• No products in the cart.

হোস্টিং কেনার আগে ধ্যান রাখতে হবে ৫ টি জরুরি কথার – (Hosting guide)

ওয়েব হোস্টিং কি ? এবেপারে আমি আগেই আমার আর্টিকেলে আপনাদের ভালো করে বুঝিয়ে বলেছি। একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ খোলার আগেই, সব থেকে জরুরি জিনিস, যেটার ওপর আপনার ধ্যান দিতে হবে সেটা হলো “Web hosting“. আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের সফলতার জন্য একটি ভালো হোস্টিং অনেক রকমে দায়ী এবং সেটা আপনার আগেই জেনে রাখাটা দরকার। তাই, আমি আমার ব্লগ স্টার্ট (start) করার সময় যেই ভুল গুলি করেছি, চাইনা সেগুলি আপনারাও করেন।

এই উদ্দেশে, এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট খোলার জন্য কেমন হোস্টিং নিতে হবেকোন হোস্টিং ভালো এবং হোস্টিং কেনার আগে আপনাদের কোন জিনিস গুলির ওপরে ধ্যান দিতে হবে সেগুলি সব বুঝিয়ে বলবো। হে, প্রথমে আমি অনেক ভুল করেছি আমার blogging ক্যারিয়ারে। কিন্তু এখন blogging এর ৬ বছর এক্সপেরিয়েন্স হয়েছে এবং তাই আমি আপনাদের সেই ভুলগুলি করতে দিবোনা।

সবচে আগেই, আপনি এইটা অবশই ভেবেনিবেন যে আপনি ব্লগ বা ওয়েবসাইট কেন এবং কি ভেবে বানাচ্ছেন। যদি আপনি আপনার ব্লোগ্গিং বিসনেস বা একটি বিসনেস ওয়েবসাইট অনলাইন ইনকামের দূর দৃষ্টি (vision) রেখে খুলছেন, তাহলে একটি হোস্টিং সার্ভিস কেনার আগে আপনার অনেক জরুরি কিছু জিনিসের খেয়াল রাখতেই হবে। কারণ, এইটা আপনার অনলাইন বিসনেস এবং সফলতার ব্যাপারে কথা হচ্ছে। শেষে এইটা অবশই মনে রাখবেন, ইন্টারনেটে হাজার হাজার ব্লগ ওয়েবসাইট আগের থেকেই রয়েছে যারা সর্ব গুণ সম্পন্ন (perfect) বললে আমি ভুল হবোনা।

তাই, ইন্টারনেটের এই বিশাল মেলাতে যদি আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটকে সেই সর্ব গুণ সম্পন্ন ওয়েবসাইট গুলির সাথে সংকলন (competition) দিতে চান এবং নিজের ওয়েবসাইটকে একটি ভালো ভবিষৎ দিতে চান, তাহলে আপনার সব ছোট বোরো জিনিসের প্রতি লক্ষ করে blogging এ আগে বাড়তে হবে। এবং, আপনি যদি নিজের ওয়েবসাইটের জন্য একটি ভালো ওয়েব হোস্টিং না বেঁচে নেন, তাহলে সেটা আপনার অনেক বোরো ভুল প্রমাণিত হবে।

তাহোলে, ব্লগের জন্য কেমন হোস্টিং নিতে হবে ? হোস্টিং কেনার আগে কি বিষয়ে আপনার জানা দরকার এবং কোন ওয়েব হোস্টিং ভালো হবে ? এই সব প্রশ্নোর উত্তর আমরা নিচে জেনে নেই।

ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে খেয়াল রাখবেন ৫ টি জিনিসের (Web hosting guide)

নিজের ওয়েবসাইটের জন্য কেমন হোস্টিং নিবেন বা কোথাথেকে হোস্টিং কিনবেন সেটার নির্বাচন করাটা তেমন কোনো কঠিন কাজ নোই। কিন্তু হে, যারা blogging এ নতুন তাদের জন্য, একটি ভালো হোস্টিং কোনটা, সেটা বেঁচে বারকরাটা অনেক কঠিন কাজ প্রমাণিত হতে পারে। এবং তাই, তাদের জন্যই নিচে ৫ টি প্রধান বিন্দু (point) এর ওপর আমি আপনাদের বুঝিয়ে দেব যে, কোন হোস্টিং ভালো বা ওয়েবসাইটের জন্য কেমন হোস্টিং আপনার কেনা দরকার।

5 Important things to know before buying web hosting

নিচে দেয়া ভাগ গুলি অনেক ভালো করে পড়বেন এবং তারপর আপনি নিজের নতুন ব্লগের জন্য একটি ভালো হোস্টিং কিভাবে কিনবেন, এর জ্ঞান আপনার অবশই হয়ে যাবে।

১. First time charge and renewal cost

মনে রাখবেন আজকাল সব ভালো ভালো এবং নামকরা হোস্টিং কোম্পানিরা আপনার প্রথম purchase এ আপনাকে ভালো সংখ্যায় ডিসকাউন্ট (discount) দেন। মানে, আপনি যখন প্রথম বারের জন্য হোস্টিং প্যাকেজ কিনবেন তখন প্রায় ৩০ % থেকে ৫০% অব্দি discount পেয়েযাবার সুযোগ আপনাকে দেয়া হয়। এক্ষেত্রে, চেষ্টা করবেন আপনি যাতে একেবারে ৬ মাস বা ১ বছরের জন্য হোস্টিং কিনে রাখুন। এতে আপনি অনেক ভালো সংখ্যায় ছাড় (discount) পেয়েযাবেন। শেষে, ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে সব সময় হোস্টিং অফার এবং ডিসকাউন্ট এর বেপারে গুগল এ সার্চ করে দেখে নিবেন।

কিন্তু, কেবল প্রথম purchase এর ডিসকাউন্ট দেখলেই আপনার হবেনা। আপনার, renewal cost ও দেখতে হবে। মানে, যখন আপনার কিনে নেয়া hosting plan এর আবার রিনিউ করার সময় আসবে, তখন আপনার কত টাকা দিতে হবে সেটাও আপনার দেখে বা জেনে রাখাটা দরকার। কারণ, অনেক সময় first hosting purchase এ আপনাকে অনেক ভালো discount দেয়া হয় কিন্তু তারপর renewal এর সময় আপনার থেকে দুগুণ টাকা নিয়ে নেয়। তাই, আগেই এসব বেপারে জেনে রাখাটা আপনার জন্য অনেক দরকার।

২. Security এবং backup এর বেপারে

আমরা কমদামি হোস্টিং কেনার চক্করে অনেক সময় লোকাল এবং কিছু না দেখেই হোস্টিং প্ল্যান কিনে নেই। কিন্তু, এইটা পরে গিয়ে আমাদের ব্লগের জন্য অনেক ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। কারণ, যেখান থেকে আপনি হোস্টিং নিচ্ছেন সেই ওয়েব সার্ভার অনলাইন ভাইরাস বা malware এর সংস্পর্শতে আসতেই পারে। এবং, যদি আপনার হোস্টিং কোম্পানি আপনাকে automatic website backup এবং restore এর সুযোগ না দেন, তাহলে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট সেখানে একদম সুরক্ষিত না।

কারণ যদি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে কোনো অনলাইন ভাইরাস আক্রমণ করে তাহলে backup এবং restore এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে আবার ভালো অবস্থায় নিয়ে যেতে পারবেন। তাছাড়া, কোনো দিন যদি আপনার ওয়েবসাইটে কোনো গন্ডগোল হয়েযায়, কিছু ফাইল ডিলিট হয়ে যায় তখন ও backup restore এর মাধ্যমে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট ভালো অবস্থায় নিয়ে যাওয়া যাবে।

তাই, সব সময় মনে রাখবেন, যখনি হোস্টিং কেনার কথা আপনি ভাবছেন তাহলে এমন hosting provider থেকেই web hosting কিনবেন যারা আপনাকে ফ্রি website backup এর সুবিধা দিবেন।

৩. Uptime এবং downtime

Uptime হলো সেই সময়টা যখন আমাদের ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাথে জড়িত ওয়েব সার্ভার ইন্টারনেটে সব সময় সক্রিয় (active) থাকে। এবং, Downtime হলো সেই সময়টা যখন আমাদের ওয়েব সার্ভার ইন্টারনেটে সক্রিয় থাকেনা এবং ফলে আমাদের ব্লগ বা ওয়েবসাইট ও খুলতে পারা যায়না। ওয়েব সার্ভার বা ওয়েবসাইট ডাউন (down) থাকার ফলে আপনার ব্লগে আশা ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইট খুলতে পারবেনা এবং সেটা আপনার ওয়েবসাইটের খ্যাতির (reputation) জন্য অনেক খারাপ প্রমাণিত হবে।

এবং, অনেক বেশি downtime হলে গুগল এবং অন্য সার্চ ইঞ্জিন আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট কখনোই তার সার্চ ইঞ্জিনে ভালো ভাবে rank করবেন। এবং, যদি আপনি ওয়েবসাইটে Google adsense দ্বারা টাকা আয় করছেন, তাহলে এই ক্ষেত্রেও আপনার লোকসান হবে।

তাই, যেখান থেকে হোস্টিং কেনার কথা ভাবছেন আগে সেই hosting provider এর uptime এবং downtime history র বেপারে জেনেই তার থেকে হোস্টিং কিনুন। আপনি গুগল এ সার্চ করে review পোড়ে এবেপারে জেনেনিতে পারবেন।

৪. Customer support quality

যদি আপনি একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানানোর কথা ভাবছেন, তাহলে আপনার ওয়েব হোস্টিং কোম্পানির থেকে সাহায্যের প্রয়োজন আজ নাহয় কাল হবেই। কারণ, আপনি হয়তো সবটাই নিজের থেকে নাও করতে পারেন। তাই সব সময় দেখবেন, যাতে আপনার ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি আপনাকে ২৪/৭ (২৪ ঘন্টা) যেকোনো সময় যেকোনো problem এর জন্য যাতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য তৈরি থাকেন। যখনি আপনি হোস্টিং এর সাথে জড়িত কোনো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তখনি কম থেকে কম সময়ের মধ্যে যাতে support আপনার সমস্যার সমাধান দিয়ে দিতে পারে। এবং, এটাই একটি quality এবং বেস্ট ওয়েব হোস্টিং এর প্রথম লক্ষণ।

৫. Check review and rating

যেকোনো হোস্টিং কোম্পানির থেকে ওয়েব হোস্টিং প্যাকেজ নেয়ার আগে, আপনি অবশই সেই কোম্পানির হোস্টিং quality, জনপ্রিয়তা এবং মার্কেটে তার ছবি কিরকম সেটা জেনেনিবেন। আপনি এবেপারে Google search এ কোম্পানিটির বিষয়ে সার্চ করে অনেক রিভিউ পরে জেনেনিতে পারবেন। যদি তার জনপ্রিয়তা অনেক এবং মার্কেটে তার নাম আছে, তাহলে সে অবশই আপনার জন্য ভালো এবং high quality hosting provider হিসেবে প্রমাণিত হবে।

কারণ, নাম, জনপ্রিয়তা এবং ভালো ছবি কেবল এক দিনেই হয়না। অনেক ভালো কাজ করার পর একটি কোম্পানির নাম হয়। আমি নিজেই, আমার ব্লগ এর জন্য কোন হোস্টিং নিবো, কোন হোস্টিং ভালো হবে এগুলি নিয়ে অনেক চিন্তিত ছিলাম।

কিন্তু তার পর, অনেক কোম্পানির বেপারে গুগলে সার্চ করে জানানর পর আমি আমার ব্লগের জন্য ভালো হোস্টিং নিতে সফল প্রমাণিত হলাম। তাই, সব সময় review এবং rating দেখেই যেকোনো hosting company র বাচাই করবেন।

Extra tip: কোন হোস্টিং কিনবো (requirement)

এখন, শেষে আপনার শেসে এইটা অবশই ধ্যান রাখতে হবে যে, “আপনি কোন হোস্টিং এর বাছাই করবেন”. মানে, আপনি হয়তো জানেন আজ প্রয়োজনীয়তা হিসেবে ওয়েব হোস্টিং কোম্পানিরা আমাদের অনেক ভালো ভালো হোস্টিং প্রোডাক্ট প্রদান করেন। যেমন, shared hostingcloud hostingvps hostingWordPress hosting বা dedicated server .

এতগুলি হোস্টিং প্রোডাক্ট থেকে আপনি কোনটা কিনলে ভালো হবে ?

মনে রাখবেন, আপনি যদি নতুন একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানাচ্ছেন, তাহলে shared hosting দিয়ে শুরু করতে পারেন। shared হোস্টিং অনেক কম টাকায় আপনি পেয়েযাবেন। কিন্তু, শেয়ার্ড হোস্টিং এর ক্ষেত্রে মনে রাখবেন আপনি যাতে অনেক ভালো জায়গার থেকে এই হোস্টিং কিনেন।

তাছাড়া, আপনি যদি একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট বানানোর কথা ভাবছেন তাহলে সব থেকে ভালো হোস্টিং হবে WordPress optimized hosting . WordPress হোস্টিং শেয়ার্ড হোস্টিং এর থেকে একটু দামি কিন্তু এ অনেক অনেক ভালো এবং সব দিক দিয়েই সক্ষম। আপনার ওয়েবসাইট অনেক দ্রুত এবং ফাস্ট কাজ করবে, ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং এ আপনাকে automatic website backup এর অপসন দেয়া হয়, malware এবং virus scan এর সুবিধা থাকে, বেশি CPU এবং RAM আপনার ওয়েবসাইটকে শক্তিশালী করে তোলে।

এই হোস্টিং কেবল WordPress ওয়েবসাইটের জন্যই এবং যদি আপনি একটি ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ বানানোর কথা ভাবছেন তাহলে আমি আপনাকে এই হোস্টিং নেয়ার কথা বলবো।

তাছাড়া, আপনি Cloud hosting এর বাছাই করতে পারেন। WordPress হোস্টিং এর মতোই ক্লাউড হোস্টিং অনেক ফাস্ট, শক্তিশালী এবং সব ধরণের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য আপনি এর ব্যবহার করতে পারবেন। আজ, ক্লাউড হোস্টিং সবথেকে বেশি ব্যবহার হচ্ছে এর ফাস্ট এবং দ্রুত performance এর জন্য। এই রকমের হোস্টিং অনেক নিরাপদ এবং নিজের প্রয়োজন অনুসৰি আপনি এর শক্তি বাড়িয়ে এবং কমিয়ে নিতে পারবেন। তাছাড়া, uptime এর কথা বললে, এইদিকদিয়েও এর আপনার লাভ হবে। কারণ, cloud based হোস্টিং হওয়ার জন্য এর downtime অনেক অনেক কম। এর দাম শেয়ার্ড হোস্টিং থেকে একটু বেশি। কিন্তু, আপনি যদি নিজের ব্লগ এবং অনলাইন বিসনেস নিয়ে serious, তাহলে এই ধরণের হোস্টিং আপনার জন্য অনেক লাভ জনক হবে।

শেষে, আপনি যদি আমাকে জিগেশ করেন কোন ওয়েব হোস্টিং ভালো হবে, আমি বলবো WordPress hosting বা Cloud hosting দুটোই ভালো এবং সব দিকদিয়ে সক্ষম। এরা, দ্রুত, ফাস্ট, downtime কম, automatic backup বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পাওয়া যায়, শক্তিশালী এবং high ট্রাফিক আরামেই সয্য করতে পারে। আমি আমার ব্লগের জন্য এই দুটি হোস্টিং ব্যবহার করি এবং দুটোই ভালো প্রমাণিত হয়েছে।

আমাদের শেষ কথা,

তাহলে বন্ধুরা আশা করি, হোস্টিং কেনার আগে আপনাদের কোন জিনিস গুলির ওপরে নজর দেয়া দরকার এবং কোন ওয়েব হোস্টিং আপনার ব্লগের জন্য ভালো হবে, এবেপারে আমি আপনাদের সমাধান দিতে সক্ষম হলাম। যদি, আপনাদের অন্য কোনো প্রশ্ন বা সমস্যা থাকে হোস্টিং নিয়ে, তাহলে আমাকে নিচে কমেন্ট করুন। এবং, আর্টিকেল ভালো লাগলে আমার এই পোস্ট শেয়ার অবশই করবেন। ধন্যবাদ।

0 responses on "হোস্টিং কেনার আগে ধ্যান রাখতে হবে ৫ টি জরুরি কথার – (Hosting guide)"

Leave a Reply

© Technial Bangla. All rights reserved. 2025