ইন্টারনেট (internet), নামটি শুনলেই যেন কেমন একটি উৎসাহ এবং আগ্রহ প্রত্যেকের মধ্যেই দেখা যায়।
Internet হলো একটি world wide network যেটা প্রায়, ৩ বিলিয়ন লোকেরা সম্পূর্ণ বিশ্বের থেকে ব্যবহার করছেন।
এই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা সব থেকে বেশি China, India এবং United states এ রয়েছে।
তাছাড়া, অন্যান্য দেশ বিদেশেও ইন্টারনেটের ব্যবহার তীব্র গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্কুলে শিক্ষা গ্রহণ করা সাধারণ ছাত্র থেকে আরম্ভ করে বয়স্ক লোকেরাও এই ইন্টারনেট প্রযুকজটির ব্যবহার করছেন।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর, whatsapp messenger এ আশা আপনার good morning sms থেকে শুরু করে, YouTube এবং গুগলের (Google) মাধ্যমে তথ্য গ্রহণ করা, Facebook এবং Instagram এর মতো social media গুলিতে নিজের প্রিয়জনের সাথে chatting করা বা status শেয়ার করা, সবটাই কিন্তু ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্ভন হচ্ছে।
তাছাড়া, আজকাল ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইন ইনকাম করার সুযোগের ব্যাপারেতো আপনারা জানেন।
এই ক্ষেত্রেও, হাজার হাজার লোকেরা ইন্টারনেটের সঠিক ও লাভজনক ব্যবহার অবশই করছেন।
ইন্টারনেটের ব্যবহার, ব্যবসা (business), শিক্ষা (education), চিকিৎসা, পরিবহন, স্কুল (school), পারম্পরিক দপ্তর (offices) এবং ব্যক্তিগত জীবনে, আজ অনেক বেশি পরিমানে হচ্ছে।
যদি আমি সঠিক ভাবছি তাহলে, ইন্টারনেট যদি কেবল এক দিনের জন্যও না থাকে, তাহলে লোকেরা প্রচুর অস্থির হয়ে ওঠবে।
কারণ, ৯০% লোকেদের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট এর ব্যবহার, এক ধরণের অভ্যাসে পরিণত হয়েগেছে।
তবে সত্যি বললে, ইন্টারনেট আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক উপকার অবশই করছে।
এর ব্যবহারের ফলে, অনেক জটিল কাজ গুলিকেও সহজেই করে ফেলাটা সম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাই, এই আর্টিকেলে আমি, “ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা“, “ইন্টারনেটের উপকারিতা“, “ইন্টারনেট ব্যবহারের সুফল” এবং দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার কি কি কাজে করা হচ্ছে, এই বিষয়ে বলবো। (Advantages and benefits of Internet in Bangla).
ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা এবং উপকারিতা
আগেকার সময়ে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেবল কিছু ওয়েবসাইটে গিয়ে সাধারণ তথ্য গ্রহণ করাটাই ছিল এর ব্যবহার বা সুবিধা।
কিন্তু, এখনের আধুনিক সময়ে প্রযুক্তি সংযুক্ত যেকোনো ক্ষেত্রে আমরা ইন্টারনেটের ব্যবহার করছি।
তবে, আরো অনেক নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্রে, ইন্টারনেটের ব্যবহার নিয়ে আনার কথা প্রত্যেকদিন চলছে।
সঠিক ভাবে দেখলে, ইন্টারনেট আমাদের প্রত্যেকের জন্যই একটি অনেক জরুরি সাধন বা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা ইন্টারনেটের ব্যবহার করছি।
- ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে (Doing business).
- নতুন বন্ধু বানানোর জন্য (Make new friends).
- শিক্ষার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার। (Educational purpose).
- যেকোনো বিষয়ে তথ্য গ্রহণ করার উদেশ্যে (Searching for information).
তবে, আরো অন্যান্য ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এর লাভ ও উপকারিতা প্রচুর।
তাহলে চলুন, নিচে আমরা এই জরুরি সাধন যাকে বলা হয় “internet“, তার কিছু উপকারিতা এবং সুবিধা কি কি, সেগুলি জেনেনেই।
ইন্টারনেটের উপকারিতা, লাভ এবং সুবিধা গুলি কি কি ?
নিচে ইন্টারনেটের কিছু উপকারিতা এবং সুবিধার ব্যাপারে বলা হয়েছে।
#১. Online shopping, buying and selling
ইন্টারনেটের সাহায্যে যেকোনো জিনিস (product) ঘরে বসে, e-commerce website গুলির থেকে কিনে নিতে পারবেন।
খাবার জিনিসের থেকে শুরু করে, electronics, stationary, dress, accessories, mobile এবং প্রত্যেকটি জিনিস ইন্টারনেট থেকে এই e-commerce ওয়েবসাইট গুলির মাধ্যমে কিনে নেওয়াটা সম্ভব।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন জিনিস কেনার প্রচুর সুবিধে রয়েছে।
যেমন,
- লোকাল বাজারের থেকে অনেক কম দামেই জিনিস পাবেন।
- যেকোনো product এর অনেক variety পেয়ে যাবেন।
- আপনার local area তে না পাওয়া products সহজে অন্য শহর থেকে order করতে পারবেন।
- দেশের বাইরের থেকেও অন্যান্য দেশ বিদেশ থেকে ঘরে বসে কেনাকাটা করতে পারবেন।
- চাহিদা হিসেবে যেকোনো জিনিস পাওয়া সম্ভব।
ওপরে আমি অনলাইনে কেনাকাটা করার কিছু সুবিধার বেপারে বললাম।
তবে, আপনি যদি চান, তাহলে নিজের products বা services গুলি, ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজে বিক্রি করতে পারবেন।
একটি অনলাইন e-commerce ওয়েবসাইট তৈরি করে বা অন্যান্য “ডিজিটাল মার্কেটিং” টেকনিক ব্যবহার করে, অনেক সহজে, যেকোনো পণ্য বিক্রি করা যেতে পারে।
হাজার হাজার লোকেরা, ইন্টারনেটের ব্যবহার করে নিজেদের ব্যবসা অনেক এগিয়ে নিয়ে এসেছে।
তাই, আপনি যদি গ্রাহক হিসেবে অনলাইন কেনাকাটা করার কথা বলেন বা একজন বেবসাই (businessman) হিসেবে অনলাইন পণ্য (products) বিক্রি করার কথা, দুটো ক্ষেত্রেই, ইন্টারনেট আমাদের অনেক উপকার ও সাহায্য করেছে।
এই ক্ষেত্রে, ইন্টারনেট কিন্তু প্রচুর সুবিধাজনক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
#২. শিক্ষার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা
শিক্ষার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রচুর পরিমানে করা হচ্ছে।
কারণ, আমরা সবাই জানি যে Internet হলো এমন একটি modern technology যেখানে আমরা যেকোনো বিষয়ে তথ্য পেয়ে যেতে পারি।
স্কুল কলেজের পড়াশোনার বিষয় গুলির থেকে শুরু করে, professional skills, যেকোনো বিষয়ে information এবং জ্ঞান নিয়ে নেয়ার জন্য ইন্টারনেট অধিক বেশি পরিমানে ব্যবহার করা হয়।
তাছাড়া, আজকাল ইন্টারনেটের সাহায্যে online education বা distance learning programs এর প্রচলন প্রচুর জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এতে, ছাত্ররা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো diploma, course বা professional degree ঘরে বসে ভালো ভালো কলেজ থেকে অনলাইনে করে নিতে পারেন।
এগুলির বাইরেও, Google search এবং YouTube video search তো রয়েছেই।
Google এবং YouTube এর মাধ্যমে, আমরা আমাদের যেকোনো প্রশ্ন বা সমস্যার সমাধান content এবং video র মাধ্যমে সহজেই পেয়ে যেতে পারি।
এবং, ইন্টারনেটে Wikipedia র মতো অনেক ভালো ভালো ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলির মাধ্যমে আমরা বিশ্বের যেকোনো জিনিস, টপিক বা ব্যাক্তির বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য পেয়ে যেতে পারি।
সত্যি বললে, আজকাল যেকোনো বিষয়ে জ্ঞান বা শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য, সবচে আগেই “Google search“, “YouTube” এবং সব মিলিয়ে “Internet” এর ব্যবহার লোকেরা প্রচুর করছেন।
তাই, শিক্ষা এবং তথ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে, ইন্টারনেটের সুবিধার ও উপকারিতার কোনো তুলনাই নেই।
#৩. অনলাইনে টাকা আয় করার সুযোগ
মানব জীবনে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে হওয়া উপকার গুলির মধ্যে, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং কাজের বিষয়টি হলো “Online income” এর বিষয়টি।
হে, আজ লোকেরা বিভিন্ন মাধ্যমে অনলাইন ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করে নিচ্ছেন।
এবং সত্যি বললে, এর মাধ্যমে একটি ফুল-টাইম ৯ থেকে ৫ এর চাকরির থেকেও অধিক বেশি পরিমানে টাকা আয় করাটা সম্ভব।
তবে, আপনার সঠিক নিয়ম এবং প্রক্রিয়া গুলি ব্যবহার করতে হবে।
আমি নিজেই, ইন্টারনেটে ব্লগিং (blogging) এর মাধ্যমে ভালো পরিমানে টাকা আয় করছি।
এক্ষেত্রে, গুগলে সার্চ করলেই, ইন্টারনেট থেকে আয় করার বিষয়ে অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন।
তবে বলে রাখি, ইন্টারনেট থেকে টাকা ইনকাম করার সব থেকে লাভজনক উপায় হিসেবে “YouTube channel”, “Blogging”, “Freelancing”, “Google adsense”, “নিজের online shopping website” এবং “Affiliate marketing” কে ধরা হয়।
আপনি চাইলে, “blogging” এবং “YouTube” থেকে সহজে ইনকাম করতে পারবেন।
তাহলে, ইন্টারনেটের সুবিধা সমূহ বা ইন্টারনেটের উপকারিতা গুলির কথা বললে, এর থেকে টাকা আয় করতে পারার বিষয়টি কিন্তু সত্যি সব থেকে সেরা।
#৪. Connectivity, communication & sharing
আগেকার সময়ে, কারোসাথে যোগাযোগ করার কেবল একটিমাত্র উপায় ছিল।
এবং সেটা হলো “চিঠি পাঠিয়ে“.
তবে, পাঠানো চিঠি সঠিক জায়গায় পেতে পেতে প্রায় অনেক দিন লেগে যেতো।
এবং কিছু ক্ষেত্রে, প্রায় মাসের ওপর মাস লেগে যেতো কেবল একটি চিঠি পাঠাতে।
এই ক্ষেত্রে কিন্তু ইন্টারনেটের সুবিধা এবং লাভ আমরা প্রচুর পরিমানে পাচ্ছি।
কেননা, ইন্টারনেটের মাধ্যমে email service এর ব্যবহার করে, আমরা কেবল কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই বিশ্বের যেকোনো জায়গায় থাকা যেকোনো ব্যাক্তিকে mail পাঠাতে পারবেন।
Email এর মাধ্যমে, চিঠি (letter), ছবি (images), নথিপত্র/কাগজপত্র (documents), কেবল ১ মিনিটের থেকেও কম সময়ে মধ্যে পাঠানো সম্ভব।
তাহলে বুঝতেই পারছেন, এই ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সুবিধা কতটা।
Email ছাড়াও বিভিন্ন অন্য আধুনিক যোগাযোগের প্রক্রিয়া রয়েছে যেগুলি ইন্টারনেটের দ্বারা সম্ভব।
যেমন,
- Video calling করে ভিডিওর মাধ্যমে কথা বলা।
- Voice calling এর মাধ্যমে কথা বলা।
- Live chatting এর মাধ্যমে যোগাযোগ।
যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ (connectivity) এবং শেয়ারিং (sharing) এর কথা বলা হয়, তখন “Facebook“, “Twitter“, “Instagram” এবং “Whatsapp” এর মতো “social networking platforms” গুলির কথা অবশই আসবে।
কেনোকি, ইন্টারনেটের সাহায্যে এই social platforms গুলি ব্যবহার করে, আমরা একজন আরেকজনের সাথে সব সময় সংযুক্ত (connect) হয়ে থাকতে পারি।
নিজের বন্ধু বান্ধব, পরিবার এবং প্রিয়জনের সাথে, ব্যাক্তিগত জীবনের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য, ছবি শেয়ার এবং তাত্ক্ষণিক যোগাযোগের জন্য এই social media platforms গুলি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে।
তাছাড়া, ইন্টারনেটের সাহায্যে এই social media website গুলির ব্যবহার করে, বিশ্বের যেকোনো জায়গার থেকে নতুন নতুন বন্ধু বান্ধব বানাতে পারবেন।
তাই, ইন্টারনেট হলো যোগাযোগের ক্ষেত্রে সব থেকে দ্রুত (fast) এবং সেরা মাধ্যম।
#৫. Google maps প্রযুক্তির ব্যবহার ও লাভ
আমার প্রথম চাকরি sales এর সাথে জড়িত ছিল।
এবং, কেবল তখন আমি এই Google maps GPS এর প্রক্রিয়ার লাভ এবং সুবিধার বিষয়ে জানতে পারি।
কারণ, Google maps হলো গুগলের দ্বারা তৈরি করা এমন একটি web based GPS সার্ভিস যেটার মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো জায়গার geographical regions এর detailed information পেয়ে যেতে পারি।
সহজ ভাষায় বললে, Google এর maps application ব্যবহার করে, যেকোনো রাস্তার ম্যাপ (road map), জায়গা বা ঠিকানা খোজ (finding address), ম্যাপ দেখা (map view), road traffic status এবং যেকোনো ঠিকানাতে যাওয়ার জন্য কোন পথ (road) ব্যবহার করতে হবে, সবটাই আমাদের বলে দেয়।
যেহেতু এইটা একটি web based application, তাই গুগলের maps সার্ভিসটি ব্যবহার করার জন্য ইন্টারনেটের প্রয়োজন।
যদি আপনার কাছে Google maps এর app রয়েছে, তাহলে বিশ্বের যেকোনো জায়গায় গিয়ে যেকোনো ঠিকানা এবং রাস্তা (road) খোঁজাটা অনেক সহজ কথা।
আমি নিজেই, বিভিন্ন অচেনা এবং অজানা ঠিকানা এবং জায়গা, Google maps এর মাধ্যমে সহজেই খুঁজে বের করেছি।
তবে, ইন্টারনেট না থাকলে এসব কখনোই সম্ভব ছিলোনা।
তাই, এক্ষেত্রেও ইন্টারনেটকেই আমাদের ধন্যবাদ দিতে হবে।
#৬. Cloud storage এর সুবিধা
আপনার computer, laptop, smartphone বা external storage device গুলিতে হতে পারে অনেক প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র, ছবি, video বা ফাইল রয়েছে।
তবে, যদি আপনার computer device খারাপ হয়ে যায় তখন কি করবেন ?
কিভাবে ঘুরিয়ে পাবেন, আপনার জরুরি কাগজ পত্রের ফাইল বা ছবি ?
পাবেননা তো ?
এক্ষেত্রে, cloud computing provider এর সাহায্যে “cloud storage services” ব্যবহার করে, আমরা আমাদের যেকোনো জরুরি file, video, images, documents বা applications গুলি ইন্টারনেটে আপলোড করে রাখতে পারি।
#৬. Cloud storage এর সুবিধা
আপনার computer, laptop, smartphone বা external storage device গুলিতে হতে পারে অনেক প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র, ছবি, video বা ফাইল রয়েছে।
তবে, যদি আপনার computer device খারাপ হয়ে যায় তখন কি করবেন ?
কিভাবে ঘুরিয়ে পাবেন, আপনার জরুরি কাগজ পত্রের ফাইল বা ছবি ?
পাবেননা তো ?
এক্ষেত্রে, cloud computing provider এর সাহায্যে “cloud storage services” ব্যবহার করে, আমরা আমাদের যেকোনো জরুরি file, video, images, documents বা applications গুলি ইন্টারনেটে আপলোড করে রাখতে পারি।
এবং, ভবিষ্যতে যদি আপনার computer বা mobile খারাপ হয়ে যায়, তাহলেও আপনি নিজের “cloud storage” থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে, সেখানে আপলোড করা প্রত্যেকটি ফাইল (file) আবার ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
একটি cloud storage এ upload করে রাখা যেকোনো file বা document, আপনি যেকোনো জায়গার থেকে ব্যবহার বা ডাউনলোড করতে পারবেন।
আপনার কেবল প্রয়োজন হবে একটি “computer / mobile” এবং “ইন্টারনেটের“.
এতে, আপনার personal files গুলি চুরি হওয়ার কোনো ভয় থাকবেনা।
কারণ, সেগুলি সুরক্ষিত ভাবে ইন্টারনেটে সেভ (save) হয়ে থাকবে।
ফ্রিতে ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করার জন্য আপনারা “Google drive” ব্যবহার করতে পারবেন।
এবং, আপনি যদি কেবল images এবং photos গুলি ইন্টারনেটের মাধ্যমে digitally store করে রাখতে চাচ্ছেন, তাহলে “Google photos” ব্যবহার করুন।
তাহলে, ইন্টারনেটের সাহায্যে videos, images, files, documents এবং data গুলি digitally store করে রাখাটাও কিন্তু এই ইন্টারনেট প্রযুক্তির একটি আধুনিক সুবিধা ও লাভ।
#৭. Entertainment (মনোরঞ্জন)
ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রচুর পরিমানে মনোরঞ্জন দেয়ার একটি মুখ্য সাধন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপনি নিজের entertainment এর জন্য, ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরণের website বা applications এ ভিজিট (visit) করতে পারবেন।
Online game খেলা, video দেখা, অনলাইন movies দেখা, সিনেমা ডাউনলোড করা, অনলাইনে গান শোনা, বন্ধুদের সাথে chatting ও video call করা এবং আরো অন্যান্য অনেক ধরণের মজা আমরা ইন্টারনেট থেকে পেয়ে যাই।
তাই, মনোরঞ্জনের জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার সব থেকে বেশি পরিমানে করা হয়।
এবং, বর্তমানে অনলাইন মনোরঞ্জনের ক্ষেত্রে, ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং উপকার কিন্তু সব থেকে বেশি। 😉
#৮. Online transactions & payments
যখন ইন্টারনেটের উপকারিতা এবং ব্যবহারের কথা হচ্ছে, তখন এর মাধ্যমে হওয়া online payments এবং transactions এর বিষয়টি কিন্তু আসতেই হবে।
আজ ইন্টারনেটের প্রচুর পরিমানে ব্যবহার করা হয়, “অনলাইন বিল পেমেন্ট (online bill payment)” করার জন্য।
এতে আমরা ঘরে বসে বসেই, যেকোনো সেবার জন্য payment করে নিতে পারি।
উদাহরণ স্বরূপে,
কিছু বছর আগে, যখন আমি electric bill payment করতে যেতাম, তখন আমার প্রায় অনেকটা সময় লাইনে দাঁড়িয়ে তারপর বিল পেমেন্ট করতে হতো।
তবে, আজ ইন্টারনেট প্রযুক্তির (internet technology) সাহায্যে, আমি ২ মিনিটের থেকেও কম সময়ের মধ্যে ঘরে ফ্যানের নিচে বসে, “electric bill payment“, “Mobile bill payment“, “Dish Tv recharge” এবং আরো অন্যান্য ক্ষেত্রে, bill payment অনলাইনে করে নিতে পারছি।
তাহলে ভাবুন, সাধারণ জনসাধারণের কতটা সময় বেঁচে যাচ্ছে এবং অনেক কম পরিশ্রমে সব কাজ হয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও, নিজের bank থেকে অন্যের bank এ ইন্টারনেটের সাহায্যে টাকা ট্রান্সফার (transfer) করাটাও কেবল কিছু মিনিটেই সম্ভব।
আপনার ব্যাংকে গিয়ে সময় নষ্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই।
মোট কথা, কিছু বছর আগে physically করা বিভিন্ন cash transactions গুলি এখন অনেক সহজে ইন্টারনেটের মাধ্যমে digitally করাটা সম্ভব।
এতে প্রচুর সময় বেঁচে যাওয়ার সাথে সাথে অনেক কম পরিমানের পরিশ্রমের প্রয়োজন।
#৯. নিজেকে সহজে জনপ্রিয় ও বিখ্যাত (famous) করা সম্ভব
ইন্টারনেট, লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি লোকেরা ব্যবহার করছেন।
এই ক্ষেত্রে, আপনার মধ্যে যদি কোনো বিশেষ গুন্, প্রতিভা (talent) বা দক্ষতা (skills) রয়েছে, তাহলে সেটা আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে লোকেদের কাছে প্রচার করতে পারবেন।
হাজার হাজার লোকেরা, YouTube, Facebook, TikTok এবং আরো অন্যান্য platform ব্যবহার করে নিজেকে জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত বানিয়ে ফেলেছেন।
আগেকার দিনে, জনসাধারণের মাঝে বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় হওয়ার কেবল একটাই মাধ্যম ছিল।
এবং, সেটা ছিল TV (television).
কিন্তু বর্তমানের ডিজিটাল যুগে, আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের বিশেষ প্রতিভা বা গুনের প্রদর্শন বিভিন্ন উপায়ে করতে পারি।
যেমন অনেকেই আজ, short videos বা video web series তৈরি করে YouTube এবং TikTok এর মাধ্যমে, নিজেকে বিখ্যাত করার সাথে সাথে অনলাইন প্রচুর টাকাও আয় করে নিচ্ছেন।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেবল নিজেকেই নয়, আপনার ব্যবসা (business), পণ্য (product) বা যেকোনো সেবা (service) প্রচার এবং মার্কেটিং করতে পারবেন।
কারণ আজ, অফলাইনে টিভি (television) দেখা লোকেদের তুলনায়, কম্পিউটার ও মোবাইলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে videos, short films এবং web series কনটেন্ট দেখা লোকেদের সংখ্যা প্রচুর।
তাই, এই ক্ষেত্রে আপনিও কোটি কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মাঝে নিজেকে বা নিজের বিসনেস (business) কে বিখ্যাত বানিয়ে ফেলতে পারবেন।
#১০. Online job search
আজ ইন্টারনেট এবং গুগলের মাধ্যমে যেকোনো জিনিসের বিষয়ে তথ্য গ্রহণ করা সম্ভব।
তাই, নতুন নতুন চাকরি (jobs) খোঁজার জন্যও কিন্তু ইন্টারনেট প্রচুর কাজে আসে।
এবং, সত্যি বললে এই ক্ষেত্রে ইন্টারনেট অনেকেরি প্রচুর উপকার অবশই করেছে।
কেননা, ইন্টারনেটে এমন অনেক ওয়েবসাইট (websites) এবং ব্লগ (blogs) রয়েছে, যেখান থেকে আমরা বিভিন্ন নতুন নতুন চাকরির খবর পেয়ে যেতে পারি।
আপনি নিজেই ইন্টারনেটে আপনার প্রয়োজন অনুসারে চাকরি খুঁজে দেখতে পারবেন।
এবং, অবশই অনেক চাকরির খবর অনলাইনে পেয়ে যাবেন।
#১১. Online booking
ইন্টারনেটের সুবিধা সমূহ এমনিতে অনেক রয়েছে। তবে, online ticket booking এবং online hotel booking এর ক্ষেত্রে এর সুবিধার কোনো তুলনা নেই।
আপনারা অবশই জানেন, ইন্টারনেটের ব্যবহার করে আমরা ঘরে বসেই সহজে, train ticket, flight ticket এবং movie tickets booking করে নিতে পারি।
এতে, অনেক সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ticket booking হয়ে যায়।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা “ইন্টারনেটের বিভিন্ন উপকারিতা“, “ইন্টারনেটের ব্যবহারের সুবিধা সমূহ” এবং “দৈনন্দিন জীবনে কি কি কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়” এই বিষয় নিয়ে কথা বললাম।
তবে সত্যি বলে, ইন্টারনেটকে আমাদের মানব জীবনে একটি অবদান হিসেবে দেখা যেতে পারে।
এই internet technology র ব্যবহারের ফলে, আমরা অনেক ধরণের কাজ অনেক সহজেই ঘরে বসেই করে নিতে পারি।
তাছাড়া, এর মাধ্যমে অনলাইন টাকা আয় করার সুযোগের ব্যাপারে তো আমি আগেই বলেছি।
এই ইন্টারনেট, আজ হাজার হাজার লোকের জীবনে অনেক রকমের ভালো প্রভাব ফেলে এসেছে।
0 responses on "দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা সমূহ কি কি"