টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবো ? (How to create Tik-Tok videos in Bengali), টিক টক ভিডিও তৈরি করতে, কোন কোন ধাপগুলো আপনাকে অনুসরণ করতে হবে ? এছাড়া, একটি আকর্ষণীয় TikTok ভিডিও তৈরি করার টিপস গুলো কি কি ?
এখনকার সময়ে TikTok হল বেশ দ্রুত বর্ধনশীল একটা সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক।
এই প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে আপনার ভিডিও গুলো যথেষ্ট প্রতিযোগিতা তৈরী করতে পারে।
অর্থাৎ, আপনি যদি TikTok ট্রেন্ডিং ভিডিও তৈরি করতে চান, তবে আপনাকে যথেষ্ট পরিশ্রম করে কৌশলী হতে হবে।
TikTok-এর গুরুত্বকে কখনোই ছোট করে দেখবেন না।
কারণ, এর অডিয়েন্সেরা প্রধানত তরুণ প্রজন্মই হয়ে থাকে।
তবে, তারা এই প্ল্যাটফর্মের সাথেই বড় হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে একটা বিশাল অংশ এখানেই রয়েছে।
আর, আপনিও যদি TikTok ট্রেন্ডিং ভিডিও তৈরি করতে পারেন, তাহলে আপনিও এই প্ল্যাটফর্মে উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভের কথা চিন্তা করতে পারবেন।
তাই, আপনার সুবিধার জন্যে আমরা এখানে আলোচনা করবো,
কিভাবে টিকটক ভিডিও বানাবো ? ও সেরা আকর্ষণীয় TikTok ভিডিও তৈরি করার টিপস গুলোর সম্পর্কে।
যাতে, আপনিও হয়ে যেতে পারেন একদম জনপ্রিয় একজন TikTok স্টার!
টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবো ?
চলুন, তাহলে চট করে জেনে নেওয়া যাক, আপনার প্রথম TikTok ভিডিও তৈরি করার টেকনিকাল পদ্ধতিটি।
এছাড়াও, TikTok-এর ট্রেন্ডিং ভিডিও সম্পর্কে ধারণা তৈরী করতে এর নিজস্ব সহযোগী, সৃজনশীল, ও ট্রেন্ডসেটিং ক্রিয়েটরদের কোনো কম্যুনিটিতে যোগ দিতে পারেন!
টিকটকে নতুন ভিডিও তৈরি করতে, নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন –
১. স্ক্রিনের নীচে ‘+’ বাটনে ট্যাপ করুন বা আলতো চাপ দিন।
২. আপনার ডিভাইস লাইব্রেরি থেকে কনটেন্ট আপলোড করুন কিংবা TikTok-এর নিজস্ব ক্যামেরা ব্যবহার করুন।
৩. সাউন্ড, এফেক্ট, ফিল্টার অথবা অন্যান্য ক্যামেরা টুলগুলো যোগ করুন।
৪. ‘Record’ বাটনে প্রেস করে আপনার ভিডিও রেকর্ড করা শুরু করুন৷
৫. আপনার কনটেন্ট রেকর্ড করুন।
৬. ‘check mark’-এ ট্যাপ করুন বা আলতো চাপ দিন।
৭. ‘Post Page’-এ অতিরিক্ত সম্পাদনা করে নিন।
৮. আপনার ফাইনাল ভিডিও পোস্ট করুন।
উপরে উল্লেখিত ধাপগুলো আপনাকে সাধারণভাবে টিকটকে একটা ভিডিও তৈরী করতে সাহায্য করতে পারে।
১৪টি সেরা আকর্ষণীয় TikTok ভিডিও তৈরি করার টিপস:
সম্প্রতিকালে, TikTok অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠার অগুনতি কারণ আছে।
এখানের লোকপ্রিয় গানের বিশাল লাইব্রেরি, ট্রেন্ডিং এফেক্ট, ও প্ল্যাটফর্মের স্মল নিশ কম্যুনিটির বৃদ্ধির প্রতি যত্নশীল হওয়া- এর সাফল্যের অন্যতম কারণ হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে।
তবে, এই প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় থাকার একটা বড় সুবিধা হল এই যে, এখানে অডিয়েন্স বাড়াতে আপনাকে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে লাগে না।
কখনও কখনও, অ্যাপে নিজেকে ফেমাস বা ভাইরাল করতে গেলে আপনার শুধুমাত্র প্রয়োজন একটা ট্রেন্ডিং ভিডিওর।
এক কথায় বলতে গেলে, কীভাবে TikTok ভিডিও তৈরি করতে হয়, তা শেখা একেবারেই প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, বরং এটা একটা নেসেসিটি।
আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আমরা ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনাযুক্ত TikTok ভিডিও তৈরির প্রক্রিয়াগুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করবো।
১. নিজের ভিডিওর নিশ বাছুন:
প্রতিটা সোশ্যাল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রেই সফল হতে গেলে একটা নির্দিষ্ট নিশ বেছে নেওয়া জরুরি।
আপনি যদি কেবল এলোমেলোভাবে ভিডিও গুলো বানান, আর সেগুলো যে সব সময় মানুষজন পছন্দ করবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
আপনার সোশ্যাল নেটওয়ার্ক কার্যকলাপের জন্য আপনাকে প্রথমেই একটা যেকোনো নিশ বেছে নিতেই হবে।
এক্ষেত্রে, আপনি TikTok-এ কেন ভিডিও আপলোড করছেন ?
আপনি এখান থেকে কি অর্জন করতে চাইছেন ?
বিশেষ করে, আপনার ভিডিওর টার্গেট অডিয়েন্স কারা তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে।
একবার আপনি টার্গেট অডিয়েন্স সিলেক্ট করে নিলে, আপনি তাদের আগ্রহ অনুসারে কোনো ভিডিওর ধারণার উপর ভিডিও বানাতে পারেন।
তবে, আপনি যদি ভাইরাল হওয়ার জন্যে ট্রেন্ডিং ভিডিও বানাতে চান,
তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে, মানুষ কোন ধরণের ভিডিও দেখতে পছন্দ করছে।
যদিও, আপনি স্পষ্টতই একই বিষয় নিয়ে বারবার ভিডিও তৈরি করবেন না,
তাই এক্ষেত্রে আপনার ভিডিও গুলোর জন্য একটা মেইন নিশ খুঁজে বের করে নিতে হবে, যে বিষয়গুলো আপনার অডিয়েন্স আপনার ভিডিওতে দেখতে পছন্দ করছে বা করবে।
২. প্রতিদিন পোস্ট করার চেষ্টা করুন:
এই প্ল্যাটফর্ম চায় তাদের সফল ক্রিয়েটররা যাতে বেশি করে তাদের নেটওয়ার্কে পোস্ট করে।
যদি ট্রেন্ডিং ও আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরী করতে চান, তবে এক্ষেত্রে আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণে পোস্ট করতেই হবে।
এতে, এখানে প্রচুর পরিমানের দর্শকেরা আপনাকে নোটিস করার সুযোগ পাবেন।
আপনি যদি লো-প্রোফাইল অ্যাকাউন্ট রেখে দেন, তাহলে আপনার ভিডিওগুলো অডিয়েন্সদের ফীডে পৌঁছানোর সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।
সেরা টিকটক অ্যাকাউন্ট গুলো সারা দিনে কয়েকবার কনটেন্ট পোস্ট করে থাকে।
তবে, একা মানুষের পক্ষে সারাদিনে একাধিক পোস্ট করাটা বেশ কঠিন ব্যাপার।
তাই, চেষ্টা করবেন অন্তত উইকডে গুলোতে একটা করে ভিডিও পোস্ট করতে।
আপনি যত বেশি পোস্ট করবেন, আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে।
তবে, খেয়াল রাখবেন, যাতে আপনার ভিডিও গুলো আপনার ফলোয়ার বা টার্গেট অডিয়েন্সদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
৩. হাই-কোয়ালিটির ভিডিও তৈরী করুন:
এখনকার UHD জমানাতে হাই-কোয়ালিটির ফুটেজ না হলে, প্রতিযোগিতাতে টিকে থাকা অসম্ভব।
তাই, টিকটক ট্রেন্ডিং ভিডিও তৈরী করার জন্যে আপনাকে ভিডিওর কোয়ালিটি ও কোয়ান্টিটি দুটোর উপরই যথেষ্ট নজর দিতে হবে।
এর জন্যে আপনাকে যে সবসময় প্রফেশনাল ক্যামেরা অপারেটরদের ভাড়া করতে হবে, তা কিন্তু নয়।
বরং, আপনি উন্নতমানের যন্ত্রপাতি ছাড়াও, কেবল স্মার্টফোন ভিডিও থেকেও ভাইরাল হতে পারেন।
সুতরাং, এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই হাই ডেফিনেশনে ভিডিও শুট করতেই হবে।
একটা ভালোমানের ভিডিও পাওয়ার জন্যে আপনাকে লাইটিং-এর ভালো ব্যবস্থা, ট্রাইপড ও ভালো ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলের দরকার পড়বে।
আর, পরিষ্কার সাউন্ড পাওয়ার জন্যে একটা এক্সটার্নাল মাইক্রোফোন অবশ্যই ব্যবহার করুন।
নিজের ভিডিওগুলো টিকটক কিংবা যেকোনো এক্সটার্নাল ভিডিও এডিটিং অ্যাপ ব্যবহার করে সৃজনশীলভাবে এডিট করুন।
এছাড়াও, নিজের বিষয়বস্তুর প্রতি মনোযোগ দিন ও তা নিশ অনুযায়ী টার্গেট অডিয়েন্সদের আকৃষ্ট করবে কিনা তা দেখে নিন।
৪. সাউন্ড সম্পর্কে যত্নশীল হন:
টিকটক হল এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যাদের সাথে বেশিরভাগ প্রধান মিউসিক কোম্পানির টাইআপ রয়েছে।
যে কারণে, আপনি সহজেই যেকোনো জনপ্রিয় গান আপনার ভিডিওর সাহায্যে কোনো রকমের কোনো কপিরাইট ছাড়াই ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি আপনার ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে আরামসে কোনো পরিচিত গান যুক্ত করতেই পারেন।
আপনি এই অ্যাপের মিউসিক লাইব্রেরি ছাড়াও, ভিডিও শুট করার সময় কিংবা এডিট করার সময়তেও এই গানগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
তবে, ৬০ সেকেন্ডের ভিডিওর ক্ষেত্রে গানের অপশন লিমিটেড থাকলেও, আপনি আপনার পছন্দমতো যথেষ্ট ট্র্যাক পেয়ে যাবেন।
৫. অন্য TikTok ইউসারদের সাথে যোগাযোগ করুন:
যেহেতু, এটা হল এক ধরণের সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক।
তাই, এখানে আপনাকে আপনার ফলোয়ার বা অডিয়েন্সদের সাথে সোশ্যাল ইন্টারঅ্যাকশন করতেই হয়।
নিজের ফলোয়ার বাড়াতে গেলে কিংবা ভিডিওর ভিউ বাড়াতে গেলে আপনাকেও অন্যদের ভিডিওতে লাইক ও কমেন্ট করতে হবে।
টিকটকের অ্যালগরিদমে এনগেজমেন্ট হল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার।
আপনি যত বেশি অন্যদের পোস্টে রিঅ্যাকশন দেবেন, আপনি তত বেশি নিজের ভিডিওর এক্সপোজার পাবেন।
এছাড়াও, ভিউ বাড়াতে বিভিন্ন ক্রিয়েটরদের সাথে কোলাবোরেট করে ভিডিও বানাতে পারেন।
এমনকি, বিভিন্ন ইনফুলেন্সাররা নিজেদের কন্টেন্টের ধারণা বাড়াতে অচেনা ক্রিয়েটরদের সাথেও কাজ করে থাকে।
৬. ট্রেন্ডিং হ্যাসট্যাগ ও TikTok ট্রেন্ডের সাথে পরিচিত হন:
আপনি যদি TikTok অ্যাপটি খুলেন এবং নীচে ‘Discover’ বাটনে ট্যাপ করেন,
তাহলে আপনি এখানের ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ গুলো দেখতে পাবেন।
যদি ভিডিও ট্রেন্ড করতে চান, তাহলে Discover পেজে যে পোস্টগুলো দেখবেন সেগুলো আপনার নিশ অনুসারে ফলো করে ভিডিও বানান।
এই ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ গুলো নিয়মিত পরিবর্তিত হয় এবং অঞ্চলভেদে আলাদাও হয়ে থাকে।
বেশ কিছু বৈশিষ্ট্যযুক্ত হ্যাশট্যাগ গুলো লংটার্ম ট্রেন্ডিং এ থাকতেই পারে।
যেমন- #TikTokTaughtMe, #HowTo ট্যাগগুলো টিউটোরিয়াল-টাইপ ভিডিওর জন্য দারুণভাবে ব্যবহারযোগ্য।
তাই, মানুষ যখন এই হ্যাসট্যাগ গুলো দিয়ে কনটেন্ট খোঁজে তখন আপনার হ্যাশট্যাগ দেওয়া ভিডিওগুলোও তাদের কাছে দৃশ্যমান হতে পারে।
৭. নিজের দক্ষতা দেখানো যায় এমন ভিডিও বানান:
টিকটকে বস্তুনির্ভর ভিডিও বানাতে গেলে নিজের দক্ষতাটাকে খুঁজে বের করা জরুরি।
অনেকে রয়েছেন যারা instrument বাজানোর টিকটিক করেন, কেউবা তার পোষ্য নিয়ে, কেউবা DIY টিকটক ভিডিও পোস্ট করে থাকেন।
তাই, এক্ষেত্রে আপনাকে নিজের দক্ষতা খুঁজে নিয়ে টিকটক ভিডিও বানাতে শুরু করতে হবে।
আপনি চাইলে কমেডি টিকটকও বানাতে পারেন।
৮. ‘How To’ ভিডিও বানান:
যদিও ১৫-৯০ সেকেন্ডের ভিডিও হলেও এই প্ল্যাটফর্মে ‘হাউ টু’ ভিডিওগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়।
আপনি এখানে অসংখ্য ট্রেন্ডিং টিকটক টিউটোরিয়াল দেখতে পাবেন যেগুলো মূলত মেকআপ, রান্নাবান্না কিংবা DIY কনটেন্ট-এর উপর রয়েছে।
আপনি যদি এই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কোনো টাস্ক দেওয়ার মতো ভিডিও দিতে পারেন,
তাহলে আপনার ভাইরাল হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে।
এখানে আপনাকে বিনোদনমূলকভাবে টিউটোরিয়াল গুলো উপস্থাপন করতে হয়।
অনেকে আছেন যারা টিকটকের সাহায্যে ইউটিউব ভিডিওর টিজার তৈরী করেও পোস্ট করে।
৯. কারেন্ট ইভেন্টগুলো কভার করুন:
দুনিয়াতে কি ঘটছে, সে বিষয়ে টিকটক ব্যবহারকারীরা যথেষ্ট খেয়াল রাখে।
এমন অনেক টিকটক ভিডিও আছে যেগুলো বিভিন্ন কারেন্ট ইভেন্ট গুলোকে কভার করে।
আপনি আপনার পছন্দমতো এই ধরণের ইভেন্টের উপর ভিডিও তৈরি করতেই পারেন।
ভিডিও গেম থেকে শুরু করে পপুলার মুভি বা টেলিভশন শোর আলোচনা নিয়ে পোস্ট করতে পারেন।
১০. পোষ্যদের ভিডিওতে আনুন:
শিশুরা তরুণ প্রজন্মের টিকটক ব্যবহারকারীদের কাছে অতটা জনপ্রিয় টপিক না হলেও, পোষ্যদের নিয়ে তৈরী ভিডিওগুলো যথেষ্ট ভাইরাল হয়।
তাই, আপনি আপনার নিশ হিসেবে পোষ্যদের উপর ভিডিও বানাতেই পারেন।
যেকোনো ধরণের পোষ্য নিয়েই আপনি এই ভিডিওগুলো করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই দেখে নেবেন আপনার দেশে কোন কোন প্রাণী পোষা আইনি বা বেআইনি।
১১. লিপ-সিঙ্ক ভিডিও তৈরী করুন:
এই প্ল্যাটফর্মের সবথেকে জনপ্রিয় ভিডিওগুলোর মধ্যে পড়ে লিপ-সিঙ্ক ভিডিও গুলো।
এখানে আপনি বিভিন্ন ট্রেন্ডিং গানের সাথে লিপ-সিঙ্ক করে আপনার ভিডিও আপলোড করতে পারেন।
এমনকি, আপনি আপনার প্রিয় কোনো মুভি, সিরিয়াল কিংবা ওয়েব সিরিজের ডায়ালগের সাথেও লিপ-সিঙ্ক-এর ভিডিও পোস্ট করতে পারেন।
এই ধরণের অপশন থেকে আপনি শর্ট মিউসিক ভিডিও, ডান্স কোরিওগ্রাফি ও আরও নানান মজার ভিডিও বানাতে পারবেন।
১২. পপুলার ভিডিও নিজের ভার্সন বানান:
কোনো বিদ্যমান ভাইরাল ভিডিও নিয়ে সেটিকে নিজের ভার্শনে বানানো আপনাকে একই ধরণের জনপ্রিয়তা এনে দিতে পারে।
এখানে অবশ্যই একেবারে হুবহু কপি করলে চলবে না।
বরং, আপনাকে সেই ভিডিওতে এমন মশলা যোগ করতে হবে, যেটা আপনাকে এর হাজার হাজার অন্যান্য সংস্করণের থেকে একদম আলাদা ও অনন্য করে তোলে।
আপনি এমন সব TikTok-এ লিপ-সিঙ্ক ভিডিওগুলোও খুঁজে পেতে পারেন, যেখানে অন্যেরা অফিসিয়াল মিউজিক ভিডিওগুলোর রিমেক করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।
কখনও কখনও তারা ফ্রেম-ফর-ফ্রেম রিমেক করার চেষ্টা করে,
অবশ্যই তা যথেষ্টই সাধারণ TikTok ব্যবহারকারীদের বাজেট অনুযায়ী।
আর, এই কম বাজেটের “রিমেকগুলো” কিন্তু বেশ বিনোদনমূলক হয়ে থাকে।
১৩. ডুয়েট ভিডিও বানান:
TikTok আপনাকে যে বিশেষ রকমের ভিডিও তৈরি করতে দেয়, সেটা হল ডুয়েট ভিডিও।
এখানে আপনি কোনো বিদ্যমান ভিডিওতে মন্তব্য করতে, কোনো স্প্লিট-স্ক্রিন এফেক্ট ব্যবহার করতে পারেন।
আসল ভিডিওটা স্ক্রিনের বাঁদিকে ও আপনার ভিডিওটা ডানদিকে থাকে।
আপনি যেকোনো ফুটেজ ব্যবহার করে এই ডুয়েট ভিডিও বানাতে পারেন।
তবে, আপনাকে প্রথমে প্রধান কনটেন্ট ক্রিয়েটরের পারমিশন নিতে হবে।
এমনকি, আপনি নিজের পুরোনো ভিডিওর সাথেও ডুয়েট ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
বিনোদনমূলক ডুয়েট ভিডিওগুলো দারুণভাবে এনগেজমেন্ট নিয়ে আসে ও আপনাকে একটা বিশাল ফ্যানবেস তৈরি করে দিতে পারে।
১৪. হ্যাশট্যাগ শুরু করুন:
হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জগুলো হল টিকটক-এ এনগেজমেন্ট তৈরি করার অন্যতম বিনোদনমূলক একটা উপায়।
কোনো ব্যক্তি বা ব্র্যান্ড এই চ্যালেঞ্জ গুলো তৈরী করতে পারে।
যেখানে TikTok-এর বিজ্ঞাপন গুলোর অংশ হিসাবে ব্র্যান্ডেড হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য ব্র্যান্ডগুলোকে টাকা দিতে হয়।
নতুন TikTok ব্যবহারকারীদের জন্য একটা সীমাবদ্ধতা (কোনো ব্র্যান্ডেড হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জের জন্য তাদের অর্থ দেওয়া হয় না) থাকে।
কারণ, নতুন ব্যবহারকারীদের ইতিমধ্যে কোনো বড় ফলোয়ার বেশ না থাকার জন্যে তাদের চ্যালেঞ্জ প্রচার করার জন্য যথেষ্ট রিচ পাওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে।
তবে, একবার ফ্যানবেস তৈরী হলে কেল্লা ফতে!
আমাদের শেষ কথা,,
আমাদের আজকের ‘টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবো?’ নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হল।
লেখাটি আপনাকে কোনো ভাবে সাহায্য করে থাকলে তা অবশ্যই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোতে শেয়ার করবেন।
এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে সেটা নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।
0 responses on "টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবো ? জেনেনিন সঠিক নিয়ম বাংলাতে"