• No products in the cart.

ট্রেডারদের ক্রিপ্টোওয়ার্ল্ডে বহুল ব্যবহৃত ১০ টি‌ ওয়ার্ড বা টার্মের সহজ বিশ্লেষন দেখে নিন

আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই ট্রিকবিডি ভিজিট করার জন্য

 

ক্রিপ্টোওয়ার্ল্ড একটি জটিল বিষয়।ক্রিপ্টোতে ইনভেস্ট করার আগে প্রচুর পরিমাণে রিসার্চ করতে হয়।ক্রিপ্টোতে ট্রেডিং একটি বিশাল পরিমাণ রিস্কি । এ মার্কেট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।ক্রিপ্টোর প্রাইস মুহুর্তে মুহূর্তে পরিবর্তন হতে পারে।

আনস্টেবল ক্রিপ্টোকারেন্সির দর উঠানামার সুযোগে কম দামে কয়েন কিনে তার মার্কেট প্রাইস বাড়লে বেশি দামে বিক্রি করাই ক্রিপ্টো ট্রেডারদের উদ্দেশ্য।

বর্তমানে অনেকের‌ই ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি আগ্রহ জন্মাচ্ছে।বছর দশেক আগেই ক্রিপ্টোকারেন্সির জায়ান্ট হিসেবে খ্যাত Bitcoin সম্পর্কে খুব কম‌ লোক‌ই এর পটেনশিয়াল সম্পর্কে আঁচ করতে পেরেছিলো।
টাকা যে ডিজিটাল ফর্মে অ্যাসেটরূপে থাকতে পারে সাধারন আমজনতার সে সম্পর্কে খুব কম‌ই ধারনা ছিল।তখন বুঝে না বুঝে যারা বিটকয়েন মাইনিং করে নিয়েছিল বলতে গেলে তারা সবাই এখন বিশাল অ্যামাউন্টের টাকার মালিক।

সময় যত গড়িয়েছে তত ক্রিপ্টোকারেন্সির সম্পর্কে মানুষের ধারণা বদলাতে শুরু করছে।ধীরে ধীরে সবাই একটু একটু বুঝতে পারছে টাকা শুধু কাগজের নোটের মধ্যে না এটি ডিজিটাল রুপেও থাকতে পারে।

সময়ের সঙ্গে শুরু হয়েছে নানা কয়েনের মাইনিং, মার্কেটে যাত্রার অপেক্ষায় আছে বিভিন্ন ধরনের কয়েন। পাল্লা দিয়ে সেই সাথে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন এক্সচেঞ্জার প্ল্যাটফর্ম। বাইন্যান্স,ট্রাস্ট‌ওয়ালেট,KuCoin এ ইতোমধ্যেই হয়তো অনেকে ওয়ালেট খুলে ফেলেছেন। তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান যুগে কোনো কিছু সম্বন্ধে ধারণা নেয়া অনেক সহজ‌ই বলা চলে।
ইউটিউব,গুগল,চ্যাটজিপিটির সাহায্যে এখন ক্রিপ্টো সম্পর্কে ডিটেইলস এর কমতি নেই।

বেশিরভাগ মানুষজন আবছা আবছা ধারনা লাভ করেই ট্রেডিং এর পথে হাটে। নতুন ট্রেডাররা যাতে এসব টার্ম বা শব্দগুলোর ব্যাপারে আরো গভীরভাবে রিলেট করতে পারে সেটাই এই পোস্টের উদ্দেশ্য।যারা বাঘা বাঘা ট্রেডারদের ক্রিপ্টো সিগন্যাল ফলো করে থাকে তাদের বুঝতে যাতে আরো সহজ হয়।

ক্রিপ্টো দুনিয়াই ভালো করতে চাইলে নিজে থেকে ক্রিপ্টোমার্কেটের ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস করে আগানো ছাড়া গতি নেই।

যারা টেলিগ্রামে ক্রিপ্টোর সিগন্যাল ফলো করে তাদের মাথায় রাখা উচিত এসব সিগন্যাল হবে আপনার প্রফিটের সহায়ক প্ল্যাটফর্ম কিন্তু পুরোপুরি সিগন্যাল ফলো করে ভালো মানের প্রফিট করা খুবই কঠিন একটি ব্যাপার।তাছাড়া এসব প্ল্যাটফর্মের সফলতার হার‌ও মাথায় রাখতে হবে।যত্র তত্র চ্যানেল থেকে সিগন্যাল ফলো করা থেকে বিরত থাকুন। নিজে মার্কেট অ্যানালাইসিস করতে শিখুন।

তো চলুন শুরু করা যাক।

Bridging কি?

 

ট্রেডার্সদের লেখায় আপনি প্রায়সময় ব্রিজিং Bridging শব্দটির সাথে পরিচয় হবেন।
Bridging মূলত কি? ব্রিজিং হচ্ছে এক ব্লকচেইন নেটওয়ার্ককে আরেক ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ করানো।

Blockchain নেট‌ওয়ার্ক কি সেটার দুটি উদাহরন দিই।
আপনারা সবাই Bitcoin, Ethereum এ দুটি জিনিসের সাথে পরিচয় হয়েছেন।উল্লেখ করার মতো Bitcoin Cryptocurrency তৈরি হয়েছে Bitcoin Blockchain দিয়ে এবং Ethereum তৈরী হয়েছে Ethereum Blockchain দিয়ে।

ব্রিজিং Bridging হচ্ছে ঐ রকম আলাদা ব্লকচেইন নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করানো যাতে দুটি ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক তাদের Asset এর বিনিময় ঘটাতে পারে। যেমন BDT থেকে Doller এ টাকার মান পরিবর্তন হয়।এখানে নোট নোট‌ই থাকে শুধু তার মূল্য পরিবর্তন হয়।তেমনি এক Cryptocurrency থেকে অন্য Cryptocurrency তে বিনিময়ের জন্য তাদের Blockchain নেটওয়ার্কদের মধ্যে সংযোগ করাই হচ্ছে Bridging ব্রিজিং।

Bdt আর Doller এর নিজেদের মধ্যে যেমন সংযোগ আছে তেমনি বিভিন্ন ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক‌ও Bridging এর মাধ্যমে সংযুক্ত আছে।এই ব্রিজিং বিভিন্ন মেথডে হতে পারে।যেমন Layer-2 Bridge,Multi Chain Bridge, centralized bridge ইত্যাদি।

Moonbag কি?

 

আপনারা যদি ক্রিপ্টো ট্রেডার্সদের সিগন্যাল বা টিপস ফলো করে থাকেন তাহলে Moonbag শব্দটি হয়তো দেখে থাকবেন। অমুক,তমুক কয়েন Moonbag হতে পারে Hold করে রাখতে পারেন এ ধরনের টিপস আপনি হয়তো দেখে থাকবেন।

এই Moonbag হলো একটি টার্ম। ধরেন আপনি Dogecoin কিনে রেখে hold করে রাখলেন এই বিশ্বাসে যে আগামী ১ বছর পর এই Dogecoin এর মূল্য এত বেশি বেড়ে যাবে যে লাভের সূচক একদম আকাশছোঁয়ায় পৌছে যাবে।

কারন ক্রিপ্টোমার্কেটের সাইকোলজিই হচ্ছে এটি আনস্টেবল।আপনার হোল্ড বা কিনে রাখা ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম হুট করেই যেমন আকাশছোঁয়া প্রফিট এনে দিতে পারে তেমনি হুট করে প্রাইস ড্রপ করে আপনাকে দেউলিয়া বানিয়ে পথে বসে দিতে পারে।
এই risk এর উপরেই moonbag প্রতিষ্ঠিত। সাধারনত যারা ট্রেডার বা ইনভেস্টর তারা মার্কেট অ্যানালাইসিস করে কয়েকধরন কয়েন কিনে রাখে বেশ ভালো এমাউন্টের। এটাই moonbag ভবিষ্যতে এরা হয় বিশাল অঙ্কের প্রফিট করবে নয় লস করবে।

Marketcap বা Market capital কি?

 

ক্রিপ্টো এক্সপার্টদের কাছে পরামর্শ জানতে চাইলে তারা যে কথাটি বলে সেটা হচ্ছে marketcap বা Market Capital অ্যানালাইসিস করা।

ধরা যাক অমুক কয়েনের মূল্য ১০০ টাকা আর মোট ১ কোটি কয়েন আছে।
এখন সেটির marketcap হবে ১ কোটি*১০০ =১০০ কোটি টাকা।

এখন কেউ যদি ক্রিপ্টোটে ট্রেড করতে চায় তার দরকার হবে marketcap অ্যানালাইসিস করা।কারন এই মার্কেটিক্যাপ‌ই নির্ধারন করে দেয় একটি ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য কত হবে অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির তুলনায়।

যেহেতু marketcap এর উপর crypto এর price সম্পর্কযুক্ত তাই ট্রেডাররা অ্যানালাইসিস করে পটেনশিয়াল রিস্ক সম্পর্কে আন্দাজ করে ইনভেস্টমেন্ট করে।
এটির জন্য‌ই ট্রেডিং এর জন্য প্রথমেই marketcap অ্যানালাইসিসের জন্য বলা হয়।মার্কেটক্যাপের উপর ভিত্তি করে যে যত ভালো অ্যানালাইসিস করে ইনভেস্টমেন্ট করতে পারে ভবিষ্যতে সে তত ভালো ট্রেডার আর লাভ করতে পারে।
দুনিয়ার কেউই ট্রেডিং এ দীর্ঘ মেয়াদী ভালো করতে পারবে না যদি তার marketcap analysis করার দক্ষতার ঘাটতি থাকে।

Minting কি?

 

আপনারা ক্রিপ্টো নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে Token সম্পর্কে নিশ্চিতভাবেই শুনে থাকবেন। এই token বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন Non fungible Token বা NFT,Tether বা USDT,Uniswap,Solana ইত্যাদি।

এসব token তৈরি করার প্রসেস‌ই হলো minting

Mining আর Minting কিন্তু এক না

মাইনিং mining ফোকাস করে জটিল ম্যাথেম্যাথিক্যাল puzzle সলভ করার মাধ্যমে কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি তুলে আনাকে। অন্যদিকে minting ফোকাস করে ব্লকচেইন নেটওয়ার্কে নতুন asset বা token তৈরী করাতে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই NFT তৈরীতে এটি ব্যবহার করা হয়।কারন token এর মধ্যে এটি প্রথমসারির একটি। সাধারনত কোন ডিজিটাল আর্ট,ছবিকে যদি nft বানানো হয় তাহলে সেটি হবে minting

কিন্তু যদি কম্পিউটার দ্বারা জটিল গানিতিক সমস্যার সমাধান করে নতুন cryptocurrency বাজারজাত করা হয় সেটি হবে mining।এটাই minting আর mining এর মধ্যকার মেইন পার্থক্য।

Crypto Lequidity কি

 

Liquidity বা আর্থিক তারল্য আপনি শেয়ার বাজার,ব্যাংক রিপোর্ট,দৈনিক পত্রিকা গুলোতে হয়তো দেখে থাকবেন। কিন্তু এই আর্থিক তারল্য বা Lequidity কি?

Lequity হচ্ছে কোন Asset বা সম্পত্তি কত সহজে‌ নগদ বা Cash করা যায় বাজারের দামের বেশি হেরফের না করে।
আপনি চিন্তা করুন আপনার কাছে Asset বা সম্পত্তি বিভিন্ন রকম আছে। আপনার ১০ বিঘা জমি আছে,আপনার নিলামে কেনা কোন দামী পেইন্টিং আছে কিংবা আপনার একটি ফলের বাগান আছে।

এই জমি, পেইন্টিং,বাগান সব‌ই হচ্ছে আপনার Asset.
এখন আপনি চিন্তা করুন এগুলো কি আপনি সহজেই বিক্রি করে নগদ টাকা হাতে পাবেন? আপনার জমি বিক্রির জন্য ভালো দাম দেয়া ক্রেতা লাগবে,আপনার পেইন্টিংটি বিক্রির জন্য নিলামে ভালো দাম তুলা লাগবে। কিন্তু চিন্তা করে দেখুন cash টাকার কথা।
Cash কে বলা হয় সবচেয়ে Lequid. টাকার স্থানান্তরে কোন ঝামেলা নাই,আপনার সময়ের অপেক্ষা করা লাগছে না ইত্যাদি।

একজন ট্রেডারের কথা চিন্তা করূন। সে টাকা দিয়ে একটা Asset কিনছে। কিন্তু তার দরকার টাকা। তার কেনা Asset এর দাম তো বাড়তে হবে,demand বেশি হতে হবে,তার asset এর একটা ভ্যালু থাকতে হবে যাতে পরবর্তীতে কেউ সেটা কিনতে পারে।
এই দামের হেরফেরের মধ্যে লাভ করাই একজন ট্রেডারের প্রধান কাজ। এজন্য ট্রেডিং করতে গেলে আপনার crypto Lequidity নিয়ে জানতে হবে।

ক্রিপ্টোর দাম যেহেতু খুব বেশি উঠানামা করতে পারে তাই Cryptocoin কেনার আগে ঐ কয়েনটির Lequidity চিন্তা করতে হবে।বাজারে তো বিভিন্ন ধরনের ক্রিপ্টোকয়েন‌ই available আছে। কিন্তু গনহারে একজন ট্রেডার এসব কিনে না। একজন ভালো ট্রেডার্স হতে গেলে কয়েকটি ফ্যাক্টর মাথায় রাখতে হয়। যেমন:

•Trading volume
কি পরিমান একটি কয়েন ট্রেড করা যাবে সেটা একটি খুবই বিবেচ্য বিষয়। সাধারনত ভলিউম যত বেশি হবে সেটিতে টেকনিক্যালি বেশি বেশি মানুষ access পাবে
আর সেটির বিনিময় তত সহজ হবে।কারন বেশি ভলিউম মানে সেটিতে মানুষ বেশি হবে আর মানুষ বেশি হলে সেটিতে ক্রেতা বিক্রেতা ও বেশি।

•Exchange Support
একটি কয়েন যত বেশি exchange support করে তত বেশি lequid ধরা হয়। Exchange support platform এর একটি বড় উদাহরন হচ্ছে Binance.
ক্রিপ্টোর Lequidity সরাসরি এসব exchange platform এর সাথে সম্পর্কযুক্ত।কারন আপনি নিশ্চয়ই এমন কোন coin কিনতে চাইবেন না যেটি সব platform এ সাপোর্ট করে না।কারন বেশি platform এ সাপোর্ট করা মানে সেখানে ক্রেতা বিক্রেতা ও বেশি। ফলে খুব সহজে market এ buy sell করা যাবে দামের বেশি হেরফের না করে।

•Market depth
ক্রিপ্টো তখনই সেল হবে যদি এটা কেউ কিনে আর ক্রিপ্টোর জগতে মার্কেট depth হচ্ছে exchanger যেমন binance এ কতগুলো buy sell এর অর্ডার আছে সেটি। যত বেশি মানুষজন আকৃষ্ট হবে তত বেশি buy sell হবে এটাই স্বাভাবিক। কাজেই মার্কেট চাহিদার কথা মাথায় রেখে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা কয়েন কিনতে হয়। এছাড়াও আর‌ও বেশ কিছু factor আছে।
একজন ট্রেডারকে সব কিছুই analysis করে invest করতে হয়।

Rig (রিগ) কি?

 

সাধারনত বাজারে নতুন কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি আসার আগে মাইনিং করা লাগে। আপনারা হয়তো দেখে থাকবেন অনেক লোক মার্কেটে কয়েন আসার আগেই invest করে থাকে। কখনো ভেবে দেখেছেন যে coin মার্কেটেই আসেনি তাহলে মানুষজন কেন money invest করেছে?

এর মূল কারণ হলো ঐ কয়েনটির potential চিন্তা করে মানুষজন টাকা ইনভেস্ট করে। এই ইনভেস্টমেন্ট এর টাকা কোথায় যায়? এটা যায় হচ্ছে Rig কিনতে।
Rig হচ্ছে সেই মাইনিং প্ল্যাটফর্ম বা স্পেশাল কম্পিউটার সেট‌আপ যেটি দিয়ে mathematical problem solve এর মাধ্যমে cryptocurrency মাইনিং করা যায়।

Crypto এর Mining যেহেতু একটি জটিল বিষয় তাই যত শক্তিশালী Rig সেট‌আপ করে mining করা যায় তত দ্রুত crypto আর্ন করা যায়। একটি মাইনিং ফার্ম এজন্য ইনভেস্টর খুঁজে থাকে যাতে আরো শক্তিশালী Rig সেট‌আপ করতে পারে। কারন এসবের হার্ড‌ওয়্যার কেনার জন্য আগেই টাকার প্রয়োজন।
ট্রেডারা সাধারনত এসবেও ইনভেস্টমেন্ট করে থাকে।

GAS কি বা GAS ফি কেন লাগে?

 

একটি পানির বোতল কিনতে যাবেন সেখানে লেখা অমুক “লিটার”
নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার কিনতে যাবেন এত “কেজি বা কিলোগ্রামের” পন্য যেমন আলু,চাল।

GAS fee নির্ভর করে মূলত ঐ ব্লকচেইন নেটওয়ার্কটির demand কেমন, ট্রানজিকশন কতটুকু জটিল এসকল বিষয়ের উপর‌।এই GAS Fee আবার ম্যানুয়ালভাবে সেট করা যায় যাতে আরো দ্রূত transition করা যায় অথবা বেচা বিক্রিতে খরচ কমানো যায়।Gas fee কোথায় খরচ হয়?

এটি মূলত miner রা আয় করে থাকে একটা reward হিসেবে কারন তারা এসব transaction এর ভ্যালিডিটি আর সিকিউরিটি দিয়ে থাকে।আর ব্লকচেইন নেটওয়ার্কে GAS এর বার্ন‌আউট নিশ্চিত করে নেটওয়ার্কে computational resource যেন efficiencyভাবে খরচ কিংবা ব্যবহার হয়।
GAS Fee ট্রানজিকশন করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

APEING কি বিশ্লেষণ করে?

 

Apeing হচ্ছে একটি টার্ম বা কনটেক্স।যারা অন্ধভাবে মার্কেট অ্যানালাইসিস ছাড়া বিশাল বড় রকম ইনভেস্ট করে ফেলে তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য।

একটি ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম ক্রমাগত উত্থান পতনের ভিতরে যায়। যারা কোন কয়েনের দাম এত বেশি বেড়েছে শুনে হুটহাট ঐ কয়েনের ফান্ডামেন্টাল,মার্কেটক্যাপ, পটেনশিয়াল রিস্ক নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে কিনে ফেলে তাদের ক্ষেত্রে এই টার্মটি খাটে। এটি হয় মূলত social media hype, Influencer দের কথাবার্তা শুনে। এজন্য‌ই বলা হয়
নিজে ক্রিপ্টোজগতের উপর জ্ঞান তৈরী ছাড়া উন্নতি করা যায় না।
আজ হুট করে একটি কয়েনের দাম বেড়েছে শুনে কখনো সেটি কিনতে যাবেননা। মার্কেট অ্যানালাইসিস করে কয়েনটির পটেনশিয়াল সম্পর্কে ভালো ভাবে বিশ্লেষণ করে তবেই সেই কয়েনটি নিজের ওয়ালেটে আনবেন। টেলিগ্রামে সিগন্যাল, টুইটারে ট্রেডারদের প্রেডিকশন দেখে অন্ধভাবে টাকা ইনভেস্ট করাও কিন্তু এক প্রকার apeing!

ATH বা All time High কি বোঝায়?

কোন ক্রিপ্টোকারেন্সির সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমান প্রাইস বৃদ্ধি‌ই হচ্ছে all Time high

 

ট্রেডারদের জন্য এই ATH বিবেচনা করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেউ moonbag এর আশায় যদি coin হোল্ড করে রাখে আর সেটি যদি ATH পৌছায় তাহলে মোটামুটি বলা যায় সে জ্যাকপট পেয়ে গেছে।
ATH মার্কেটে আরো অ্যাটেনশন এনে দেয় ঐ ক্রিপ্টোর ফলে আরো বেশি ট্রানজিকশন হয়। মানুষজন আরো বেশি ঐ ব্লকচেইন অ্যাসেট কিনতে আগ্রহী হয়ে ওঠে।

এখন আপনি যদি ATH এর টাইমে হাইপের কারনে কয়েন কিনেন তাহলে কিন্তু আপনি একটি রিস্কি ইনভেস্টমেন্ট করে ফেলেছেন। ATH এর কয়েন কেনা বরাবর‌ই ঝুঁকিপূর্ণ। বরং আপনি যদি অ্যানালাইসিস করে পটেনশিয়াল হিসেবে কোন অ্যাসেট বা কয়েন কিনে রাখেন moonbag হিসেবে সেটি যদি কখনো ATH হিট করে তবেই আপনি মার্কেট থেকে সর্বোচ্চ প্রফিটটুকু পাবেন।

যারা Apeing করে তারা মূলত এই ভুলটি করে থাকে। hype,ATH কয়েন কিনে থাকে ফান্ডামেন্টাল বিবেচনা করা বাদ দিয়ে।

Spot trading ও future trading

 

ক্রিপ্টোতে দুধরনের trade করা যায় একটি হচ্ছে spot trading আরেকটি future trading.

Spot trading হচ্ছে ক্রমাগত দামের উত্থান পতনের সময়ে ট্রেড করা। Spot trading খুবই দ্রুত হয়। Spot trade এর কয়েনগুলোর Lequidity ও থাকে অনেক বেশি।GAS Fee ও এখানে কম future trade এর সাথে তুলনা করলে।

Spot trading বেশ জনপ্রিয়‌ও বলা যায়। এটি বেশ সিম্পল হ‌ওয়ায় নতুন নতুন ট্রেডারদের শেখার একটি ভালো মাধ্যম বলা চলে।এটির কোন মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ থাকে না অর্থাৎ যতদিন ইচ্ছা ততদিন হোল্ড করে রাখা যায়।

অপরদিকে future trading হচ্ছে ভবিষ্যতের potential হিসেবে trade করা।এটি মূলত একটি এগ্রিমেন্ট বা চুক্তির মতো এত তারিখ এক্সপায়ারি টাইমের মধ্যে আপনি ঐ কয়েন বা অ্যাসেটটি কিনবেন।

এটির বেশ সুবিধাও আছে। এখানে ট্রেডার buy অথবা sell অথবা দুটোতেই contract করে রেখে দিতে পারে।অর্থাৎ যদি সঠিক প্রেডিকশন করতে পারেন তাহলে মার্কেটে মূল্য বাড়লেও প্রফিট করতে পারবেন আবার কমলেও পারবেন!এখানে আপনি price lock করে রাখতে পারেন মার্জিন বিবেচনায়।

এখানে ডাউনসাইড‌ও কিন্তু আছে।এটি যেহেতু contactual তাই এখানে market down হলেও আপনি কিনতে বাধ্য।এক‌ই সাথে এটির GAS fee ও স্পট ট্রেডিং এর তুলনায় বেশি।price lock করা থাকলেও কয়েনের মূল্য নিচের দিকে ড্রপ করলে লস হতে পারে।

 

 

0 responses on "ট্রেডারদের ক্রিপ্টোওয়ার্ল্ডে বহুল ব্যবহৃত ১০ টি‌ ওয়ার্ড বা টার্মের সহজ বিশ্লেষন দেখে নিন"

Leave a Message

Your email address will not be published. Required fields are marked *

top
Technical Bangla ©  All rights reserved.