• No products in the cart.

আইফোন ১৪ স্যাটেলাইট মেসেজিং যেভাবে কাজ করে

এবছরের নতুন আইফোন ১৪ এর অন্যতম একটি ফিচার স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি। যদিও যুগান্তকারী এই ফিচারটি আইফোন ব্যবহারকারীরা স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না, এটি শুধুমাত্র জরুরী প্রয়োজনে ইমার্জেন্সি SOS মেসেজের জন্য ব্যবহার করা যাবে। তবে স্যাটেলাইট ব্যবহার করে যোগাযোগের এই মাধ্যম স্মার্টফোনের জন্য আইফোনই প্রথম নিয়ে এলো।

এই পদ্ধতি ব্যবহার করে জরুরী প্রয়োজনে পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে আইফোনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা জরুরী সাহায্যের আবেদন করতে পারবেন এবং পুরো প্রক্রিয়াটিতে আইফোন সরাসরি স্যাটেলাইটের সাথে সংযুক্ত হয়ে এই এসওএস পাঠাতে পারবে। এর জন্য কোনরকম মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ওয়াইফাইয়ের প্রয়োজন হবে না। বর্তমানে আইফোন এই ফিচারটি শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাতে চালু করলেও তারা সকল দেশেই এই ফিচারটি চালু করতে কাজ করছে।

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এসওএস (SOS) কীভাবে কাজ করবে?

অ্যাপলের এই ফিচারটি শুধুমাত্র জরুরী কাজে ব্যবহারের জন্য। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ফোন কল বা অন্যকে টেক্সট মেসেজ করতে পারবেন না, এগুলোর জন্য সাধারন মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট দরকার হবে আগের মতোই। এই ফিচারটি আইফোন ১৪ তে সাধারনভাবে লুকানো থাকে। এটি শুধুমাত্র তখনই চালু হবে যখন আইফোন কোন মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ওয়াইফাই খুঁজে পাবে না।

স্যাটেলাইট যোগাযোগ সাধারন মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যোগাযোগের থেকে অনেক কম গতিতে হয়ে থাকে। কারণ এক্ষেত্রে সিগনালকে সাধারন মোবাইল নেটওয়ার্কের তুলনায় অনেক বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই কাজের জন্য অ্যাপল চুক্তি করেছে গ্লোবালস্টার নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যারা তাদের ২৪ টি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এই সেবা প্রদান করছে

এক্ষেত্রে অ্যাপল স্যাটেলাইটের স্বাভাবিক ফ্রিকুয়েন্সি এল ব্যান্ড এবং এস ব্যান্ড ব্যবহার করছে যা ৫জি বা অন্যান্য মোবাইল নেটওয়ার্ক ফ্রিকুয়েন্সি হতে একেবারেই আলাদা। কোন ইউজার এসওএস পাঠালে সেটি প্রথমে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে থাকা স্যাটেলাইটে পৌছায়, এরপর স্যাটেলাইট সেটি পুনরায় পৃথিবীতে থাকা বিভিন্ন গ্রাউন্ড ষ্টেশনে পাঠিয়ে দেয়। এভাবেই অ্যাপল এই সার্ভিস প্রদান করছে।

এই ফিচারে সিগন্যাল পাঠাতে অবশ্যই ব্যবহারকারীকে খোলা আকাশের নিচে উঁচু স্থানে থাকতে হবে, ঘরের মধ্যে বা সামনে কোন রকম বাঁধা থাকলে এটি কাজ করবে না (কিংবা স্লো কাজ করবে)। সরাসরি স্যাটেলাইটের দিকে ফোন তাক করলেই শুধুমাত্র কাজ করবে এই ফিচার।

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইমার্জেন্সি সিগন্যাল পাঠাবেন যেভাবে

স্যাটেলাইট সিগন্যাল ধরতে আপনাকে আইফোনটি সরাসরি স্যাটেলাইটের দিকে তাক করতে হবে। যেহেতু খালি চোখে স্যাটেলাইট কোনদিকে আছে তা বোঝা সম্ভব নয় তাই আইফোন নিজেই আপনাকে বিভিন্ন দিকে ফোনটি ঘুরিয়ে ধরতে বলে সিগন্যাল ধরতে সাহায্য করবে।

এরপর স্যাটেলাইটের সাথে কানেক্টেড হয়ে গেলে আইফোন আপনাকে সরাসরি মেসেজ অপশনে না নিয়ে কিছু প্রশ্ন করা শুরু করবে যেখান থেকে আপনাকে উত্তর নির্বাচন করতে হবে। এর মাধ্যমে দ্রুত এবং সহজে এসওএস পাঠাতে পারবে অ্যাপল।

পরবর্তীতে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর, আপনার লোকেশন, যোগাযোগের তথ্য ও অন্যান্য সকল জরুরী তথ্য সহ অ্যাপল স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যথাযথ স্থানে পাঠিয়ে দেবে। এরপর স্যাটেলাইটের মাধ্যমে উদ্ধারকারীরা চাইলে আপনাকে আলাদা করে টেক্সট মেসেজ পাঠাতে পারবে।

এই ফিচার ব্যবহার করতে কী কী প্রয়োজন হবে?

এই ফিচার ব্যবহারের জন্য অবশ্যই আইফোন ১৪ সিরিজের যে কোন একটি ফোন প্রয়োজন হবে। তবে আইফোন ১৪ এর সাথেই এই ফিচার চালু হয়নি। অ্যাপল তাদের নতুন আইওএস ১৬ এর সাথে ফিচারটি নভেম্বর ২০২২ এর মধ্যে চালু করেছে। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল যে এই ফিচারটি অ্যাপল সম্পূর্ণ বিনামুল্যে ব্যবহার করতে দিচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে এতে অ্যাপল চার্জ যোগ করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

যেসব আইফোন ১৪ চীন, হংকং, ও ম্যাকাও থেকে কেনা হয়েছে সেগুলোতে এই স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি ফিচার থাকবেনা। এটা হতে পারে আইনি কারণে সেসব এলাকায় হয়ত অ্যাপলের স্যাটেলাইট এক্সেস করতে পারবেনা। অথবা অন্য কোনো কারণও হতে পারে। তবে অন্যান্য রিজিওনের জন্য তৈরি আইফোন ১৪তে এই স্যাটেলাইট সুবিধাটি পাবেন।

 

0 responses on "আইফোন ১৪ স্যাটেলাইট মেসেজিং যেভাবে কাজ করে"

Leave a Message

Your email address will not be published. Required fields are marked *

top
Technical Bangla ©  All rights reserved.