• No products in the cart.

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি ? – (Future Scope)

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ (future of digital marketing in Bangla) নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করতে চলেছি।

বর্তমান সময়ে যেকোনো নতুন ব্যবসা, ব্র্যান্ড বা পণ্যের প্রচার অনেক তাড়াতাড়ি করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অনেকটা বেশি।

আজ যেকোনো ছোট-বড় কোম্পানি গুলো তাদের পণ্য বা ব্যবসার প্রচার ঘরে বা দপ্তরে বসে বসে বিশ্বজুড়ে যেকোনো জায়গাতে করতে পারছেন।

এমনিতে, ইন্টারনেট, সার্চ ইঞ্জিন, সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ, ইউটিউব, বিভিন্ন এপ্লিকেশন ইত্যাদি এই ধরণের অনলাইন মাধ্যম গুলোর ব্যবহার যেকোনো পণ্য, ব্যবসা বা ব্র্যান্ড এর মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে করাকেই বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং।

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো বর্তমানে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়া মার্কেটিং এর সেরা মাধ্যম যার মাধ্যমে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম টাকা খরচ করে অধিক লক্ষ্যবস্তু গ্রাহকের কাছে পণ্যের মার্কেটিং করা সম্ভব।

Digital marketing, তার সঠিকতা, পরিমাপযোগ্যতা, কম খরচ এবং এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে সীমাহীন গ্রাহক এর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য বিখ্যাত।

ধীরে ধীরে মার্কেটিং এর এই জনপ্রিয় মাধ্যমটি অন্যান্য প্রত্যেক মার্কেটিং এর মাধ্যম গুলোকে পেছনে ফেলে এগিয়েই চলে আসছে।’

এখনের সময়ে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০% লোকেরা ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, প্রায় ২ বছর আগে এই সংখ্যা ৪০% ছিল।

তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন যে প্রত্যেক বছরে বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা কতটা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আর যিহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পূর্ণ রূপে ইন্টারনেটের সাথে জড়িত একটি সেবা, তাই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা যতটা বৃদ্ধি পাচ্ছে ততটাই দ্রুত গতিতে ডিজিটাল মার্কেটিং জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এখনের সময়ে যেকোনো ব্যবসা ইন্টারনেটে ডিজিটালি সক্রিয় না থেকে নিজেকে বিকাশের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে তেমন সুযোগ সুবিধা পেতে পারবেননা।

চলুন, নিচে আমরা সরাসরি এমন কিছু তথ্য গুলো জেনেনেই যেগুলোর ওপরে নজর দিয়ে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ এর আন্দাজ পেতে পারবো।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ

আজ ভারত জুড়ে প্রায় প্রচুর এশিয়ান কান্ট্রি গুলো ডিজিটাল কার্যকলাপের প্রধান বিভাগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমনিতে যদি ভারতের (India) কথা বলা হয়, তাহলে এই দেশে সম্পূর্ণ বিশ্বের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বৃহত্তম জনসংখ্যা রয়েছে। বলা হচ্ছে যে ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে প্রায় 974.86 million internet users থাকবে।

তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রায় সমস্ত বিশ্বের বিভিন্ন বয়েসের বিভিন্ন চাহিদা রাখা লোকেরা পরস্পরে সংযুক্ত হয়ে রয়েছে, আর তাই যেকোনো পণ্যের প্রচার করার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট থেকে দারুন জায়গা আর কি হতে পারে।

আর যিহেতু প্রত্যেক বছর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে, তাই দেশে ডিজিটাল মার্কেটিং এর লাভ, ব্যবহার এবং কার্যকারিতার বিষয়ে অধিক লোকেরা জানতে পারছেন।

আর তাই, ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কৌশল এর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে এর সাথে জড়িত বিভিন্ন সুযোগ গুলো অবশই আমাদের সামনে হয়ে দাঁড়াবে।

চলুন, এখন আমরা দেখেনেই যে বিভিন্ন আলাদা আলাদা বিভাগে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কিরকম সুযোগ রয়েছে।

১. ব্যবসা ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সুযোগ

আজকাল প্রায় প্রত্যেক ব্যবসা গুলো বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে নিজেদের সক্রিয় করে নিচ্ছেন। কেননা, প্রত্যেক ব্যবসার ক্ষেত্রেই ডিজিটাল ভাবে নিজেকে সক্রিয় রাখার কতটা লাভ রয়েছে সেই বিষয়ে আজ প্রত্যেকেই জানেন।

আজ লোকেরা যেকোনো জিনিস বাজারে বা দোকানে গিয়ে কেনার তুলনায় অনলাইনে সক্রিয় থাকা বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোর থেকে ঘরে বসে বসে কিনে নিতে অধিক রুচি রাখছেন।

টিভি, ফ্রিজ, কাপড় থেকে শুরু করে যেকোনো জিনিস আজ অনলাইনে বেচা-কেনা করা হচ্ছে।

তাই এই অনলাইন ই-কমার্স ব্যবসা গুলোর শক্তিশালী অনলাইন উপস্থিতির জন্য এবং পণ্য গুলোকে তাদের লক্ষ্যবস্তু গ্রাহকের কাছে প্রচার বা মার্কেটিং করার জন্য কোম্পানি গুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে প্রচুর বিনিয়োগ (invest) করে চলেছেন।

যিহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং হলো এমন এক আধুনিক অনলাইন মার্কেটিং কৌশল যার দ্বারা অনেক কম খরচে একেবারে টার্গেটেড কাস্টমার এর কাছে পণ্যের প্রচার করে সেগুলোকে বিক্রি করা সম্ভব, তাই আজ যেকোনো ছোট-বড় কোম্পানি গুলো এর ব্যবহার অবশই করছেন।

এখনের সময়ের প্রায় ৪০% ব্যবসা গুলো সম্পূর্ণ ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং ওপরে নির্ভর করেই কাজ করছে।

এবং যেভাবে দিনের পর দিন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা ও কার্যকর ফলাফল বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে, এতে বুঝা যাচ্ছে যে আসছে কিছু বছরের মধ্যে প্রায় ৯০% ব্যবসা এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপরে নির্ভর করে কাজ করবেন।

২. চাকরি এবং ক্যারিয়ার এর ক্ষেত্রে অনলাইন মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ

যদি আপনারা এখনের বর্তমান সময়ের কথা বলে থাকেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কৌশল থাকা ব্যক্তিরা অনেক তাড়াতাড়ি চাকরি পেয়ে যাচ্ছেন।

কেননা, ডিজিটাল মার্কেটিং হলো একটি ফ্রেশ (fresh) ক্যারিয়ার অপসন এবং বর্তমানেও অনেক কম লোকেরা এই লাইন নিয়ে পড়াশুনা করছেন।

ওপরে আমি আপনাদের বলেছি যে, আজ প্রায় প্রত্যেক ছোট-বড় কোম্পানি গুলো এই অনলাইন প্রচারের মাধ্যম ব্যবহার করে ব্যবসার প্রচার বা পণ্যের বিক্রি করছেন।

আর এক্ষত্রে, কোম্পানি গুলো হায়ার করছেন বিভিন্ন digital marketing executive দের যাদের এই কাজে ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে।

২০১৭ সালে, যখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবহার এবং জনপ্রিয়তা প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল, তখনি এক – চতুর্থাংশে প্রায় ৮ লক্ষ চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছিল।

তাহলে আপনি ভাবতেই পারছেন হয়তো ২০২১ সালে চাকরির সুযোগ কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আসছে সময়ে যখন প্রায় ৯০% ব্যবসা গুলো সম্পূর্ণ ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপরে নির্ভর করে কাজ করবেন, তখন ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরির সুযোগ কতটা বৃদ্ধি পাবে।

তাই, ছাত্র-ছাত্রীরা নিসন্দেহে একটি ভালো এবং দীর্ঘস্থায়ী ক্যারিয়ার এক্ষেত্রে তৈরি করতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভালো জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা থাকা প্রার্থী দের চাহিদা প্রচুর।

কেননা, এই ইন্ডাস্ট্রিতে অভিজ্ঞ, ভালো, দক্ষ এবং কৌশল থাকা প্রার্থী অনেক কম রয়েছে, তাই কাজের ভালো অভিজ্ঞতা থাকা প্রার্থীরা অনেক তাড়াতাড়ি এবং ভালো প্যাকেজ এর সাথে এই ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরি পাওয়া দেখা যাচ্ছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে জড়িত দারুন ক্যারিয়ার বিকল্প গুলো

Digital marketing industry বলতে এখানে আলাদা আলাদা কিছু বিশেষ বিষয় গুলো নিয়ে ভালো ক্যারিয়ার বিকল্প গুলো রয়েছে।

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন private institutes এবং universities গুলোর দ্বারা আলাদা আলাদা দিক গুলোর ওপরে নজর দিয়ে বিভিন্ন courses এবং degree করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

তাই, এখনের সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ক্যারিয়ার তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনার কোনো ধরণের সমস্যা হবেনা।

আজকাল তো প্রচুর এরকম অনলাইন কোর্স গুলো রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে ঘরে বসে নিজের মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সম্পূর্ণ কোর্স করে নিতে পারবেন।

তাই, যদি আপনি ভাবছেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে আপনার সমস্যা হতে পারে, তাহলে এটা একেবারেই ভুল কথা।

চলুন, এবার নিচে আমরা সেই প্রত্যেকটি ক্যারিয়ার বিকল্প গুলোর বিষয়ে জেনেনেই যেগুলো সম্পূর্ণ ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রি তে রয়েছে।

১. SEO (search engine optimization)

SEO মানে হলো search engine optimization এবং digital marketing industry এর মধ্যে এটা সব থেকে মূল্যবান একটি প্রফেশন।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর মাধ্যমে আপনাকে বিভিন্ন ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন (Google, Yahoo, Bing etc.) গুলোর মাধ্যমে ওয়েবসাইট গুলোতে ফ্রি organic traffic নিয়ে আসতে হয়।

আর এই কাজের জন্যে আপনাকে অনেক সৃজনশীল এবং প্রযুক্তিগত কৌশল ব্যবহার করতে হবে।

SEO করাটা একটি সোজা কাজ না, তবে একবার এই কৌশল শিখে নিতে পারলে ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরির অভাব আপনার হবেনা।

এছাড়া, এসইও নিয়ে সঠিক জ্ঞান থাকলে, আপনি নিজের ব্লগ / ওয়েবসাইট বানিয়েও প্রচুর টাকা অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।

এই কাজে আপনার মূল উদ্দেশ্য থেকে থাকে, একটি ওয়েবসাইটকে বা ওয়েবসাইটের পেজ টিকে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ এর প্রথম পেজ এর মধ্যে নিয়ে আনা।

এরকম হাজার হাজার businesses / companies গুলো রয়েছে যারা বিভিন্ন দক্ষ (skilled) SEO professionals দের হায়ার করে থাকেন যাতে যাতে তারা তাদের brand বা product গুলোর জন্য search engine থেকে targeted organic traffic এবং organic leads পেতে সক্ষম হতে পারেন।

তাই, যদি আপনি একজন SEO expert / professional হিসেবে নিজের ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরু করতে চাইছেন, তাহলে আপনি অনেক দারুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তবে মনে রাখবেন, এই ক্যারিয়ার নিয়ে সফলতা পেতে হলে আপনাকে technical এবং practical knowledge প্রচুর পরিমানে রাখতে হবে।

২. Social media marketing (SMM)

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এখনের সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি দারুন এবং শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এক্ষত্রে, আপনাকে বিভিন্ন online social media platform গুলো (Facebook, Twitter, Instagram etc.) ব্যবহার করে সেখানে products, services এবং brands গুলোর প্রচার করতে হয়।

একজন social media marketing specialist দ্বারা সেই প্রত্যেক মার্কেটিং এবং এডভার্টাইসিং এর কৌশল গুলো ব্যবহার করা হয় যেগুলোর মাধ্যমে অধিক সুবিধাজনক ভাবে social platforms গুলোর দ্বারা অনলাইন প্রচার সম্ভব।

Social media platforms গুলোতে brand page তৈরি করা, পেজ এর মধ্যে নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করা, followers দের আকর্ষিত করা, ব্র্যান্ড এর অনলাইন উপস্থিতি তৈরি ও বজায় রাখা, like এবং comment এর মাধ্যমে শ্রোতা / গ্রাহক দের সাথে সংযুক্ত হওয়া এবং মূলত ব্র্যান্ড এর সচেতনতা বৃদ্ধি করাটাই হবে আপনার মূল কাজ।

তাই, যদি আপনার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ভালো জ্ঞান রয়েছে এবং প্রত্যেক জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোর সাথে জড়িত প্রযুক্তিগত জ্ঞান আপনার কাছে আছে, তাহলে অবশই এই বিষয়টি নিয়ে ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারবেন।

প্রায় প্রত্যেক কোম্পানি এবং ব্যবসা গুলো ভালো করেই বুঝতে পেরেছেন যে, সোশ্যাল মিডিয়া হলো একটি অনেক শক্তিশালী প্লাটফর্ম যেখানে তারা তাদের সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে সংযুক্ত হতে পারবেন আর শেষে পণ্যের মার্কেটিং করে নিয়মিত সেগুলোকে বিক্রি করতে থাকতে পারবেন।

তাই, বর্তমানে SMM professionals দের চাহিদা সাংঘাতিক পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে যারা social media platforms গুলোর ব্যবহার করে দারুন ভাবে মার্কেটিং করতে সক্ষম।

আর আসছে সময়ে social media specialist দের চাহিদা আরো অধিক পরিমানে বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টা জলের মতো পরিষ্কার।

৩. SEM/PPC Specialist

Search Engine Marketing / Pay-Per-Click specialist দের কাজ হলো search engine এর মাধ্যমে marketing এবং advertising strategy তৈরি করা।

বিভিন্ন products এবং services গুলোকে search engine এর মাধ্যমে কিভাবে মার্কেটিং / প্রচার করা যাবে তার জন্য দারুন স্ট্রাটেজি (strategies) তৈরি করতে হয় এবং এর সাথে সেগুলোকে সম্পাদন অবশই করতে হবে।

এক্ষত্রে আপনাকে বিভিন্ন paid এবং organic মাধ্যম গুলো ব্যবহার করতে হয় যাতে ওয়েবসাইটের র্যাংকিং (ranking) ভালো করা যেতে পারে। সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে pay-per-click (PPC) ads চালিয়ে এই কাজ করা হয়।

আজ, একটি সফল digital marketing campaigns এর জন্যে SEM/PPC specialists রা অনেক জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাই, বিভিন্ন কোম্পানি গুলো এই ধরণের professional দের হায়ার করছেন যাতে pay-per-click (PPC) ads campaign এর মাধ্যমে কোম্পানির পণ্য এবং সেবা গুলোর প্রচার করা যেতে পারে।

আর আসছে সময়ের মধ্যে SEM/PPC Specialist দের চাহিদা কিন্তু সাংঘাতিক পরিমানে বাড়তে চলেছে।

৪. Content Writer/Copywriter

বিজ্ঞাপন হোক বা মার্কেটিং, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই লিখিত শব্দ অবশই ব্যবহার করা হয়।

কেননা, কনটেন্ট বা লিখিত শব্দের মাধ্যমেই আমরা অনেক তাড়াতাড়ি এবং সহজে যেকোনো বার্তার প্রচার করতে পারি।

আর তাই, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়ে থাকে দক্ষ content এবং copywriter দের যারা দারুণ কনটেন্ট লিখতে পারবেন আর সেগুলো যাতে SEOs, SMOs, SMMs, SEMs এবং website developers দ্বারা ব্যবহার করা যেতে পারে প্রত্যেক ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যম গুলোতে যেমন websites এবং ads ইত্যাদিতে।

তাই, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কনটেন্ট রাইটার এবং কপি রাইটার এর প্রয়োজনীয়তা বর্তমানেও আছে এবং সব সময় থাকবে।

আপনার যদি লেখালেখি নিয়ে রুচি রয়েছে বা আপনার মধ্যে দারুন writing skills রয়েছে, তাহলে আপনিও এই content বা copywriter এর career এর সাথে যেতে পারবেন।

এছাড়া আরো প্রচুর ক্যারিয়ার অপসন গুলো রয়েছে যেগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে জড়িত।

সরাসরি বললে digital marketing এর ভবিষ্যৎ কি ?

তবে মূল বিষয়টা হলো যে, আজ থেকে কিছু বছর আগে যখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা প্রচুর কম ছিল, তখন এই ধরণের ক্যারিয়ার অপসন (career option) গুলোর কোনো অস্তিত্ব ছিলোনা। আর থাকলেও সে আজকের তুলনায় অনেক কম ছিল।

যেভাবে যেভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকলো, ঠিক সেভাবেই ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল এবং এর সাথে জড়িত বিভিন্ন ক্যারিয়ার অপসন গুলোর চাহিদা প্রচুর বেড়ে গেলো।

তাই, যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যতের কথা বলা হয় তাহলে, এর ভবিষ্যৎ সত্যি উজ্জ্বল।

আসছে ৫ বছরের মধ্যে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা তীব্র গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ার কথা কিন্তু আমরা প্রত্যেকেই জানি।

তাই, এখনের তুলনায় অধিক লোকেরা জানতে পারবেন যে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসার দ্রুত গতিতে প্রচার সম্ভব।

আর এভাবেই, আসছে কিছু বছরের মধ্যে প্রায় ৯০% ব্যবসা গুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপরে নির্ভর করে ব্যবসার প্রচার করবেন।

এক্ষেত্রে, যদি আপনি নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছেন, তাহলে চিন্তা করতে হবেনা।

কেননা, এখনের তুলনায় আসছে ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রিতে সাংঘাতিক পরিমানে চাকরির সুযোগ বাড়বে।

 

0 responses on "ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি ? – (Future Scope)"

Leave a Reply

© Technial Bangla. All rights reserved. 2025