নতুন ক্যামেরা চমক ও অধিক শক্তিশালী চিপসেট নিয়ে টেকনো তাদের প্রিমিয়াম ফ্যান্টম সিরিজের নতুন সংযোজন নিয়ে এসেছে। টেকনো ফ্যান্টম এক্স২ সিরিজ নামের এই লাইন-আপে থাকছে ফ্যান্টম এক্স২ ও এক্স২ প্রো, এই ডিভাইস দুইটি। চলুন জেনে নেওয়া যাক টেকনোর নতুন এই ফোন দুইটি সম্পর্কে।
টেকনো ফ্যান্টম এক্স২ ও ফ্যান্টম এক্স২ প্রো ফোন দুইটি চলবে মিডিয়াটেক এর ডাইমেনসিটি ৯০০০ প্রসেসর দ্বারা। লেটেস্ট না হলেও এই চিপসেটে টিএসএমসি’র আধুনিক প্রযুক্তি উপস্থিত, যার ফলে এটি ফ্যান্টম এক্স ফোনটিতে থাকা হেলিও জি৯৫ এর চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। এক্স২ তে থাকছে ৮জিবি র্যাম ও এক্স২ প্রো তে রয়েছে ১২জিবি র্যাম। পাশাপাশি ২৫৬জিবি ইউএফএস ৩.১ স্টোরেজও থাকছে।
এক্স২ সিরিজে ১২০হার্জ রিফ্রেশ রেটের এমোলেড ডিসপ্লে রয়েছে যা আগের এক্স সিরিজ এর চেয়ে একটি আপগ্রেড। ৬.৮ইঞ্চির এই ফুলএইচডি প্লাস ডিসপ্লেকে সুরক্ষা প্রদান করবে গরিলা গ্লাস ভিকটাস।
ডাইমেনসিটি ৯০০০ প্রসেসর উভয় ফোনেই বেশ অসাধারণ অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। ৫১৬০মিলিএম্প এর ব্যাটারি রয়েছে উভয় ফোনে, পাশাপাশি ৪৫ওয়াট এর ফাস্ট চার্জিংও উপস্থিত এখানে। এইতো গেলো ফোন দুইটি সম্পর্কে সাধারণ তথ্য, এবার জানি চলুন ফ্যান্টম এক্স২ সিরিজের মূল আকর্ষণ এর ক্যামেরা সেটাপ সম্পর্কে। ফ্যান্টম এক্স২ প্রো ফোনটির রিট্র্যাকটেবল পোর্ট্রেইট লেন্সের পাশে থাকা ডেকোরেটিভ রিং হলো এর প্রধান আকর্ষণ।
এই রিট্র্যাকটেবল লেন্সের বদৌলতে বেশ ব্রাইট এফ/১.৫ এপার্চার রয়েছে। ৬৫মি.মি. এই লেন্স স্মার্টফোন হিসেবে বেশ ওয়াইড বলা চলে। উদাহরণস্বরূপঃ স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২২+ ফোনটিতে ৭০মি.মি. টেলি লেন্স ছিলো যার এপার্চার ছিলো এফ২.৪। সনি এক্সপেরিয়া ৫ IV তে ৫০মি.মি. লেন্স ছিলো যার এপার্চার এফ/২.৪।
এসব সংখ্যা বা টার্ম দিয়ে তো আর ক্যামেরার কার্যকরিতা বুঝা যায়না, তাই সহজ করে বলি। প্রথমত বড় এই ৫০মেগাপিক্সেল সেন্সর অধিক আলো ক্যাপচার করতে পারে। আবার ওয়াইড এপার্চার ও বড় সেন্সরের ফলে ডেপথ অফ ফিল্ড এর ক্ষেত্রে ন্যাচারাল বোকেহ (ব্লার) দেখা যায় যা পোর্ট্রেইট শটে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে সাবজেক্টকে বেশ সুন্দরভাবে আলাদা করে।
এটি মূলত পোর্ট্রেইট ক্যামেরা হলেও ৬৫মি.মি. লেন্সটি ২.৫এক্স ম্যাগনিফিকেশনসহ টেলিফটো লেন্স হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এই রিট্র্যাক্টেবল লেন্সের মূল কাজ হলো ফোনকে সাধারণ সাইজের রাখা, যে কাজে এটি সফল হয়েছে। বলে রাখা ভালো এক্স২ প্রো এর মেইন ক্যামেরা কিন্তু আগের ফ্যান্টম এক্স এর চেয়ে অনেক উন্নত। স্যামসাং আইসোসেল ৩.০ লেন্সটি একটি ৫০মেগাপিক্সেল সেন্সর। পাশাপাশি ১৩মেগাপিক্সেল আলট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা রয়েছে যাতে অটোফোকাস রয়েছে, আবার ম্যাক্রো ক্যামেরা হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
ফ্যান্টম এক্স২ প্রো তে থাকা এই বড় ১/১.৩ইঞ্চি সেন্সর বেশি আলো ক্যাপচার করতে সাহায্য করে, অন্যদিকে ফ্যান্টম এক্স২ ফোনটি একটি ভিন্ন পথ অবলম্বন করেছে। এটি RGBW সেন্সর ব্যবহার করে ৬০% অধিক লাইট ক্যাপচার করতে সাহায্য করে। আবার প্রো মডেলটিতে প্লাস্টিক লেন্সের পরিবর্তে গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে যা লাইট ক্যাপচার করার ক্ষমতা ৩০% বাড়িয়ে দিবে। এই দুইটি উপায় একসাথে করে ট্রেডিশনাল ডিজাইনের চেয়ে অধিক লাইট নিতে পারবে ক্যামেরা।
টেকনো ফ্যান্টম এক্স২ প্রো
এক্স২ ফোনটিতে একই ১৩মেগাপিক্সেল আলট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা থাকছে, সাথে কম্পিউটেশনাল বোকেহ এর জন্য ২মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর রয়েছে যেহেতু এখানে কোনো ডেডিকেটেড পোর্ট্রেইট লেন্স নেই। দুইটি ফোনেই ৩২মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা রয়েছে।
ফ্যান্টম এক্স২ প্রো ফোনটি মার্স অরেঞ্জ ও স্টারডাস্ট গ্রে কালারে পাওয়া যাবে। অন্যদিকে ফ্যান্টম এক্স২ পাওয়া যাবে উল্লেখিত কালার দুইটির পাশাপাশি মুনলাইট সিলভার কালারেও। এক্স২ ফোনটি সৌদি আরবী ২,৭০০ রিয়াল বা ৭২০ ডলার দামে পাওয়া যাবে। অন্যদিকে ফ্যান্টম এক্স২ প্রো পাওয়া যাবে ৩,৫০০রিয়াল বা ৯৩০ডলার দামে।
0 responses on "টেকনো ফ্যান্টম এক্স২ সিরিজ এলো দুর্দান্ত ক্যামেরা নিয়ে"