১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা: আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন, যারা নিজের একটি ব্যবসা শুরু করতে চান। কিন্তু, টাকার অভাবে হয়তো অনেকেই নিজের business শুরু করতে পারছেননা। তবে মনে রাখবেন, আপনারা চাইলে খুব সহজেই অনেক কম টাকায় ব্যবসা আরম্ভ করতে পারবেন। এবং এই উদ্দেশ্যেই, আমি আপনাদের নিচে, “২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া” দিবো যেগুলি ১০ হাজার টাকায ইনভেস্ট করে শুরু করতে পারবেন।
নিচে আমি এমন ২৫ টি ব্যাবসার বিষয়ে বলবো যেগুলি অনেক সহজে কেবল ১০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে আপনারা শুরু করতে পারবেন।
তবে, প্রথম অবস্থায় এই ব্যবসা গুলি ছোট পর্যায় থাকতে পারে যদিও সঠিক ভাবে এবং আগ্রহ দিয়ে কাজ করলে এই ছোট ব্যবসা গুলি একটি বড় ব্যবসাতে পরিণত হতে বেশি সময়লা গবেনা। কলেজে পড়া ছাত্ররা, মহিলারা বা যেকোনো ব্যক্তি যে অনেক কম টাকায় ভাল ব্যবসা করতে চাচ্ছেন, তারা এই ধরণের বিসনেস (business) করে, part-time বা full-time income করতে পারবেন।
তাহলে চলুন, নিচে আমরা জেনেনেই ১০ হাজার টাকায় কি কি লাভজনক ব্যবসা আমরা শুরু করতে পারবো।
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া – ২০২৩
যখন, কম টাকায় ভালো ব্যবসা করার কথা আসে, তখন আমাদের মনে দুটি প্রশ্ন অনেক জ্বালাতন দেয়।
কোন ব্যবসা লাভজনক হবে। এবং,
কম মানে কত কম টাকার ব্যবসা।
তবে, যদি আপনার পকেটে কমেও ১০ হাজার টাকা রয়েছে, তাহলে শুরু করতে পারবেন নিচে দিয়ে দেওয়া এই ২৫ রকমের ছোট ব্যবসার থেকে যেকোনো একটি বিসনেস (small business)। আপনি চাইলে এগুলো চাকরির পাশাপাশি পার্ট-টাইম হিসেবেও চালাতে পারবেন।
১০ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় ?
নিচে বলা ব্যবসা গুলির মধ্যে, আপনার যেটা করতে সুবিধে এবং ভালো লাগে আপনি সেটা করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, একটি ব্যবসা শুরু করার আগেই, সেই বিষয়ে পুরো প্লানিং (planning) এবং কিভাবে কি করবেন, সবটাই ভেবে রাখতে হবে।
১. Travel agency business
এমনিতে ট্রাভেল এজেন্সী ব্যবসা (travel agency business) গত কিছু বছর থেকেই অনেক দ্রুত পরিমানে এগিয়ে এসেছে। কারণ, প্রত্যেক দিন কোননা কোনো লোক বাইরে ঘুরার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গার flight ticket, train ticket, hotel booking বা সম্পূর্ণ holiday trip book করেন।
তাই, যদি আপনারা travel agency agent হিসেবে ব্যবসা শুরু করেন, তাহলে সুযোগ আছে যে আপনার ব্যবসা দ্রুত গতিতে সফল হবে।
আজ কারো কাছেই সময় নেই। এবং, ticket ও hotel booking এর উদ্দেশ্যে লোকেরা একজন ট্রাভেল এজেন্ট কে অবশই খুজেঁন। অবশই, এই ব্যবসা আপনারা অনেক কম টাকায় চালু করতে পারবেন। এবং, এমন জায়গায় ব্যবসাটি করবেন, যেখানে আগের থেকে কোনো অন্য travel agency নেই।
২. Start blogging business
আমি আপনাদের সব সময় বলি, ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা করার সব থেকে ভালো ও লাভজনক উপায় হলো blogging.
ব্লগিং এর মাধ্যমে আমি নিজে কেবল দিনে ২ ঘন্টা কাজ কোরে এতো টাকা আয় করছি যতটা আমি আমার full-time job থেকেই পাচ্ছিনা। আমার জন্য ব্লগিং, কম টাকায় অনেক ভালো ব্যবসা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
আজ, হাজার লক্ষ লোকেরা কেবল ব্লগিং করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছেন। তবে, ব্লগিং হলো একটি অনলাইন ব্যবসা এবং ব্লগ তৈরি করে টাকা আয় করার জন্য আপনাদের কেবল একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট কানেকশন এর প্রয়োজন হবে।
তাছাড়া, এই অনলাইন ব্যবসাতে প্রথম অবস্থায় বছরে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। তবে, সম্পূর্ণ ফ্রীতে ব্লগ চালু করাটাও সম্ভব। আজ blogging, সম্পূর্ণ professional business হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
এবং, blogging এ ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারলে, একটি extra income source আপনার কাছে সব সময় থাকবে।
৩. Mobile & laptop repairing shop
আজ, প্রত্যেকের ঘরে একটি smartphone, computer বা laptop রয়েছে।
এবং এই ধরণের electronics অনেক সহজেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। তাই, একটি ছোট দোকান নিয়ে এবং কিছু জরুরি tools বা equipment কিনে নিজের একটি mobile বা computer repairing business অবশই চালু করতে পারবেন। এই ব্যবসায় অনেক কম পুঁজি বিনিয়োগ করলেই হবে। কেবল, একটি ছোট দোকান নিতে হবে যেটা আপনারা যেকোনো জায়গায় নিতে পারবেন।
তারপর, বাকি সবটাই আপনার নিজের ওপরে। আপনি, কিভাবে এবং কি কি electronics কত বেশি পরিমানে ভালো করতে পারবেন তার ওপরেই নির্ভর করবে আপনার ইনকাম। তবে, যদি আপনি কম্পিউটার বা মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজ জানেননা, তাহলে খুব সহজে আপনার আসে পাশে থাকা যেকোনো institute থেকে শিখে নিতে পারবেন।
৪. Mobile recharge shop
আজকাল একটি মোবাইল ফোন সবাইর কাছেই রয়েছে। এবং, মোবাইল রিচার্জ (mobile recharge) করার প্রয়োজনীয়তা ও মোবাইল ব্যবহার কারীদের রয়েছে।
তাই, একটি ভিড় ভার থাকা জায়গায় ছোট দোকান নিয়ে, কিছু জনপ্রিয় কোম্পানির মোবাইল রিচার্জ কার্ড বিক্রি করলেও ভালো পরিমানে কমিশন (commission) আয় করতে পারবেন। মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা এমনিতে অনেক কম টাকায় শুরু করতে পারবেন।
ভালো করে প্ল্যানিং করলে ১০ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসা শুরু করা যাবে। এবং, অধিক পরিমানে রিচার্জ কার্ড (recharge card) বিক্রি করতে পারলে, ইনকামের পরিমান অনেক ভালো।
৫. Sell On Online Marketplace
অনলাইন মার্কেটপ্লেস, এমন এক মাধ্যম বা প্লাটফর্ম যেখানে যেকোনো ব্যক্তি নিজের product অনলাইন বিক্রি করতে পারবেন। যেরকম, Amazon, Flipkart, Snapdeal এগুলি সব অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে হাজার হাজার লোকেরা নিজে নিজের পণ্য অনলাইন লোকেদের বিক্রি করছেন।
আপনি নিজের দেশের সেরা কিছু online marketplace এর ব্যাপারে খোঁজ করুন। তারপর সেখানে একটি একাউন্ট তৈরি করে যেকোনো জিনিস অনলাইন বিক্রি করতে পারবেন। তবে, কোন জিনিস বিক্রি করবেন সেটা আগেই ভেবে নিবেন। লোকেদের চাহিদা এবং অধিক লাভ নিয়ে নিতে পাড়া প্রোডাক্ট বেঁচে নিবেন।
আপনি, নিজের জায়গার যেকোনো লোকাল wholesaler বা manufacturer থেকে ১০০০০ টাকার জিনিস কিনে নিয়ে তারপর সেগুলি অনলাইন বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়া, মার্কেটপ্লেস গুলিতে সহজে বিক্রি হওয়া কিছু প্রডাক্ট হলো – শাড়ী, অন্যান্য কাপড়, electronic item, মেয়েদের সাজার জিনিস, ঘরে সাজানো জিনিস, gifts এবং আরো অনেক।
৬. Gota masala supply business
আজকাল প্রত্যেক দোকানেই গোটা মশলা রাখে। এবং, প্রত্যেক দিন আমাদের ঘরে খাবার বানানোর সময় গোটা মশলার প্রয়োজন অবশই হয়। তাই, আপনি যদি কম টাকায় নিজের প্রডাক্ট নিয়ে বিসনেস করতে চাচ্ছেন, তাহলে গোটা মশলার ব্যবসা অনেক লাভজনক হতে পারে।
আপনি বিভিন্ন গোটা মশলা যেমন, ৫ ফোড়ন, এলাচ, তেজপাতা, লং, সোর্স এবং আরো অনেক ধরণের মশলার ১০০ গ্রাম, ২০০ গ্রাম এবং ৫০ গ্রাম প্যাকেট বানিয়ে দোকানে দোকানে সাপ্লাই (supply) করতে পারবেন।
জানি, শুনতে অল্প আলাদা আলাদা লাগছে। তবে, অধিক পরিমানে এই মশলার প্যাকেট দোকানে দোকানে বিক্রি করতে পারলে, লাভের সুযোগ অনেক। গোটা মশলার ব্যবসাতে টাকা কম লাগলেও, এই বিসনেসে লাভ অনেক বেশি।
৭. Food stall business
আজকাল রাস্তাঘাটে আপনারা অনেক ধরণের food stall অবশই দেখেছেন। মানে, footpath এর সামনে ছোট একটি দোকান যেখানে বিভিন্ন রকমের খাবার পাওয়া যাচ্ছে। যেমন, চপ, সিঙ্গারা, রোল, মোমো, নুডলস এবং আরো অনেক ধরণের খাবার।
এই ধরণের একটি খাবার দোকান বা ফুড ষ্টল দেয়ার জন্য আপনার অনেক কম টাকার প্রয়োজন। তবে, ছোট ছোট খাবার দোকান গুলিতে কিন্তু লোকেদের ভিড় অনেক বেশি পরিমানে থাকে। কারণ, সবাই কম দামে ভালো খাবার খেতে ভালো পান।
তাই, ভালো কোয়ালিটির খাবার কম দামে দিতে পারলে, কেবল কিছু দিনের মধ্যেই আপনার food stall এর ভালো নাম হয়ে যাবে।
৮. Juice stall
যেভাবে খাবার দোকানের ব্যবসা করাটা লাভজনক, ঠিক সেভাবেই juice stall বা শরবতের দোকান লাগিয়েও ব্যবসা আরম্ভ করা যেতে পারে। আপনি একটি ভালো জায়গা বেঁচে নিন। যেমন, স্কুল বা কলেজের সামনে, হাসপাতালের সামনে বা কোনো বড়ো সরকারি কার্যালয়ের সামনে।
এরকম জায়াগায় লোকেদের ভিড় অনেক বেশি পরিমানে থাকে। তাই, শরবত খাওয়ার জন্য অনেক গ্রাহক আপনার দোকানে আসার সুযোগ অনেক বেশি। এই ধরণের শরবতের দোকান দেয়ার জন্য, কেবল একটি ছোট জায়গা বা দোকান নিলেই হবে। তারপর, কিছু ফল (fruits) কিনে আনতে হবে।
এই ব্যবসাতে আপনার অন্য কোনো জিনিসে টাকা খরচ করতে হবেনা। তবে, শরবত তৈরি করার juice maker machine লাগবে, যেটা ২ থেকে ৩ হাজারেই পাবেন।
৯. Tuition center & class
বলতে খারাপ লাগছে যদিও, আজ টিউশন পোড়ানোটাও কিন্তু এক ধরণের সাংঘাতিক লাভজনক ব্যবসা। আপনি যেকোনো বিষয়ে বাচ্ছাদের পড়াতে পারবেন এবং তার বদলে ফিস (fees) নিতে পারবেন।
ঘরে tuition class করানোটা সম্ভব যদিও, একটি আলাদা জায়গায় রুম (room) নিয়ে প্রফেশনালি (professionally) ব্যাচ হিসেবে টিউশন করলে আপনার অনেক ভালো পরিমানে আয় হবে। তাই, আপনি যেকোনো একটি বা দুটি বিষয় নিয়ে tuition class বা tuition center শুরু করতে পারেন।
আমার এক বন্ধু বিকেল ৫ থেকে রাত ৯.৩০ পর্যন্ত টিউশন করিয়ে ভালো পরিমানে আয় করছে। তাছাড়া, আপনাদের যদি কোনো বিশেষ প্রতিভা রয়েছে যেমন, drawing, music, Yoga & fitness, craft তাহলে এই বিষয় গুলি নিয়েও training ও tuition class দিতে পারবেন।
১০. ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা
আমি অনেক মহিলাদের দেখেছি যারা বাড়িতে বসে কাপড়ের ব্যবসা করছেন। মানে, নিজের ঘরে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার ভেতরে অনেক কম দামে শাড়ি কিনে এনে তারপর সেগুলি আবার চীন পরিচিত লোকেদের বিক্রি করছেন।
হে, আপনি যদি একজন মহিলা এবং বাড়িতে বসেই ঘরোয়া ব্যবসা করতে চাচ্ছেন, তাহলে এই শাড়ির ব্যবসা আপনার জন্য সেরা। আপনি বিভিন্ন wholesaler বা manufacturer দেড় কাছ থেকে অনেক কম দামে সুন্দর সুন্দর শাড়ি কিনে আনুন এবং সেগুলি লাভ রেখে বিক্রি করুন।
শাড়ির কোয়ালিটি ভালো হলে এবং দেখতে সুন্দর হলে, আপনার এই ঘরোয়া ব্যবসা কখন লোকেদের মাঝে ছড়িয়ে যাবে, আপনি বুঝতেই পারবেননা। মনে রাখবেন, কাপড়ের ব্যবসা কিন্তু অনেক লাভজনক।
১১. YouTube channel business
ব্লগিং এর পর, ঘরে বসে অনলাইন টাকা আয় করার সবথেকে ভালো উপায় হলো YouTube. এমনিতে, ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন, এই ব্যাপারে আমি আগেই আপনাদের বলেছি। এবং, কেন ইউটিউব ঘরে বসে আয় করার সেরা উপায় সেটাও বলেছি।
ইউটিউবের চ্যানেল তৈরি করাটা একেবারে সহজ এবং ফ্রি।
একটি ইউটিউবের চ্যানেল তৈরি করার পর, কেবল নিজের চ্যানেলে ভালো ভালো ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে হবে। একবার ইউটিউবের monetization চালু হয়ে গেলে, নিজের ভিডিও গুলিতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে মাসে মাসে ভালো পরিমানে টাকা আয় করতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন ছাড়াও, ইউটিউবের চ্যানেলে যদি অধিক পরিমানে subscribers থাকে, তাহলে sponsorship এবং affiliate marketing এর মাধমেও টাকা আয় করতে পারবেন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কেবল মাত্র ভালো ভালো ভিডিও আপলোড কোরে, আজ হাজার হাজার লোকেরা মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা অব্দি আয় করছেন।
তবে, নিজের চ্যানেল থেকে অধিক পরিমানে টাকা ইনকাম করার জন্য, আপনার চ্যানেলে মিনিমাম ৫০ হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকলে ভালো। এর থেকে কম subscriber থাকলেও ভালো পরিমানে টাকা আয় করার সুযোগ অবশই রয়েছে।
শেষে, এই অনলাইন ব্যবসা আপনারা পুরো পুরি কোনো টাকা খরচ না করেই শুরু করতে পারবেন। ভিডিও রেকর্ড এবং এডিট করার জন্য কেবল আপনার smartphone টি হলেই হবে।
১২. Laundry & cleaning services
আপনারা চাইলে অনেক সহজে একটি laundry ও cloth cleaning business শুরু করতে পারবেন। আজ মানুষের কাছে সময় নেই এবং তাই আপনি বিভিন্ন apartments এবং ঘরের থেকে নোংরা কাপড় নিয়ে এসে সেগুলি ধুয়িয়ে দেয়ার বদলে টাকা নিতে পারবেন।
হে, কিছু পরিমানে ধোপাঘরের মতোই। কিন্তু, আপনি নিজে না কোরে লোক লাগিয়ে কাপড় আনা বা কাপড় ধুয়ানোর কাজ করতে পারবেন। আপনি যদি প্রত্যেকদিন ভালো পরিমানে কাপড় ধুয়াতে পারেন, তাহলে ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন।
কেবল 10 হাজার টাকায় ব্যবসা করার কথা যারা ভাবছেন, তারা এই ধরণের বিসনেস করলে অনেক কম টাকা লাগিয়ে ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন।
১৩. Digital marketing agency
আজকাল যেকোনো কোম্পানি তাদের পণ্য বা প্রডাক্ট ইন্টারনেটে অনলাইন মার্কেটিং করেন এতে, তাদের পণ্য অনেক সহজে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অধিক লোকেদের কাছে প্রচার হয়ে যায়।
এবং, এই ধরণে ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা যেকোনো পণ্যের প্রচার মা মার্কেটিং কেই “digital marketing” বলা হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং কি, এই ব্যাপারে আমার আর্টিকেল পোড়ে ভালো ভাবে জেনেনিতে পারবেন।
তাই, ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করে এই ব্যাপারে কেবল ৩ মাসের কোর্স করেই শিখে নিতে পারবেন। তাছাড়া, ইউটিউবে ভিডিও দেখে বা ব্লগের আর্টিকেল পোড়ে আপনারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিষয়ে সবটাই শিখে নিতে পারবেন।
তারপর, নিজের একটি digital marketing agency খুলে, নিজের ঘর থেকে বা যেকোনো অন্য জায়গার থেকে বিভিন্ন লোকাল কোম্পানি বা ওয়েবসাইটের জন্য internet marketing করতে পারবেন।
আজ, ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা প্রচুর এবং প্রত্যেকেই নিজের নিজের পণ্য, সার্ভিস বা ওয়েবসাইটের প্রচার অনলাইন ইন্টারনেটে করতে চান। তাই, এই ধরণের professional business আপনার জন্য অনেক লাভজনক বলে প্রমাণিত হতে পারে।
১৪. Catering service business
আজকাল বিভিন্ন বিয়ের ফাঙ্কশন, birthday function বা occasion গুলিতে খাবারের যোগান ধরার জন্য catering service এর প্রয়োজন হয়। এই ক্যাটারিং এর সার্ভিস খাবার বানানো থেকে পরিবেশন করা অব্দি সব দায়িত্ব নেন।
তাই, আপনারা একটি ক্যাটারিং এর সার্ভিস প্রদান করা ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বিভিন্ন বিয়ের ফাঙ্কশন, জন্মদিনের উৎসব বা অন্যান্য উৎসব গুলিতে খাবারের দায়িত্ব নিতে হবে। এবং, প্রথম অবস্থায় আপনার বেশি টাকার কোনো প্রয়োজন হবেনা।
কারণ, যাদের নিয়ে কাজ করবেন তাদের কন্ট্রাক্ট (contract) হিসেবে রাখতে হবে। প্রত্যেক ফাঙ্কশন বা উৎসব শেষ হওয়ার পর তার থেকে পাওয়া টাকার থেকে যার যার ভাগ দিয়ে আপনি শেষে নিজের লাভের অংশ রাখতে পারবেন।
১৫. Paper bag making
Paper দিয়ে বানানো অনেক রকমের ব্যাগ বা ঠোঙা বিভিন্ন দোকানে প্রয়োজন হয়। তাই, নিজের ঘরে পেপারের ব্যাগ তৈরি কোরে, সেগুলি বিভিন্ন দোকানে সাপ্লাই (supply) দিয়ে ভালো রকমের ব্যবসা করতে পারবেন। পেপারের ব্যাগ তৈরি করা ছাড়া, পেপার দিয়ে তৈরি করা ঠোঙা এবং চিঠির খাম তৈরি করেও সেগুলির ব্যবসা করতে পারবেন।
১৬. Momo stall
মোমো (momo) প্রত্যেক দেশের লোকেদের মধ্যে অনেক প্রচলিত ও প্রিয় ফাস্ট ফুড।
তাই, কিভাবে মোমো তৈরি করবেন, সেটা শিখে নিয়ে একটি ছোটো মোমোর দোকান দিতে পারবেন। আপনার হাথের মোমো খেয়ে যদি লোকেদের ভালো লালগে, তাহলে অনেক কম সময়ে আপনার এই মোমোর দোকানের ব্যবসা সফল হয়ে দাঁড়াবে।
এই ব্যবসা আপনারা যেকোনো ফুটপাত (footpath) বা রাস্তার কিনারে করতে পারবেন। মোমো তৈরি করার সামগ্রী এবং একটি momo steamer ছাড়া আপনার অন্য কোনো জিনিসে টাকা খরচ করতে হবেনা। Momo steamer ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার ভেতরেই পেয়ে যাবেন।
১৭. Chana stall or store
শুনে একটু আলাদা এবং অটপটা লাগতে পারে। তবে, আমাদের এখানে একটি দোকান আছে যেখানে কেবল চানা কিনতে পাওয়া যায়। হে, বিভিন্ন রকমের চানা যেগুলি একবার খেলেই বার বার খেতে মন করবে।
দোকানটির নাম হলো “laal chana bhandar“.
প্রত্যেক দিন হাজার হাজার টাকার চানা বিক্রি করছেন এই চানার দোকান। কিছু চানার মেনু যেগুলি তারা বিক্রি করেন, সেগুলি হলো –
Cheese muri
Cheese চানা
Cheese chat
Alu chat
Alu বাদাম
Cheese ভেল মুড়ি
Chips chat
Kurkure chat
Mix চানা
এই ধরণের একটি আলাদা ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে এই দোকানের মালিক কিছু বছর আগে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এবং, এখন তিনি অনেক ভালো পরিমানে টাকা আয় করছেন। আপনারাও এরকম ধরণের একটি চানার দোকান খুলতে পারেন, যেখানে বিভিন্ন রকমের চানার আইটেম বানিয়ে লোকেদের খাওয়াতে পারবেন।
বিভিন্ন ছানার রেসিপির আলাদা আলাদা দাম আপনি লোকেদের থেকে নিতে পারবেন। তাছাড়া, এই ধরণের ব্যবসাতে খরচের পরিমান অনেক কম যদিও লাভের সুযোগ অনেক বেশি।
18. Reselling Business:
বর্তমান সময়ে আপনি প্রায় ১০ হাজার টাকা বিয়োগ করে একটি পুনঃবিক্রয় ব্যবসা বা রিসেলিং ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই ধরণের ব্যবসাতে আপনাকে পণ্য গুলোকে পাইকারি বাজার থেকে কিনে নিতে হয় এবং কিছুটা লাভের মার্জিন রেখে সেগুলোকে আবার রিটেল বাজারে বিক্রি করতে হয়। পণ্য গুলোকে তাড়াতাড়ি বিক্রি করার জন্য আপনি Amazon, Flipkart, eBay ইত্যাদির মতো ই-কমার্স প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
১৯. Photography:
বর্তমান সময়ে যেকোনো ছোট বড় ইভেন্ট, পার্টি, বিয়ে ইত্যাদিতে একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার না থাকলে কাজ চলেনা।
প্রত্যেকেই তাদের প্রিয় উপলক্ষ্যে ডিজিটাল ছবি তোলার মাধ্যমে সেগুলোকে চিরকাল মনে রাখতে চান। এক্ষেত্রে, যদি আপনার মধ্যে ফোটোগ্রাফির স্কিল থাকে তাহলে কিছু দিন একটি ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে প্রাকটিস করার পর এই কাজ শুরু করতে পারবেন।
একটি প্রফেশনাল ডিজিটাল ক্যামেরা কিনতে গেলে অনেক টাকা লাগবে যদিও আপনি EMI-এর মাধ্যমে ক্যামেরা কিনে বা ভাড়াটে পাওয়া ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে নিজের কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। এছাড়া, অনলাইনে এরকম প্রচুর ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে নিজের তুলা ছবি গুলোকে বিক্রি করা যাবে।
২০. House Cleaning Services:
বর্তমান সময়ে এরকম প্রচুর দপ্তর বা ঘর গুলো রয়েছেন যারা একটি প্রফেশনাল ক্লিনিং সার্ভিস খুঁজে থাকেন তাদের ঘর বা দপ্তর গুলো পরিষ্কার করানোর উদ্দেশ্যে। এই ধরণের ব্যবসাতে আপনাকে কিছু সাধারণ পরিষ্কার করার মালপত্র এবং ক্লিনিং স্টাফ এর প্রয়োজন হবে।
আপনাকে এমন লোক জোগাড় করতে পারেন যারা আপনার জন্যে দিন হাজিরা হিসেবে কাজ করতে পারবে। প্রত্যেকটি কাজ সম্পূর্ণ করার পর যেই টাকা পাবেন সেখান থেকে তাদের হাজিরা দিয়ে বাকি টাকা আপনি রাখতে পারবেন।
২১. Web Designing:
আজকাল বেশিরভাগ ব্যক্তি, কোম্পানি এবং সংগঠন গুলো তাদের নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনে লঞ্চ করতে চান। তাই, কিভাবে ওয়েবসাইট বানাতে হয় এই বিষয়ে যদি আপনি শিখে নিতে পারেন, তাহলে ওয়েবসাইট তৈরি ও ডিজাইন করে অনেক টাকা ইনকাম করা যাবে। এছাড়া, এই ব্যবসা আপনারা সম্পূর্ণ পার্ট-টাইম ব্যবসা হিসেবেও শুরু করতে পারবেন।
২২. Custom Gift Shop:
ব্যবসাতে বিনিয়োগ করার জন্য আপনার কাছে যদি অনেক কম টাকা রয়েছে, তাহলে আপনি ১০ হাজার টাকার মতো কম ইনভেস্টমেন্ট এর সাথে একটি গিফ্ট স্টোর খুলতে পারেন। একটি ছোট দোকান নিয়ে হাতে তৈরি করা উপহার গুলো তৈরি করে বিক্রি করুন।
২৩. Tea Stall:
একটি ছোট চায়ের দোকান খোলার জন্য আপনার ১০ হাজার টাকারও প্রয়োজন হবেনা। প্রায় ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এছাড়া, চাইলে চায়ের সাথে সাথে চপ বা সিঙ্গারা ইত্যাদি বিক্রি করতে পারবেন। একটি চায়ের দোকান অনেক কম টাকা বিয়োগ করে শুরু করলেও এর থেকে প্রচুর লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২৪. Online tutoring:
আপনার মধ্যে যদি কোনো বিশেষ অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা রয়েছে তাহলে আপনি অনলাইন ক্লাস করানোর মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের সাহায্য করতে পারবেন এবং ঘরে বসেই প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেকোন অনেকেই অনলাইনে গান, গিটার, তবলা, ছবি আঁকা ইত্যাদি নানান স্কিল গুলো ছাত্র ছাত্রীদের শিখিয়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। এর জন্যে আপনি ইউটিউব বা জুম অ্যাপ এর মতো প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
২৫. Yoga / Gym trainer
আপনার একজন অভিজ্ঞ যোগব্যায়াম শিক্ষক বা জিম ট্রেইনার হিসেবে পার্ট-টাইম কাজ করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে, এক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত রুচি, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকা দরকার। যদি আপনি এমন একজন ব্যক্তি, তাহলে আসে পাশে থাকা জিম বা যোগব্যায়াম কেন্দ্র গুলোতে গিয়ে কথা বলে দেখতে পারবেন।
আমাদের শেষ কথা,
তাহলে বন্ধুরা, আপনারা যদি মাত্র ১০ হাজারের মতো অনেক কম টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন, তাহলে চাইলে ওপরে বলা ব্যবসা গুলির থেকে যেকোনো একটি করে নিতে পারবেন। তাছাড়া, এই ছোট ব্যবসা গুলোকে আপনারা পার্ট-টাইম হিসেবেও শুরু করতে পারবেন। আমাদের আজকের এই, ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া আপনাদের কেমন লাগলো সেটা নিচে কমেন্ট করে বলতে ভুলবেননা।
0 responses on "১০ হাজার টাকায় শুরু করা যাবে এমন ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া – ২০২৩"