Expired domain কি ? (what is expired domain in Bangla) এবং কেন একটি নতুন ডোমেইন নাম এর তুলনায় এক্সপায়ার হওয়া ডোমেইন অধিক লাভজনক, আজকের আর্টিকেলে আমরা এই বিষয়ে কথা বলবো।
বন্ধুরা যখন কথা আসে একটি ব্লগ তৈরি করে টাকা ইনকাম করার, তখন সবচে প্রথম যেটা কাজ আমাদের কাছে থাকে সেটা হলো,
“নিজের ব্লগের জন্য একটি ভালো ডোমেইন নাম (domain name) সিলেক্ট করা।
তবে, নিজের ওয়েবসাইটের জন্যে domain name সিলেক্ট করার সময় আমাদের কাছে দুটি অপসন থাকছে।
- একটি নতুন (fresh) ডোমেইন নাম সিলেক্ট করা বা কেনা। (আমরা প্রত্যেকেই এটা করে থাকি)
- একটি এক্সপায়ার হওয়া পুরোনো ডোমেইন সিলেক্ট করা বা কেনা। (অনেকেই এই বিষয়ে জানেননা)
মনে রাখবেন, একটি এক্সপায়ার্ড ডোমেইন নাম কিন্তু একটি নতুন ও ফ্রেশ ডোমেইন এর তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা।
আর blogging এর ক্ষেত্রে, একটি expired ডোমেইন সিলেক্ট করে কাজ শুরু করাটা সাংঘাতিক লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
এক্ষেত্রে, আপনি নিজের বতুন ব্লগে পাবলিশ করা প্রথম আর্টিকেল টিকেও সাথে সাথে গুগল সার্চে র্যাংক (rank) করিয়ে নিতে পারবেন।
কিভাবে ? তবে এই উত্তর দেওয়ার উদ্দেশ্যেই আজকের এই আর্টিকেল আমি লিখছি।
আজকে আমরা জানবো, একটি expired domain কি ? এক্সপায়ার্ড ডোমেইন এর লাভ কি এবং এই ধরণের ডোমেইন কেনার আগে কোন বিষয় গুলো দেখবেন।
তাহলে চলুন, ব্লগিং এর দুনিয়ার একটি লুকিয়ে থাকা ট্রিক (trick) বা কৌশল এর বিষয়ে জেনেনি।
এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কাকে বলে ?
বন্ধুরা, একটি expired domain মানে হলো এমন একটি domain name যেটাকে আপনার আগে অন্যান্য ব্যক্তিদের দ্বারা কেনা হয়েছে।
এবং, অন্যান্য ব্যক্তিদের দ্বারা কেনা সেই ডোমেইন যখন expire হয়ে যায়,
মানে, যখন domain টিকে তার মালিকের দ্বারা সময় থাকতে renew করা হয়না, তখন সেই ডোমেইন এক্সপায়ার (expire) হয়ে যায়।
এবং, এই ধরণের expire হওয়া ডোমেইন গুলোকেই বলা হয় “expired domains“.
তবে, expire হওয়া domain গুলোকে সাধারণ ব্যক্তিরা যাতে কিনে নিতে পারে, তার জন্য অবশই আবার উপলব্ধ করানো হয়।
আমরা প্রত্যেকেই জানি, blogging এর ক্ষেত্রে SEO হলো সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এবং, এই ধরণের expire হওয়া domain name আপনার নতুন ব্লগের জন্য সাংঘাতিক লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে।
তবে মনে রাখবেন, আপনার বেছে নেওয়া domain সত্যি লাভজনক বা সেটাতে আপনার ব্লগের কোনো ক্ষতি হতে পারে,
সেটা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করবে, আপনার বেঁচে নেওয়া ডোমেইন এর কোয়ালিটির ওপরে।
তবে এবিষয়ে আমরা নিচে আরো ভালো করে অবশই জেনেনিব।
কেন ব্যবহার করবেন এক্সপায়ার্ড পুরোনো ডোমেইন ?
ওয়েবসাইটের SEO এর ক্ষেত্রে এই ধরণের ডোমেইন অত্যাধিক লাভজনক প্রমাণিত হয়ে থাকে।
কারণ দেখুন, এক্সপায়ার হওয়া ডোমেইন গুলো আগেও ব্যবহার করা হয়েছে বা আগেও এই ডোমেইন গুলো গুগলে সক্রিয় ছিল।
তাই, এই ধরণের ডোমেইন গুলোর কিছু হলেও ডোমেইন অথরিটি (domain authority) / DA রয়েছে।
তাছাড়া, এই ধরণের ডোমেইন গুলো কমেও ১ থেকে ৫ বছর পুরোনো থাকে।
আর আমরা প্রত্যেকেই জানি,
গুগল (Google) সব সময় একটি পুরোনো ডোমেইন যার কিছু হলেও ডোমেইন অথরিটি এবং বয়েস রয়েছে,
সেই ডোমেইন এর আর্টিকেল গুলোকে তাড়াতাড়ি ইনডেক্স (index) ও র্যাংক (rank) করে থাকে।
তাই, আপনার ডোমেইন নাম যত বেশি পুরোনো হতে থাকে এবং যত বেশি তার DA বৃদ্ধি হতে থাকে,
Google এর নজরে সেই ডোমেইন এর মান (value) অধিক বৃদ্ধি পেতে থাকে।
আর এর ফলেই, সেই ডোমেইন এর আর্টিকেল গুলো গুগলের সার্চে অধিক তাড়াতাড়ি এবং সম্ভবত প্রথম পাতায় র্যাংক (rank) করা হয়।
একটি নতুন ডোমেইন এর ক্ষেত্রে,
মনে রাখবেন, যখন আমরা একটি নতুন ডোমেইন নাম ব্যবহার করি,
- তখন সেই ডোমেইন নাম টি নতুন থাকে, সেখানে কোনো backlinks থাকেনা।
- ডোমেইন এর অথরিটি শূন্য (০) থাকে।
- ডোমেইন এর বয়েস মাত্র কিছু দিনের বা মাসের থাকে।
আর তাই,
আমাদের ব্লগে পাবলিশ করা আর্টিকেল গুলো গুগল সার্চে অনেক দেরি করে র্যাংক (rank) হয়ে থাকে।
আপনি আজকে একটি আর্টিকে পাবলিশ করলে সেটা কত দিন বা মাস পর গুগলে র্যাংক/ইনডেক্স করা হবে তার কোনো সঠিক সময় নেই।
কারণ, নতুন অবস্থায় আপনার domain name টির authority প্রচুর কম বা শূন্য (০).
তবে, আপনার নতুন ব্লগের ডোমেইন নামটি যখন কিছু মাস পরে কিছুটা অথরিটি পাবে বা তার অথরিটি বাড়বে,
তখন আপনার আর্টিকেল গুলো অবশই তাড়াতাড়ি গুগল সার্চে ইনডেক্সট / র্যাংক করবে।
কিন্তু, ডোমেইন এর অথরিটি বাড়তে বাড়তে অনেক সময় / মাস অবশই লেগে যাবে।
কারণ, এক্ষেত্রে আপনার ডোমেইন এর জন্য নিয়মিত ব্যাকলিংক তৈরি করাটা একটি প্রযয়োজনীও ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।
এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া ডোমেইন এর ক্ষেত্রে,
মনে রাখবেন, যখন আমরা একটি expired হওয়া domain ব্যবহার করি,
- তখন সেই ডোমেইন এর কিছু হলেও বয়েস থাকে। মানে, ডোমেইনটি পুরোনো থাকে।
- ডোমেইন এর অথরিটি সেটাই থাকছে যেটা দেখে আমরা ডোমেইনটি কিনেছি। মানে, কমেও ৫ থেকে ২০ এর ভেতরে DA থাকছে।
- Domain টিতে আগের থেকে কিছু backlinks অবশই তৈরি করা থাকছে।
আর তাই,
যা আমরা ওপরে আগেই জানলাম, গুগলের নজরে একটি পুরোনো এবং ভালো অথরিটি থাকা ডোমেইন এর মান (value) অনেক।
আর, একটি পুরোনো ডোমেইন কেনার সময় আমরা অবশই সেই domain এর বয়েস এবং অথরিটি দেখেই সেটাকে কিনবো।
তাই, এটাতো নিশ্চিত যে আমাদের domain name টির value গুগলের নজরে অধিক থাকছে।
যার ফলে, প্রথম দিন থেকেই আমাদের ব্লগে publish করা আর্টিকেল গুলো গুগল সার্চে অবশই rank / index করবে।
একটি নতুন ডোমেইন এর মতো, ব্লগের নতুন আর্টিকেল গুলোকে ইনডেক্স / র্যাংক (rank) করানোর ক্ষেত্রে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হবেনা।
New domain এবং expired domain এর পার্থক্য কি ?
আমি জানি, আপনারা অবশই একটি নতুন ডোমেইন এবং এক্সপায়ার ডোমেইন এর মধ্যে থাকা পার্থক্য অবশই বুঝতে পেরেছেন।
তবে, নিচে আমি আবার আপনাদের সরাসরি প্রত্যেকটি পার্থক্যের বিষয়ে বলে দিচ্ছি।
১. একটি নতুন ডোমেইন এর DA স্কোর সব সময় শূন্য (০) থাকে, কিন্তু
এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া ডোমেইন এর DA স্কোর আপনার নির্বাচন অনুযায়ী থাকছে।
২. New domain গুলো একেবারে নতুন থাকে আর গুগলের নজরে সেগুলোর মান অনেক কম, কিন্তু
এক্সপায়ার ডোমেইন গুলোর বয়েস আপনার নির্বাচন অনুযায়ী থাকছে।
৩. নতুন ডোমেইন নাম এর কনটেন্ট / আর্টিকেল গুলো গুগলে ইনডেক্স হতে প্রায় ১ থেকে ২ মাস সময় লেগে যেতে পারে, কিন্তু
এক্সপায়ার হওয়া ডোমেইন এর ক্ষেত্রে প্রথম দিন থেকেই আপনার আর্টিকেল / কনটেন্ট গুগলে ইনডেক্স / র্যাংক হয়ে যাবে।
৪. একটি নতুন ডোমেইন এর কোনো ব্যাকলিংক থাকেনা তবে আপনার প্রথম থেকে বানাতে হয়, কিন্তু
এক্সপায়ার ডোমেইন এর ক্ষেত্রে আগের থেকেই ব্যাকলিংক বানানো থাকে।
৫. একটি নতুন ডোমেইন যেকোনো ক্ষেত্রে স্প্যাম ফ্রি (spam free) এবং নিরাপদ, কিন্তু
আপনার এক্সপায়ার ডোমেইনটির কোয়ালিটি কতটা ভালো, নিরাপদ এবং স্প্যাম ফ্রি কি না সেটা অবশই যাচাই করতে হবে। এই ধরণের ডোমেইন এর নিরাপদ হওয়ার কোনো ভরসা নেই।
Expired domain কেনার আগে কি কি দেখতে হবে ?
হে, অবশই expired domain ব্যবহার করলে blogging এর ক্ষেত্রে আপনার প্রচুর লাভ অবশই হবে।
তাছাড়া, আপনার নতুন ব্লগে publish করা article গুলো সাথে সাথে গুগল সার্চে ইনডেক্সট / র্যাংক অবশই হবে।
তবে মনে রাখবেন, একটি expired হয়ে যাওয়া domain name এর quality যদি আপনি ভালো করে না দেখেন,
তাহলে হতে পারে লাভ হওয়ার বিপরীতে আপনার ওয়েবসাইট / ব্লগ এর ক্ষতি সাধন হচ্ছে।
আর তাই, সব সময় একটি এক্সপায়ার্ড ডোমেইন সিলেক্ট করার আগে আপনার ৪ টি বিষয়ে বিশেষ ধ্যান দিতে হবে।
১. Domain link profile check
এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া ডোমেইন কেনার আগে সেই ডোমেইন এর link profile বা backlink সব সময় চেক করে নিবেন।
আপনার বেছে নেওয়া ডোনাইন এর link profile যদি খারাপ থাকে,
মানে, যদি ব্যাকলিংক গুলো কোনো Chinese website, spam website বা nude website থেকে আসছে,
তাহলে সেই ডোমেইন এর link profile খারাপ।
তাছাড়া, এই ধরণের খারাপ link profile থাকা domain এর spam score অবশই অধিক থাকবে।
মনে রাখবেন, যেই domain এর spam score প্রায় ২০% থেকে বেশি সেই ডোমেইন কখনো কিনবেননা।
আপনি, “websiteseochecker.com” ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যেকোনো ডোমেইন এর স্প্যাম স্কোর চেক করে নিতে পারবেন।
তাছাড়া, “Ahrefs“, “Semrush“, “Majestic” বা “smallseotools” ব্যবহার করে যেকোনো ডোমেইন এর ব্যাকলিংক প্রোফাইল চেক করতে পারবেন।
আর যদি আপনি দেখছেন যে, আপনি যেই বিষয়ে ব্লগ তৈরি করার কথা ভাবছেন, সেই একি বিষয়ের অন্যান্য ওয়েবসাইট গুলোর থেকে ডোমেইন টিতে backlinks আসছে,
তাহলে সেই domain name আপনার জন্য সেরা।
আর যা আগেই বললাম, যদি ডোমেইন টিতে কিছু spam website বা আপনার blog এর সাথে প্রাসঙ্গিকতা না থাকা ওয়েবসাইট গুলোর থেকে ব্যাকলিংক আসছে,
তাহলে সেই ডোমেইন আপনার জন্য সঠিক হবেনা।
যখন আপনি এতো কষ্ট করে একটি expired domain কেনার কথা ভাবছেন,
তাহলে অবশই আপনি চাইবেন যে ডোমেইন এর অথরিটি স্কোর যাতে কমেও ৫ থেকে ১০ এর ভেতরে থাকুক।
এমনিতে ডোমেইন এর যত বেশি ডোমেইন এর অথরিটি থাকবে ততই বেশি ভালো এবং লাভজনক সেই ডোমেইন।
তাই, যেই ডোমেইন সিলেক্ট করেছেন সেই ডোমেইন এর authority score কিন্তু check করতে ভুলবেননা।
Domain authority score check করার জন্য আপনারা “websiteseochecker.com/domain-authority-checker/” লিংকে যেতে পারেন।
৩. Check domain history
যিহেতু আমরা এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া ডোমেইন গুলোর কথা বলছি,
তাই, কোনো না কোনো সময় কেও না কেই এই ডোমেইন গুলোতে ওয়েবসাইট হোস্ট অবশই করেছিলেন।
মানে, ডোমেইন গুলো এক্সপায়ার হওয়ার আগে সেই ডোমেইন এর মাধ্যমে কোন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছিল সেটা আপনার দেখতে হবে।
যদি কোনো আপত্তিজনক ওয়েবসাইট, স্প্যাম ওয়েবসাইট, ডিরেক্টরি সাইট বা আপনি যেই ওয়েবসাইট তৈরি করার কথা ভাবছেন, সেরকম কোনো ওয়েবসাইট ছিলোনা,
তাহলে সেই ডোমেইন ব্যবহার করার পরামর্শ আমি দিবোনা।
উদাহরণ স্বরূপে,
ধরুন আপনি একটি domain কেনার কথা ভাবছেন যেটা ব্যবহার করে আপনি একটি technology blog তৈরি করবেন।
এখন, যদি আপনি দেখেন যে যেই ডোমেইন আপনি সিলেক্ট করেছেন,
সেটা ১ বছর আগে একটি shopping website ছিল বা একটি ডিরেক্টরি সাইট ছিল,
তাহলে এক্ষেত্রে সেই ডোমেইন আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ঠিক হবেনা।
কারণ, গুগল আগের থেকেই সেই ডোমেইন এর কনটেন্ট নিজের ইনডেক্সে রেখেছে এবং সে আগের থেকেই জানে ডোমেইনটিতে কোন ধরণের কনটেন্ট রয়েছে।
তাই আপনার ক্ষেত্রে, এমন একটি এক্সপায়ার হওয়া ডোমেইন নাম খুঁজতে হবে যেটা এক্সপায়ার হওয়ার আগেও একটি টেকনোলজি ব্লগ ছিল।
যেকোনো ডোমেইন এর হিস্ট্রি (history) চেক করার জন্য আপনারা ব্যবহার করুন – archive.org
“Archive.org” ব্যবহার করে আপনারা যেকোনো domain আগের সময়ে কিরকম ওয়েবসাইটের সাথে সংযুক্ত ছিল তার স্ক্রিনশট দেখতে পারবেন।
৪. Google URL banned check
অনেক সময় বিভিন্ন কারণে এরকম অবশই হয়ে থাকে যে ডোমেইন গুলো গুগল সার্চে ব্লক (blocked) বা banned করে রাখা হয়।
তাই, আপনি যদি এমন কোনো ডোমেইন সিলেক্ট করে নিচ্ছেন, যেটা আগের থেকেই গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে banned করা,
তাহলে সেই ডোমেইন এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনার কোনো লাভ হবেনা।
কারণ, সেই ডোমেইন গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ভবিষ্যতে কখনোই ইনডেক্স (index) হওয়ার সম্ভাবনা থাকছেনা।
যখন ডোমেইন ইনডেক্স হবেইনা তখন কনটেন্ট গুলো গুগল সার্চে র্যাংক (rank) করবেনা এবং আপনি ট্রাফিক পাবেননা।
তাই, সব সময় expired domain select করার আগে check করে নিবেন যে সেই ডোমেইন Google search থেকে banned করা নাকি।
আর, যেকোনো ডোমেইন এর Google banned status check করার জন্য আপনারা গুগলের “Safe Browsing site status” অনলাইন টুল ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনারা, “https://transparencyreport.google.com/safe-browsing” এই লিংকে গিয়ে নিজের ডোমেইন টিকে বক্সে লিখে সার্চ করতে হবে।
Search করার পর যদি “No unsafe content found” দেখানো হয়, তাহলে আপনার সিলেক্ট করা domain name টিকে Google দ্বারা banned করা হয়নি।
৪. AdSense banned check
আপনি কিভাবে জানবেন যে আপনার সিলেক্ট করা domain name টি Google AdSense এর মধ্যে banned হয়ে আছে কি না।
যে ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন টিকে ব্যবহার করা হয়েছিল, হতে পারে সেই ওয়েবসাইটের কিছু policy violation এর কারণে গুগল এডসেন্স থেকে ডোমেইন টিকে banned করা হয়েছে।
হতে পারে তাই তো ?
এবং যদি এরকম হয়ে থাকে, তাহলে এতো কষ্ট করে ডোমেইন সিলেক্ট করে টাকা দিয়ে ওয়েবসাইট শুরু করার পর, আপনি এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারবেননা।
আর তাই, ডোমেইনটি কেনার আগেই সেটা গুগল এডসেন্স থেকে banned করা নাকি সেটা চেক করে নিবেন।
এক্ষেত্রে, আপনি একটি অনলাইন ওয়েবসাইট – “stratage.ms/en/adsensebanned” ব্যবহার করে যেকোনো ডোমেইন এর AdSense banned status দেখে নিতে পারবেন।
Domain দিয়ে search করার পর যদি “Banned ? – NO” দেখানো হয়, তাহলে সেই ডোমেইন এডসেন্স থেকে banned হয়নি এবং আপনি ডোমেইনটি ব্যবহার করতে পারবেন।
তাই, যদি আপনারা একটি expired domain কিনে নিজের নতুন ওয়েবসাইট শুরু করার কথা ভাবছেন,
তাহলে অবশই ওপরে বলা ৪ টি বিষয়ে কিন্তু বিশেষ মন দিতে হবে।
এনাহলে, আপনার সাইট / ব্লগ এর ক্ষেত্রে অনেক সাংঘাতিক সমস্যা ভবিষ্যতে দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
আপনি কিভাবে কিনবেন expired domain ?
এমনিতে ইন্টারনেটে expired domains কেনার বিভিন্ন আলাদা আলাদা platforms রয়েছে।
তবে, আপনি যদি পুরোনো ডোমেইন কেনার একটি ফ্রি এবং বেস্ট platform খুঁজছেন, তাহলে “expireddomains.net” সেরা।
এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনারা নিজের পছন্দের ডোমেইন নাম গুলোকে সার্চ করতে পারবেন।
প্রত্যেকটি ডোমেইন এর “backlink count”, “age” ইত্যাদি আরো অন্যান্য তথ্য গুলো দেখে নিতে পারবেন।
তাছাড়া, ডোমেইন গুলো কিনতে কত টাকা দিতে হবে সেটাও “status” এর ভাগে আপনারা দেখতে পাবেন।
Note:
“Status” এর নিচে যদি কোনো ডোমেইন এর স্টেটাস “available“ দেখানো হয়, তাহলে সেই ডোমেইন আপনি যেকোনো ডোমেইন কেনার ওয়েবসাইট থেকে normal domain rates এর সাথেই কিনে নিতে পারবেন।
সেই ডোমেইন এর জন্য অধিক টাকা আপনার দিতে হবেনা।
আমাদের শেষ কথা,
তাহলে আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে “expired domain কি” এবং এক্সপায়ার হওয়া পুরোনো ডোমেইন এর লাভ এবং ক্ষতি কি কি হতে পারে।
বন্ধুরা, আমার সব সময় এটাই চেষ্টা রয়েছে যে blogging এবং SEO নিয়ে আমি যাতে আপনাদের সম্পূর্ণ নতুন এবং কাজের তথ্য প্রদান করতে পারি।
আর তাই, যদি আজকের আমার আর্টিকেল আপনাদের পছন্দ হয়েছে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।
আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট অবশই করবেন।
শেষে, আমি আপনাদের অনুরোধ করবো যাতে আপনারা আমার YouTube channel টি subscribe করুন।