একটি নতুন ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম কি ? ইমেইল একাউন্ট তৈরী করতে কি কি লাগবে ? সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে ইমেইল আইডি কিভাবে খুলবো ? আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা এই প্রত্যেকটি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানতে চলেছি। (How to create a new email account).
Email address হলো একটি electronic mailbox-এর পরিচয় (identification of an electronic mailbox).
সোজা ভাবে বলতে গেলে, ইমেইল এড্রেস হলো একটি unique identifier, যার দ্বারা লোকেরা electronic messages গুলোকে পাঠাতে এবং গ্রহণ করতে পারেন।
ইমেইল আইডি বা এড্রেস এর মধ্যে মূলত দুটি ভাগ সংযুক্ত থাকে। Username এবং একটি domain name.
উদাহর স্বরূপ: username@gmail.com বা banglatechdotinfo@gmail.com. এখানে, banglatechdotinfo-হলো আমাদের username.
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটি email address ব্যবহার করা হয় অনলাইনে কোনো ব্যক্তিকে সনাক্ত করা (identify) এবং তার সাথে যোগাযোগ করার উদ্দেশ্যে।
এছাড়া, websites, apps এবং অন্যান্য online platforms গুলোতে account তৈরি করার ক্ষেত্রেও একটি email address-এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
বর্তমানের এই ডিজিটাল যুগে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ গুলো করার ক্ষেত্রে এবং পরস্পরে সংযুক্ত থাকার জন্যে একটি ইমেইল এড্রেস থাকা অনেক জরুরি।
বর্তমান সময়ে আমরা প্রত্যেক দিন অনলাইনে বিভিন্ন কাজ গুলো করে থাকি। এবং, দিনের বেশিরভাগ সময় আমরা অনলাইন ইন্টারনেটে সময় কাটাই।
Personal এবং professional communication, online account creation, important notifications এবং updates গুলো গ্রহণ করার মতো বিভিন্ন কাজের জন্যে একটি ইমেইল আইডির প্রয়োজন।
তাই, বর্তমান সময়ে যেকোনো বা প্রায় প্রত্যেক অনলাইন কার্যক্রম (online activities) গুলোর জন্য একটি email address-এর প্রয়োজন হয়েই থাকে।
সেরা ইমেল পরিষেবা প্রদানকারী নির্বাচন করুন – (Email Service Provider)
এমনিতে আপনি নিজের হিসেবে যেকোনো ইমেল পরিষেবা প্রদানকারীর থেকে ইমেইল একাউন্ট খুলুন সেটা নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।
তবে, যখন কথা হচ্ছে একটি সেরা এবং ফ্রি ইমেল পরিষেবা প্রদানকারীর, তখন আমরা ৩টি Service Provider-এর বিষয়ে বলতে পারি।
Gmail
Yahoo Mail
Outlook
মানে, ওপরে বলা Service Provider গুলোর দ্বারা আপনারা নিজের জন্যে একটি নতুন ইমেইল একাউন্ট তৈরী করতে পারবেন।
আপনার জন্যে এদের মধ্যে সেরা Email Service Provider কোনটি হবে সেটা নির্ভর করছে আপনার নির্দিষ্ট চাহিদা এবং পছন্দের ওপর।
তাই, আগে ওপরে বলা ৩টি platform-এর বিষয়ে ভালো করে জেনেনিন রিসার্চ করুন,
এবং তারপর কোনটাতে আপনি সেরা features এবং functionality পাচ্ছেন, সেটা দেখে নিয়ে তারপর ইমেইল আইডি তৈরি করুন।
এমনিতে, আপনি চাইলে ওপরে বলা প্রত্যেকটি email service provider গুলোতে গিয়ে একটি বা একাধিক ইমেইল একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
Gmail – (Google Mail)
Gmail হলো Google-এর একটি পরিষেবা যেখানে জেকেও সম্পূর্ণ ফ্রীতে নিজের একটি ইমেইল আইডি বানিয়ে নিতে পারবেন।
তাই, Gmail হলো সম্পূর্ণ free email service provider.
এখানে আপনারা অনেক রকমের features গুলো পাবেন যেমন,
15GB পর্যন্ত storage capacity, spam filters এবং অন্যান্য গুগল পরিষেবা গুলো যেমন “Google Drive-এর” সাথে ইন্টিগ্রেশন করার সুবিধা।
আপনারা mobile, tablet, computer, যেকোনো device থেকেই জিমেইল একাউন্ট এক্সেস করতে পারবেন।
এছাড়া, Gmail mobile app ব্যবহার করে যেকোনো সময় নিজের মেইল আইডির সাথে সংযুক্ত (connected) থাকা যাবে।
Yahoo Mail
Yahoo mail হলো আরেকটি অনেক জনপ্রিয় ও বিখ্যাত একটি email service provider.
এখানে আপনারা Gmail-এর মতোই features গুলো পাবেন যেমন,
অধিক storage capacity, spam filters এবং বিভিন্ন device থেকে mail access করার সুবিধা।
তবে, এখানে একটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে যেটা অনেকের জন্যে অনেক কাজের ফীচার হতে পারে।
এখানে আপনারা একটি inbox-এর মধ্যে একাধিক ইমেইল একাউন্ট (multiple email accounts) গুলো দেখতে পারবেন।
এছাড়া, Yahoo-এর অন্যান্য পরিষেবা যেমন, Yahoo Calendar এবং Yahoo Contacts-এর ব্যবহার করা যাবে।
Outlook
Outlook-হলো Microsoft-এর তরফ থেকে থাকা একটি পরিষেবা যেটা মূলত businesses এবং professionals দ্বারা ব্যবহার করা হয়।
এখানেও আপনারা বিভিন্ন features গুলো পাবেন যেমন, calendars, task lists এবং একটি inbox-এর মধ্যে একাধিক email account দেখা।
এখানে আবার আপনারা “two-factor authentication and encryption” নামের advanced security feature পাবেন।
তবে, “two-factor authentication” নিরাপত্তা আপনারা Gmail এবং Yahoo-তেওঁ পাবেন।
একটি Outlook account খোলার মাধ্যমে আপনারা Microsoft-এর অন্যান্য পরিষেবা গুলোও ব্যবহার করতে পারবেন।
যেমন, OneDrive এবং Office 365.
এমনিতে, অনলাইনে এদের বাইরেও আরো অনেক email service provider গুলো আছে যেগুলোর ব্যবহার করে একটি ইমেইল আইডি বানানো যাবে।
যেমন, Zoho Mail, iCloud Mail, ProtonMail ইত্যাদি।
প্রত্যেক ইমেইল সার্ভিস প্রোভাইডার দের নিজের নিজের সুবিধা, নিরাপত্তা এবং বিশেষত্ব গুলো রয়েছে।
ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম । ইমেইল আইডি কিভাবে খুলবো
ওপরে ইমেইল একাউন্ট তৈরী করার সেরা ৩টি email service provider-এর নাম এবং সেগুলোর বেসিক তথ্য আমি দিয়ে দিয়েছি।
আপনি নিজের পছন্দ হিসেবে যেকোনো একটি ইমেইল সার্ভিস প্রোভাইডার থেকে নিজের নতুন ইমেইল একাউন্ট খুলুন।
তবে, New Email Account খোলার নিয়ম ও ধাপ গুলো আমি আপনাদের নিচে বলে দিচ্ছি।
আপনারা সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া নিজের কম্পিউটারে ইন্টারনেট Browser এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ করতে হবে।
যদি মোবাইল দিয়ে ইমেইল আইডি খুলতে চাইছেন, তাহলে মোবাইল থাকা Google Chrome Browser ওপেন করুন।
এবার, অপসন ট্যাবে ক্লিক করে “Desktop site” এর বাক্সে সিলেক্ট করে নিন।
এতে আপনার মোবাইলের chrome browser এর মধ্যে ওয়েবসাইট গুলো কম্পিউটার ভার্সন হিসেবে ওপেন হবে।
আমি পরামর্শ দিবো আপনারা যদি নিজের জন্যে প্রথম বারের জন্যে ইমেইল আইডি তৈরি করতে চলেছেন,
তাহলে Gmail এর দ্বারা একটি ইমেইল আইডি খুলুন।
নিচে আমি steps গুলো video-এর দ্বারা বুঝিয়ে দিয়েছি।
এবার নিচে দেওয়া স্টেপ গুলো অনুসরণ করে একটি ইমেইল আইডি তৈরি করে নিন।
Gmail দ্বারা নতুন ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম:
এমনিতে নতুন জিমেইল আইডি কিভাবে খুলবো, এই বিষয়ে আমার আরেকটি আর্টিকেল রয়েছে।
আপনারা সেই আর্টিকেলটি পড়লেই জিমেইল দ্বারা ইমেইল আইডি কিভাবে বানাতে হয় সেটা সম্পূর্ণ স্পষ্ট করে বুঝতে পারবেন।
তবে, নিচে আপনি জিমেইলে ইমেইল আইডি তৈরির সম্পূর্ণ ভিডিও টিউটোরিয়াল দিয়ে দিয়েছি।
এমনিতে ওপরে ভিডিওটি দেখলে আপনারা ভালো করে আইডি তৈরির প্রক্রিয়া বুঝেই যাবেন।
তবে, নিচে আমি প্রত্যেকটি ধাপ (steps) গুলো একে একে দিয়ে দিচ্ছি।
স্টেপ ১.
নিজের কম্পিউটার বা মোবাইলের থেকে আপনাকে “gmail.com” এর ওয়েবসাইটে চলে যেতে হবে।
স্টেপ ২.
এখন আপনারা গুগলের তরফ থেকে একটি লগইন পেজ দেখতে পাবেন।
খানিকটা নিচেই আপনারা ” create account” এর একটি link দেখবেন যেখানে ক্লিক করতে হবে।
স্টেপ ৩.
Create account-এর অপশনে click করার পর আপনারা ৩টি অপসন দেখবেন যেখান থেকে “for my personal use” এর অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।
স্টেপ ৪.
এখন এই পেজে আপনাকে নিজের নাম দিয়ে নতুন জিমেইল আইডি দিয়ে দিতে হবে।
মনে রাখবেন, আপনাকে “username” এর বাক্সে একটি unique ইমেইল আইডি দিতে হবে।
এর পর নিচে নিজের আইডির জন্যে একটি পাসওয়ার্ড দিন এবং পাসওয়ার্ড কন্ফার্ম করুন।
শেষে “next” বাটনে ক্লিক করুন।
স্টেপ ৫.
পরের পেজে আপনাকে নিজের মোবাইল নাম্বার দিতে বলা হবে।
আপনি চাইলে মোবাইল নাম্বার পরেও দিতে পারবেন বা মোবাইল নাম্বার ছাড়া একাউন্ট তৈরি করা যাবে।
এবার নিচে নিজের জন্মের তারিখ দিন এবং নিজের জেন্ডার সিলেক্ট করে “Next” বাটনে click করুন।
স্টেপ ৬.
এখন Google-এর তরফ থেকে একটি privacy and terms page দেখানো হবে।
আপনি সরাসরি নিচে গিয়ে “I Agree” লিংকে click করুন।
ব্যাস, এখন আপনার জিমেইল আইডি তৈরি হয়ে গিয়েছে।
ইমেইল এড্রেস এর ব্যবহার – (Uses of email)
বর্তমান সময়ে একটি ইমেইল এড্রেস বিভিন্ন কারণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
১. ব্যক্তিগত বা প্রফেশনাল কাজে করা যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইমেইল এর প্রচুর ব্যবহার করা হয়। ইমেইল হলো একটি অনেক সাধারণ তবে জনপ্রিয় যোগাযোগের মাধ্যম। এটা অনেক দ্রুত এবং কার্যকর ভাবে তথ্য গুলোকে শেয়ার করে থাকে।
২. বর্তমান সময়ে অনলাইনে যেকোনো ধরণের একাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে একটি ইমেইল আইডির প্রয়োজন হয়ে থাকে। Websites, apps এবং অন্যান্য online platforms গুলোতে একাউন্ট ভেরিফিকেশন এর ক্ষেত্রে ইমেইল এর ব্যবহার প্রচুর হয়ে থাকে।
৩. বিভিন্ন online platform, apps, websites, company গুলো নতুন নতুন notification এবং update গুলো তাদের গ্রাহক এবং সাবস্ক্রাইবার দের কাছে পৌঁছে দিতে ইমেইল ব্যবহার করেন।
৪. Email-এর দ্বারা আমরা একে অপরের সাথে বিভিন্ন files এবং media গুলো শেয়ার করতে পারি। যেমন, documents, images এবং videos.
৫. Online shopping, booking এবং reservations-এর ক্ষেত্রে verification ও confirmation-এর ক্ষেত্রে ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার হয়ে থাকে।
৬. বর্তমান সময়ে ইমেইল এর দ্বারা অনলাইন মার্কেটিং করার প্রক্রিয়াটি সাংঘাতিক লাভজনক প্রমাণিত হয়েছে। ইমেইল মার্কেটিং এর প্রক্রিয়াতে কোম্পানি গুলো বিভিন্ন promotional এবং marketing messages গুলো তাদের গ্রাহকদের ইমেইল এর দ্বারা পাঠান।
FAQ,
নতুন ইমেইল আইডি বানাতে কত সময় লাগবে ?
কেবল ২ থেকে ৫ মিনিটের মধ্যে একটি ইমেইল একাউন্ট তৈরি করা সম্ভব।
নতুন ইমেইল একাউন্ট তৈরি করতে মোবাইল নাম্বার লাগবে ?
জিমেইল এর দ্বারা আপনি কোনো মোবাইল নাম্বার ছাড়া ইমেইল আইডি বানিয়ে নিতে পারবেন।
একটি মোবাইল নবমার দিয়ে কি একাধিক ইমেইল একাউন্ট বানানো যাবে ?
হ্যা, আপনি একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে একাধিক ইমেইল আইডি বানাতে পারবেন।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, আমরা আজকে একটি নতুন ইমেইল আইডি কিভাবে খুলবো সেই বিষয়ে জানলাম। আশা করছি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের অবশই কাজে লাগবে।
আমাদের আজকের আর্টিকেল, how to create a new email account, যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আর্টিকেলটি শেয়ার অবশই করবেন।
এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে অবশই জানাবেন।
0 responses on "নতুন ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম – (ইমেইল একাউন্ট খুলুন)"