সেরা কম্পিউটার কোর্স সমূহ : বর্তমান যুগে কম্পিউটার ছাড়া কোন কিছু ভাবাটা সম্ভব না।
কম্পিউটার বহু ছাত্র-ছাত্রীর জন্য চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে ।
আপনার যদি একটি ভালো কম্পিউটার কোর্স করা থাকে, তাহলে বর্তমান সময়ে চাকরি নিজেই আপনার কাছে চলে আসবে।
তাছাড়া, সাধারণ কম্পিউটার শিক্ষা যেমন “basic computer course“, “basic internet course” এগুলো করা থাকলে, চাকরি ছাড়াও আপনারা বিভিন্ন কাজ যেমন, “ফ্রিল্যান্সিং” বা বিভিন্ন মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে অনলাইনে টাকা আয় করতে পারবেন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন corporate offices, private bank, accounts related work, business firm ইত্যাদি গুলোতে, একটি বেসিক কম্পিউটার কোর্স করা প্রার্থীদের জন্যেও চাকরির সুযোগ প্রচুর রয়েছে।
আগের সময়ে, সরকারি দপ্তর গুলিতে কম্পিউটারের উচ্চতর শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ তেমন বেশি পরিমানে ছিলোনা। তবে, বর্তমান সময়ে সরকারি দপ্তর গুলোতেও কম্পিউটারের শিক্ষা গ্রহণ করা প্রার্থীদের চাহিদা ও মান (value) প্রচুর।
আর তাই, আমি সব সময় বলবো যে, “একটি ভালো চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে, কম্পিউটার শিক্ষা বা কোর্স এর গুরুত্ব প্রচুর রয়েছে”।
বিভিন্ন দেশের বহু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবছর প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার শিক্ষার্থী বিদেশে যান।
চাকরি গুলোর বেশির ভাগ, শুরুতে programmer, সহকারী প্রোগ্রামার, web developer হিসেবে এবং যাদের আগের থেকেই কাজের যোগ্যতা রয়েছে, তারা অনেকে সিনিয়র প্রোগ্রামারের পদে যোগ দেন।
বিভিন্ন company গুলোতে যেমন “ইনফোসিস, বেক্সিমকো, টিসিএস, ইনফিনিটি, লিডস, আইবিএম, দোহাটেক, বিডিকন, ন্যানোসফট, অটোমেশন, বেজ ইত্যাদি গুলোতে প্রত্যেক বছর বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে শিক্ষিত তরুণ প্রার্থীদের (candidates) ইন্টারভিউ (interview) নেওয়া হয়।
তবে এখন প্রশ্ন হলো, চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন কম্পিউটার কোর্স সমূহ করতে হবে ?
বর্তমানে, কম্পিউটারের বিভিন্ন কোর্স এবং লাইন রয়েছে, যার ফলে আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হয়ে থাকি।
- কোন কম্পিউটার কোর্স করবো ?
- কোন কোর্স ভালো হবে ?
- চাকরির ক্ষেত্রে কোন কম্পিউটারের শিক্ষা জরুরি ?
- এবং আরো অনেক ধরণের প্রশ্ন আমাদের মাথায় আসে।
তবে চিন্তা করবেননা, নিচে আমি কিছু জরুরি কম্পিউটার কোর্স গুলোর বিষয়ে আপনাদের বলবো, যেগুলো করে রাখলে ভবিষ্যতে আপনার প্রচুর লাভ হবে।
তাছাড়া, সহজে একটি চাকরি পেতে সুযোগ পাবেন এই ধরণের কম্পিউটারের শিক্ষা অর্জন করার বিপরীতে।
কম্পিউটার কাকে বলে?
গ্রিক শব্দ Compute থেকে উৎপত্তি হয়েছে Computer শব্দটির।
গ্রীক ভাষায় Compute শব্দের অর্থ হলো গণনা করা।
সেই সূত্রে computer শব্দের অর্থ গণনাকারী বলেও বলা যেতে পারে। ইলেকট্রনিক্সের যে যন্ত্রের মাধ্যমে ডাটা ইনপুটের ব্যবস্থা, ইনপুট হিসেবে ডেটাকে প্রসেস করা এবং শেষে সমস্ত ফলাফল দেখা যায় আউটপুট হিসেবে, সেই যন্ত্রকে কম্পিউটারের হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
কম্পিউটার আবিষ্কারের ক্ষেত্রে চার্লস ব্যাবেজ এর নাম সবার আগে স্মরণীয়।
কারণ তিনি স্বয়ংক্রিয় যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরির জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন।
তবে তা পূর্ণতা পেয়েছিল ১৯৪৬ সালে।
১৯৫০ সাল থেকে ফার্স্ট জেনারেশন কম্পিউটার বৈজ্ঞানিক এবং ব্যবসায়িক কাজ কর্মে ব্যবহৃত হতে থাকে।
তারপর ধাপে ধাপে কম্পিউটার উন্নত হতে থাকে।
তাহলে, “কম্পিউটার কি” এই বিষয়ে কিছুটা বুঝতে পারলেন বলে আশা করছি।
কম্পিউটারের বিভিন্ন কোর্স সমূহ কি কি ?
আধুনিক সভ্যতা হলো বিজ্ঞান নির্ভর।
বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কার মানব সভ্যতাকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিয়েছে।
আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার হল ইলেকট্রনিক্স। এবং, ইলেকট্রনিক্সের অবদান কম্পিউটার।
কম্পিউটার মানব মস্তিষ্কের শ্রম বহুক্ষেত্রে কমিয়ে দিয়েছে।
বহু জটিল সমস্যার সমাধান এখন কম্পিউটার দ্বারা করা হচ্ছে।
কম্পিউটার নানাভাবে আধুনিক সভ্যতার উপর তার প্রভাব বিস্তার করেছে।
বিভিন্ন কম্পিউটার কোর্স করে আজ মানুষ বিশ্বের নানা প্রান্তে চাকরি অথবা ব্যবসা করে ভালো পরিমানে আয় করছেন।
এই কম্পিউটার কোর্স গুলোকে – “বেসিক কম্পিউটার কোর্স”, “কম্পিউটার ডিপ্লোমা কোর্স”, “কম্পিউটার শিক্ষা কোর্স”, “ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স” এই বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
এবার চলুন, কম্পিউটারের বিভিন্ন কোর্স গুলি কি কি ? এর যোগ্যতা বা এই কোর্সটি করলে কি কি কাজের সুযোগ রয়েছে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
বেসিক কম্পিউটার কোর্স
মেয়াদ – বেসিক কম্পিউটার কোর্সের মেয়াদ তিন মাস থেকে 6 মাস পর্যন্ত হয়।
যোগ্যতা – এই কোর্স করার জন্য তেমন কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। বাচ্চাটাও এই কোর্সটি করতে পারে।
কোর্সের অন্তর্ভুক্ত বিষয় সমূহ – এই কম্পিউটার কোর্সে শেখানো হবে, “কম্পিউটার কি” এবং “এটির প্রয়োজনীয়তা”, “উইন্ডোস সিস্টেম এর সাধারণ কাজ গুলো”, “উইন্ডোজ এক্সপি, ৭, ৮, ১০ নিয়ে প্রাথমিক ধারনা”, “উইন্ডোস OS নিয়ে আলোচনা” এবং “এটির ব্যবহার”.
তাছাড়া, “কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কি” এবং “সফটওয়্যার কি”, কম্পিউটারের “ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে”, “কম্পিউটারের অন-অফ এবং রিস্টার্ট এর ব্যবহার” এবং কিছু অন্যান্য জরুরি প্রোগ্রাম গুলোর ব্যবহার শেখানো হবে।
এছাড়া, সাধারণ ইন্টারনেটের ব্যবহার, ইমেইল পাঠানো এবং গ্রহণ করা, এই ধরণের কাজ গুলো এই basic computer course এর মাধ্যমে শিখে নিতে পারবেন।
চাকরির সুযোগ – সরকারি এবং বেসরকারি চাকরির জন্য অনেক সময় বেসিক কম্পিউটার শিক্ষা কোর্স করা থাকলেই প্রার্থীরা চাকরির ভালো সুযোগ পান।
কম্পিউটার ডিপ্লোমা কোর্স
মেয়াদ – ডিপ্লোমা কম্পিউটার কোর্সের মেয়াদ এক বছর।
যোগ্যতা – এই কোর্সের জন্য মাধ্যমিক পাস করাটা বাধ্যতামূলক।
কোর্সে অন্তর্ভুক্ত বিষয় সমূহ – এই ডিপ্লোমা কম্পিউটার কোর্সে শেখানো হয় উইন্ডোজ এক্সপি, ৭, ৮, ১০ অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন কাজ।
কম্পিউটারের সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার, কম্পিউটারের ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইসের কাজ, কম্পিউটারের একাধিক ইউজার তৈরি করা, বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, ফাইল এবং ফোল্ডার তৈরি করা, কপি, কাট, পেস্ট, ডিলেট কি, কিভাবে একটি ফাইল বা ফোল্ডারকে একজায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হয় (কপি, কাট, পেস্ট এর ব্যবহার করে), কিভাবে একটি ফাইলকে নির্দিষ্ট ফোল্ডারে সেভ করা যায় এই বিভিন্ন বিষয়ে শেখানো হয়।
সোজা ভাবে বললে, কম্পিউটারের বিষয়ে গভীর ভাবে জ্ঞান অর্জন করার ক্ষেত্রে এই কম্পিউটার ডিপ্লোমা কোর্স করা হয়।
মাইক্রোসফট অফিস ২০০৭ এর ব্যবহার (এমএসওয়ার্ড, এক্সেল এবং পাওয়ারপয়েন্টের কাজ), ইন্টারনেট কি, ইন্টারনেট এর ব্যবহার, ওয়েব ব্রাউসার (গুগল ক্রোম, মোজিলা ফাইরফক্স ইত্যাদি), ওয়েবসাইট এড্রেস কি, এই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ ও অ্যাডভান্সড তথ্য আপনাদের দেওয়া হবে।
এই ডিপ্লোমা কোর্সে আপনারা আরো অনেক কিছু শিখতে পারবেন যেমন,
- কিভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে হয় ?
- ব্রাউজারের অ্যাডঅন কি ?
- ইন্টারনেট ব্রাউজারের বিভিন্ন অ্যাডঅনস সম্পর্কে
- কিভাবে ইন্টারনেট থেকে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে হয় ?
- ইন্টারনেট এর ব্যবহার
- কিভাবে একটি ই-মেইল একাউন্ট খোলা যায় ?
- ইমেইল কিভাবে পাঠানো হয় ?
- কম্পিউটার ভাইরাস কি ?
- অ্যান্টিভাইরাস কি এবং এর প্রয়োজন কেন হয় ?
- কিভাবে কম্পিউটারে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হয় ?
- অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর ব্যবহার
আর এক কথায় বললে, একজন নতুন কম্পিউটার চালক বা ব্যবহারকারী এই computer diploma course এর মাধ্যমে, সম্পূর্ণ বেসিক কম্পিউটার শিক্ষা গ্রহণ করে নিতে পারবেন।
কম্পিউটারের কেবল একটি বেসিক ডিপ্লোমা কোর্স করেই অনেক ভালো ভালো চাকরি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ – অনেক সময় সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থায়অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে কম্পিউটারে ডিপ্লোমা কোর্স করা প্রার্থীর প্রয়োজন হয়।
ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর একটি ডিপ্লোমা কোর্স।
দেশের এবং দেশের বাইরে সরকারি এবং বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজ থেকে যেমন ইলেকট্রিক্যাল মেকানিক্যাল এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিপ্লোমা কোর্স করা যায় তার পাশাপাশি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা কোর্স করা যেতে পারে।
যোগ্যতা – এই কোর্সে ভর্তি হতে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমিক পাস হতে হবে।
মেয়াদ— এই কোর্সটির সময়কাল তিন বছর। কোর্সটি মোট ছটা সেমিষ্টারে বিভক্ত।
কোর্সের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ –
- গণিত,
- বিজ্ঞান,
- বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর ধারণাগুলো
- কম্পিউটার ধারণার পরিচিতি,
- বিজ্ঞান ল্যাব,
- বেসিক কম্পিউটার দক্ষতা,
- ইংরেজি যোগাযোগ,
- ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স,
- সি (C) সঙ্গে প্রোগ্রামিং,
- সি (C) প্রোগ্রামিং,
- মাল্টিমিডিয়া ল্যাব,
- সি ব্যবহার করে ডেটা স্ট্রাকচার,
- কম্পিউটার নেটওয়ার্ক,
- ডেটা স্ট্রাকচারস ল্যাব,
- পিসি হার্ডওয়্যার
- নেটওয়ার্কিং ল্যাব,
- গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস ল্যাব,
- ওয়েব ডিজাইন প্রভৃতি।
চাকরির সুযোগ – কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্স করে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থায় চাকরির সুযোগ আছে।
চাকরির পদ গুলোর মধ্যে কিছু হলো,
- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার,
- হার্ডওয়ার ইঞ্জিনিয়ার,
- জুনিয়ার প্রোগ্রামার,
- ওয়েব ডিজাইনার,
- টেকনিক্যাল রাইটার,
- নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার,
- প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার,
- অ্যাপ ডেভলপার,
- ওয়েব ডেভলপার
- সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার,
- সিস্টেম অ্যানালিসিস,
- সফটওয়্যার টেস্টার প্রভৃতি
এছাড়াও, এই কোর্স করার পর কম্পিউটার ইন্জিনিয়ারিং এ বিটেক অবশই করা যাবে।
বিটেক ইন কম্পিউটার সাইন্স
বিটেক ইন কম্পিউটার সাইন্স (b.tech in computer science), এর কোর্সটি একটি ব্যাচেলর ডিগ্রী কোর্স।
এই কোর্সটি দেশের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি কলেজ বা প্রতিষ্ঠান (institution) থেকে করা যায়।
যোগ্যতা – এই কোর্স করতে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের ফিফটি পার্সেন্ট নম্বর সহ সাইন্স শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পাস অথবা পলিটেকনিক কোর্স করা থাকতে হবে।
এই কোর্সের জন্য জয়েন্ট এন্ট্রেন্স বা জিলেট পরীক্ষায় রাঙ্ক থাকতে হয়। জয়েন্ট এন্ট্রেন্স তালিকা অনুযায়ী কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হতে পারে।
মেয়াদ – এই কোর্সটি আটটি সেমিষ্টারে বিভক্ত চার বছরের কোর্স।
কোর্সে অন্তর্ভুক্ত বিষয় সমূহ –
- অ্যাপ্লাইড গণিত,
- অ্যাপ্লাইড বিজ্ঞান,
- বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর ধারণাগুলি,
- কম্পিউটার ধারণার পরিচিতি,
- অ্যাপ্লাইড বিজ্ঞান ল্যাব,
- বেসিক ইলেকট্রনিক্স ল্যাব,
- বেসিক কম্পিউটার দক্ষতা ল্যাব,
- ইংরেজি যোগাযোগ,
- ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স,
- সি সঙ্গে প্রোগ্রামিং,
- ডিজিটাল ল্যাব,
- সি ল্যাব সহ প্রোগ্রামিং,
- মাল্টিমিডিয়া ল্যাব,
- কম্পিউটার সংস্থা,
- সি ব্যবহার করে ডেটা স্ট্রাকচার,
- কম্পিউটার নেটওয়ার্ক,
- ডেটা স্ট্রাকচারস ল্যাব,
- পিসি হার্ডওয়্যার এবং নেটওয়ার্কিং ল্যাব,
- গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস ল্যাব,
- ওয়েব ডিজাইন ল্যাব,
- সি ++ সহ ওওপি,
- ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম,
- অপারেটিং সিস্টেম,
- সফ্টওয়্যার প্রকৌশল,
- সি ++ ল্যাব সহ ওওপি,
- ডিবিএমএস ল্যাব,
- লিনাক্স ল্যাব,
- বেসিক ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা,
- জাভা সহ প্রোগ্রামিং,
- ওয়েব প্রোগ্রামিং,
- জাভা ল্যাব সঙ্গে প্রোগ্রামিং,
- ওয়েব প্রোগ্রামিং ল্যাব,
- প্রকল্পের কাজ,
- সফটওয়্যার টেস্টিং,
- নেটওয়ার্ক সুরক্ষা এবং পরিচালনা,
- মোবাইল কম্পিউটিং (বৈকল্পিক),
- সফটওয়্যার টেস্টিং ল্যাব,
- নেটওয়ার্ক সুরক্ষা ল্যাব,প্রভৃতি।
বিভিন্ন practical এবং theory exerciser এর মাধ্যমে কম্পিউটার সংযুক্ত এই বিভিন্ন শিক্ষা গুলো দেওয়া হয়।
চাকরির সুযোগ – B.tech in computer science কোর্স করে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থায় চাকরির সুযোগ আছে।
কিছু চাকরির পদ গুলো হলো,
- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার,
- হার্ডওয়ার ইঞ্জিনিয়ার,
- প্রোগ্রামার,
- ওয়েব ডিজাইনার,
- টেকনিক্যাল রাইটার,
- নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার,
- প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার,
- অ্যাপ ডেভলপার,
- ওয়েব ডেভলপার,
- সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার,
- সিস্টেম অ্যানালিসিস,
- সফটওয়্যার টেস্টার প্রভৃতি
- এছাড়াও এই কোর্স করার পর আপনি m.tech in computer science করতে পারবেন।
বিসিএ কোর্স (B.C.A course)
বিসিএ কোর্সের পুরো নাম হল “Bachelor of Computer Applications” ।
এটি একটি কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন এর স্নাতক ডিগ্রী কোর্স। এই কোর্সটি দেশের বিভিন্ন জেনারেল ডিগ্রী কলেজ থেকে করা যায়।
যোগ্যতা – ছাত্রছাত্রীকে কমপক্ষে ৫০% নম্বর সহ 12 ম শ্রেণি বা সিনিয়র মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
দ্বাদশ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে / গণিতে বাধ্যতামূলক বিষয় হিসাবে উপস্থিত হতে হবে।
সর্বনিম্ন বয়সের সীমা 17 বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স 22-25 বছরের মধ্যে পরিবর্তিত হয়।
মেয়াদ – এই কোর্সটি ছয়টি সেমিস্টারে বিভক্ত তিন বছরের কোর্স।
কোর্সে অন্তর্ভুক্ত বিষয় সমূহ –
- সি ল্যাঙ্গুয়েজে (C language) প্রোগ্রামিং (বেসিক এবং অ্যাডভান্সড),
- নেটওয়ার্কিং,
- ওয়ার্ল্ড-ওয়াইড-ওয়েব,
- ডেটা স্ট্রাকচার,
- ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট,
- গণিত,
- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং,
- সি ++,
- ভিজ্যুয়াল বেসিক,
- পিএইচপি
- জাভা (java),
- অপারেটিং সিস্টেম,
- ওয়েব স্ক্রিপ্টিং ইত্যাদি।
চাকরির সুযোগ – এই কোর্সটি করে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার ওয়েব ডেভলপার, সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, জুনিয়র প্রোগ্রামার, সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার প্রভৃতি বিভিন্ন পদে চাকরির সুযোগ আছে।
এছাড়াও এই কোর্সটি করে ছাত্রছাত্রীরা আরো উচ্চতর শিক্ষার দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ট্যালি (Tally)
ট্যালি (tally) অনেক জনপ্রিয় একটি একাউন্টিং সফটওয়্যার (accounting software), যেটা ভারতের প্রায় বিভিন্ন organization, company বা firm গুলোতে ব্যবহার করা হয়।
এমনিতে ট্যালি হলো একটি computer application বা software .
এবং এই application ব্যবহার করে accounting এর কাজ শিখতে পারলে, অনেক সহজেই একটি একাউন্টস এর কাজ পাওয়া যেতে পারে।
যোগ্যতা – জেকেও একটি computer institute থেকে tally course করে নিতে পারবেন। তবে, ১২+২ পাশ করা থাকলে এর লাভ ও মান প্রচুর।
মেয়াদ – প্রায় ৩ থেকে ৬ মাসের ভেতরে এই কোর্স সমাপ্ত হয়ে যায়।
কোর্সে অন্তর্ভুক্ত বিষয় সমূহ –
- কোম্পানি বিলিং,
- Company tax records,
- Stock & inventory records,
- Full accounting files of company,
- Sales & purchase history and details etc.
সোজা ভাবে বললে, একটি organization, firm বা company র সম্পূর্ণ accounts এবং এর সাথে জড়িত তথ্য গুলো তৈরি করা, ম্যানেজ করা এবং সংগঠিত করার কাজ আপনারা এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে করতে ও শিখতে পারবেন।
ভারতে, এই ট্যালি কোর্স করা প্রার্থীদের প্রচুর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
চাকরির সুযোগ – অনেক তাড়াতাড়ি একটি company, organization বা firm এ, junior বা senior accountant এর চাকরি পাওয়া যেতে পারে।
Web Designing
বর্তমান সময়ের সব থেকে সেরা কম্পিউটার কোর্স হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এই “web designing course”.
বর্তমান সময়ে, যেকোনো ছোট বড় ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে।
তাছাড়া, ওয়েবসাইট মেইনটেইন করা সেগুলোকে অপারেট করা এবং নতুন নতুন ওয়েবপেজ ও ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্পূর্ণ ক্ষেত্রে আজ একজন web designer এর প্রয়োজন।
এবং, এই web designing এর course করে আপনারা সহজেই বর্তমানে অনেক চাহিদায় থাকা এই আধুনিক ওয়েবসাইট তৈরি ও ডিজাইনিং এর কাজ শিখতে পারবেন।
আজ বিভিন্ন অনলাইন ডিজিটাল কোম্পানিরা যেকোনো দেশে কাজ করছেন।
সেই ক্ষেত্রে, এই ধরণের digital organization গুলো একজন ভালো web designer এর চাহিদা অবশই রাখেন।
যোগ্যতা – যেকোনো ব্যক্তি একটি private বা government computer institute থেকে web designing এর course করতে পারবেন। তবে, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১২+২ ক্লাস পাশ করা থাকতেই হবে।
মেয়াদ – ওয়েব ডিজাইনিং এর কোর্স ৬ মাসের ও রয়েছে এবং ১ বছরের প্রফেশনাল কোর্স ও রয়েছে।
কোর্সে অন্তর্ভুক্ত বিষয় সমূহ –
- HTML
- JavaScript
- PHP
- Designing websites
- Web designing platforms
চাকরির সুযোগ – বর্তমানে বিভিন্ন digital company বা organization এ চাকরি পাওয়ার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া, নিজের দক্ষতা (skills) বাড়িয়ে নিয়ে ব্যবসা হিসেবেও এই কাজ করতে পারবেন।
Computer hardware repairing
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার রিপেয়ারিং কোর্স বর্তমানে অনেকেই করছেন।
এই কোর্স করে আপনারা কম্পিউটারের বিভিন্ন হার্ডওয়্যার পার্টস (hardware parts) গুলোর বিষয়ে জেনেনিতে পারবেন।
তাছাড়া, কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার নিয়ে কোনো সমস্যা হলে সেটার সমাধান করার দক্ষতা আপনার মধ্যে থাকবে।
যোগ্যতা – জেকেও কম্পিউটার হার্ডওয়্যার রিপেয়ারিং কোর্স করতে পারবেন।
মেয়াদ – ৩ মাসের থেকে ৬ মাসের মধ্যে এই কোর্স সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
কোর্সে অন্তর্ভুক্ত বিষয় সমূহ –
- Hardware components
- System configuration
- Peripheral installation
- Diagnostics
- Hardware installation
- Repairing parts
- Assembling CPU parts
- নিজে একটি PC build করতে পারবেন।
চাকরির সুযোগ – বিভিন্ন laptop এবং computer PC সাথে জড়িত কোম্পানি গুলোর service center গুলোতে বা IT institutes গুলোতে চাকরির সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া, নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসা হিসেবে hardware repairing এর কাজ করতে পারবেন।
Programming language courses
আপনি যদি কিছু advanced রকমের computer course করতে চাচ্ছেন, তাহলে বিভিন্ন computer programming language গুলো শিখতে পারবেন।
যেমন,
- Python
- Java
- Ruby
- HTML (HyperText Markup Language)
- JavaScript
- C Language
- C++
এবং আরো কিছু প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে রয়েছে।
এই ধরণের কিছু professional computer programming language শিখে, আপনারা বিভিন্ন IT company গুলোতে ভালো ভালো চাকরি পেয়ে যাবেন।
এই কোর্স করে পাওয়া চাকরি গুলোর মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, developer এবং programmer এর চাকরি পাওয়া যেতে পারে।
বর্তমান সময়ে এই ধরণের programming language এর skills থাকা প্রার্থীদের চাহিদা প্রচুর।
কারণ, অনেক কম সংখক ছাত্ররা এরকম একটি কোর্স করার কথা ভাবেন।
যোগ্যতা – জেকেও এই ধরণের কোর্স করতে পারবেন। তবে, এই কোর্স করার ক্ষেত্রে আপনার ইন্টারেস্ট (interest) ও রুচি থাকতে হবে।
মেয়াদ – প্রায় ৬ থেকে ১ বছরের ভেতরে এই কোর্স করে নিতে পারবেন। তবে advanced skills এবং programming knowledge এর ক্ষেত্রে আরো অধিক সময় লাগতে পারে। সেটা আপনার শেখার ধারণক্ষমতার (capacity) ওপরে নির্ভর।
চাকরির সুযোগ – যা আমি আগেই বললাম, এই ধরণের programming languages গুলো অন্যান্য computer course এর তুলনায় তুলনামূলক ভাবে অনেক কম লোকেরাই করেন। তাই, IT company গুলোতে developer এবং programmer এর চাকরির সুযোগ প্রচুর থাকছে।
অন্যান্য কিছু ভালো কম্পিউটার কোর্স গুলো
ওপরে বলা কম্পিউটার কোর্স গুলো ছাড়াও, আরো বিভিন্ন ভালো ভালো কোর্স রয়েছে যেগুলো করে একটি ভালো চাকরি পাওয়া যেতে পারে।
যেমন,
- Animation & VFX
- Video editing
- MS office (excel, word)
- DTP
- Digital marketing course
- Cyber security course
- Ethical hacking course
ওপরে বলা এই ৭ টি কম্পিউটার কোর্স করেও আপনারা ভালো ভালো চাকরি পেয়ে যাবেন।
এবং, বর্তমান সময়ে “ডিজিটাল মার্কেটিং” এর চাহিদা কতটা বেশি সেটা অবশই আপনারা জানেন।
তাই, একটি আধুনিক এবং চাহিদা থাকা কম্পিউটার এর কোর্স এর কথা আসলে, আমি আপনাকে digital marketing এর course করার কথা বলবো।
কেবল ৩ থেকে ৬ মাসের ভেতরেই এই কোর্স করে নিতে পারবেন এবং এই ক্ষেত্রে অনেক ভালো ভালো চাকরি বর্তমানে প্রচুর বের হচ্ছে।
আমাদের শেষ কথা
তাহলে বন্ধুরা, আশা করছি আমি আপনাদের কিছু ভালো এবং সেরা কম্পিউটার কোর্স সমূহ বলে দিলাম যেগুলো করে একটি ভালো চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার অনেক কাজে আসবে।
আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে শেয়ার (share) অবশই করবেন।
এবং, আপনি যদি কম্পিউটারের কোনো ভালো কোর্স এর বিষয়ে জানেন যেটা আমরা উল্লেখ করিনাই, তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে সেটা জানিয়েদিন।
আমার সব সময় একটাই উদ্দেশ্য রয়েছে যে, আমি যাতে আপনাদের সঠিক এবং কাজের তথ্য দিতে পারি।
তাই, কোনো রকমের প্রশ্ন বা সমস্যা থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেননা।
0 responses on "ভালো চাকরির ক্ষেত্রে কোন কম্পিউটার কোর্স সমূহ করবেন ?"