স্পোর্টস হিসেবে ফুটবল এর অর্থ অনেকটা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে ভিএআর এর কারণে। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ভিএআর এমন একটি প্রযুক্তি যা ম্যাচ রেফারি দ্বারা গৃহিত সিদ্ধান্ত রিভিউ করতে সাহায্য করে।
বিশ্বব্যাপী ফুটবল লাইভ চলাকালে কমিউনিটি ম্যাচের সিদ্ধান্তকে পরীক্ষা করতে ভিএআর ব্যবহার নিয়ে মিশ্র মন্তব্য করছে। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ এর পর এবারের ২০২২ কাতার বিশ্বকাপেও বেশ গুরুত্বসহকারে ব্যবহার করা হবে ভিএআর।
কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ এর প্রথম ম্যাচে কাতার ও ইকুইডর এর মধ্যকার গোল অফসাইড এর কারণে বাতিল ঘোষণা করা হয়, যা ভিএআর দ্বারা ডিটেক্ট করা হয়েছিলো। অর্থাৎ বুঝাই যাচ্ছে এইবারের বিশ্বকাপ আসরে ভিএআর বিশাল একটি ভুমিকা পালন করতে যাচ্ছে।
ফুটবল খেলায় ভিএআর এক হিসাবে আশীর্বাদ হলেও অনেকে এই প্রযুক্তিকে তেমন একটা পছন্দ করছেন না। এই পোস্টে ফুটবল খেলায় ভিএআর প্রযুক্তি অপছন্দের কারণ জানবেন।
ভিএআর কি?
ভিএআর এর পূর্ণরূপ ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি যা ইতিমধ্যে জেনেছেন। একটি ম্যাচে মূলত চারটি অবস্থার ক্ষেত্রে ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারি ব্যবহার করা হয়। ভিএআর একজন রেফারিকে কোনো ভুল ধরিয়ে দিতেও সাহায্য করতে পারে। যেসব ব্যাপারে ভিএআর ব্যবহার হবে সেগুলো হলোঃ
- গোল হয়েছে কি হয়নি তা চেক করতে
- পেনাল্টি হয়েছে কি হয়নি তা চেক করতে
- সরাসরি রেড কার্ড প্রদান করা হলে
- রেফারি কোনো খেলোয়াড়কে ভুলভাবে আইডেন্টিফাই করলে
উল্লেখিত সকল পরিস্থিতিতে ভিএআর ব্যবহৃত হবে ম্যাচ রেফারি সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর। অর্থাৎ রেফারি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করলে সেক্ষেত্রে ভিএআর ব্যবহৃত হবেনা। এছাড়া রেফারির কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কতটুকু সঠিক ছিলো তা চেক করতেও ভিএআর ব্যবহৃত হবে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত যে হিসাবেই নেওয়া হোক না কেনো, মাঠে থাকা রেফারির সিদ্ধান্ততি চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
এইতো গেলো ভিএআর সম্পর্কে সাধারণ যত কথা। এই প্রযুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচে লিংক করা পোস্ট ঘুরে আসতে পারেন।
দর্শকরা ফুটবল খেলায় ভিএআর অপছন্দ করছে কেনো?
এবার আসি কেনো ফুটবল খেলায় ভিএআর ব্যবহার লোকজন অপছন্দ করছে সেই প্রসঙ্গে।
প্রথমত বলে রাখা ভালো যে, কোনো বিষয় অপছন্দ করতে লোকজন অধিক ভালোবাসে যা কিন্ত সত্য। ভিএআর এর ক্ষেত্রেও অনেকটা একই বিষয় হয়েছে। আপনার পছন্দের দলের গোল ভিএআর কেটে নিলে তা আপনার গায়ে লাগবে আবার যখন না পাওয়া পেনাল্টি পেয়ে যাবেন তখন এই প্রযুক্তি আপনার পছন্দের হতে বাধ্য।
২০১৮ এর বিশ্বকাপ ফুটবলে ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারিং এর প্রচলন শুরু হয়। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি এটি মূলত মাঠে থাকা রেফারি ও টিম অফিসিয়ালকে সাহায্য করে মাঠের মধ্যে থাকা অসংখ্য ক্যামেরার সাহায্যে। যেকোনো সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে বিবেচনা করতে এই প্রযুক্তির সৃষ্টি। যেমনঃ মাঠে থাকা রেফারি কোনো গোল বা পেনাল্টি সঠিকভাবে হয়েছে কিনা তা চেক করতে পারবেন।
তবে তার মানে এই নয় যে ভিএআর প্রযুক্তি সম্পূর্ণ সঠিক। প্রথমত ক্যামেরা এংগেল সবসময় কিন্তু পারফেক্ট নয়। মাঠে থাকা ব্যতিত অনেক বিষয়ে সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়, অন্তত গুটিকয়েক ক্যামেরা দ্বারা তো তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। খেলার কথা হলে তো কোনো কিছুই কখনো পারফেক্ট হতেই পারেনা।
0 responses on "ফুটবল খেলায় ভিএআর অপছন্দের কারণ জানুন"