ব্যবসায়িক দিক দিয়ে দিন তেমন একটা ভালো যাচ্ছেনা ফেসবুক তথা মেটা’র। সম্প্রতি মেটাভার্সকে কোম্পানিটির আসল ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর অনেক কর্মী ছাঁটাই এর ঘটনাও কারো অজানা নয়।
এসব সমস্যার মধ্যে মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপকে আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে কোম্পানিটি। কিন্তু এরই মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ ভাইরাল হয়ে গেছে এক দুর্ভাগ্যজনক খবরের কারণে, সম্প্রতি বড় ধরনের তথ্য ফাঁস এর কারণে অনেক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকিতে পড়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৮৪টি দেশের ৪৮৭মিলিয়ন ব্যবহারকারীর ফোন নাম্বার ওপেনলি বিক্রি করেছে একজন হ্যাকার। ৪৮৭মিলিয়ন ফোন নাম্বারের মধ্যে মধ্যে ৩২মিলিয়ন ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের, ৪৫মিলিয়ন ছিলো মিশরের, ৫মিলিয়ন ইটালির, ২৯মিলিয়ন সৌদি আরবের। এছাড়া এই তালিকায় ফ্রান্সের ২০মিলিয়ন, রাশিয়ার ১০মিলিয়ন এবং ১০মিলিয়ন ব্রিটিশ ফোন নাম্বার ছিলো। এছাড়া ব্রাজিলের ৮মিলিয়ন ব্যবহারকারীর ফোন নাম্বারও ছিলো এই তালিকায়।
তবে মার্ক জাকারবার্গ এর সম্প্রতি এক দাবির সাথে এই ডাটা ব্রিচ বেশ সাংঘর্ষিক। মার্ক কিছুদিন আগেই বলেন যে আইমেসেজ এর চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপ অনেক বেশি প্রাইভেট ও সিকিউর। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এই মন্তব্যের এক মাসের মধ্যেই এই বিশাল ডাটা ব্রিচ এর ঘটনা ঘটে গেলো। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ। অন্যদিকে অ্যান্ড্রয়েডে মেসেজ পাঠানোর ক্ষেত্রে সাধারণ এসএমএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইমেসেজ।
এরপরেও হোয়াটসঅ্যাপ এর এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন প্রযুক্তি তেমন একটা কাজে আসলোনা। এই ডাটা ব্রিচ এর অংশ হিসেবে এই বিশাল সংখ্যার ফোন নাম্বার ফাঁস হয়ে গেলো। তবে দেখার বিষয় হলো এই ব্যাপারে হোয়াটসঅ্যাপ কী বলে। এখনো অফিসিয়ালি এই ডাটা ব্রিচ সম্পর্কে কিছু জানায়নি হোয়াটসঅ্যাপ।
বিশ্বব্যাপী বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ এর ২বিলিয়নের অধিক ব্যবহারকারী রয়েছে। অর্থাৎ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেসেজিং অ্যাপগুলোর মধ্যে এটি একটি। আর এর মানে হলো সকল হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর মধ্যে প্রায় চার ভাগের এক ভাগ ব্যবহারকারীর তথ্য বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে।
এমন অবস্থায় আপনার হোয়াটসঅ্যাপে অচেনা নম্বর থেকে কোনো মেসেজ এলে সাবধান থাকুন। বিভিন্ন চমকপ্রদ অফার কিংবা লটারির কথা বলে অনেক প্রতারক মেসেজ পাঠাতে পারে। সেসব মেসেজে বিভিন্ন ক্ষতিকর লিংক থাকতে পারে। সেসব লিংক ভুলেও ক্লিক করবেন না। এছাড়া সন্দেহজনক মেসেজের রিপ্লাই দিবেন না। প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত তথ্য যত লুকিয়ে ফেলা যায় সেই চেষ্টা করুন।
0 responses on "প্রায় ৫০ কোটি হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্টের তথ্য ফাঁস! করণীয় জানুন"