অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া (social media) বলতে, সবচেয়ে আগেই আমরা “Facebook” কে বুঝি।
এবং তাই, “ফেসবুক কি” এই ব্যাপারে সম্পূণটা আমি আগেই আপনাদের বলেছি।
তবে, ফেসবুকের পরে, আরো একটি জনপ্রিয় social networking website রয়েছে।
যেটা হলো “Twitter“.
টুইটার হলো, একটি আমেরিকান “micro-blogging” এবং “social networking service“, যেখানে একজন ইউসার (user) “পোস্ট (posts)” এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য, কথা বা মনের ভাব, অন্যান্য টুইটার ইউসার এর সাথে শেয়ার (share) করতে পারেন।
এবং, এই “Twitter user” দের মাধ্যমে করা বিভিন্ন পোস্ট (post) গুলোকে বলা হয় “Tweets”
এমনিতে, টুইটারে একাউন্ট তৈরি না করেও আপনারা অন্যান্য “twitter user” দের tweets বা posts গুলো দেখতে পারবেন।
তবে, টুইটার এর মাধ্যমে, “tweets”, “retweets”, “like”, “messages” ইত্যাদি করার ক্ষেত্রে, আপনার একটি টুইটার একাউন্ট এর প্রয়োজন হবে।
অন্যান্য অনলাইন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট গুলোর তুলনায়, টুইটার কিছু আলাদা।
আর তাই, এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের বলবো “টুইটার কি”, “টুইটার এর প্রতিষ্ঠাতা কে”, “টুইটার এর কাজ কি”, “টুইটার ব্যবহারের নিয়ম” এবং টুইটার নিয়ে অনেক ধরণের অন্যান্য তথ্য।
এমনিতে, আজকাল প্রত্যেকের একটি টুইটার একাউন্ট অবশই রয়েছে।
তবে, অনেক লোকেরাই এখনো টুইটার এর বিষয়ে তেমন কিছু জানেননা।
হে, অনেকেই এর নাম বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবশই শুনেছেন, কিন্তু টুইটার ব্যবহার করার প্রক্রিয়াটি সঠিক ভাবে না জানার ফলে, অনেক ক্ষেত্রে এর ব্যবহার করতে লোকেরা দ্বিধা (hesitation) করেন।
কিন্তু মনে রাখবেন, Twitter application বা Twitter এর website ব্যবহার করে, অনেক সহজেই একে ব্যবহার করা সম্ভব।
এবং, Facebook বা অন্যান্য social media website গুলোর তুলনায়, এর user interface প্রচুর ভালো।
চলুন, নিচে আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই “টুইটার কি (what is twitter in Bangla)” এবং Twitter এর সাথে জড়িত অন্যান্য কিছু তথ্য।
টুইটার কি ? (What is twitter in Bengali)
Twitter হলো একটি online social media website যার মাধ্যমে আপনারা online messages, short stories বা information লোকেদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।
এখানে, post এর মাধ্যমে আপনারা যেটা অন্যদের সাথে শেয়ার করছেন সেটাকে বলা হয় “Tweets“.
এবং, একটি tweet কোনো ভাবেই ১৪০ শব্দের বেশি হতে পারবেনা।
তবে, পরে ২০১৭ সালে “non-Asian languages” এর ক্ষেত্রে ১৪০ থেকে বাড়িয়ে ২৮০ তা শব্দ করে দেওয়া হয়েছিল।
এটা এমন একটি social media platform, যেখানে অনেক কম শব্দের ভেতরে আমাদের মনের কথা তুলে ধরতে হয়।
Twitter এমনিতে অনেক বেশি জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম (platform), যেখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, অভিনেতা (actors), অভিনেত্রী (actresses), রাজনীতিক কার্যরত ব্যক্তি (politicians), সমাজকর্মীরা এবং অন্যান্য বিখ্যাত ও জনপ্রিয় ব্যক্তিরা একাউন্ট তৈরি করে নিজেদের মনের ভাব লোকেদের সাথে tweets বা short post এর মাধ্যমে share করেন।
হে, যেকোনো ব্যক্তি একটি email আইডি এবং mobile number এর মাধ্যমে twitter account তৈরি করতে পারবেন।
এবং, একটি একাউন্ট তৈরি করে অনেক সহজেই নিজের পছন্দের “অভিনেতা“, “অভিনেত্রী“, “সমাজ কর্মী” বা অন্যান্য বিখ্যাত ও জনপ্রয় লোকেদের সাথে সংযুক্ত হতে পারবেন, তাদের শেয়ার করা tweets এর মাধ্যমে।
আর এভাবেই, ইন্টারনেট এবং টুইটার এর মাধ্যমে আপনি বিশ্বের যেকোনো বিখ্যাত ব্যক্তির সাথে নিজেকে সংযুক্ত করে রাখতে পারবেন।
Twitter এর ধারণা (concept) অন্যান্য social media sites যেমন, “Facebook“, “Instagram“, “Tumblr” ইত্যাদি গুলোর থেকে কিছু আলাদা।
তবে, ধারণা আলাদা হলেও, টুইটার ব্যবহার করার মজা কিন্তু আলাদা।
টুইটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে, আপনার কেবল একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
সম্পূর্ণ বিশ্বে (world) কোন বিষয় গুলো নিয়ে কথা চলছে, কোন বিষয় গুলো নিয়ে বিখ্যাত ও জনপ্রিয় ব্যক্তিরা কথা বলছেন, সেই বিষয়ে জানার জন্য twitter এর বাইরে অন্য কোনো ভালো মাধ্যম নেই।
আপনি নিজের ইচ্ছে অনুসারী, যেকোনো twitter user কে follow করে, সেই ইউসার এর ভিষ্যতে করা প্রত্যেক টুইট (tweet) গুলো দেখতে পারবেন।
এর মাধ্যমে, আপনারা images, videos এবং GIF ও share করতে পারবেন।
তাহলে আশা করছি, “টুইটার কি (About twitter in Bangla)“, বিষয়টি আপনারা বুঝতেই পেরেছেন।
টুইটার এর সম্পূর্ণ নাম কি ?
এখন আপনাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই এই বিষয়ে জানেননা।
হে, Twitter এর একটি ফুল ফর্ম বা সম্পূর্ণ নাম রয়েছে।
সেটা হলো,
টুইটার এর প্রতিষ্ঠাতা (founder) কে ?
যদি আপনি জানতে চাচ্ছেন যে, “টুইটার এর প্রতিষ্ঠাতা কে” তাহলে এর উত্তর হলো “jack Dorsey, Noah Glass, Biz Stone, এবং Evan Williams”.
২০০৬ সালে ওপরে বলা প্রতিষ্ঠাতাদের (founders) মাধ্যমে টুইটার (Twitter) এর খোঁজ করা হয়েছিল।
সম্পূর্ণ বিশ্বে টুইটার এর প্রায় ২৫ থেকেও অধিক offices রয়েছে।
প্রথম অবস্থার থেকেই, এই অনলাইন সার্ভিস ভালো পরিমানে জনপ্রিয়তা পেতে থাকলো।
২০০৯ সালে, “compete.com” ওয়েবসাইটের অনুসারে, এর জনপ্রিয়তা এতটাই বেশি হয়ে দাঁড়ালো যে, ইন্টারনেটে সবথেকে জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট হিসেবে ২২ নং থেকে ৩ নং স্থানে চলে আসে।
“June 2010” সালের কথা বললে, “Twitter এর হিসেবে”, এই সময় প্রত্যেক দিন প্রায় “65 million tweets” করা হতো।
প্রায় ২০১২ সালের মধ্যে, টুইটার এর “140 million users” হয়ে গেছিলো এবং প্রত্যেকদিন প্রায় “340 million tweets” করা হতো।
টুইটার এর সিইও (CEO) কে ?
“Jack Patrick Dorsey” হলেন Twitter এর “CEO” এবং “Co-founder”.
টুইটার এর সাথে জড়িত কিছু জরুরি শব্দ
যখন আপনি টুইটার নতুন করে ব্যবহার করবেন, তখন অনেক রকমের শব্দের সাথে আপনার চেনা পরিচিত হবে।
তাই, twitter ব্যবহার করার ক্ষেত্রে, এর সাথে জড়িত কিছু জরুরি শব্দের (words) বিষয়ে নিচে আমি বলে দিচ্ছি।
যেই বিষয় গুলো আপনার জানা দরকার সেগুলো হলো,
- Twitter user name (@)
- Tweets
- Retweets
- Followers
- Following
- HashTags (#)
- Feed
- Direct messaging (DM)
চলুন বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।
১. Twitter user name (@)
আপনি টুইটারে একাউন্ট তৈরি করার সময় একটি “unique name” দিতে হয়।
প্রত্যেক twitter account এর এই unique name টি হলো “username”.
এবং, আপনার user name এর শেষের দিকে “@” লিখা থাকবে।
টুইটার এ login করার ক্ষেত্রে আপনার ব্যবহার করতে হয় “twitter username” এর।
এবং, যখন আপনি আপনার twitter account থেকে কোনো tweet, direct message বা post করবেন, সেটা আপনার username এর মাধ্যমেই publish বা send করা হবে।’
আর তাই, যারা আপনার tweet, messages বা post দেখবেন, তারা সেই username এর মাধ্যমেই আপনাকে follow করতে পারবেন।
২. Tweets কি ?
টুইটার (twitter) সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে করা পোস্ট (post) গুলোকেই বলা হয় টুইট (tweets).
একটি টুইট এ, আপনার পোস্ট করা message বা short story থাকছে এবং তার সাথে ওপরের দিকে আপনার “@username” দেওয়া থাকবে।
টুইট করার ক্ষেত্রে, আপনারা কেবল ১৪০ টি শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন।
৩. Retweets কি ?
Twitter এ, যখন আপনি অন্যদের tweet করা পোস্ট গুলো “retweet button” এর মাধ্যমে শেয়ার করেন, তখন সেই retweet করা পোস্টটি আপনার twitter profile এ দেখানো হয়।
এতে, আপনার প্রোফাইল ফলো করা লোকেরা আপনার retweet করা পোস্টটি আপনার প্রোফাইলের মাধ্যমে দেখতে পারবেন।
Retweet মানে হলো, “যেকোনো পোস্ট শেয়ার করার মাধ্যম”.
৪. Followers & following
টুইটারে প্রত্যেকটি ইউসার এর profile এর পাশে আপনি একটি “Follow” বাটন দেখবে।
যখনি সেই follow বাটন এ ক্লিক করা হয়, তখন যার profile follow করা হয়েছে, তার প্রত্যেকটি tweet এবং post গুলোর বিষয়ে notification পাওয়া যাবে।
এভাবেই, যারা যারা আপনার twitter profile এ এসে এই “follow” বাটনটি ক্লিক করেন তারা হয়ে যায় আপনার followers.
কারণ, এই ক্ষেত্রে অন্যান্ন ইউসাররা আপনাকে ফলো করছেন।
এবং, যাদের প্রোফাইলে গিয়ে আপনি তাদের follow বাটনে ক্লিক করছেন, তাহলে এর মানে হবে following.
কারণ, এই ক্ষেত্রে আপনি অন্যদের follow করছেন।
৫. হ্যাশট্যাগ (#) (HashTag) কি ?
হ্যাশট্যাগ (#) (HashTag) এর বিষয়ে আপনারা কোনো না কোনো সময় অবশই হয়তো শুনেছেন।
এর ব্যবহার করা হয়, টুইটারে post বা tweet করার সময়।
Hash symbol (#) এর দ্বারা তৈরি করা হয় এই ট্যাগ।
যেমন, #twitter, #টুইটারকি, #ব্লগার ইত্যাদি।
হ্যাশট্যাগ, twitter, Facebook অন্যান্য কিছু social media website গুলোতে ব্যবহার করা হয়।
যখন একটি নতুন হ্যাশট্যাগ (#) তৈরি করা হয়, তখন সেটা একটি “group” এর মতোই কাজ করে।
কোনো একটি বিশেষ বিষয়ে চর্চা করার ক্ষেত্রে বা বিশেষ বিষয়ের সাথে সোশ্যাল মিডিয়াতে সংযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে, হাস্যটাগ ব্যবহার করা হয়।
৬. Direct message (DM)
সোজা ভাবে কোনো টুইটার ইউসার এর সাথে personal বা private message করার সুবিধে টুইটার এ রয়েছে।
এবং, এই private messaging করার সেবাটিকেই বলা হয় “Direct message” বা “DM“.
তাহলে বন্ধুরা, টুইটার এর সাথে জড়িত কিছু বিশেষ শব্দ ও সেবা গুলোর বিষয়ে আপনারা জেনেনিলেন।
চলুন এবার সংক্ষেপে জেনেনেই, “টুইটার এর কাজ কি“.
টুইটার এর কাজ কি ?
Twitter হলো একটি micro-blogging সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট, যেখানে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন celebrities, famous persons, individuals, actors এবং actresses দের সাথে সংযুক্ত কোনো পারি।
এমনিতে, টুইটার এর কাজ কি, এই প্রশ্নটি করলে এর উত্তরে বলা যেতে পারে,
“টুইটার এমন একটি মাধ্যম, যার ব্যবহার করে আমরা নিজের মনের কথা, বিচার-বিবেচনা, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, ব্যক্তিগত পরামর্শ বা বিভিন্ন খবর গুলো, অন্যান্য ইউসার দের সাথে শেয়ার করে তাদের জানিয়ে দিতে পারি”।
এবং এভাবেই, বিশ্বের অন্যান্য লোকেদের সাথে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমাদের সংযুক্ত করানোটাই হলো টুইটার এর কাজ।
প্রত্যেক দিন লক্ষ লক্ষ লোকেরা বিভিন্ন বিষয়ে tweets বা posts করছেন এবং বিভিন্ন নতুন বিষয়ে তথ্য দিচ্ছেন।
সেটা, নিজের বিষয়েও হতে পারে বা যেকোনো অন্য বিষয়ে।
এবং, তার থেকেও বেশি সংখক লোকেরা প্রত্যেকদিন অন্যদের করা এই নতুন নতুন tweets গুলো পড়ছেন।
তাই, আমার হিসেবে টুইটার এর কাজ হলো “একজন ব্যক্তিকে আরেকজন ব্যক্তি বা সংগঠনের সাথে সংযুক্ত করে রাখা”.
Twitter এর কিছু ব্যবহার
এমনিতে, যেকোনো সাধারণ সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলো যেগুলো কাজে ব্যবহার করা হয়, ঠিক সেগুলো কাজে টুইটার কেও ব্যবহার করা হয়।
তবে, টুইটার এর সেরা ৬ টি ব্যবহার আমি নিচে তুলে ধরছি।
- নিজের blog, website, business ও brand এর অনলাইনে প্রচার করার সেরা মাধ্যম।
- বিষয়ের যেকোনো জায়গায় থাকা নতুন নতুন লোকেদের সাথে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
- যেকোনো দেশের বিখ্যাত ও জনপ্রিয় লোক যেমন – actors, actresses, politicians, organisations, social workers ইত্যাদি দের সাথে সংযুক্ত হতে পারবেন।
- বিশ্বের যেকোনো জায়গার থেকে অনেক তাড়াতাড়ি যেকোনো খবরের বিষয়ে জানতে পারবেন tweets এর মাধ্যমে।
- বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ রয়েছে।
- নিজের মনের ভাব বা বিচার, অন্যদের কাছে প্রকাশ করা ক্ষেত্রে টুইটার এর প্রচুর ব্যবহার করা হয়।
এমনিতে, এগুলোর বাইরেও আরো কিছু ব্যবহার রয়েছে টুইটার এর।
তবে, বিশেষ ভাবে ওপরে দেওয়া ৫ টি ক্ষেত্রে টুইটার প্রচুর পরিমানে ব্যবহার করা হয়।
ভারতে সব থেকে অধিক ফলোয়ার থাকা টুইটার একাউন্ট কার ?
বর্তমানের সময়ে (April 2020), ভারতে সব থেকে জনপ্রিয় ও অধিক ফলোয়ার (followers) থাকা twitter account হলো, আমাদের আদরণীয় প্রধানমন্ত্রী “নরেন্দ্র মোদী” জির।
এবং, ওনার টুইটার একাউন্টে, প্রায় 56 million followers এর থেকেও অধিক followers রয়েছেন।
তাছাড়া, বর্তমানে (April 2020), ভারতের দ্বিতীয় অধিক জনপ্রিয় twitter account টি হলো, বলিউড অভিনেতা (Bollywood actor) “Amitabh Bachchan” এর।
ওনার টুইটার একাউন্টে বর্তমান প্রায় 41.7 million followers রয়েছেন।
Twitter কিভাবে ব্যবহার করবেন ?
টুইটার ব্যবহারের নিয়ম এমনিতে অনেক সোজা ও সরল।
একটি twitter account থাকলে, আপনারা অনেক সহজেই “twitter mobile app” বা “twitter website” এর মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন।
চলুন, নিচে আমরা সহজে জেনেনেই, app এর মাধ্যমে টুইটার ব্যবহারের নিয়ম।
টুইটার একাউন্ট তৈরি করার পর, মোবাইলের মাধ্যমে টুইটারে লগইন করলে, ওপরে ছবিতে দেওয়া হিসেবে interface দেখতে পাবেন।
এখন, ছবিতে আপনারা অবশই দেখতে পারছেন যে আমি twitter এর options গুলোর সাথে, কিছু সংখ্যা (numbers) ব্যবহার করেছি।
এবং, প্রত্যেকটি options গুলো কি কি কাজে আসে বা টুইটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে তাদের কি কাজ থাকছে, সেটা সংখ্যা হিসেবে এক এক করে বলে দিচ্ছি।
১. Home
প্রথম option যেটা আপনারা দেখবেন, সেটা হলো “Home“.
Home এ click করলে, আপনারা টুইটার এর মুখ্য পেজে চলে যেতে পারবেন।
টুইটার এর এই মুখ্য পেজে আপনারা সেই প্রত্যেক জনের টুইট (tweets) গুলো দেখতে পাবেন, যাদের আপনি twitter এ follow করছেন।
২. Search
দ্বিতীয় অপশনটি হলো “Search“.
Search এর option টি ব্যবহার করে আপনারা অন্যান্য টুইটার ইউসার দের খুঁজতে পারবেন।
নতুন নতুন টুইটার ইউসার দের খুঁজে তাদের সাথে সংযুক্ত হওয়ার জন্য, এই সার্চ বাক্স ব্যবহার করতে পারবেন।
৩. Notification bell
এটা হলো, আপনার টুইটার একাউন্ট এর সাথে জড়িত সব ধরণের প্রজ্ঞাপন (notification) দেওয়ার একটি মাধ্যম।
এখানে ক্লিক করে, আপনারা একাউন্ট এর সাথে জড়িত প্রত্যেকটি আপডেট এর বিষয়ে জেনেনিতে পারবেন।
যেমন, কেও আপনাকে ফলো করলে, আপনার টুইট রিটুইট করলে বা আপনার টুইট গুলোকে লাইক করলে, সেই বিষয়ে এই notification bell এর মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
৪. Message request
আপনার টুইটার একাউন্টের মধ্যে আপনাকে যতগুলো messages পাঠানো হয়েছে, সবটাই আপনারা এই message icon এ ক্লিক করে জেনেনিতে পারবেন।
তাছাড়া, যদি আপনি কোনো অন্য twitter user এর সাথে direct messages এর মাধ্যমে কথা বলতে চাচ্ছেন, তাহলে এই option ব্যবহার করে সেটা করা সম্ভব।
এটা হলো আপনার টুইটার একাউন্ট এর সব থেকে জরুরি অপসন “tweet button“.
এই tweet button এ ক্লিক করে, আপনি আপনার বিচার, পরামর্শ বা মনের ভাব গুলো tweet এর মাধ্যমে share করতে পারবেন।
৬. Edit profile
এখন, টুইটার এর আরো একটি জরুরি অপসন হলো “edit profile” অপসন।
এই অপশনের মাধ্যমে, আপনারা নিজের প্রোফাইল এডিট করে সেখানে বিভিন্ন তথ্য যোগ করতে পারবেন।
যেমন,
- Username এডিট করতে পারবেন।
- Bio র মাধ্যমে নিজের বিষয়ে সংক্ষেপে কিছু লিখতে পারবেন।
- Location: আপনি কোন দেশে থাকেন, সেই জায়গাটি প্রোফাইলে যোগ করতে পারবেন “Location এর মাধ্যমে”.
তাহলে বন্ধুরা, এগুলোই ছিল টুইটার এর সাথে জড়িত কিছু অপসন এবং তাদের ব্যবহার।
এভাবেই, অনেক সহজেই অপসন গুলো ব্যবহার করে টুইটার একাউন্ট চালাতে পারবেন।
আজকে আমরা কি শিখলাম ?
তাহলে বন্ধুরা, আজকে আমরা “টুইটার কি (what is twitter in bangla)”, “টুইটার এর কাজ কি”, “এর কিছু ব্যবহার” এবং টুইটার এর সাথে জড়িত বিভিন্ন তথ্যের বিষয়ে জানলাম।
যদি আপনি আগে কোনো সময় twitter ব্যবহার করেননি, তাহলে একবার ব্যবহার করে অবশই দেখুন।
টুইটারের ব্যবহার করে আপনারা প্রত্যেকেই অনেক মজা পাবেন।
কেননা, এখানে থাকা বিশ্বের অনেক বিখ্যাত লোকেদের সাথে আপনারা সংযুক্ত হতে পারবেন।
বন্ধুরা, “twitter কি” বা “টুইটার ব্যবহারের নিয়ম” বিষয়টি নিয়ে যদি অন্য কোনো প্রশ্ন বা সমস্যা আপনার মনে রয়েছে, তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে অবশই জানিয়ে দিবেন।
0 responses on "টুইটার কি এবং এর প্রতিষ্ঠাতা কে ? – (About Twitter)"