ই-কমার্স বিজনেস প্ল্যান (online business ideas in Bengali) – বন্ধুরা, করোনা ভাইরাস (Covid-19) এর ফলে আজ যেকোনো ধরণের ব্যবসাতে প্রচুর খারাপ প্রভাব পড়েছে। তবে, অনলাইন বা এ-কমার্স বিজনেস এর ক্ষেত্রে এর উল্টোটাই দেখা গেছে।
বিগত কিছু সালের ভেতরে অন্যান্য যেকোনো ধরণের বিজনেস এর তুলনায় E-commerce business এর ক্ষেত্রে প্রচুর গ্রোথ (growth) হওয়া দেখা গেছে।
এবং, Covid-19 এর পরে ই-কমার্স ব্যবসা গুলোর চাহিদা, জনপ্রিয়তা এবং লাভ আগের থেকে প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্বজুড়ে আজ যেকোনো দেশে online e-commerce business এর জনপ্রিয়তা ও প্রচলন অবশই বেড়ে চলেছে।
তবে এর কারণ হলো, “ইন্টারনেটের অধিক ব্যবহার“.
আর আপনিও এই কথা জানেন যে, ভবিষ্যতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা লোকেদের সংখ্যা আজকের তুলনায় কয়েক হাজার গুনে বেশি হতে চলেছে।
এক্ষেত্রে, আজকের তুলনায় ভবিষ্যতে অনলাইন কেনাকাটা (online shopping) করা লোকেদের সংখ্যা অবশই বৃদ্ধি পাবে।
আর সত্যি বললে, আজ যেকোনো জিনিস লোকেরা ঘরে বসে নিজের মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে ই-কমার্স সাইট (e-commerce website) গুলোর থেকে কিনেনিতে অধিক রুচি রাখেন।
ভারত, বাংলাদেশ এবং অন্যান্য কিছু এশিয়ান দেশ গুলোতে, বর্তমানে অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট (e-commerce portal / site) গুলো ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকাটা করার প্রচলন আগের থেকে অনেক গুনেই বেড়েছে।
আর বিশ্বাস করুন, আসছে সময়ে প্রায় সবটাই ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমেই লোকেরা কিনে নিতে চাইবেন।
এক্ষেত্রে, আপনি যদি এই সুযোগের লাভ নিয়ে নিজের একটি e-commerce business বা e-commerce website শুরু করার কথা ভাবছেন,
তাহলে হয়তো আপনার মনে একটি প্রশ্ন বার বার চলে আসছে।
“সেরা ই-কমার্স বিজনেস প্ল্যান কোনগুলো” ?
এমন কোন ই-কমার্স বিজনেস আইডিয়া নিয়ে কাজ করা যাবে যেগুলোতে লাভ ও সফলতা দুটোই হতে পারে ?
নিচে আমি আপনাদের best e-commerce business plan গুলোর বিষয়ে বলবো, যেগুলো বর্তমানে প্রচুর লাভজনক।
১১ টি ই-কমার্স বিজনেস প্ল্যান যেগুলোর চাহিদা প্রচুর – (E-commerce business ideas)
নিচে যেগুলো ই-কমার্স বিজনেস আইডিয়া গুলোর বিষয়ে আমি বলবো সেগুলো আমার হিসেবে প্রচুর লাভজনক এবং অনেক তাড়াতাড়ি সফলতা পাওয়ার সুযোগ থাকছে।
তবে মনে রাখবেন,
যেকোনো ব্যবসাকে জনপ্রিয় এবং সফল করার জন্য, মার্কেটিং এর ভূমিকা প্রচুর।
তাই, আপনি যেই niche নিয়েই ব্যবসা শুরু করছেননা কেন, আপনাকে প্রথম অবস্থায় সঠিক মার্কেটিং এর কৌশল গুলো নিয়ে ভাবতে হবে।
একবার আপনার online business এর বিষয়ে লোকেরা জেনে নেওয়ার পর, তারা অবশই আপনার থেকে products order করবেন।
তবে, এখানেও আপনার নিজের product quality, delivery time এবং service নিয়ে ধ্যান দিতে হবে।
যখন, আপনার products এর quality ভালো থাকবে এবং অনেক তাড়াতাড়ি product গুলো customers দের delivery দিতে পারবেন,
তখন, ততটাই তাড়াতাড়ি আপনার e-commerce business এর জনপ্রিয়তা বাড়বে এবং আপনার ব্যবসার একটি ভালো ছবি (brand) তৈরি হবে।
এভাবেই ছোট ছোট বিষয়ে নজর দিয়ে আপনি আপনার online business টিকে সফলতার রাস্তায় নিয়ে যেতে পারবেন।
চলুন, এবার আমরা best e-commerce business plans গুলোর বিষয়ে জেনেনি।
বর্তমানের লাভজনক ই-কমার্স ব্যবসা গুলো – (সেরা ১১ টি)
নিচে আমি ১১ টি e-commerce ব্যবসার আইডিয়া বা প্ল্যান এর বিষয়ে বলে দিচ্ছি,
এই প্রত্যেকটি online business plan গুলোর চাহিদা বর্তমানে প্রচুর বলে আমি মনে করি।
১. Online learning platforms
বর্তমান সময়ে online e-learning এর প্রচলন প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজ প্রত্যেকেই নিজেদের বাচ্ছাকে ঘরে বসিয়ে মোবাইল এবং ইন্টারনেট এর মাধ্যমে online tuition classes দিতে চান।
এক্ষেত্রে, আপনিও এমন একটি online platform তৈরি করতে পারবেন, যার মাধ্যমে বাচাদের লাইভ অনলাইন টিউশন করানো যাবে।
আপনার কেবল একটি website develop করাতে হবে এবং ভালো ভালো teacher দের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
আপনি, minimum fees নিয়ে school বা college এর বাচ্চাদের, অনলাইনে লাইভ টিউশন করার সুযোগ দিতে পারবেন।
এই ধরণের online tuition class গুলোতে একসাথে সীমাহীন ছাত্ররা অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।
আর তাই, আপনিও একসাথে প্রচুর ফিস (fees) আদায় করতে পারবেন।
২. Fashion & jewelry
আজকাল ছেলে মেয়েরা সাজার জন্য অনেক কিছুই ব্যবহার করে থাকেন।
তাই, আপনি fashion এবং jewelry নিয়ে নিজের e-commerce site শুরু করতে পারবেন।
সুন্দর সুন্দর কানের ও হাতের অলঙ্কার, চুরি, অন্যান্য সাজার জিনিস ইত্যাদি।
মনে রাখবেন, নিজের online store এর মধ্যে কেবল একটি বিষয় (niche) নিয়ে products বিক্রি করুন।
এতে, গ্রাহক দের নজর এবং রুচি আপনার platform এর মধ্যে সবসময় থাকে।
৩. Computer & laptop
বর্তমান সময়ে এমন প্রচুর ই-কমার্স ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে রয়েছে যেগুলো অনলাইনে কম্পিউটার ও ল্যাপটপ বিক্রি করার কাজ করছেন।
হে, আগেকার সময়ে মানুষে অনলাইনে জিনিস কিনতে ভয় করতেন।
তবে, এখন লোকেরা ইন্টারনেট এবং এর সাথে জড়িত প্রত্যেকটি বিষয় গুলো স্পষ্ট করে বুঝে নিয়েছেন।
আর তাই, আজ TV, Washing machine, Computer ইত্যাদি সব ধরণের electronics লোকেরা অনলাইনে কিনে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রচুর আগ্রহী।
তাই, আপনি নিজের একটি e-commerce website তৈরি করে সেখানে computer এবং laptop বিক্রি করতে পারবেন।
তাছাড়া, computer / laptop repairing service এর সুবিধেও আপনি অবশই দিতে পারবেন।
মনে রাখবেন, বর্তমান সময়ে electronics items গুলো অনলাইনে সব থেকে অধিক পরিমানে বিক্রি হয়ে থাকে।
৪. Online grocery / food
মুদি দোকান এমনিতে অনেক রয়েছে, তাই একটি মুদি দোকান দিয়ে বর্তমানে কোনো লাভ হবেনা।
কিন্তু, আপনি চাইলে একটি অনলাইন মুদি দোকান শুরু করতে পারবেন এবং নিজের ই কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লোকেদের প্রয়োজন হিসেবে জিনিস অর্ডার করার সুবিধে দিতে পারবেন।
এতে, লোকেরা ঘরে বসেই নিজের প্রয়োজন হিসেবে সবটাই ঘরে বসে অর্ডার করতে পারবেন।
এবং, আপনি প্রত্যেকটি অর্ডার হিসেবে জিনিস গুলো লোকেদের ঘরে ডেলিভারি দিতে হবে।
এই ধরণের অনলাইন মুদি দোকান দোকানের ক্ষেত্রে আপনি নিজের ঘরেই স্টক গুলো রাখতে পারবেন।
এবং, যখন যেভাবে অর্ডার আসবে ডেলিভারি দিতে থাকলেই হলো।
মনে রাখবেন, চাল, ডাল, আটা, ময়দা ইত্যাদি প্রত্যেক দিন লোকেরা ব্যবহার করে থাকেন।
তাই, নিজের আসে পাশে জায়গা গুলোতে এবং সম্পূর্ণ শহর বা গ্রামে এই ধরণের একটি অনলাইন মুদি দোকান থাকাটা কিন্তু অনেক দারুন বেপার।
মুদি দোকান ছাড়াও, আপনি চাইলে যেকোনো অন্য খাওয়ার জিনিস গুলোকে বানিয়ে অনলাইন বিক্রি করতে পারবেন।
যেমন, অনলাইন মোমো অর্ডার সার্ভিস, অনলাইন বিরিয়ানি অর্ডার সার্ভিস, ফাস্ট-ফুড আইটেম ইত্যাদি।
৫. Smart watches
আপনি এমন একটি অনলাইন ই কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন যেখানে মূলত ঘড়ি (watches) বিক্রি করা হয়।
আজকাল smartwatches এর চাহিদা কিন্তু প্রচুর।
এবং, ৮০% লোকেরা কিন্তু অনলাইন ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমেই smartwatch কিনেন।
কারণ, অনলাইনে বিভিন্ন আলাদা আলাদা রকমের এবং কম বা বেশি দামের সব রকমের স্মার্ট ঘড়ি পাওয়া যায়।
তাই, আপনি নিজের একটি smartwatch e-commerce website শুরু করে সেটাকে ভালো করে মার্কেটিং করুন।
আলাদা আলাদা দাম এবং সুন্দর সুন্দর স্মার্ট ঘড়ি রাখতে পারলে বিক্রি হওয়ার সুযোগ প্রচুর থাকছে।
৬. T-shirt selling business
আমি আপনি এবং প্রায় প্রত্যেক লোকেরা গেঞ্জি বা টিশার্ট পরতে ভালো পেয়ে থাকি।
আর তাই, সুন্দর সুন্দর টিশার্ট এর চাহিদা আগেও ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
তাছাড়া, এই ব্যবসাতে আপনার বেশি খরচ হওয়ার সম্ভাবনা থাকছেনা।
কেননা, প্রথমে আপনি একটি টিশার্ট বিক্রি করার ই কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।
তারপর, একটি টিশার্ট প্রন্টিং মেশিন কিনতে হবে যেটা প্রায় Rs.৫০,০০০/- টাকার ভেতরেই পেয়ে যাবেন।
তাছাড়া, আপনার কিছু এক রঙের গেঞ্জি কিনে নিতে হবে যেগুলো wholesale market এর মধ্যে অনেক কমেই পাবেন।
বাস, তারপর এক রঙের গেঞ্জি গুলোতে সুন্দর সুন্দর লেখা বা পিকচার প্রিন্ট করুন এমন মিনিমাম প্রফিট রেখে নিজের ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে বিক্রি করতে থাকুন।
একটি টিশার্ট ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়, তাই অনলাইনে সহজেই অর্ডার পেতে থাকবেন।
৭. বাচ্চাদের জামা-কাপড়
এমনিতে বড় দের কাপড় কেনার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক কিছু দেখে কাপড় কিনতে হয়।
তবে, বাচ্চাদের কাপড় কেনার ক্ষেত্রে তেমন কিছু দেখার থাকছেনা।
কেবল, সুন্দর সুন্দর কাপড় এবং বয়েস হিসেবে কাপড়ের সাইজ থাকলেই হয়ে যাবে।
তাছাড়া, বাচ্চাদের কাপড় সব জায়গায় পাওয়াও যায়না।
তাই, আপনি অনলাইনে বাচ্চাদের কাপড় জামা বিক্রি করার একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
এই ই-কমার্স ব্যবসার প্ল্যান অনেক দারুন এবং লাভজনক প্রমাণিত হওয়ার সুযোগ প্রচুর।
৮. Face mask selling
আমরা প্রত্যেকেই জানি যে, বর্তমানে Covid-19 এর ফলে প্রত্যেককেই মুখে মাস্ক লাগাতে হয়।
এক্ষেত্রে, এখানেও একটি ব্যবসার সুযোগ আমাদের জন্য তৈরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপনারা চাইলে, একটি সাধারণ অনলাইন ই কমার্স সাইট তৈরি করতে পারবেন, যেখানে সুন্দর সুন্দর মুখের মাস্ক (mask) বিক্রি করা হবে।
কম দামের থেকে শুরু করে ভালো ভালো এবং ব্র্যান্ডেড ফেস মাস্ক নিজের ওয়েবসাইটে বিক্রি করুন।
ভালো পরিমানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করলে, অনেক তাড়াতাড়ি লোকেরা আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়ে জেনেনিতে পারবেন।
৯. Mobile & accessories
এখন অনলাইনে মোবাইল ফোন কত বেশি পরিমানে বিক্রি হচ্ছে, সেটা আমি না বললেও আপনারা অবশই জানেন।
তাই, বর্তমানে অনলাইনে মোবাইল বিক্রি করার বিজনেস কিন্তু সব থেকে দারুন ও লাভজনক।
তবে, এই business এর ক্ষেত্রে আপনার investment কিন্তু প্রচুর করতে হবে।
কারণ, যখন আপনি mobile বা এর সাথে জড়িত accessories বিক্রি করার আইডিয়া ভাবছেন,
তখন আপনাকে নানান ধরণের মোবাইল এবং এসেসরিজ নিজের কাছে রাখতেই হবে।
তাই, লাভ থাকলেও এই product নিয়ে e-commerce business শুরু করতে হলে, বিভিন্ন smartphones কিনার ক্ষেত্রে আপনার প্রচুর টাকা আগে ইনভেস্ট করতে হবে।
১০. Pet food items
আজ প্রত্যেকের ঘরেই পোষা প্রাণী (pet) রয়েছে। তবে, পোষা প্রাণীর জন্য খাবার কেনার দোকান এর সংখ্যা কিন্তু প্রচুর কম।
তাই, আপনি পোষা প্রাণী দের খাওয়ার নিয়ে একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
নিজের ই কমার্স ওয়েবসাইট এর মধ্যে পোষা প্রাণী দের আহার গুলো বিক্রি করাটা এমনিতে লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে।
বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে যাদের থেকে প্রাণী দের আহার কম দামে কিনে নিতে পারবেন।
এবং, সেগুলোকেই আবার লাভ সহ বিক্রি করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রক্রিয়া গুলো সঠিক ভাবে ব্যবহার করে, নিজের ব্যবসাটিকে অনলাইনে প্রচার ও মার্কেটিং করতে পারবেন।
১১. Online gift shop
বিয়া, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী ইত্যাদি প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আমরা উপহার দিয়ে ও নিয়ে থাকি।
তাই, যদি আপনি সুন্দর সুন্দর গিফট (gifts) এর কালেকশন নিয়ে একটি অনলাইন উপহার বিক্রির ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ শুরু করেন,
তাহলে অবশই এটা একটি আলাদা রকমের এবং কম প্রতিযোগিতা থাকা ব্যবসা হিসেবে জায়গা করবে।
তাছাড়া, আজকাল প্রত্যেকের উপহার কেনার ক্ষেত্রে বিরক্তি ভাব এসে পরে।
তাই, যখন তারা নিজের মোবাইল এবং আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ঘরে বসেই উপহার কিনে নিতে পারবেন,
তখন ভাবুন কতটা সুবিধে তাদের হবে।
আর এভাবে, আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তাও বাড়তে থাকবে।
তবে, আপনাকে ভালো ভালো এবং আকর্ষণীয় উপহার গুলো রাখতে হবে।
১২. অনলাইনে শাড়ী বিক্রি
যখন অনলাইনে প্রত্যেকটি জিনিস বিক্রি হয়েই চলেছে, তাহলে অনলাইনে শাড়ী বিক্রি করার আইডিয়া কেন বাদ যাবে।
আপনি সুন্দর সুন্দর শাড়ী গুলোকে নিজের ই-কমার্স প্লাটফর্মে লিস্ট করে সেগুলোকে বিক্রি করতে পারবেন।
মনে রাখবেন, শাড়ী পড়ার প্রচলন সব সময় থাকছে এবং আপনি যদি বিভিন্ন ধরণের শাড়ীর কালেকশন রাখতে পারেন,
তাহলে অবশই ধীরে ধীরে আপনার ওয়েবসাইট থেকে লোকেরা শাড়ী কিনতে আগ্রহী হবেন।
১৩. পায়জামা কুর্তা বিক্রি
আমাদের বাঙালিদের মধ্যে পায়জামা কুর্তা পড়ার প্রচলন কিন্তু সবসময় থাকবে।
আর, বর্তমানে সুন্দর সুন্দর পায়জামা কুর্তার কালেকশন যদি আপনি রাখতে পারেন,
তাহলে কেবল নিজের দেশেই নয়, চাইলে দেশের বাইরেও পায়জামা কুর্তা অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন।
কেবল, সঠিক দাম এবং সুন্দর কালেকশন থাকার সাথে সাথে কাপড়ের কোয়ালিটি নিয়েও আপনার অবশই ভাবতে হবে।
আমাদের শেষ কথা,
তাহলে বন্ধুরা, আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা কিছু সেরা এবং লাভজনক ই-কমার্স ব্যবসার আইডিয়া গুলোর বিষয়ে জেনেনিতে পারলেন।
দেখুন, যেকোনো business সফল করার জন্য জরুরি বিষয় হলো, “সঠিক ভাবে মার্কেটিং করাটা”.
কেননা, কেবল মার্কেটিং এর মাধ্যমেই আপনি আপনার নতুন ব্যবসাকে লোকেদের কাছে নিয়ে যেতে পারবেন।
তাছাড়া, আজকাল অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে আমরা অনেক কম টাকা খরচ করে লক্ষবস্তু গ্রাহকের (targeted customers) কাছে নিজেদের ব্যবসার প্রচার চালাতে পারি।
তাই, সঠিক অনলাইন মার্কেটিং এর কৌশল এবং ভালো কোয়ালিটির প্রোডাক্ট থাকলে, প্রায় প্রত্যেক ই-কমার্স ব্যবসা সফল হয়ে দাঁড়াতে পারে।
শেষে, যদি আমাদের আজকের আর্টিকেল “best e-commerce business plans in Bengali” ভালো লেগে থাকে,
তাহলে আর্টিকেলটি শেয়ার অবশই করবেন।
তাছাড়া, যদি আর্টিকেল এর সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে, তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
0 responses on "সেরা ১১ টি ই-কমার্স বিজনেস প্ল্যান যেগুলোর চাহিদা প্রচুর – (Business plan)"