আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ বা ব্লগের আর্টিকেল গুগল সার্চে র্যাংক (rank) বা ইনডেক্স (index) হচ্ছেনা ?
যদি আপনিও, নিজের ব্লগের Google ranking এবং Indexing এর সমস্যা নিয়ে হতাশ হয়ে রয়েছেন,
তাহলে, আজকের আর্টিকেল আপনার কাজে আসতে পারে।
আজকে আমরা এমন ১৫ টি বিষয়ের ওপরে কথা বলবো, যেগুলোর কারণে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুগলে ইনডেক্স বা র্যাংক হচ্ছেনা।
একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ এর আর্টিকেল গুগল সার্চে র্যাংক (rank) বা ইনডেক্স (index) না হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতেই পারে।
হয়তো আপনি সঠিক ভাবে Search Engine Optimization (SEO) করছেননা ?
তাছাড়া, হতে পারে বিভিন্ন অন্যান্য কারণের ফলে, গুগল আপনার ওয়েবসাইট র্যাংক বা ইনডেক্স করছেনা।
এবং, এই প্রত্যেক কারণ গুলোর বিষয়েই আজকে আমরা কথা বলবো।
আপনার blog বা website গুগলে rank হচ্ছেনা ?
বর্তমান সময়ে, blogging নিয়ে অনেকের মনের একটি সাংঘাতিক রুচির সৃষ্টি হয়েছে।
এবং, blogging এর প্রতি থাকা এই রুচির (interest) কারণ হলো, “ব্লগ থেকে ইনকাম করার সুযোগ“.
কিন্তু, blogging কে বর্তমানে একটি processional business বা career হিসেবে লোকেরা নিচ্ছেন।
আর তাই, এই ক্ষেত্রে প্রচুর প্রতিযোগিতার (competition) সৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক।
আমরা প্রত্যেকেই জানি, একটি ব্লগ থেকে income করার জন্য,
“সেই ব্লগে প্রত্যেক দিন হাজার হাজার unique visitors দের প্রয়োজন”.
এবং, এক্ষেত্রে গুগল সার্চ (Google search) আমাদের ব্লগে প্রত্যেকদিন অসংখক organic traffic দিতে পারে।
আর তাই, একজন blogger হিসেবে আমাদের ব্লগে “Google Search Engine” ফ্রীতে visitors বা traffic আনার চেষ্টা আমাদের সবসময় থাকছে।
তবে মনে রাখবেন, গুগল সার্চ ইঞ্জিন এর কিন্তু অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
আপনার blog বা ব্লগের আর্টিকলে যদি কোনো রকমের আপত্তি জনক তথ্য বা কার্যকলাপ গুগল দেখতে পায়,
তাহলে, আপনার article, blog বা content গুগল কখনোই তার সার্চ রেজাল্টে index বা rank করবেনা।
চলুন, নিচে আমরা প্রত্যেকটি কারণের বিষয়ে জেনেনেই, যেগুলোর জন্যই হয়তো গুগল আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট র্যাংক (rank) করছেনা।
Why Google Is Not Ranking Your Website / Blog ?
১. New website or blog
যদি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ নতুন, তাহলে Google Bots সেই নতুন ওয়েবসাইট crawl করতে সময় অবশই নিবে।
একটি নতুন ওয়েবসাইট গুগল সার্চে ইনডেক্স ও র্যাংক (rank) হতে হতে প্রায় ১ মাস খানিক সময় লাগতেই পারে।
তাই, যদি আপনার blog site নতুন করে গুগলে জমা করা হয়েছে, তাহলে সম্পূর্ণ ব্লগ গুগলে index ও rank হতে সময় লাগবে।
আপনি, Google search এর মধ্যে গিয়ে, “site:banglatech.info” লিখে সার্চ দিন।
মনে করে, banglatech.info জায়গায় আপনার ওয়েবসাইটের নাম দিয়ে দিন।
এবার, যদি গুগল আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ সম্পূর্ণ ভাবে ইনডেক্স (index) করেছে তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ পেজ গুলো গুগলের search result page এর মধ্যে দেখতে পাবেন।
আর, যদি গুগল আপনার ওয়েবসাইটের page বা article এখনো index করেনি, তাহলে result page এর মধ্যে কিছুই দেখানো হবেনা।
তাহলে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনারা জেনেনিতে পারবেন যে, গুগল আপনার website pages গুলোকে index করেছে কি করেনি।
এখন, যদি আপনার ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পেজ গুলো গুগল index করেছে, তাহলেও কিন্তু একটি নতুন ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে গুগলের প্রথম পাতায় র্যাংকিং (ranking) পাওয়াটা সোজা নয়।
কেননা, যখন আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ নতুন, যখন সেই ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথরিটি (DA) প্রচুর কম থাকবে।
এবং, একটি নতুন ও কম ডোমেইন অথরিটি (DA) থাকা ওয়েবসাইটের কন্টেট / আর্টিকেল এর ওপর গুগলের ভরসা থাকেনা।
তাই, আপনি যতটাই ভালো ও হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট লিখছেন না কেন, একটি নতুন ওয়েবসাইটের জন্য প্রথম ২ থেকে ৩ মাস গুগলের প্রথম পাতায় ranking পাওয়ার সুযোগ প্রচুর কম।
হে, যখন আপনি regular নিজের ব্লগে article publish করবেন, তখন ধীরে ধীরে আপনার ব্লগ সাইট এর DA (domain authority) বৃদ্ধি পাবে।
ফলে, যদি আপনি ভালো ভালো, high quality এবং SEO optimized article লিখছেন,
তাহলে সেগুলোকে গুগলের প্রথম সার্চ রেজাল্ট পেজে র্যাংক (rank) হতে কেও বাধা দিতে পারবেনা।
তবে, এই পরামর্শ ছিল নতুন blog বা website এর জন্য।
যদি আপনার website বা blog অনেক পুরোনো তবে তাও আপনারা গুগলে ranking পাচ্ছেননা, তাহলে নিচে দেওয়া কারণ গুলো দেখুন।
২. High competitive keywords / niche
আমি আগেই বলেছি, বর্তমানে blogging এর industry তে প্রচুর competition এর সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যেক দিন একি বিষয়ে হাজার হাজার blog post publish করা হচ্ছে এবং সেগুলো গুগলে index করানো হচ্ছে।
এখন, যদি আপনি এমন একটি বিষয় (topic) নিয়ে ব্লগ তৈরি করছে বা এমন একটি keyword target করে আর্টিকেল লিখছেন,
যেই, বিষয়ে বা keyword নিয়ে আগের থেকেই গুগলে হাজার হাজার তথ্য / ওয়েবসাইট রয়েছে,
তাহলে আপনার জন্য সেই বিষয় বা কীওয়ার্ড নিয়ে গুগল সার্চের প্রথম পাতায় রাংকিং (ranking) পেতে প্রচুর প্রতিযোগী ওয়েবসাইটের সাথে মোকাবেলা করতে হবে।
এই ক্ষেত্রে, যদি আপনার প্রতিযোগী ওয়েবসাইট গুলোর content quality, SEO এবং domain authority সবটাই উচ্চমানের,
তাহলে আপনার জন্য সেই keyword বা বিষয় নিয়ে ওয়েবসাইটি টি গুগলে র্যাংক করানোটা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
তবে, সম্ভব হলেও এরকম একটি competitive keyword এর জন্য ওয়েবসাইট rank করানোর জন্য আপনার প্রচুর কাজ করতে হবে।
যেমন,
- ব্যাকলিংক তৈরি করা
- সঠিক Off-page SEO
- সঠিক On-page SEO
- সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং
তাই, হতে পারে আপনার ব্লগে লিখা আর্টিকেল বা কনটেন্ট গুলোতে high competitive keywords ব্যবহার করা হচ্ছে।
এবং যার জন্যে, আপনার ব্লগের আর্টিকেল গুলো গুগলের প্রথম পাতায় rank করতে পারছেনা।
এর জন্য, আমার কেবল একটি পরামর্শ থাকছে।
আপনি আর্টিকেল লেখার আগে, “Keyword research” অবশই করবেন।
কীওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে, আপি গুগল সার্চ হওয়া যেকোনো keyword এর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
Google search engine এ, একটি কীওয়ার্ড প্রত্যেক মাসে কতবার search করা হচ্ছে, keyword গুলোকে টার্গেট করে আগের থেকে লেখা কতটি আর্টিকেল গুগল রয়েছে মানে, keyword এর competition, সম্পূর্ণটা আপনারা keyword research এর মাধ্যমে জেনেনিতে পারবেন।
ফ্রীতে, কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য আমি “keyword planner tool” ব্যবহার করি।
৩. Quality content এর অভাব
যদি আপনারা quality content লিখছেননা, তাহলে গুগল সার্চের প্রথম পাতায় ranking পেতে সমস্যা অবশই হবে।
এখন প্রশ্ন হলো এই “quality content” বা “quality article” মানে কি ?
এর উত্তর অনেক সোজা।
কোয়ালিটি আর্টিকেল মানে হলো, আর্টিকেল গুলোকে এমন ভাবে লিখা যেগুলোর মাধ্যমে আপনার visitors রা তাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর বা সমাধান খুঁজে পেতে পারে।
আমি বর্তমানে প্রায় অনেক ব্লগার দের দেখেছি, যারা স্পষ্ট ভাবে আর্টিকেল লিখেননা।
কোনোভাবে ৩০০ থেকে ৫০০ শব্দের ভেতরে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করে দেন।
তাছাড়া, আর্টিকেল লিখার কোনো নিয়ম শৃঙ্খলা তাদের মধ্যে থাকেনা।
যার ফলে, visitors রা তাদের আর্টিকেল গুলো পছন্দ করেননা এবং গুগলেও আর্টিকেল পেজ গুলো র্যাংক হয়না।
তাই, যদি আপনিও যেকোনো ভাবে কেবল ৩০০ থেকে ৬০০ বা ৭০০ শব্দের মধ্যে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করছেন,
তাহলে অবশই গুগল সার্চে র্যাংকিং (ranking) পেতে সমস্যা হবে।
তাই সব সময় যেকোনো বিষয়ে detailed article লিখার চেষ্টা করবেন।
ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে আর্টিকেল লিখার চেষ্টা করবেন এবং কমেও ১৫০০ থেকে ২০০০ এর মধ্যে একটি তথ্যবহুল আর্টিকেল পাবলিশ করার চেষ্টায় থাকবেন।
মনে রাখবেন, যেকোনো বিষয়ে কেবল আপনি ব্লগ লিখছেননা।
গুগল সার্চে যেকোনো বিষয় বা কীওয়ার্ড নিয়ে আগের থেকেই প্রচুর ওয়েব পেজ রয়েছে।
তাই, low quality কনটেন্ট লিখলে Google আপনার ওয়েবসাইট কেন র্যাংক করবে যখন তার কাছে আগের থেকেই প্রচুর ভালো ভালো কনটেন্ট রয়েছে।
৪. Manual actions check করুন
যদি কোনোভাবেই আপনার ব্লগ সাইট এর ওপরে manual actions এর প্রভাব পড়েছে, তাহলে গুগল সার্চে আপনার ওয়েবসাইট দেখানো হয়না।
এবং, ওয়েবসাইট গুগল সার্চে দেখানো না হলে ranking কিভাবে পাবেন ও traffic বা কিভাবে পাবেন।
Manual actions হলো সেই প্রক্রিয়া,
যেখানে গুগলের কর্মচারীরা (officials) আপনার ওয়েবসাইটে কোনো ধরণের illegal activities, spamming এবং fraudulent বা fishy activities দেখেন।
ফলে, গুগলের কর্মচারীরা manually আপনার ওয়েবসাইট এর ডোমেইন টিকে block বা penalize করে।
আপনার ওয়েবসাইট এর ওপরে manual actions এর প্রভাব পড়েছে কি না, সেটা যাচাই করার জন্য, আপনারা যেতে হলে “Google search Console” এর মধ্যে।
Google search console এর “security & manual action” ট্যাব এর মধ্যে click করুন এবং তার পর “manual action” ট্যাবে ক্লিক করুন।
আপনার ওয়েবসাইট যদি গুগল দ্বারা penalize করা হয়েছে, তাহলে আপনারা এখানে দেখতে পারবেন।
তাছাড়া, গুগলের দ্বারা আপনার registered email address এর মধ্যে email পাঠিয়েও জানানো হয়।
৫. Google আপনার ওয়েবসাইট সঠিক ভাবে crawl করছে তো ?
অনেক সময় বিভিন্ন crawling errors এবং issues এর জন্য গুগল আমাদের ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি পেজ বা কনটেন্ট crawl করতে পারেনা।
আর, যখন Google bots আমাদের ওয়েবসাইট সঠিক ভাবে crawl করবেনা, তখন ওয়েবসাইটের pages গুলো index হবেনা আর ফলে সেই page গুলো গুগল সার্চে rank হবেনা।
তাই, নিজের website এর সাথে সংযুক্ত Google search console account এর মধ্যে গিয়ে “Index >> Coverage” ট্যাবে click করুন।
যদি কোনো সমস্যার জন্য আপনার ওয়েবসাইট গুগল দ্বারা ক্রল করা হচ্ছেনা, তাহলে লাল রঙের “error” দেখানো হবে।
তাছাড়া, কেন গুগল আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট পেজ গুলোকে crawl করতে পারছেনা, সেই বিষয়েও সেখানে বলা হবে।
- Robots.txt file এর ওপর নজর দিন।
- আমাদের প্রত্যেকের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের একটি robots.txt ফাইল রয়েছে। নিজের ওয়েবসাইটের এই রোবট ফাইল চেক করার জন্য ব্রাউজারে “banglatech.info/robots.txt” টাইপ করুন।
- এই রোবট ফাইল এর কাজ হলো Google বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন কে নির্দেশ দেওয়া বা বলা যে, সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের কোন page গুলোকে crawl করতে হবে এবং কোন গুলোকে করতে হবেনা।
- যদি যেকোনো ভুলের কারণে, আপনি আপনার ওয়েবসাইটের robots.txt ফাইল টিকে উল্টো পাল্টো করে এডিট করে দিয়েছেন, তাহলেও কিন্তু গুগল আপনার সাইট crawl ও index করতে পারবেনা।
- সুনিশ্চিত করুন যে আপনার robots.txt ফাইল গুগল বোট (google bots) গুলোকে ব্লক করছেনা।
৬. আপনার ওয়েবসাইটে “no-index” tag ব্যবহার কচ্ছেনাতো ?
একটি সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ লিংক (link) বা কিছু কিছু লিংক (link) গুলোকে search engine গুলোতে index হওয়ার থেকে বাধা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় “No-index” ট্যাগ।
তাই, যদি আপনি ভুলে কোনো ওয়েব পেজ এর মধ্যে এই ট্যাগ ব্যবহার করেছেন,
তাহলে, সার্চ ইঞ্জিনে no-index করা সেই ওয়েব পেজ টি দেখানো হবেনা বা র্যাংক করা হবেনা।
তাছাড়া, যদি আপনি একজন WordPress user এবং নিজের ওয়েবসাইটে Yoast SEO plugin ব্যবহার করছেন,
তাহলে সম্ভাবনা রয়েছে যে, আমি নিজের Yoast SEO plugin এর setting সঠিক ভাবে করেননি।
যার ফলে, আপনার ওয়েবসাইটের কিছু কিছু অংশ (page) বা সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট no-index হয়ে রয়েছে।
৭. Low quality backlink
গুগল যখনি একটি ওয়েবসাইটের যেকোনো পেজ crawl, index এবং rank করে,
তখন, backlinks কে কিন্তু সেই পেজ এর একটি ranking factor হিসেবে নিয়ে সেটাকে rank করে।
আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েবসাইটের পেজ গুলোতে low quality backlinks রয়েছে না high quality backlink,
সেটা কিন্তু Google search ranking এর একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তাই, যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য low quality backlinks তৈরি করছেন,
যেমন,
- Spam website থেকে,
- Low quality directory থেকে,
- Low quality backlinks কিনছেন,
যদি আপনারা নিজের ওয়েবসাইটের জন্য এই ধরণের নিম্ন মান থাকা (low quality) ব্যাকলিংক তৈরি করছেন বা কিনছেন,
তাহলে সেই খারাপ ব্যাকলিংক গুলো আপনার গুগল র্যাংকিং (Google ranking) এর ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব অবশই ফেলবে।
তাছাড়া, খারাপ আর লো কোয়ালিটি ব্যাকলিংক এর ফলে, গুগল আপনার ওয়েবসাইট কে “penalize” করতে পারে।
এবং এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটের গুগল র্যাংকিং মারাত্মক ভাবে হ্রাস পাবে।
Domain authority, Google website ranking এবং website traffic বাড়ানোর জন্য, “backlinks” অবশই অনেক জরুরি।
তবে, high-quality backlinks বানানোর চেষ্টা করবেন।
মনে রাখবেন, ১০ টি উচ্চ মানের ভালো ব্যাকলিংক এর value ১০০ টি নিম্ন মানের লো কোয়ালিটি ব্যাকলিংক এর তুলনায় অনেক বেশি।
তাই, backlink কম বানালেও ক্ষতি নেই, তবে ভালো high authority ওয়েবসাইট গুলোর থেকে ব্যাকলিংক তৈরি করার চেষ্টা রাখবেন।
High-quality backlink তৈরি করার কিছু টিপস
- নিজের ব্লগে উচ্চ মানের ও high quality content লিখুন ও পাবলিশ করুন। ফলে, লোকেরা নিজে নিজেই আপনাকে ব্যাকলিংক দিতে বাধ্য হবেন।
- High authority blog গুলোতে guest post করুন।
- নিজের blog / website এর বিষয়ের সাথে জড়িত অন্যান্য do-follow ব্লগ গুলোতে comment করুন।
- Top high quality blog directory গুলোতে নিজের blog যোগ করুন।
- Social bookmarking sites গুলোতে নিজের ব্লগ পোস্ট শেয়ার / জমা করুন।
৮. Website penalized by Google
অনেক সময় হয়ে থাকে যে, আমাদের ওয়েবসাইট এর গুগল সার্চ র্যাংকিং (Google search ranking) হঠাৎ নিজে নিজেই কমে যায়।
ওয়েবসাইটে হঠাৎ গুগল সার্চ ট্রাফিক কমে আশা মানেই হতে পারে “আপনার ওয়েবসাইট গুগল দ্বারা প্যানেলাইজ” করা হয়েছে।
আসলে গুগল যেকোনো ওয়েবসাইট কেবল তখন penalize করে যখন গুগলের Google’s quality guidelines গুলোর উলঙ্ঘন করা হয়।
আর এক্ষেত্রে, গুগল সম্পূর্ণ ভাবে বা কিছু পরিমানের ওয়েব পেজ গুলোকে নিজের search result page থেকে সম্পূর্ণ ভাবে সরিয়ে দিতে পারে।
চলুন জেনেনেই, কোন কোন মূল কারণে গুগল যেকোনো website কে penalize করতে পারে।
- “Over keyword optimization” মানে, যেকোনো আর্টিকেলে একটি keyword এর অত্যাধিক ব্যবহার করলে গুগল আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেজটি penalize করতে পারে।
- “Black hat SEO techniques” মানে, গুগল সার্চে অবৈধ ভাবে website এর ranking বৃদ্ধি করার জন্য যেগুলো খারাপ SEO optimization গুলো করা হয় সেগুলো করে থাকলেও Google থেকে penalty ১০০% পাবেন।
- যদি, ওয়েবসাইটে thin content publish করছেন এবং quality content লিখছেননা, তাহলে penalty পাওয়ার সুযোগ থাকছে।
- আপনার ওয়েবসাইটে low quality spam backlinks বা paid backlinks থাকলে।
- আপনার web page গুলোর bounce rate অনেক বেশি হলে।
তাহলে, যদি আপনার ব্লগ Google penalty’র ফাঁদে পড়েছে, তাহলে আপনার ranking অবশই কমে আসবে।
৯. ওয়েবসাইটের bounce rate কম থাকলে
দেখুন, যখন আমাদের আর্টিকেল গুলো ভিসিটর্স রা পড়েন, তখন যদি সেটা কাজের আর্টিকেল হয়ে থাকে, তাহলে ভিসিটর্সরা অনেক সময় নিয়ে সেই আর্টিকেল পড়বেন।
কিন্তু, যদি আমাদের আর্টিকেল ভিসিটর্স দেড় প্রশ্নের সঠিক উত্তর বা সমাধান দিতে পারছেনা বা ইউসার এর প্রশ্নের সাথে প্রাসঙ্গিকতা (relevancy) নেই,
তাহলে ভিসিটর্স রা অনেক তাড়াতাড়ি আপনার ওয়েবসাইট ছেড়ে অন্য ওয়েবসাইটে চলে যাবেন।
এবং, ইউসার বা ভিসিটর এর এই ব্যবহারের ওপর নজর রেখেই গুগল যেকোনো keyword, key term বা search quarry সাথে আপনার কনটেন্ট বা আর্টিকেলের প্রাসঙ্গিকতার (relevancy) অনুমান করে।
ফলে, যদি আপনার ব্লগে আসা user বা visitors অনেক সময় নিয়ে আপনার আর্টিকেল বা কনটেন্ট পড়ছেন,
তাহলে সেই আর্টিকেল গুগলের নজরে উচ্চমানের এবং high quality.
আর তাই, আপনার article page টিকে গুগল তার search result page এর মধ্যে প্রথমেই র্যাংক (rank) করবে।
এর বিপরীতেই,
যদি আপনার ব্লগের article page বা web page এ আসা visitors রা কেবল কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই আর্টিকেল না পড়ে return চলে যাচ্ছেন,
তাহলে সেই আর্টিকেল গুগলের নজরে low quality বা irrelevant content.
- যখন visitors রা অনেক সময় লাগিয়ে আমাদের কনটেন্ট পড়েন, তখন সেই পেজের bounce rate কমে আসে।
- যখন visitors রা কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই আর্টিকেল না পড়েই return চলে যায়, তখন সেই আর্টিকেল পেজের bounce rate বৃদ্ধি পায়।
তাই, গুগল থেকে নিজের টার্গেট করা কীওয়ার্ড গুলোর থেকে ট্রাফিক পাওয়ার জন্যে,
নিজের আর্টিকেল পেজ গুলোর bounce rate কমেও ৬০% রাখার চেষ্টা করবেন।
আপনারা, Google analytics এর মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইট এবং web page গুলোর bounce rate দেখে নিতে পারবেন।
১০. Google algorithm update
গুগল সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল পেজ না দেখানোর কারণ হতে পারে “Google এর algorithm updates“.
তারজন্যে প্রথমেই আপনার বুঝতে হবে “গুগল এলগরিদম কি“.
আসলে, গুগল এই এলগোরিদম গুলোর মাধ্যমেই index করা প্রত্যেক ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেজ গুলোর ওপরে নজর রাখে।
কোন ওয়েবসাইট কিরকম backlink তৈরি করছে, কোন ওয়েবসাইটে কোয়ালিটি কনটেন্ট পাবলিশ করা হচ্ছে, কোন ওয়েবসাইটে SEO over optimization বা keyword stuffing করা হচ্ছে।
তাই, যখন গুগল এই এলগোরিদম আপডেট গুলো নিয়ে আসে, তখন অবশই low quality এবং irrelevant web page গুলোর ওপর খারাপ প্রভাব পরে।
এই এলগোরিদম আপডেট এর ফলে কিছু কিছু ওয়েবসাইটের গুগল সার্চ র্যাংকিং আরো ভালো হয়ে যায়।
এবং, কিছু কিছু ওয়েবসাইটের ranking নিচে নেমে আসে বা একেবারেই নাই হয়ে যায়।
প্রায় ২০১২ বা তার আগের সময়ে গুগল কেবল বছরে বছরে কিছু আপডেট নিয়ে আসতো।
তবে এখনের সময়ে, প্রত্যেক মাসে মাসে গুগলের এলগোরিদম আপডেট গুলো নিয়ে আসা হয়।
তাই, low quality এবং thin content থাকা web page গুলোর ranking সময়ে সময়ে কমতে থাকে।
১১. Poor Page loading Speed
Google অফিসিয়ালি announce করেছে যে, web page গুলোর loading speed কিন্তু ranking factor হিসেবে ধরা হবে।
তাই, যদি আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেজ গুলো প্রচুর slow loading হচ্ছে,
তাহলে গুগলে ranking না পাওয়ার এটাও একটি বড় কারণ হতে পারে।
বর্তমান সময়ে, slow loading website কিন্তু গুগলের নজরে একটি low quality website এর সমান।
তাই, নিজের ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড ভালো রাখার চেষ্টা করুন।
মনে রাখবেন, আপনার ওয়েবসাইট কমেও ৫ সেকেন্ড এর ভেতরে সম্পূর্ণ লোড হলে সেটা ভালো।
তাছাড়া, একটি ভালো lightweight WordPress theme এবং cloud hosting ব্যবহার করে আপনারা নিজের ওয়েব পেজের লোডিং এর দ্রুততা প্রায় ৬০% বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
১২. Mobile friendly website
বর্তমান সময়ে প্রায় ৮০% ওয়েব সার্চ একটি smartphone এর মাধ্যমে করা হয়।
আর তাই, গুগল mobile-friendly search results গুলোকে আরো উন্নত করার উদ্দেশ্যে এটাকে একটি ranking factor হিসেবে নেওয়া আরম্ভ করেছে।
মানে, website এর mobile-friendly হওয়াটা একটি ranking factor হিসেবে ধরা হয়।
এক্ষেত্রে, যদি আপনার ওয়েবসাইটের theme বা structure, মোবাইল ডিভাইস গুলোতে website এর mobile version দেখাচ্ছেনা,
তাহলে আপনার ওয়েবসাইট mobile friendly না।
আর সম্ভাবনা রয়েছে যে, এই কারণেই আপনার ওয়েবসাইটের Google ranking কমে এসেছে বা ranking একেবারেই নেই।
তাই, যেকোনো website এর জন্য theme select করার আগেই দেখে নিবেন সেটা mobile responsive theme কি না।
একটি responsive theme যেকোনো device এর মধ্যে আপনার ওয়েবসাইট adjust হয়ে যাবে।
আপনি Google এর mobile friendly testing tool ব্যবহার করে দেখতে পারবেন যে, আপনার ওয়েবসাইট mobile-friendly কি না।
১৩. Keyword stuffing করা
আমি আগেও আপনাদের অনেক বার বলেছি যে, নিজের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখার সময় keyword stuffing করবেননা।
Keyword stuffing হলো এমন এক black hat SEO over optimization technique.
এই প্রক্রিয়াতে, একটি আর্টিকেল লিখার সময় কেবল ১ টি বা একাধিক keyword target করে আর্টিকেলের মধ্যে বার বার ব্যবহার করা হয়।
ফলে, সেই টার্গেট করা কীওয়ার্ড এর জন্য গুগল সার্চে আপনার আর্টিকেল ২ দিনের মধ্যেই ভালো ranking পেয়ে যায়।
তবে খুশি হবেননা,
এই keyword stuffing এর প্রক্রিয়া ব্যবহার করা ওয়েবসাইট গুলোকে গুগল সহজেই কিছু দিনের মধ্যে খুঁজে ফেলে।
এবং তার পর, সেই article page বা কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ website টিকে penalize করে দেওয়া হয়।
ফলে, হঠাৎ আপনার ওয়েব পেজ গুলোর google ranking নাই হয়ে যায়।
তাই, নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখার সময় এই ধরণের keyword stuffing যদি আপনি করেছেন,
আর্টিকেলের বিভিন্ন জায়গায় জোর করে প্রয়োজন ছাড়া একি কীওয়ার্ড অত্যাধিক ব্যবহার করছেন,
তাহলে নিশ্চই এটাই কারণ যার জন্য আপনার ওয়েবসাইট গুগল সার্চে rank হচ্ছেনা।
Keyword stuffing থেকে বাঁচার জন্যে, সঠিক keyword density বজায় রেখে আর্টিকেল লিখবেন।
১৪. Duplicate content এর ব্যবহার
যদি আপনি অন্যের ব্লগ থেকে কনটেন্ট চুরি করে বা কপি করে নিজের ব্লগে পাবলিশ করছেন,
তাহলে এক্ষেত্রেও কিন্তু আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুগল সার্চে কোনো ভাবেই rank বা index করা হবেনা।
মনে রাখবেন, গুগল অনেক সহজেই বুঝতে পারে যে, আপনি যেকোনো কনটেন্ট নিজেই তৈরি করেছেন নাকি অন্যান্ন ওয়েবসাইট থেকে কপি করেছেন।
তাছাড়া, কোন ওয়েবসাইটে চুরি করা বা কপি করা কনটেন্ট টি আগেই পাবলিশ করা হয়েছে, সেটাও গুগল জানে।
তাই, যদি আপনার ব্লগে মূলত অন্যান্য ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে কপি করা বা চুরি করা কনটেন্ট রয়েছে,
তাহলে গুগল সার্চে ranking পাওয়ার আপনার স্বপ্ন কেবল স্বপ্ন থেকে যাবে।
১৫. Poor SEO optimization
যদি আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট search engine এর জন্য সঠিক ভাবে optimize করা নেই,
তাহলে কিন্তু Google search ইঞ্জিনে ranking পেতে আপনার সমস্যা অবশই হবে।
যদি আপনারা নিজের article page গুলোকে Google search result page এর প্রথম পাতায় দেখতে চান,
তাহলে, নিজের আর্টিকেল গুলোকে সঠিক ভাবে SEO optimize করতেই হবে।
সঠিক SEO techniques ছাড়া বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট র্যাংক করানোটা অসম্ভব ব্যাপার।
কেননা, আপনার লেখা আর্টিকেলের বিষয় নিয়ে গুগলের কাছে আগের থেকেই প্রচুর ওয়েবসাইট এর তালিকা রয়েছে।
তাই, গুগল সেগুলোকে ছেড়ে কেন আপনার ওয়েব পেজটি প্রথম পাতায় দেখতে যাবে ?
SEO techniques এর ব্যবহার করে আমরা গুগল কে বুঝিয়ে দিতে পারি যে,
“আমাদের লিখা কনটেন্ট বা আর্টিকেলটি, গুগলে সার্চ করা কীওয়ার্ড বা প্রশ্নের সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে”.
আর তাই, ভালো করে SEO optimized article লিখলে, গুগলের প্রথম search result পেজে আপনার কনটেন্ট দেখানোর সুযোগ প্রচুর থাকছে।
কিন্তু যদি, আপনার লিখা কনটেন্ট বা আর্টিকেল SEO friendly না, তাহলে অন্যান্য ওয়েবসাইট গুলোর তুলনায় আপনার কনটেন্ট এর ranking প্রচুর কমে আসবে।
আমাদের শেষ কথা,
তাহলে বন্ধুরা, বুঝতে পারলেন তো কেন এবং কি কি কারণে আপনার ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল পেজ গুলো গুগল সার্চে র্যাংক (rank) হচ্ছেনা বা rank হয়ে থাকলেও কেন কিছু দিন পর ওয়েবসাইটের র্যাংকিং (ranking) হারিয়ে যাচ্ছে।
একটি high quality কনটেন্ট থাকা ব্লগের কোনো চিন্তা নেই।
তবে, যদি আপনারা low quality content নিজের ব্লগে পাবলিশ করছেন,
তাহলে অবশই ranking নিয়ে সমস্যা আপনার হবেই।
আর, ওপরে বলা বিষয় গুলোর ওপরে নজর দিলেই আপনারা বুঝতে পারবেন যে, “আপনার ওয়েবসাইট এর কনটেন্ট গুলো “high quality র না low quality র “.
0 responses on "কেন আপনার ব্লগ বা আর্টিকেল গুগল সার্চে rank হচ্ছেনা ?"