একজন ব্লগার হিসেবে, যদি আপনি কীওয়ার্ড রিসার্চ কি এবং কিভাবে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়, এই ব্যাপারে না জেনে থাকেন, তাহলে হয়তো আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারে প্রচুর সমস্যা রয়েছে।
তাছাড়া, কীওয়ার্ড রিসার্চ কেন জরুরি, এই বিষয় নিয়ে আগেই আমি আর্টিকেল লিখে আপনাদের ভালো করে বুঝিয়ে বলেছি।
তবে, আমাকে অনেকেই ইমেইল এবং কমেন্টের মাধ্যমে প্রশ্ন করেছেন যে, “দাদা আপনি নিজের আর্টিকেলের জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করেন ?”
তাই, আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের, আমার কীওয়ার্ড রিসার্চ করার নিয়ম এবং প্রক্রিয়া খুলে বলবো।
কীওয়ার্ড রিসার্চ কাকে বলে ? কিভাবে করতে হয় কীওয়ার্ড রিসার্চ
দেখুন বন্ধুরা, আজকের এই অনলাইন ব্লগিং প্লাটফর্ম এক ধরণের বিসনেস (business) এর মতোই।
এবং, হাজার হাজার লোকেরা একি বিষয় বা niche নিয়ে ব্লগিং করা শুরু করছেন।
এতে, প্রত্যেক ব্লগার (blogger) দের মধ্যে প্রচুর প্রতিযোগিতার (competition) সৃষ্টি হচ্ছে।
কারণ, আজকাল যেকোনো কীওয়ার্ড (Keyword), প্রশ্ন, বিষয় বা সমস্যা নিয়ে আপনারা গুগল সার্চ করলে, গুগল আপনাদের অনেক ভালো ভালো সমাধান তার প্রথম পাতায় দিয়ে দেয়।
কিন্তু, একি প্রশ্নের উত্তর বা সমাধান অনেকেরা তাদের ব্লগে পাবলিশ করার ফলে, গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিন গুলির কাছে তথ্যের অনেক চয়েস (choice) রয়েছে।
তাই, গুগল ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলি, সব থেকে সেরা, SEO friendly, user friendly, high quality কনটেন্ট থাকা ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুলিকে তার সেরা ১০ রেজাল্ট (Top 10 Results) এ দেখিয়ে দেয়।
আর, low quality, poor SEO optimization থাকা কনটেন্ট বা ব্লগ গুলিকে দ্বিতীয় পেজে দেখানো হয়।
ফলে, গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলির থেকে, কেবল প্রথম পাতায় থাকা ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুলি ট্রাফিক বা ভিসিটর্স পেতে থাকে।
তাই, যদি আপনার ব্লগে গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স আসছেনা, তাহলে হতে পারে আপনি ভালো কোয়ালিটির আর্টিকেল লিখছেননা।
তাছাড়া, নিজের লিখা আর্টিকেল গুলিতে সঠিক SEO optimization techniques ব্যবহার না করলেও, সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক পাওয়াটা কঠিক হয়ে পরে।
কিন্তু, যদি আপনি ভালো কোয়ালিটির আর্টিকেল লিখছেন এবং সাথে সাথে ভালো SEO optimizations করেও সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক পাচ্ছেননা, তাহলে এর কারণ হতে পারে “কীওয়ার্ড রিসার্চ না করাটা“.
আপনি যদি, “keyword research কি“, এবং কিভাবে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়, এই ব্যাপারে কোনো জ্ঞান না রেখেই আর্টিকেল লিখছেন, তাহলে SEOর দিক দিয়ে এটা, আপনার সবচে বরো ভুল।
Keyword research কি ? এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আপনার সবচে আগেই জেনেনিতে হবে যে “কীওয়ার্ড মানে কি“.
Keyword মানে কি ? (What Is Keyword)
ব্লগিং এর ক্ষেত্রে, কীওয়ার্ড (keywords) হলো এমন একটি বিষয়, যার মাধ্যমে গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন (search engine) গুলি আপনার ব্লগের এবং ব্লগে লিখা আর্টিকেলের বিষয়ে বুঝতে ও জানতে পারে।
এবং, আপনার আর্টিকেলের লক্ষ্যবস্তু কীওয়ার্ড (targeted keyword) এর ওপরে নির্ভর করেই, সার্চ ইঞ্জিন গুলি আপনার ব্লগে সঠিক ট্রাফিক বা ভিসিটর্স পাঠায়।
যখন আমরা গুগল সার্চে (Google search) কিছু সমস্যা বা বিষয় নিয়ে সার্চ করি, তখন আমরা কি লিখি ?
“কিভাবে অনলাইন টাকা আয় করবো?”, “কীওয়ার্ড রিসার্চ মানে কি”, “কোন মোবাইল ভাবে?”, “সেরা এন্ড্রয়েড মোবাইল” এবং এরকম কিছু শব্দ বা বাক্য লিখে গুগল সার্চ করি।
এবং আপনারা কি জানেন, গুগল সার্চে লিখা এই ধরণের “শব্দ” বা “বাক্য” গুলোকেই বলা হয় কীওয়ার্ড।
যেকোনো কীওয়ার্ড একটি শব্দের হতে পারে বা এক থেকে বেশি শব্দের কোনো বাক্য ও হতে পারে।
যেমন, “online income” এবং “online income tricks in Bangla” দুটোই কিন্তু keywords.
তবে, দুটো থেকে বেশি শব্দের keywords গুলিকে “key phrase” বলে বলা যেতে পারে।
সোজা তাইনা ?
এগুলি, ছোট একটি শব্দ হতে পারে বা বরো বাক্য হতে পারে।
বেশিরভাগ “keywords” কিন্তু ৩ থেকে ৪ টি শব্দের একটি বাক্য।
আরো সোজা ভাবে বললে, একটি কীওয়ার্ড মানে হলো “আপনি গুগল সার্চে, bing search বা yahoo search ইঞ্জিনে যা লিখে সার্চ করছেন” সেই সম্পূর্ণ শব্দ বা বাক্যটি হলো কীওয়ার্ড।
যদি আপনারা আমার লিখা এই আর্টিকেলের ব্যাপারে বলেন, তাহলে এখানে আমি “কীওয়ার্ড রিসার্চ কি”, “Keywords কি“, “SEO“, “blog traffic“, “কীওয়ার্ড রিসার্চ করার নিয়ম” এই কীওয়ার্ড গুলি টার্গেট করে আর্টিকেল লিখেছি।
তাই, আমার টার্গেট করা keywords গুলি নিয়ে যদি কেও গুগলে সার্চ করেন, তাহলে অবশই আমার ব্লগ বা আর্টিকেল গুগল তার সার্চ রেজাল্টে দেখাবে।
তাহলে মনে রাখবেন,
ভিসিটর্সরা গুগলে (সার্চ ইঞ্জিনে) কোন keywords লিখে অধিক সার্চ করছেন, এবং আপনার লিখা আর্টিকেলে কোন keywords টার্গেট (target) করা হয়েছে, এই দুটো কীওয়ার্ড এর মধ্যে মেল্ থাকতে হবে যদি আপনি সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রচুর ট্রাফিক বা ভিসিটর্স পেতে চাচ্ছেন।
এখন, প্রশ্ন হলো “কিভাবে বুঝবেন যে, লোকেরা গুগলে কোন কীওয়ার্ড লিখে বেশি সার্চ করছেন ?”.
এর উত্তর হলো, “keyword research এর মাধ্যমে“.
কীওয়ার্ড রিসার্চ মানে কি ? (What Is Keyword Research)
কীওয়ার্ড রিসার্চ হলো, seo (search engine optimization) এর একটি এমন গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি ভাগ, যেখানে জনপ্রিয় এবং সার্চ ইঞ্জিন গুলিতে অধিক পরিমানে সার্চ হওয়া keywords এবং key phrase গুলি খুঁজে বের করা হয়।
তাছাড়া, এই প্রক্রিয়ার দ্বারা আমরা ব্লগের আর্টিকেলের জন্য, লাভজনক এবং লোকেরা রুচি রাখা নতুন নতুন টপিক (topic) এবং key phrases খুঁজে পেতে পারি।
যেকোনো আর্টিকেল “search engine” এর জন্য optimize করার সবচেয়ে প্রথম ধাপ (step) হলো keyword research.
এতে, আপনি ভালো ভালো এবং গুগলে অধিক বেশি পরিমানে সার্চ হওয়া keywords খুঁজে পেতে পারবেন।
এবং, রিসার্চ করে খুঁজে বের করা লাভজনক keywords target করে আর্টিকেল লিখে, গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলির থেকে অধিক পরিমানে ভিসিটর্স পেয়ে যেতে পারবেন।
কেন keyword research করাটা জরুরি ?
প্রথম কথা হলো, লাভজনক এবং গুগল সার্চে অধিক বেশি পরিমানে সার্চ হওয়া keywords গুলি খুঁজে পাওয়ার জন্য এই প্রক্রিয়া করাটা জরুরি।
দ্বিতীয়তে, আপনি যেই বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখছেন, সেই বিষয়ে গুগল সার্চে কতটা সার্চ হচ্ছে, লোকেরা আপনার লিখা আর্টিকেলের বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ করছেন কি না, বা যদিও সার্চ করছেন তাহলে কতটুকু, সেই সব বেপারে জেনে নিতে পারবেন।
মনে রাখবেন, আপনি যেই keyword টার্গেট করে আর্টিকেল লিখছেন, সেটা যদি মাসে ১০০ থেকেও কম সার্চ হচ্ছে, তাহলে সেই আর্টিকেল লিখে কোনো লাভ হবেনা।
আপনি অনেক অনেক কম পরিমানে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স সেই keyword নিয়ে লিখা আর্টিকেলে পাবেন।
তাই, অনেক সময় দেখা যায় যে ব্লগাররা অনেক ভালো ভালো কোয়ালিটির কনটেন্ট লিখেন, এবং তাও তাদের ব্লগে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক একেবারেই আসছেনা।
এটার একমাত্র কারণ কিন্তু, “কীওয়ার্ড রিসার্চ না করে আর্টিকেল লিখা“.
আপনি যদিও ভালো ভালো আর্টিকেল লিখছেন এবং আর্টিকেলটি প্রচুর ভালো ভাবে SEO optimization করেছেন, কিন্তু হতে পারে আপনার টার্গেট করা কীওয়ার্ড নিয়ে গুগল সার্চে একেবারেই সার্চ হয়না।
আপনি হয়তো ভাবছেন, সব সঠিক ভাবে করার পরও কেন “ব্লগে ট্রাফিক ও ভিসিটর্স আসছেনা“.
তাই, ব্লগের আর্টিকেল লিখার আগেই কীওয়ার্ড রিসার্চ করার উদ্দেশ্য এটাই যে, যেই keyword টার্গেট করে আপনি আর্টিকেল লিখবেন, সেটা যাতে গুগল সার্চে মাসে ভালো সংখ্যায় সার্চ হয়।
যত বেশি পরিমানে (৫০০ থেকে বেশি) আপনার টার্গেট করা keyword গুগল সার্চে সার্চ হবে, আপনার আর্টিকেলে ততটাই বেশি ট্রাফিক বা ভিসিটর্স আসার সুযোগ হয়ে দাঁড়াবে।
শেষে, মনে রাখবেন যে, ব্লগিং ক্যারিয়ারে অনেক জলদি সফলতা পাওয়ার মূল মন্ত্র হলো “অধিক জনপ্রিয় এবং অধিক বেশি পরিমানে সার্চ হওয়া কীওয়ার্ড টার্গেট করে আর্টিকেল লিখা।
যেটা আমি নিজেই করছি।
এবং, এরকম লাভজনক কীওয়ার্ড কেবল “keyword research” এর প্রক্রিয়া ব্যবহার করে বের করা সম্ভব।
কীওয়ার্ড রিসার্চ করার নিয়ম ও প্রক্রিয়া কি ?
লাভজনক, জনপ্রিয় এবং গুগল সার্চে অধিক বেশি পরিমানে সার্চ হওয়া প্রশ্ন, বিষয় বা কীওয়ার্ড গুলির ব্যাপারে জানার জন্য বা সেগুলি খুঁজে বের করার জন্য, আমরা কিছু “Keyword research tools” ব্যবহার করতে হয়।
এমনিতে এরকম অনেক ভালো ভালো tools রয়েছে।
কিন্তু, বেশিরভাগ paid tools এবং সেইগুলি ব্যবহার করার জন্য আপনার অনেক বেশি পরিমানে টাকা দিতে হবে।
যেমন,
- ahrefs.com
- Keyword Tool
- Kwfinder
এই তিনটি হলে সেরা keyword research tools, যেগুলি অনেক ব্লগার বা ওয়েবসাইট মালিকেরা ব্যবহার করেন, লাভজনক কীওয়ার্ড খুঁজে বের করার জন্যে।
তবে, মন খারাপ করবেননা।
আমি ওপরে বলা তিনটির মধ্যে প্রত্যেকটি টুল (tool) ব্যবহার করেছি যদিও, বর্তমান কেবল কিছু free tool এবং techniques ব্যবহার করে, আমার ব্লগের আর্টিকেলের জন্য লাভজনক কীওয়ার্ড খুঁজে বের করছি।
মানে, এমন অনেক free keyword research techniques এবং tools রয়েছে, যেগুলি আপনারা কোনো টাকা না দিয়েই ব্যবহার করতে পারবেন।
ফ্রীতে করুন কীওয়ার্ড রিসার্চ
আমার ব্লগের আর্টিকেলের জন্য profitable keyword ideas খোঁজার জন্য আমি নিচে দেয়া ৪ টি প্রক্রিয়া ব্যবহার করি।
এই ৪ টি মাধ্যমে আমি ফ্রীতে কীওয়ার্ড রিসার্চ করে, আমার ব্লগের প্রত্যেক আর্টিকেলের জন্য লাভজনক কীওয়ার্ড, বিষয় বা আর্টিকেল টপিক খুঁজে বের করি এবং কোন কীওয়ার্ড/বিষয় গুগল সার্চে কতটা জনপ্রিয় সেটাও বুঝতে পারি।
আমনারা ওপরে ছবিতে দেখতেই পারছেন, Google keyword planner tool এর search box এ আমি একটি keyword বা key phrase লিখে সার্চ করাতে, টুলটি আমাকে দেখিয়ে দিলো যে, শব্দ বা বাক্যটি গুগলে মাসে কতবার সার্চ করা হয়।
আপনাকে আপনার সার্চ করা কীওয়ার্ড এর মাসের সার্চের সংখ্যা দেখানোর সাথে সাথে সেই কীওয়ার্ড টিতে “প্রতিযোগিতা (competition) কতটা কম বা বেশি, সেটাও দেখিয়ে দেয়া হয়।
ইংরেজির সাথে সাথে বাংলা কীওয়ার্ড, হিন্দি কীওয়ার্ড এবং আরো অন্যান্য ভাষার কীওয়ার্ড আপনারা এই টুলের মাধ্যমে রিসার্চ করতে পারবেন।
Location, language এর সাথে সাথে, কোন মাসে বা সময়ে keyword টির চাহিদা কতটুকু ছিল, সবটাই জেনে নেয়া সম্ভব এই টুলের ব্যবহার করে।
তাছাড়া, এই টুলের আরো একটি গুন্ রয়েছে।
আপনার সার্চ করা শব্দ বা বাক্যের সাথে জড়িত (related) আরো অন্যান্য keywords এবং গুগলে তাদের সার্চের পরিমান সবটাই দেখিয়ে দেয়।
এতে, আপনি আপনার কন্টেন্টে টার্গেট করা কীওয়ার্ড এর সাথে জড়িত আরো লাভজনক keywords যোগ করতে পারবেন।
আবার, ভবিষ্যতের নতুন নতুন আর্টিকেল লিখার জন্য লাভজনক keyword ideas ও পেতে থাকবেন।
Google keyword planner টুল, গুগলের একটি ফ্রি সার্ভিস।
তাই, এই টুল ব্যবহার করার জন্য আপনার একটি Google account এর প্রয়োজন হবে।
Tool টিতে গিয়ে, “Discover new keyword ideas” অপশনে যেতে হবে।
তারপর, আপনি যেই keyword নিয়ে research করতে চাচ্ছেন, সেটা লিখে নিচে “Get results” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
মনে রাখবেন, আপনি যদি বাংলা কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে চাচ্ছেন, তাহলে ভাষাটি “English” থেকে “Bangla” অবশই করে নিতে হবে।
২. Ubersuggest tool
গুগলের কীওয়ার্ড প্ল্যানার টুল এর পর আমি পরামর্শ দিবো “Ubersuggest tool” ব্যবহার করার।
কারণ, keyword planner এর মতোই, এই টুল সম্পূর্ণ ফ্রি এবং যেকোনো কীওয়ার্ড গুগলে মাসে কতবার সার্চ করা হয়, তার সঠিক তথ্য আমাদের দিয়ে দেয়।
আপনারা ওপরে দেখতেই পারছেন, আমি “how to start a blog” লিখে সার্চ করার পর, টুলটি আমাকে দেখিয়ে দিলো যে মাসে ৬০,৫০০ বার এই কীওয়ার্ড গুগলে সার্চ করা হয়।
তাছাড়া, SEO difficulty score এর মাধ্যমে, কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করে ট্রাফিক পাওয়াটা কতটা সহজ সেটাও আপনারা জেনেনিতে পারবেন।
মনে রাখবেন, SEO difficulty score যতটাই কম হবে (২০ থেকে কম হলে ভালো), সেই কীওয়ার্ড এর মাধ্যমে গুগলে আর্টিকেল রাংক (rank) করানোটা ততটাই সহজ হবে।
Volume এর নিচে দেখতে পাচ্ছেন যে, কীওয়ার্ডটির প্রত্যেক মাস হিসেবে search volume দেয়া রয়েছে।
মানে, বাক্যটি কোন মাসে গুগলে কতবার সার্চ হয়েছিল সেটাও আপনারা জেনেনিতে পারবেন।
এভাবে, এই ফ্রি টুল ব্যবহার করে আপনারা, যেকোনো keyword, শব্দ বা বাক্য গুগল সার্চে কতবার সার্চ করা হচ্ছে, তার তথ্য পেয়ে যাবেন।
এবং, তার সাথে সাথে যেকোনো keyword কত সহজে গুগলে রাংক (rank) করানো যেতে পারে সেটাও জেনেনিতে পারবেন SEO difficulty score এর মাধ্যমে।
৩. Keyword tool
শেষে, ইংরেজি এবং বাংলা কীওয়ার্ড গুলি নিয়ে রিসার্চ করার আরো একটি লাভজনক টুল হলো “Keyword tool“.
ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে প্রথম বাক্সে আপনি যেই কীওয়ার্ড নিয়ে তথ্য জেনেনিতে চাচ্ছেন সেটা টাইপ করতে হবে।
তবে, দ্বিতীয় বাক্সে আপনারা কীওয়ার্ড এর ভাষা বেঁচে নিতে পারবেন।
যদি ইংরেজি কীওয়ার্ড লিখছেন তাহলে ইংরেজি এবং যদি বাংলা কীওয়ার্ড নিয়ে রিসার্চ করছেন, তাহলে বাংলা ভাষা বেঁচে নিতে হবে।
মনে রাখবেন, আপনার সার্চ করা keyword এর search volume, CPC এবং competition জানার জন্য আপনার টাকা দিতে হবে।
তবে, এই টুল আপনার আসল কীওয়ার্ড এর সাথে জড়িত related keywords খোঁজার জন্য সেরা।
আপনি, আপনার আসল টার্গেট করা কীওয়ার্ড এর সাথে রিলেটেড (related) অন্যান্য অনেক শব্দ বা বাক্য পেয়ে যাবেন, যেগুলি নিজের কন্টেন্টে ব্যবহার করতে পারবেন।
ফলে, অনেক ধরণের key phrases বা বাক্যের জন্য আপনার আর্টিকেল গুগলে rank করবে।
Keyword tool ব্যবহার করে খুঁজে বের করা সব ধরণের keyword ideas গুলি গুগল সার্চে মাসে কতবার সার্চ করা হচ্ছে, সেটা আপনারা google keyword planner বা ubersuggest tool ব্যবহার করে জেনেনিতে পারবেন।
৪. অন্যান্য মাধ্যমে কীওয়ার্ড রিসার্চ
Keyword research করার tools ব্যবহার করে আর্টিকেলের জন্য নতুন নতুন ও লাভজনক কীওয়ার্ড বা বাক্য খুঁজে অবশই পাওয়া যায়।
এবং, প্রত্যেক প্রফেশনাল ব্লগাররা এই প্রক্রিয়া অবশই ব্যবহার করেন।
তবে, আরো কিছু অন্যান্য মাধ্যম রয়েছে, যেগুলি ব্যবহার করে আমরা লাভজনক এবং গুগলে অধিক সার্চ হওয়া key phrase বা বাক্য গুলির ব্যাপারে জেনেনিতে পারি।
a. Google auto suggest
যখন আমরা গুগল সার্চে কোনো শব্দ বা কীওয়ার্ড লিখি, তথন গুগল আমাদের সেই কীওয়ার্ড বা শব্দের সাথে জড়িত অন্যান্য অনেক বাক্যের বা key phrases এর পরামর্শ দেয়।
যেমন, আমি ওপরে কেবল “মোবাইল থেকে” কীওয়ার্ড টি লিখার পর, গুগল নিজে নিজে আমাকে সেই কীওয়ার্ড এর সাথে রিলেটেড আরো অনেক বাক্য, প্রশ্ন বা key phrase দেখিয়ে দিলো।
এবং, অবশই গুগলের দ্বারা দেখানো এই ধরণের auto suggested key phrases গুলি টার্গেট করে যদি আমি আর্টিকেল লিখি, তাহলে গুগল সার্চ থেকে প্রচুর ট্রাফিক ও ভিসিটর্স পাওয়ার সুযোগ আমার ব্লগের থাকবে।
কারণ, গুগল এই ধরণের auto suggest key phrases কেবল তখন দেখায়, যখন লোকেরা সেই বাক্য বা কীওয়ার্ড গুলি লিখে গুগলে প্রচুর সার্চ করেন।
মানে, যেকোনো বাক্য, শব্দ, প্রশ্ন বা key phrase গুগলে অনেক পরিমানে সার্চ করা হলে, গুগল সেগুলি তার auto suggested keyword এ দেখায়।
তাই, এই ধরণের key phrase নিয়ে আর্টিকেল লিখলে, অবশই গুগল থেকে ট্রাফিক পাবেন।
তাছাড়া, google keyword planner tool ব্যবহার করে, key phrase গুলির সঠিক সার্চ ভলিউম (search volume) জেনেনিতে পারবেন।
আমরা আজকে কি শিখলাম ?
বন্ধুরা, আজকে এই আর্টিকেলে আমরা শিখলাম যে, কীওয়ার্ড রিসার্চ কাকে বলে এবং কিভাবে করতে হয় কীওয়ার্ড রিসার্চ।
তাছাড়া, কীওয়ার্ড নিয়ে রিসার্চ করার জন্য কিছু ফ্রি টুলস (tools) এবং প্রক্রিয়ার ব্যাপারেও জেনেনিলাম।
শেষে, এটাই জানা বা শেখা গেলো যে, ব্লগে যেকোনো আর্টিকেল লিখার আগে কীওয়ার্ড নিয়ে রিসার্চ এজন্যেই করা হয় যাতে, আপনার আর্টিকেলে লিখা বিষয় বা টার্গেট করা কীওয়ার্ড গুগলে কতটা সার্চ করা হয় তার সঠিক তথ্য আপনার কাছে থাকে।
যদি আপনি আগের থেকেই জেনে থাকেন যে, আপনি যেই বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখছেন, সেই বিষয়ে গুগল সার্চে মাসে কতটা সার্চ হচ্ছে এবং কীওয়ার্ড টি নিয়ে গুগলে রাংক করাটা কতটা সহজ হবে, তাহলে অবশই অনেক কম সময়ের মধ্যে আপনি গুগল থেকে প্রচুর ট্রাফিক পেয়ে যেতে পারবেন।
তাই, মনে রাখবেন যে, ব্লগিং এবং SEO র দিকদিয়ে সব থেকে জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো “Keyword research” করাটা।
0 responses on "Keyword Research কি ? কিভাবে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়"