কিভাবে করতে হয়, এই বিষয়টি নিয়ে ব্লগ তৈরি করতে পারলে আপনার জন্য লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে।
বর্তনামে অনেক নতুন নতুন ব্লগ যেগুলো এই blogging guide টপিক নিয়ে ব্লগ তৈরি করেছেন,
তারা অনেক তাড়াতাড়ি নিজের ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফলতা পেয়েছেন।
তাই, আপনি যদি একজন blogging expert, তাহলে অবশই নিজের ব্লগিং এর অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান লোকেদের সাথে শেয়ার করুন।
এটা আপনার জন্য অনেক লাভজনক টপিক হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, আজকে আমরা জানলাম যে ব্লগিং ক্যারিয়ারে তাড়াতাড়ি সফলতা পাওয়ার জন্য কোন টপিক সিলেক্ট করে ব্লগ তৈরি করাটা লাভজনক।
ওপরে বলা এই জনপ্রিয় টপিক গুলো নিয়ে ব্লগ তৈরি করলে গুগল সার্চ থেকে প্রচুর ট্রাফিক পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তাছাড়া, যদি আপনি গুগল এডসেন্স এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এই দুই মাধ্যমে ব্লগ থেকে ইনকাম করতে চাচ্ছেন,
তাহলে প্রত্যেকটি ব্লগিং নিশ সেক্ষেত্রে সেরা।
আমার সব সময় এটাই চেষ্টা রয়েছে যাতে আমি আপনাদের সম্পূর্ণ সঠিক এবং কাজের তথ্য প্রদান করতে পারি।
তাই, আর্টিকেল এর সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
0 responses on "তাড়াতাড়ি ইনকাম করার জন্য ১১ টি জনপ্রিয় ব্লগিং টপিক"