• No products in the cart.

এন্ড্রয়েড ছেড়ে আইফোনে যাওয়ার আগে যেসব বিষয় জানা দরকার

বর্তমান সময়ে আইফোন ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সময়ের সাথে সাথে অ্যাপল তাদের ফোনগুলোতে অত্যাধুনিক টেকনোলজির ব্যবহার করেছে বিধায় সবাই আইফোন ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আপনি যদি আইফোন ব্যবহার করতে চান তাহলে আইফোন সম্পর্কে কিছু জিনিস আগে জেনে নেওয়া উচিত। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

নচ এবং ডাইনামিক আইল্যান্ড

অ্যাপল তাদের আইফোন ১০ বা আইফোন এক্স মডেল থেকে তাদের মোবাইলে নচ এর ব্যবহার করা শুরু করেছে। এটি ব্যবহারকারীদের ডিসপ্লে দেখার ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে না। যদিও অ্যাপল বিগত বছর গুলোতে নচটিকে সংকুচিত করেছে কিন্তু বেস মডেলের আইফোন গুলোতে এখনো নচের ব্যবহার দেখা যায়।

অ্যাপল তাদের আইফোন ১৪ প্রো এবং প্রো ম্যাক্স মডেলে ডাইনানিক আইল্যান্ডের ব্যবহার শুরু করেছে। অ্যাপল নচটিকে একটি ডাইনামিক আইল্যান্ডে পরিণত করলেও এর আকার ছোট হয়নি। উল্টো এটি অনেকের নিকট আরো বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ল্যান্ডস্কেপ মোডে ভিডিও দেখা বা গেম খেলার সময় নচকে উপেক্ষা করলেও ডাইনামিক আইল্যান্ডকে উপেক্ষা করা সম্ভব হয় না।

ইউএসবি সি পোর্টের অভাব

যেখানে বেশিরভাগ এন্ড্রয়েড ফোন কয়েক বছর ধরে ইউএসবি সি পোর্ট ব্যবহার করছে সেখানে আইফোন এখনো তাদের লাইটনিং কানেক্টরে আটকে পড়ে আছে। লাইটিং কানেক্টর সম্পূর্ণ অ্যাপলের আওতাভুক্ত থাকায় এ থেকে তারা আলাদা অর্থ উপার্জন করছে। বিভিন্ন কোম্পানি লাইটনিং ক্যাবল এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ বানাতে চাইলে অ্যাপলকে লাইসেন্স ফি দিতে বাধ্য হয়। এটি অ্যাপলের জন্য লাভজনক হলেও গ্রাহকদের জন্য লাভজনক নয়।

ইউএসবি সি লাইটনিং ক্যাবল এর তুলনায় অনেক দ্রুত গতিতে চার্জ করতে পারে। এছাড়া লাইটনিং ক্যাবলের থেকে ইউএসবি সি এর ডেটা স্থানান্তর এর গতিও দ্রুত৷ তবে ধারনা করা হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপে পড়ে আইফোন তাদের পরবর্তী সিরিজের ফোন গুলোতে ইউএসবি সি পোর্ট যোগ করতে পারে।

রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং নেই

অনেক ব্যবহারকারীই ইয়ারবাড, স্মার্টওয়াচ বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস চার্জিং এর জন্য ওয়ারলেস চার্জিং ব্যবহার করে থাকে। এগুলোর জন্য তারা সাধারণত চার্জিং প্যাড ব্যবহার করে থাকে। তবে অনেক এন্ড্রয়েড ফোনই এখন নিজে একটি ওয়্যারলেস চার্জিং প্যাডে পরিণত হতে পারে।

রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং ফিচারটি অ্যান্ড্রয়েডে রয়েছে যা দিয়ে আপনি চার্জিং প্যাড ছাড়াই ফোন থেকে সরাসরি এ সকল ডিভাইসে চার্জ করতে পারবেন। তবে আইফোনে ম্যাগসেফের মতো ওয়্যারলেস চার্জিং ফিচার থাকলেও রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের ফিচারটি এখনো পর্যন্ত নেই।

সেরা ক্যামেরা?

অ্যাপল তার আইফোনের ক্যামেরাকে কেন্দ্র করেই ফোনগুলোকে বেশি বাজারজাত করে থাকে।

এতে কোন সন্দেহ নেই যে আইফোনের ক্যামেরাটি অত্যন্ত চমৎকার। অধিকাংশ মানুষ এতেই সন্তুষ্ট হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যদি স্মার্টফোনে নিজের মত করে ফটোগ্রাফি করতে চান এবং এর জন্য সম্ভাব্য সেরা ক্যামেরা ফোন চান, তাহলে আইফোনের থেকে অ্যান্ড্রয়েডে আপনি আরো কাস্টমাইজেবল এবং হাই-স্পেক ক্যামেরা পাবেন।

এন্ড্রয়েডে অনেক অপশন পাওয়া যায়

আইফোনের মডেল সংখ্যা খুবই সীমিত যার ফলে একটি নির্দিষ্ট বাজেটের ক্ষেত্রে খুব কম পরিমান ফোন পাওয়া যাবে। সেখানে এন্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে অনেক বেশি পরিমান বিকল্প পাওয়া যায়। বিভিন্ন ব্রান্ড তাদের মডেলগুলোতে বিভিন্নতা আনার কারণে ব্যবহারকারী তাদের সুবিধামতো ফোন পছন্দ করে ব্যবহার করতে পারে।

আইফোনে অনেক কিছুই নেই যা এন্ড্রয়েড ফোনে আছে

আপনি যদি একজন এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে এমন অনেক নিত্য-ব্যবহৃত ফিচার রয়েছে যা আপনি আইফোনে পাবেন না। আমাদের এ সংক্রান্ত পুরো একটি পোস্ট রয়েছে যেখানে আইফোনের সীমাবদ্ধতাগুলো জানতে পারবেন

আপনি যদি এন্ড্রয়েড থেকে আইফোনে সুইচ করতে চান তাহলে উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন। আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানাতে পারবেন।

 

0 responses on "এন্ড্রয়েড ছেড়ে আইফোনে যাওয়ার আগে যেসব বিষয় জানা দরকার"

Leave a Message

Your email address will not be published. Required fields are marked *

top
Technical Bangla ©  All rights reserved.