• No products in the cart.

সেরা ১৩টি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলোর নাম – (২০২৩)

অনলাইনে কাজ করে একটি ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করাটা আজ অনেক সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা, আজ অনলাইনের জগতে এরকম প্রচুর টাকা ইনকাম ওয়েবসাইট গুলো রয়েছে যেগুলি ব্যবহার করে আপনিও অনলাইনে নিয়মিত রোজগার করতে পারবেন। এছাড়া, এই জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলোর থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলিও অনেক সহ। আর তাই আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা, অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলো কি কি এবং এগুলো ব্যবহার করে কিভাবে ইনকাম করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি।

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এক্সট্রা আয়ের একটা স্থায়ী উৎস থাকা সবসময়ই ভালো। আমরা মনে করি যে, বেশ কয়েকটি এমন সব সেরা উপার্জনকারী ওয়েবসাইট রয়েছে; যা আপনাকে অনলাইনে একটা ভালো উপার্জনের সুযোগ করে তুলতে সাহায্য করতে পারে।
এমনকি, এই উপার্জনকারী ওয়েবসাইট গুলো থেকে টাকা রোজগারের জন্যে বিশেষ কোনো দক্ষতার প্রয়োজনও হয় না।

মূলত, আপনি যেকোনো দক্ষতা ছাড়াই এই ওয়েবসাইট গুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন আর প্রয়োজনের সাথে সাথে নিজেই নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে নিয়ে যথেষ্ট অর্থ লাভ করতে পারবেন।

আর, আপনার মনে যদি কোনো সন্দেহ থাকে, যে এইসব অর্থ উপার্জনকারী ওয়েবসাইটগুলো নির্ভরযোগ্য বা ব্যবহারের পক্ষে সহজ কি না, তবে, আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি আপনার মনের সমস্ত সন্দেহ নিশ্চিন্তে দূর করতে পারবেন।

বর্তমানের সেরা টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট: ২০২৩

এখানে, আমরা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অনলাইন অর্থ উপার্জনের ওয়েবসাইটের লিস্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি, যেখান থেকে আপনি স্বল্প বা কোনোরকম বিনিয়োগ বা ঝামেলা ছাড়াই আপনার আয়ের পরিমাণ বাড়াতে পারবেন।

১. মার্চ বাই আমাজন (Merch by Amazon):

অ্যামাজন ইন্ডিয়ার মার্চ বাই আমাজন হল ভারতীয়দের জন্যে তৈরী একটি জনপ্রিয় প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড প্ল্যাটফর্ম। আপনি ভালো ডিজাইনার হয়ে থাকলে এটি আপনার কাছে আয়ের একটি লাভজনক উৎস হতে পারে।

অন্যান্য প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড প্ল্যাটফর্মের থেকে আমাজনের জনপ্রিয়তা বেশি হওয়ায়, এর ওয়েবসাইটে সবসময়েই বেশি ট্রাফিক পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ, এখান থেকে আপনি আপনার ডিজাইনের জন্য যথেষ্ট সহজেই ক্রেতা পেতে পারেন।

কাজের ধরণ:

আপনাকে মার্চ বাই আমাজন ইন্ডিয়াকে বোঝাতে হবে, যে আপনার কাছে উচ্চ-মানের প্রয়োজনীয় ডিজাইন দক্ষতা রয়েছে ও আপনি চাহিদা অনুযায়ী প্রিন্টের ব্যবসা চালাতে সক্ষম।

যেহেতু, এটি একটি ভিজ্যুয়াল প্ল্যাটফর্ম, তাই আপনাকে আপনার ডিজাইনগুলোকে সর্বোচ্চ মানের করে তুলতে হবে। আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইনার না হন, তবে আপনাকে তা শিখতে হবে বা ফ্রিল্যান্স ডিজাইনার নিয়োগ করতে হবে।

বিশেষত্ব:

আপনি থ্রেডবাস্কেটের মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে লাইসেন্সকৃত ডিজাইনের উৎস বেছে নিতে পারেন। এখানে এমন ডিজাইন থাকে, যা মার্চ বাই অ্যামাজনের মতো যেকোনো প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা যেতে পারে।

তবে, সমস্ত ডিজাইনগুলো ক্রিয়েটিভ, আকর্ষণীয়, উচ্চ-মানের হতে হবে। আর, একবার আপনি একই ডিজাইনগুলো কিনলে, আপনি এর লাইসেন্সও পাবেন।আপনি যে ডিজাইনগুলো করবেন, তা যেকোনো একটি নির্দিষ্ট ধারার হতে হবে।

অসুবিধা:

ভারতের অনেক ব্যবহারকারীর জন্য সম্ভবত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটি হল এর পেমেন্টের ব্যবস্থাটি। এখানে, আপনার পেমেন্ট পাওয়ার জন্যে Payoneer-এর একাউন্ট খুলতে হবে। আর, এখানে আপনার পেমেন্ট আমেরিকান ডলারে আসবে।

২. ডিজিটালমার্কেট (DigitalMarket):

ডিজিটালমার্কেট হল একটি অনলাইন উপার্জনের সাইট। এখান থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতারা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত পরিষেবাগুলো পেয়ে বা দিয়ে থাকে।

কাজের ধরণ:

কোনো ধরনের তৃতীয় ব্যক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়াই এটি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সরাসরি সংযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

বিশেষত্ব:

এখানে খুব সহজেই বিশ্বস্ত অ্যাফিলিয়েট, মার্কেটিং, ব্লগ, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদির মতো ক্রয় ও বিক্রয় করার জন্য নানান অনলাইন পরিষেবা পাওয়া যায়।

অসুবিধা:

এই ওয়েবসাইটটির পরিষেবাগুলো অনেকটাই ব্যয়সাপেক্ষ।

এখান থেকে পরিষেবা নিতে গেলে একটু বেশি পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়।

৩. সাটারস্টক (Shutterstock):

আপনি ফটোগ্রাফিতে দক্ষ হলে সাটারস্টক হল আপনার জন্যে সেরা স্টক ফটোগ্রাফির ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে একটি। এটি যথেষ্ট পুরোনো, বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের মধ্যে বহুলভাবে পরিচিত।

কাজের ধরণ:

এখানে আপনি বিনামূল্যে ছবি আপলোড করতে পারেন। এটির সাথে কাজ করা বেশ সহজ আর সময়ের সাথে বেশ লাভজনকও বটে। আর, প্রতিটি ডাউনলোডের জন্য আপনার ফটোগুলো স্টক পায়। সেই অনুযায়ী আপনি একটি রয়্যালটি পান এবং এর থেকে আপনার অর্থ লাভ হয়।

বিশেষত্ব:

এই ওয়েবসাইটটি আপনার সৃজনশীলতা কপিরাইট নিয়ে যথেষ্ট দায়িত্ববান।

অসুবিধা:

এখানে আপনাকে আমেরিকান ডলারে পেমেন্ট করা হয়। তার জন্যে বাধ্যতামূলকভাবে আপনাকে একটি আমেরিকান ডলারের একাউন্ট খুলতে হবে।

৪. আপওয়ার্ক (Upwork):

এটি হল মূলত একটি মিটিং সাইট। এখানে সারা বিশ্বের ব্যবসায়ীরা ও ফ্রিল্যান্সাররা কিছু নির্দিষ্ট প্রকল্পের কাজে সংযুক্ত হতে পারে। নানা ব্যবসাগুলো বিভিন্ন ধরণের পরিষেবার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ করে। এই কাজের মধ্যে পড়ে লেখা, ওয়েব ডিজাইনিং, এসইও ক্যাম্পাইনিং ও কম্পিউটারের নানান ধরণের কাজ।

কাজের ধরণ:

এখানে ফ্রীলান্স ওয়ার্কারদের জন্যে নানান ধরণের কনটেন্ট রাইটিং, ডিজাইনিং ও সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত কাজের প্রজেক্ট অফার করা হয়ে থাকে।

বিশেষত্ব:

এই ওয়েবসাইটটি আপনার কাজের বিনিময়ে ৫ থেকে ২০% পর্যন্ত কমিশন নিতে পারে।

তবে, এখানে আপনি যত বেশি অর্থ উপার্জন করবেন, কমিশনের পরিমাণ ততই কমতে থাকে।

অসুবিধা:

আপওয়ার্ক এতটাই জনপ্রিয়, যে এখানে প্রচুর প্রতিযোগিতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে, এই সাইটে যারা নতুন তাদের জন্য এই প্রতিযোগিতা অসুবিধাজনক হতে পারে।

৫. নিওবাক্স (NeoBux):

এটি একটি বহুদিনের পুরোনো ও বিশ্বস্ত অনলাইন টাকা উপার্জনের পিটিসি (পেইড টু ক্লিক) সাইট। এটি নতুন উপায়গুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে তাদের ব্যবসাটিকে আরও প্রসারিত করেছে। নিওবাক্স-এর সাহায্যে আপনি ভারতে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

কাজের ধরণ:

অন্যান্য PTC ওয়েবসাইটগুলোর থেকে এই নিওবাক্স-এর পরিষেবাগুলো অনেকটাই আলাদা। এখান থেকে আপনি সার্ভে করা, ভিডিও দেখা ও গেমস খেলার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন৷

বিশেষত্ব:

মূলত, এই ওয়েবসাইটটি রেফারেল ব্যবহার করে ইনকাম করার সুযোগ দেয়। আপনার রেফারেল কোড ধরে যখন কেউ এই অনলাইন উপার্জন সাইটে লগ ইন করে তখনই আপনি টাকা পান। তাই, আপনি যত বেশি করে এই কোডগুলি শেয়ার করবেন, ততই আপনি রোজগার করতে পারবেন।

অসুবিধা:

রেফারেল কোডের উপর অর্থ রোজগার অনেকটাই নির্ভরশীল।

৬. ফাইভার (Fiverr):

ডিজিটাল অ্যানিমেশন সম্পর্কে আপনার দক্ষতা থাকলে এই ফাইভার সাইটটি আপনার জন্যে অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে। এটি ফ্রীলান্সারদের জন্যেও যথেষ্ট ভালো একটা ওয়েবসাইট। এখানে আপনি নগদ অর্থের বিনিময়ে অন্যের জন্যে ওয়েব রিসার্চ কম্পাইল করার কাজও করতে পারেন।

কাজের ধরণ:

আপনি Fiverr প্রোফাইল ও বিবরণগুলো ভালভাবে তৈরী করার অপশন পাবেন। আপনি এখানে সরাসরি ক্লায়েন্টদের সাথে কথোপকথন করে তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।

বিশেষত্ব:

এখানে ফ্রীলান্সারদের নিযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। খুব সুন্দরভাবে এখানে প্রোফাইল তৈরী ও হাইলাইট করা যায়। এখানে প্রায় ৫০০-ওরও বেশি জীবিকার জন্যে অ্যাপ্লাই করা সম্ভব।

অসুবিধা:

যেহেতু অনেক মানুষই এখান থেকে রোজগারের পথ খুঁজছেন, তাই এখানে অনেক কম টাকার বিনিময়ে ফ্রিল্যান্সদের কাজ করে থাকতে হয়। সেই জন্যেই আপনাকে আপনার অর্থের চাহিদার সাথে মিলছে এখন ক্লায়েন্টদের প্রজেক্ট ধরতে হবে।

৭. ওয়াইসেন্স (YSense):

বিশ্বের শীর্ষ উপার্জনকারী ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে একটি হল এই ওয়াইসেন্স। নিওবাক্স-এর মতো এটিও ভারতের সেরা উপার্জনকারী PTC ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে অন্যতম।

কাজের ধরণ:

এটি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করে তাদের বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে সমীক্ষা করতে সাহায্য করে। এখানে আপনাকে ইউসার-ফ্রেন্ডলিনেস, ডিসাইন, রঙ, ইত্যাদি সম্পর্কে নানান ধরণের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়৷

এমনকি, ভবিষ্যতে কোম্পানির দ্বারা প্রকাশিত পণ্যগুলিকে প্রভাবিত করতে আপনার হাত থাকতে পারে। এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন পণ্য কোম্পানির মাধ্যমে আপনাকে উপার্জন করার সুযোগ দেওয়া হয়। এখানে মূলত দুইটি ধাপে টাকা রোজগার করা সম্ভব।

প্রথমে আপনাকে লগ ইন করে বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। তারপরে, সেখানকার বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করে অথবা দ্রুত নগদ রোজগার করা শুরু করতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সাইন আপ করতে হবে।

বিশেষত্ব:

এখানে আপনি কোনো ধরণের বিনিয়োগ ছাড়াই অর্থ উপার্জনের বিভিন্ন সহজ উপায় খুঁজে পাবেন।

অসুবিধা:

একসাথে অনেকগুলো অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয় ও অনেক পণ্য ব্যবহার করতে হয়।

৮. অ্যাটসি (Etsy)

অ্যাটসি হল অতি জনপ্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে একটি।

কাজের ধরণ:

আপনি যদি শিল্পী হন বা আপনি কাস্টম গয়না তৈরী করেন বা বুটিক চালিয়ে থাকেন, তবে অ্যাটসি হল আপনার পণ্য বিক্রি করার সেরা অনলাইন মাধ্যম।

বিশেষত্ব:

এই সাইটটি নেভিগেট করা অনেকটাই সহজ।

এখানে কোনোরকম কোনো ঝামেলা ছাড়াই দোকান সেট আপ করা যায়।

অসুবিধা:

এই ওয়েবসাইটটি জনপ্রিয় হওয়ার কারণে অনেক প্রতিযোগিতা রয়েছে। অন্যদিকে, এটির ব্র্যান্ডিং অনেকটাই বেশি আর এই কারণেই অনেক লোক এটার বিষয়ে জানে। কিন্তু, এখানে আপনি একবার আপনার পণ্য জমা দিলে, আপনি অসংখ্য বিক্রয়দাতাদের মধ্যে একজন হয়ে যাচ্ছেন। যেটা আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে আশঙ্কাজনক হতে পারে।

৯. গুগল অ্যাডসেন্স (Google Adsense):

আপনারা সবাই কম-বেশি এই গুগল অ্যাডসেন্স-এর কথা শুনে থাকবেন হয়তো। শুধুমাত্র আপনার ব্লগ, ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকলেই আপনি সহজে এটিকে ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে কোনো প্রাথমিক বিনিয়োগ ছাড়াই ঘরে বসে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

কাজের ধরণ:

প্রধানত, এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রোগ্রাম। যেটাতে আপনি বিনামূল্যে রেজিস্টার করতে পারেন। রেজিস্টার করা হয়ে গেলে আপনি একটি কোড পাবেন। এই কোডটিকে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে যোগ করতে পারেন।

আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন বাছতে পারবেন। বিজ্ঞাপনটি ওয়েবপেজের কোথায় দেখতে চাইছেন, সেটাও নির্বাচন করতে পারবেন। টাকার হিসাবপত্র গুগল অ্যাডসেন্স নিজেই রাখে।

বিশেষত্ব:

যেকোনো ওয়েবসাইট থাকলেই এটিকে সক্রিয় করা যায়। এখানে আপনাকে আলাদা করে কোনো টাকা দিতে হয় না।

অসুবিধা:

আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বেশি থাকলে, তবেই এটি ভালোভাবে এডভার্টাইসমেন্ট আনতে পারে।

১০. জিরোধা (Zerodha):

জিরোধা হল বর্তমানের একটি জনপ্রিয় স্টক ট্রেডিং কোম্পানি। এখানে আপনি খুব অল্প বিনিয়োগের মাধ্যমেই অনেকটা অর্থ উপার্জন করতে পারবেন, তাও আবার খুব কম সময়ের মধ্যেই। এটি হল ভারতের সবচেয়ে বড় স্টক ব্রোকার।

কাজের ধরণ:

এখানে আপনি স্টক, ডিরাইভেটিভস, মিউচুয়াল ফান্ড ও আরও অনেক কিছুতে বিনিয়োগ করে অনলাইন মাধ্যমে সহজেই টাকা রোজগার করতে পারবেন। আপনি এখানে সর্বনিম্ন ব্রোকারেজ হারে স্টক ট্রেডিং করতেও পারবেন।

বিশেষত্ব:

ভার্সিটি বলে জিরোধার একটা ওপেন বুক ওয়েবসাইট রয়েছে। এই স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশনটির সাহায্যে আপনি বিনামূল্যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ট্রেডিং শিখতে পারবেন। তাই, এটি হল এমন একটি উপায়, যা প্রচুর প্রচুর মানুষকে অনেক টাকা আয় করতে সাহায্য করে।

অসুবিধা:

এই ওয়েবসাইটটি সারাক্ষণ মার্কেট খোলা পর্যন্ত খুলে রাখতে হয়। এই স্টক মার্কেটে অনেকটা সময় ব্যয় করতে হয়। সঠিক সময়ে স্টক কেনা-বেচা করতে হয়।

১১. Swagbucks

Swagbucks ওয়েবসাইটটি ২০১৬ সালে লঞ্চ হয়ে থাকে। ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম ওয়েবসাইট গুলির মধ্যে Swagbucks-এর জনপ্রিয়তা অনেকটাই বেশি। টাকা ইনকাম করার জন্যে আপনাকে কোনো ধরণের জটিল কাজ গুলো করতে হয়না।

YouTube videos দেখা, বিভিন্ন অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট গুলোতে যাওয়া, পেইড অনলাইন সার্ভে গুলোকে সম্পূর্ণ করা, এই ধরণের কাজ করে এখান থেকে টাকা উপার্জন করা সম্ভব।

একাউন্ট তৈরি করার পর আপনাকে কিছু ডেইলি টাস্ক করতে দেওয়া হয় যেগুলো সম্পূর্ণ করার পর আপনাকে আপনার রিওয়ার্ড দেওয়া হয়। আপনার সম্পূর্ণ করা কাজের ওপর নির্ভর করে আপনাকে আপনার রিওয়ার্ড গুলো gift cards, coupons বা bank transfer হিসেবে দেওয়া হয়।

১২. Dreamstime

Dreamstime হলো আরেকটি জনপ্রিয় টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট যেখানে আপনি নিজের ছবি গুলোকে বিক্রি করে অনলাইন ইনকাম শুরু করতে পারবেন। আপনার তোলা ছবি গুলোকে বিক্রি করার জন্যে সেগুলোকে প্রথমে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। এবার, যদি কোনো গ্রাহক আপনার ছবি পছন্দ করে থাকে এবং সেটাকে কিনে থাকে, তাহলে আপনাকে সেই বিক্রি থেকে কিছু টাকা কমিশন হিসেবে দেওয়া হবে।

১৩. BananaBucks

BananaBucks হলো এমন একটি অনলাইন ইনকাম সাইট যেখানে বিভিন্ন ছোট ছোট কাজ গুলি করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যাবে। তাহলে টাকা উপার্জন করার ক্ষেত্রে কি কি কাজ আপনার করতে হবে ?

অনলাইনে ভিডিও দেখা, পেইড সার্ভে সম্পূর্ণ করা, গেম খেলা, অফার সম্পূর্ণ করা ইত্যাদি এই ধরণের কাজ গুলো আপনাকে দেওয়া হবে। এছাড়া, BananaBucks affiliate program-এর মাধমেও সরাসরি ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

বর্তমান সময়ে, bananabucks ওয়েবসাইটে ইউসার দের একটি দারুন অফার দেওয়া হচ্ছে। আপনি আপনার প্রথম সার্ভে সম্পূর্ণ করার পর আপনাকে সরাসরি $1 দিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া, বিভিন্ন পেইড সার্ভে গুলো সম্পূর্ণ করলে প্রত্যেক সার্ভের জন্যে প্রায় $0.20 থেকে $0.50 ইনকাম করে নিতে পারবেন।

পরিশেষে:

তবে, প্রথমদিকে আপনাকে মেনে নিতে হবে, যে এই প্রকল্পগুলো থেকে চটজলদি লাভের আশা কখনোই করা যায় না। সেক্ষেত্রে, অল্প ধৈর্য রেখে আপনার নিজের একটা প্রভাবশালী প্রোফাইল তৈরি করতে হবে ও এই প্রকল্পগুলোতে সঠিকভাবে কাজ করে যেতে হবে।

সবসময় মনে রাখবেন, যে এইসব ওয়েবসাইট গুলোতে অবশ্যই আপনাকে আপনার দক্ষতা ব্যবহার করেই অর্থ উপার্জন করতে হবে। সেই হিসাবে, আপনি যদি শুন্য থেকেও শুরু করেন, তবে আপনাকে টিকে থাকার জন্যে সময়ে সময়ে নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে তুলতে হবে। ধৈর্য রেখে এই ওয়েবসাইট গুলোতে নিজের পরিশ্রম ব্যয় করলে আপনি অবশ্যই সাফল্য পেতে পারেন।

২০২৩ এর সেরা অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট নিয়ে লিখা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হল। লেখাটি ভালোলাগলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।

0 responses on "সেরা ১৩টি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলোর নাম – (২০২৩)"

Leave a Reply

© Technial Bangla. All rights reserved. 2025