মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম ও কৌশল গুলো কি কি বা মোবাইল দিয়ে ভালো ছবি কিভাবে তুলতে হয় ? এই বিষয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি।
সেইসব দিন এখন আর নেই, যে দুর্দান্ত দামী পেশাদারি ক্যামেরা বা লেন্স ছাড়া ভালো ছবি তোলা একেবারেই অসম্ভব।
এখনকার যুগের প্রায় সবরকমের স্মার্টফোনেই এক বা একাধিক ফ্রন্ট বা রিয়ার ক্যামেরা থাকে, যেগুলো আপনাকে ব্যাপক মানের ছবি তুলতে সাহায্য করে।
তাই, আপনার হাতে যদি একটা ভালোমানের স্মার্টফোন বা মোবাইল সেট থাকে, আর তাতে যদি থাকে দু-একটা ভালো লেন্সের ক্যামেরা, তাহলেই আপনি পেতে পারেন পেশাদার কোয়ালিটির ফটো!
তবে, আপনার মনে যদি ভালো করে ছবি তোলার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকে, তাহলে চট করে দেখে নিন আমাদের উল্লেখ করা বেশ কয়েকটি, মোবাইল দিয়ে ভালো ছবি তোলার নিয়মগুলো সম্পর্কে।
মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম ও কৌশল গুলো – (সেরা ১৬টি)
যতই ভালো মানের ক্যামেরা থাকুক না কেন, খুব সাধারণ ছবি তোলার কৌশলগুলো জানা না থাকলে, ভালো ছবি তুলতে পারাটা কিন্তু বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
তাই, আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে জানাবো,
বেশ কতগুলো ভালো ছবি তোলার কৌশল গুলোর ব্যাপারে।
যেগুলো আপনাকে ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকে শেয়ার করার মতো এস্থেটিক বা সুন্দর ছবি তুলতে সহায়তা করবে।
চলুন, তাহলে দেরি না করে জেনে নিই, স্মার্টফোনে ভালো ছবি তোলার নিয়মগুলোর সম্বন্ধে।
ভালো ছবি তোলার বেস্ট কার্যকরী কৌশলগুলো নিচে আলোচনা করা হল –
১. গ্রীডলাইনের ব্যবহার:
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা সোজাভাবে ছবি তুলতে না পারার কষ্টে ভোগেন।
আর, প্রথম-প্রথম ছবি তুলতে গেলে তা একটু-আধটু বেঁকে যেতেই পারে।
তবে, আপনি যাতে সোজাভাবে ছবি তুলতে পারেন, তার জন্যে বেশিরভাগ স্মার্টফোনের ক্যামেরাতেই গ্রীডলাইন (Gridline) বলে একটা ফাঙ্কশন থাকে।
এই লাইনগুলো অনেকটা ‘কাটাকুটি’ খেলার ছকের মতো।
এর সাহায্যে আপনি সমান্তরাল ও লম্বাভাবে আপনার ফ্রেমকে সোজা রেখে ছবি তুলতে পারবেন।
এই গ্রীডলাইনের মজার ব্যাপারই হল এর ‘রুল ও থার্ড’ কম্পোসিশনের বিষয়টি।
এর মাধ্যমে, আপনি আপনার ছবির বিষয়কে ঠিক মাঝের খোপে রেখে ক্যাপচার করলে তা আপনাকে আকর্ষণীয় ছবি তুলতে সাহায্য করবে।
আর, এই ফাঙ্কশনটিকে আপনি মোবাইলের ক্যামেরার সেটিংস থেকেই অ্যাক্টিভ করতে পারবেন।
২. সঠিকভাবে ক্যামেরার ফোকাস নেওয়া:
যদিও, স্মার্টফোনের ক্যামেরাতে অটো ফোকাস ফাঙ্কশনটা যথেষ্ট ইউসার-ফ্রেন্ডলি ও নিজে থেকেই ক্যামেরার সাবজেক্টকে বুঝে নিতে সক্ষম।
তা সত্ত্বেও, একটা ভালো ছবি পেতে গেলে, আপনার ছবির যে অংশে সবথেকে বেশি ফোকাস আনতে চাইছেন, সেখানের স্ক্রিনের উপর ট্যাপ করে ম্যানুয়াল ফোকাস নিন।
ট্যাপ করার পর দেখবেন, যে আপনার মোবাইলের স্ক্রিনের উপর ট্যাপ করার অংশটিতে কোনো রাউন্ড বা স্কোয়ার আকারের আইকন এসেছে এবং ছবির ওই অংশটি সবথেকে বেশি স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে।
৩. ছবির বিষয়বস্তু (Subject) নির্বাচন করা:
একটা ছবিতে অনেকগুলো সাবজেক্ট বা বিষয় রাখার থেকে কোনো নির্দিষ্ট ও ইন্টারেষ্টিং সাবজেক্ট রাখাই বেশি ভালো।
বিভিন্ন পেশাদার ফটোগ্রাফারদের মতে, কোনো ছবির ফ্রেমে এক-তৃতীয়াংশ জায়গাতে সাবজেক্ট থাকলে বাকি দুই-তৃতীয়াংশে ফাঁকা জায়গা (Negative Space) থাকলে, সেই ছবি দেখতে অনেক আকর্ষণীয় হয়।
কোনো সাবজেক্টকে ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে চাইলে, ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে সাবজেক্টকে ভালো করে ফোকাস দিয়ে বের করে আনুন।
এছাড়াও, ছবি তোলার পরে, কোনো এডিটিং অ্যাপ বা সফটওয়্যারের সাহায্যে ছবিতে ফিল্টার দিয়ে, ক্রপ করে এবং ব্রাইটনেস, কন্ট্রাস্ট ও স্যাচুরেশন লেভেল ঠিক করে নিতে পারেন।
৪. নেগেটিভ স্পেস রাখা:
ফটোগ্রাফি কিন্তু একধরণের আর্ট; আর, সেই আর্টের একটা বড় অংশই হল এই নেগেটিভ স্পেস।
কোনো ছবির সাবজেক্টের আশেপাশে ও মাঝখানের জায়গাগুলোকেই আমরা নেগেটিভ স্পেস বলি।
আর, আপনি যখন আপনার ফটোগ্রাফে অনেকটা ফাঁকা জায়গা রাখেন, তখনই আপনি আপনার সাবজেক্টকে সহজেই লোকের চোখের সামনে তুলে ধরতে পারেন।
ধরুন, আকাশ, নদী, খোলা মাঠ কিংবা স্টেডিয়াম হতে পারে আপনার ছবির আদর্শ নেগেটিভ স্পেস।
৫. বিভিন্ন পার্সপেক্টিভ রাখা:
সোজা ভাষাতে, পার্সপেক্টিভ বলতে কোনো ছবির মধ্যে থাকা সাবজেক্ট ও ব্যাকগ্রউন্ডের মধ্যেকার দূরত্ব কিংবা গভীরতাকে ফুটিয়ে তোলাকে বোঝায়।
অর্থাৎ, আপনি যখন কোনো অন্যরকম বা অদ্ভুত অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি তোলেন, তখন সাবজেক্টের ভিত্তিতে ছবিতে ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে দূরত্ব ও গভীরতার একটা ইল্যুশন বা দৃষ্টিভ্রম তৈরী হয়।
ধরুন, আপনি সিঁড়ির কোনো এক প্রান্তে আপনার সাবজেক্টকে দাঁড় করিয়ে যদি টপ অ্যাঙ্গেল থেকে কোনো ছবি তোলেন, তখন সেই ছবিতে একটা পার্সপেক্টিভ পেতে পারেন।
৬. ছবিতে লিডিং লাইনের ব্যবহার:
অনেক ছবিতে আমরা অনেক লাইনের সমষ্টি দেখে থাকি, যা সেই ছবিগুলোকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
এই লাইনগুলোকে আমরা লিডিং লাইন বলি।
এগুলো সার্কুলার বা স্ট্রেইট – দুই ধরণেরই হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি রেললাইন, সিঁড়ি, ঘন বন, রাস্তার সারি কিংবা সারি-সারি বিল্ডিংয়ের কথাও এখানে ভাবতে পারেন।
এই লাইনগুলো আপনার ছবিতে গভীরতা তৈরী করতে সাহায্য করে।
এর সাহায্যে আপনি আপনার ছবিকে একটা সুন্দরভাবে সাজানো ফ্রেমের রূপ দিতে পারেন।
৭. HDR মোড ব্যবহার করা:
HDR বা High Dynamic Range হল এখনকার স্মার্টফোন ক্যামেরার খুবই উপযোগী একটা ফাঙ্কশন।
এই ফাঙ্কশনের মাধ্যমে আপনি আপনার ফটোর লাইট ও ডার্ক এরিয়াগুলোতে ডিটেইল যোগ করতে পারেন।
এর ফলে, আপনি আপনার ছবিতে একটা ভালো ব্যালান্সড এক্সপোজার পাবেন।
অর্থাৎ, এই মোডে আপনার আকাশের ব্রাইটনেস যেমন অতিরিক্ত বেশি হবে না,
আবার তেমনই মাটির অংশটাও খুব বেশি অন্ধকার দেখাবে না।
তাই, এই মোডের সাহায্যে আপনি দুর্দান্ত ল্যান্ডস্ক্যাপ ফটো তুলতে পারবেন।
৮. ছবিতে ভারসাম্য রাখা:
ফোটোগ্রাফি কম্পোসিশনরের আরেকটি মজার বিষয় হল ছবিতে সিমেট্রি বা ভারসাম্য বজায় রাখা।
এখানে আপনাকে এমন একটা ছবি তুলতে হবে, যেখানে একটা গোটা ছবিকে দুইভাগে ভাগ করা হলে, দুটি ভাগই সমান-সমান দেখতে লাগবে (Mirror Image)।
যেমন – আপনি যদি একদম সামনে থেকে কোনো মূর্তির মুখের ছবি তোলেন, তবে, সেই ধরণের ছবিতে আপনি সিমেট্রি লক্ষ্য করতে পারবেন।
৯. ন্যাচারাল লাইটের ব্যবহার:
অনেক স্মার্টফোনের ক্যামেরাতেই ছোট সেন্সর থাকাতে, ঘরের কম আলোতে ছবিগুলো অস্পষ্ট বা নিম্নমানের আসতে পারে।
আবার, এই ধরণের ক্যামেরার ফ্ল্যাশলাইটও সেইভাবে ভালো ছবি তুলতে পারে না।
আর, ভালো লাইটিং আপনার ছবিতে ব্রাইটনেস ও ডার্কনেসের মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে আসার পাশাপাশি ছবির টোন, মুড ও পরিবেশকে ফুটিয়ে তুলতেও সাহায্য করে।
তাই, সবসময়েই একদম প্রাকৃতিক আলোর মধ্যে আউটডোরে ফটো তোলার চেষ্টা করবেন।
১০. ডিজিটাল জুম্-ইন ব্যবহার না করা:
যেকোনো ছবি তোলার সময় জুম্-ইন করাটা আপনার ছবিকে একদমই নষ্ট করে দিতে পারে।
এর ফলে, আপনার ছবি ঝাপ্সা ও অস্পষ্ট আসতে পারে।
আমরা মনে করি যে, ডিজিটাল জুম্-ইন করার পরিবর্তে আপনি যদি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে কোনো নির্দিষ্ট সাবজেক্টকে লক্ষ্য করে ছবি তুলে নিয়ে, তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রপ করেন,
তাহলে আপনার ছবির কোয়ালিটি খুব একটা নষ্ট হবে না।
১১. ক্যামেরার এক্সপোজার ম্যানুয়াল রাখা:
আপনি আপনার স্মার্টফোনের ক্যামেরাতে প্রয়োজন অনুযায়ী এক্সপোজার কমাতে-বাড়াতে পারেন।
এই এক্সপোজার ফাঙ্কশনের মাধ্যমে আপনি ক্যামেরার লেন্সে কতটা আলো প্রবেশ করাবেন, সেটা অ্যাডজাস্ট করতে পারেন।
আপনার স্মার্টফোনের ক্যামেরার স্ক্রিনের উপর ট্যাপ করলে, যে সূর্যের (Sun) আইকন দেখবেন, সেটাই হল ম্যানুয়াল এক্সপোজার।
এই আইকনের পাশে আসা লাইনের উপর আঙ্গুল বুলিয়ে আপনি লেন্সে আলোর প্রবেশের মাত্রা বাড়াতে-কমাতে পারবেন।
১২. মোবাইল ট্রাইপডের ব্যবহার:
ক্যামেরা ট্রাইপডের মতো মোবাইল ট্রাইপডও আপনাকে ব্যালান্সড ও স্টাডি শট নিতে সাহায্য করে।
যদি ছবি নেওয়ার সময়ে আপনার হাত কাঁপে কিংবা আপনি যদি অন্যরকম কায়দাতে সেল্ফি নেওয়া পছন্দ করেন, তাহলে এই ধরণের ট্রাইপড আপনাকে স্বাধীনভাবে, নানান অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি নিতে সাহায্য করবে।
কিংবা, লো-লাইট বা ডার্ক পরিবেশে ছবি নেওয়ার সময়ে ক্যামেরা কাঁপতে পারে,
তাই এইসব ক্ষেত্রে একটা ট্রাইপড থাকলে আপনি বার, কনসার্ট, হলের মতো ডার্ক কন্ডিশনেও ভালো ছবি পাবেন।
১৩. ক্যান্ডিড ছবি নেওয়া:
ছবি তোলার মানেই হল কোনো একটা মুহূর্তকে ফ্রেমবন্দী করে রাখা।
পোস দিয়ে ছবি তোলাটা আমাদের স্মৃতিগুলোকে ধরে রাখার জন্যে আদর্শ হলেও,
ছবি তোলার আসল মজা কিন্তু ক্যান্ডিড ছবিতে।
কারণ, ক্যান্ডিড ছবি তোলার সময়ে আপনি সাবজেক্টের মুভমেন্টগুলোকে একদম রিয়েল অবস্থাতেই ক্যাপচার করেন, যা ছবিগুলোকে একদম অনন্য করে তোলে।
এই ধরণের ছবিগুলোতে সাবজেক্টের আবেগ ও অনুভূতিগুলো আরও সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে।
সেরা ক্যান্ডিড ছবি নেওয়ার সবথেকে ভালো কৌশল হল একসাথে অনেকগুলো শট তুলে নেওয়া।
এছাড়াও, এই ধরণের ছবিতে সাবজেক্টকে একটানা নানা মুভমেন্ট করে যেতে হবে।
১৪. ক্যামেরার লেন্স পরিষ্কার রাখা:
আমরা প্রায়শই বাড়ির বাইরে গেলে ব্যাগ বা পকেটে মোবাইল রাখি, যা আমাদের ক্যামেরার লেন্সকে নোংরা ও নষ্ট করে দিতে পারে।
তাই, ছবি তোলার আগে অবশ্যই একটা নরম কাপড় দিয়ে ক্যামেরার লেন্সগুলো মুছে নেবেন।
তাহলে, লেন্স থেকে ধুলো-ময়লা সরে গেলে আপনার ছবি অস্পষ্ট আসবে না।
১৫. এক্সটার্নাল লেন্স ব্যবহার করা:
এখনকার অনেক স্মার্টফোন মডেলের জন্যে আলাদা করে এক্সটার্নাল লেন্স পাওয়া যায়।
আপনি নিজের মোবাইলের মডেল অনুযায়ী নানা মজার ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল, ও ফিশ-আই লেন্স ব্যবহার করতে পারেন।
এই লেন্সগুলোর সাহায্যে আপনি দারুণ মানের ঝকঝকে মোবাইল ফটোগ্রাফি করতেও পারবেন।
১৬. প্রয়োজনে ছবি এডিট করা:
স্মার্টফোনে ছবি কম্পোজ করা ও তোলার পরেও সেই ছবিকে আকর্ষনীয় করে তোলার জন্যে প্রয়োজন হয় ভালোমতো ছবি এডিটিংয়ের।
ছবি সম্পাদনার ক্ষেত্রে ফিল্টার খুবই উপকারী ফটোগ্রাফিক টুল হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
এইসব ফিল্টারের সাহায্যে আপনি ছবিতে ব্রাইটনেস, স্যাচুরেশন ও কনট্রাস্ট ব্যালান্স করার পাশাপাশি, ছবির মুডও একেবারে পাল্টে দিতে পারেন।
এছাড়াও, আপনি বিভিন্ন অ্যাপ, যেমন – Adobe Photoshop, Lightroom, Snapspeed, Facetune ও ইত্যাদি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে এডিটিং করতে পারেন।
এই কৌশলগুলো ব্যবহার করার পাশাপাশি ভালো ছবি দেখা, স্টাডি করা এবং ছবি তোলা প্র্যাক্টিস করার মাধ্যমে মোবাইল ফোটোগ্রাফিতে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, আমাদের আজকের এই, নিজের স্মার্টফোন দিয়ে ছবি তোলার নিয়ম বা ছবি তোলার কৌশল গুলো আপনাদের কেমন লাগলো ?
এই নিয়ম ও কৌশল গুলো ভালো করে অনুসরণ করতে পারলে আপনারা অবশই নিজের মোবাইল দিয়ে আকর্ষণীয়, স্পষ্ট এবং উন্নত মানের ছবি তুলতে পারবেন।
আমাদের আজকের আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হল।
আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।
0 responses on "মোবাইলে ভালো ছবি তোলার নিয়ম ও কৌশল – (সেরা টিপস)"