একটি ফেসবুক পেজ কিভাবে চালাতে হয় বা কিভাবে সঠিক ভাবে করবেন নিজের ফেসবুক পেজটির পরিচালনা ? আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা সম্পূর্ণটা ভালো করে জানার চেষ্টা করবো।
একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করার মূল কারণ প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা হতে পারে।
কেও হয়তো নিজের ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে পেজ তৈরি করেছেন, আবার কেও হয়তো নিজের ব্যবসার প্রচার জন্যে আবার কেও কেও হয়তো ফেসবুক পেজ তৈরি করে তার মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করার কথা ভাবছেন।
পেজ খোলার কারণ যেটাই হোক না কেন, তবে তাড়াতাড়ি ফেসবুক পেজে ফলোয়ার্স বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে বা একটি ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে আপনাকে একি ধরণের কিছু নিয়ম ও টিপস গুলো অনুসরণ করে পেজটি পরিচালনা করতে হয় যেগুলোর বিষয়ে আমরা নিচে জানবো।
ফেসবুক হ্যাক হওয়ার কয়েকটি সাধারণ কারণ !
ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবো ?
নিচে যেই ভাবে আমি বলে দিচ্ছি ঠিক সেভাবে যদি আপনি আপনার ফেসবুক পেজটি চালাতে বা পরিচালনা করতে পারেন, তাহলে অবশই অনেক তাড়াতাড়ি আপনার পেজটি জনপ্রিয়তা লাভ করবে।
একটি ফেসবুক পেজ কিভাবে চালাতে হয় ? (সেরা টিপস)
আপনি যদি কোনো সমস্যা ছাড়া ফেসবুকে নিজের ব্যবসা চালিয়ে যেতে চান, তাহলে নিচে দিয়ে দেওয়া এই উপায়, টিপস বা ট্রিকস গুলো ভালো করে দেখুন ও অনুসরণ করুন।
১. কি ধরণের কনটেন্ট পাবলিশ করবেন ?
আপনি নিজের ফেসবুক পেজে কি ধরণের কনটেন্ট গুলো শেয়ার করছেন বা করবেন এটা সত্যি একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এক্ষেত্রে এমন কোনো বিশেষ বা কঠিন নিয়ম অবশই নেই যদিও আপনাকে এমন কনটেন্ট পাবলিশ করা দরকার যেগুলোকে শ্রোতারা সহজেই শেয়ার করবেন।
কারণ, যখন আপনার কনটেন্ট গুলো ফেসবুকে অধিক বেশি শেয়ার করা হবে তখন আপনারা ব্র্যান্ড সচেতনতা উচ্চমানের হয়ে দাঁড়াবে এবং অধিক শ্রোতাদের কাছে পৌঁছোতে পারবেন।
২. ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা বেশি
মনে রাখবেন, যেকোনো ধরণের আকর্ষক একটি ভিডিও পোস্ট ফেসবুকে অধিক শ্রোতাদের আকর্ষণ সাংঘাতিক ভাবে গ্রহণ করতে সাহায্য করে থাকে।
কারণ যেকোনো text বা image content এর তুলনায় video content এর চাহিদা অনেক বেশি।
তাই, আপনি আপনার ফেসবুক পেজের বিষয় হিসেবে বিভিন্ন ভিডিও কনটেন্ট গুলো তৈরি করে নিয়মিত বা সপ্তাহে কমেও ৩ থেকে ৪ দিন পাবলিশ করুন।
দেখবেন এতে কতটা তাড়াতাড়ি জনপ্রিয়তা ও ফলোয়ার্স বৃদ্ধি হবে। মনে রাখবেন, সাধারণ photo posts গুলোর তুলনায় video post গুলো প্রায় 135% থেকেও অধিক organic reach উৎপন্ন করার ক্ষমতা রেখে থাকে।
তাই আপনারা দেখবেন, বর্তমান সময়ে প্রায় প্রচুর YouTubers-রা ইউটিউবের সাথে সাথে নিজের ফেসবুক পেজ গুলোতেও video content publish করে থাকেন।
৩. আপনার শ্রোতাদের উত্তর দেত্তয়া
এখন আপনার একটি ফেসবুক পেজ আছে যেখানে আপনি নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করছেন। যখন নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করা হচ্ছে তখন প্রচুর শ্রোতারাও আপনার সাথে সংযুক্ত হচ্ছেন এবং আপনাকে তারা বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন করাটাও স্বাভাবিক।
যখন আপনার শ্রোতারা আপনার পোস্ট গুলোতে কমেন্ট করেন, এর মানে হলো শ্রোতারা আপনার সাথে সংযুক্ত হতে আগ্রহী। তাই, আপনাকেও সেই আলোচনা গুলো চালিয়ে যেতে হবে।
শ্রোতারা করা কমেন্ট গুলোর নিয়মিত উত্তর দিতে হবে এবং তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
৪. ছোট ছোট পোস্ট এর গুরুত্ব
80 বা এর থেকে কম characters-এর সাথে লেখা পোস্ট গুলো ফেসবুকে লং পোস্ট গুলোর তুলনায় ২৫% অধিক শ্রোতাদের আকর্ষক গ্রহণ করতে সক্ষম হয়।
কেননা আপনার ফেসবুক পোস্ট যতটা শর্ট ভাবে লেখা থাকবে সেটা পড়তে ততই কম সময় লাগবে এবং এই ধরণের পোস্ট গুলো সুবিধাজনক ভাবে পড়া সম্ভব।
৫. পেজ প্রোমোট করুন
একবার নিজের পেজ তৈরি করে সেখানে নিয়মিত কিছুটা পোস্ট পাবলিশ করার পর, এখন আপনি চাইলে নিজের পেজটিকে প্রোমোট করতে পারেন। পেজ প্রমোট করা মানে আপনি বিভিন্ন উপায় গুলো অনুসরণ করে নিজের পেজটি প্রচার করবেন। এতে, অধিক শ্রোতারা আপনার পেজের বিষয়ে জানতে পারবেন।
নিচে বলে দেওয়া উপায় গুলোর দ্বারা ফেসবুক পেজ প্রচার করুন,
১. আপনার পেজ এর বিষয়ের ওপর রুচি রাখা নিজের বন্ধু এবং আত্মীয় দের পেজ লাইক করার জন্যে আমন্ত্রণ জানান।
২. যদি আপনার অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকে থাকে তাহলে সেখানেও নিজের পেজের প্রচার করুন।
৩. Facebook Ads-এর দ্বারা কিছু টাকা খরচ করে নিয়মিত নতুন নতুন লক্ষ্যবস্তু শ্রোতাদের কাছে পৌঁছোতে পারবেন।
৪. আপনার যদি কোনো website বা YouTube channel আছে, তাহলে তার মাধ্যমে নিজের ফেসবুক পেজের প্রচার করা সম্ভব।
৬. Facebook Ads চালিয়ে পেজের ব্যস্ততা বাড়ান
Facebook-এর মধ্যে থাকা promote post-এর অপশন ব্যবহার করে আপনি আপনার পেজ ও পোস্ট এর ব্যস্ততার হার দারুণভাবে বাড়িয়ে নিতে পারবেন। এখানে আপনার ১০০০ বা ২০০০ খরচ করার দরকার নেই, আপনি চাইলে মাত্র ১০০ বা ২০০ টাকা খরচ করেও এই সুবিধার লাভ নিতে পারেন।
Promote post বা Facebook ads-এর দ্বারা আপনি আপনার পোস্ট বা পেজটিকে ফেসবুকের মধ্যে থাকা বিভিন্ন টার্গেটেড শ্রোতাদের কাছে পৌঁছোতে পারবেন।
তবে এর জন্যে ফেসবুক আপনার থেকে কিছুটা টাকা নিলেও আপনার এখানে কোনো ক্ষতি নেই।
কেননা, আপনি সামান্য পরিমানে টাকা দিয়ে নতুন নতুন ও targeted audience পেতে পারছেন।
আপনি আপনার পেজে করা প্রত্যেকটি পোস্ট এর নিচেই “Promote Post” এর একটি অপসন পাবেন।
যেই পোস্টটি টাকা দিয়ে paid promotion করলে অধিক audience-দের আকর্ষণ পাওয়া যাবে বলে মনে হবে সেই পোস্ট গুলো মাজে মাজে অবশই প্রোমোট করবেন।
৭. একটি পোস্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করুন
নিয়মিত কোন কোন বিষয়ে কি কি পোস্ট গুলো নিজের ফেসবুক পেজে করবেন, এর জন্যে একটি পোস্ট ক্যালেন্ডার অবশই তৈরি করা দরকার। এতে আপনি আগের থেকেই নিশ্চিত থাকতে পারবেন যে কোন সময় কি কি পোস্ট করতে হবে।
আপনার মনের মধ্যে থাকা প্রত্যেকটি কনটেন্ট আইডিয়া গুলোর একটি লিস্ট তৈরি করুন।
এবার সম্পূর্ণ সপ্তাহের একটি সময়সূচী তৈরি করুন, কোন কোন টপিক গুলো নিয়ে পোস্ট করবেন, পোস্টার মধ্যে কি লিখবেন, ছবি বা ভিডিও থাকবে কি না ? যদি থাকে সেগুলোতে কি কি দিবেন ? সবটার আগের থেকেই একটি ধারণা তৈরি করে রাখুন।
এভাবে আপনি বিভ্রান্ত হবেননা এবং সব কাজ একে একে সঠিক ভাবে হয়ে যাবে।
উপসংহার,
তাহলে বন্ধুরা, আমি আমার ফেসবুক পেজ কিভাবে চালাই বা পরিচালনা করি সেই বিষয়ে আপনারা জানলেন।
আশা করছি, ফেসবুক পেজ কিভাবে চালাতে ও পরিচালনা করতে হয় এই বিষয়টি আপনার আপনার ক্লিয়ার।
আর্টিকেলের সাথে রিলেটেড কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে কিন্তু জানাবেন।
0 responses on "ফেসবুক পেজ কিভাবে চালাতে ও পরিচালনা করতে হয় ?"