• No products in the cart.

টাইপিং করে টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন কৌশল গুলো কি কি ?

টাইপিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় ? ঘরে বসে অনলাইনে টাইপিং করে টাকা ইনকাম করার কৌশল গুলো কি কি ? মোবাইলে টাইপিং করে ইনকাম করার ক্ষেত্রে কোন কোন কাজ গুলো করতে পারবেন ? আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা এই প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তর পেতে চলেছেন। আজকে আমরা এমন টাইপিং জব বা ক্যারিয়ার অপসন গুলোর বিষয়ে জানবো যেগুলো জেকেও শুরু করে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন।

বর্তমানে অনলাইন-ভিত্তিক কাজের চাহিদা ব্যাপক।

এক্ষেত্রে আপনি যদি বিবিধ ধরণের সফ্টওয়্যার ব্যবহারে পারদর্শী হন এবং সাথে টাইপিং স্পিডও দুর্দান্ত হয়, তবে চাকরি আপনার হাতের নাগালে।

যদিও এমন অনেকেই আছেন যারা বাড়িতে বসে বিনা কোনো অর্থ ব্যয়ে রোজগার করতে চান, কিন্তু কীভাবে করবেন সেই উপায় সম্পর্কে অবগত নন।

আপনিও যদি তাদেরই একজন হয়ে থাকেন, তবে এই প্রতিবেদন আপনার জন্যই!

কেননা আজ আমরা ঘরে বসে টাইপিং বা হ্যান্ডরাইটিং করার মাধ্যমে অনলাইনে অর্থোপার্জনের কয়েকটি পন্থা সম্পর্কে আলোচনা করবো।

আপনি ফুল-টাইম অথবা পার্ট-টাইম যেমনই চাকরি সন্ধানী হয়ে থাকুন না কেন, ইন্টারনেটে প্রচুর ‘জব ভ্যাকেন্সি’ উপলব্ধ পেয়ে যাবেন।

তবে কাজের ভিন্নতার উপর ভিত্তি করবে উপার্জনের পরিমাণ।

তাই নিচে দেওয়া ‘ক্যারিয়ার অপশন’ গুলি বিবেচনা করে নিজের জন্য উপযুক্ত একটিকে বেছে নিয়ে নিজের ডিজিটাল কর্মজীবন শুরু করতে পারেন।

চলুন তাহলে নিচে আমরা টাইপিং করে অর্থ উপার্জনের ২৫টি উপায় গুলোর বিষয়ে জেনেনেই।

১. ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং:

টাইপ করে অনলাইনে অর্থোপার্জনের অন্যতম জনপ্রিয় উপায় হল ফ্রিল্যান্স রাইটিং। কার্যত, ফ্রিল্যান্সার রাইটাররা রিসার্চ পেপার এবং ম্যাগাজিন আর্টিকেল লেখার জন্য ব্লগ পোস্ট বা ওয়েব কনটেন্ট তৈরি করে উপার্জন করে থাকে।

আপনি টেকনোলজি, ফিন্যান্স, ভ্রমণ এবং লাইফস্টাইল ইত্যাদি বিষয় ভিত্তিক প্রচুর ফ্রিল্যান্স রাইটিংয়ের চাকরি খুঁজে পাবেন Upwork, Fiverr -এর মতো সাইটে। তবে হ্যাঁ আপনার লেখার হাত ভালো এবং শব্দ ভান্ডার সমৃদ্ধ হতে হবে। এই দুটি গুন যদি আপনার মধ্যে থাকে তবে অবিলম্বে ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং হিসাবে অর্থ উপার্জন শুরু করতে পারেন।

২. ট্রান্সক্রিপশন (Transcription):

ট্রান্সক্রিপশনের কাজ করার জন্য আপনার মধ্যে ধৈর্য থাকা খুব জরুরি। একই সাথে মনোযোগ সহকারে শোনার কাজও অন্তর্ভুক্ত এই পেশায়।

কেননা একজন ট্রান্সক্রিপশনিস্ট বা প্রতিলিপিবিদ হিসাবে আপনাকে – সাক্ষাৎকার, বক্তৃতা ইত্যাদির অডিও বা ভিডিও রেকর্ডিং শুনে সেটিকে লিখিত রূপে নথিভুক্ত করতে হবে। তাই এই কাজের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের খুব মনোযোগী শ্রোতা হওয়া আবশ্যক।

পাশাপাশি বিশদ বিবরণ মনে রাখতে হবে এবং হাই-স্পিডে টাইপ করতে হবে। প্রসঙ্গত আপনি একজন মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশনবিদ হিসাবেও কাজে নিযুক্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে মেডিকেল রিপোর্টের অডিও রেকর্ডিং শুনে এবং তা খাতায় কপি বা প্রতিলিপি করতে হবে। আবার আইনজীবীদের অধীনে কাজ করে আদালতের শুনানি রিপোর্ট প্রতিলিপি করার কাজ করতে পারেন।

৩. প্রুফরিডিং (Proofreading):

প্রুফরিডিং নিয়ে যদি আপনি পড়াশোনা করে থাকেন বা একটু হলেও জ্ঞান থাকে এবং পাশাপাশি ইংরেজি ও আঞ্চলিক ভাষায় পারদর্শী থাকেন, তবে বিবিধ ধরণের ডকুমেন্ট প্রুফরিড করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই কাজে – বানান, বিরাম চিহ্ন, ব্যাকরণ, বাক্য গঠন সহ অন্যান্য ত্রুটি সনাক্ত করার জন্য পাঠ্য পর্যালোচনা করতে হবে। আর প্রয়োজনে ভুল সংশোধন করতে এবং লেখাটি আরো ভালো কিভাবে করা যায় সেই পরামর্শও দিতে হতে পারে আপনাকে।

৪. এডিটিং (Editing):

আপনার যদি এডিটর বা সম্পাদক হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে থাকে বা কনটেন্ট লেখার দক্ষতা থাকে তবে এই কাজ আপনার জন্য উপযুক্ত! এডিটিং কাজের সাথে – পাঠ্য পর্যালোচনা এবং ডকুমেন্টের টেক্সট স্টাইল ও টোন উন্নত করা জড়িত। একই সাথে, লেখার শৈলী এবং বিষয়বস্তুর সাথে লেখকের লেখার সামঞ্জস্যতা আছে কিনা তাও পরীক্ষা করতে হবে।

উদাহরণস্বরূপ – একজন ক্লায়েন্ট তার বই প্রকাশের আগে এডিটরের সাহায্য নিতে পারে। আবার পত্র-পত্রিকা কোম্পানিগুলিরও এডিটরের প্রয়োজন পরে।

৫. কপিরাইটিং (Copy Typing):

কপি টাইপিংয়ের কাজে, কোম্পানি দ্বারা প্রেরিত সোর্সরের থেকে পেপার বা ডিজিটাল ফর্ম্যাটে ডকুমেন্ট কপি বা অনুলিপি করতে হয়। এক্ষেত্রে আপনি যত বেশি প্রজেক্টের উপর কাজ করবেন তত বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

উদাহরণস্বরূপ – আপনাকে রিপোর্ট এবং ম্যানুস্ক্রিপ্ট বা পাণ্ডুলিপি দেখে স্প্রেডশীটে ডেটা প্রতিলিপি করতে বলা হতে পারে কপি টাইপিংয়ের কাজে।

৬. ডেটা এন্ট্রি (Data Entry):

ডেটা এন্ট্রি হল টাইপ করে অনলাইনে অর্থোপার্জনের সবচেয়ে সহজ উপায়গুলির মধ্যে একটি।

ডাটা এন্ট্রি হল একপ্রকারের ক্লারিক্যাল জব, যেখানে কম্পিউটার এবং ডেটা প্রসেসিং প্রোগ্রাম ব্যবহার করে কোনো লিখিত তথ্যকে ইলেকট্রনিক ফরম্যাটে এন্ট্রি করা হয়ে থাকে। এই চাকরি আপনি রিমোর্ট মোডে অর্থাৎ ঘরে বসেই করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, সাথে একটি ল্যাপটপ বা পিসি এবং স্টেবল ইন্টারনেট কানেকশন থাকা আবশ্যক।

একই সাথে হাই-টাইপিং স্পিডে মাইক্রোসফ্ট এমএস অফিসে কাজ করার পারদর্শীতাও থাকতে হবে। টাইপিস্ট, ট্রান্সক্রাইবার, কোডার, ডাটা প্রসেসর এবং ওয়ার্ড প্রসেসর – ডেটা এন্ট্রি কাজের আওতায় পড়ে। আপনি – Guru, Freelancer, Axion Data Entry Services, বা Data Plus সাইটগুলির মাধ্যমে ডেটা-এন্ট্রি কাজে নিযুক্ত হতে পারেন।

৭. ই-বুক (E-books):

লেখা-লিখির কাজে আপনি যদি দক্ষ হয়ে থাকেন, তবে ই-বুক বা ইলেকট্রনিক বুক লেখার কাজে নিযুক্ত হতে পারেন।

এই কাজের অধীনে আপনাকে – ফিকশন বই, নন-ফিকশন গাইড, হাউ-টু ম্যানুয়াল, এবং ফটোগ্রাফি বই ইত্যাদিকে পেপার ফর্ম্যাট থেকে ডিজিটাল ফর্ম্যাটে রূপান্তরিত করার কাজ করতে বলা হতে পারে।

৮. রিজিউম রাইটিং (Resume Writing):

বর্তমান সময়ে CV বা রিজিউম ছাড়া চাকরির জন্য আবেদন করা যায় না।

তাই অনেক চাকরিপ্রার্থী নিজেস্ব একটি ‘প্রফেশনাল’ রিজিউম তৈরি করার জন্য অর্থ ব্যয় করতেও পিছপা হয় না। এক্ষেত্রে আপনি যদি এডিটিং সফ্টওয়্যার ব্যবহার করতে জানেন, তবে রিজিউম রাইটিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এর জন্য, আপনাকে একটি ক্লায়েন্টের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সহ ব্যক্তিগত তথ্য তুলে ধরে ডিজিটাল ফরম্যাট একটি CV তৈরি করতে হবে।

Upwork, Fiverr, Freelancer ইত্যাদি ওয়েবসাইটে আপনি লাভজনক স্যালারির সাথে রিজিউম রাইটিং চাকরি খুঁজে পেতে পারেন।

৯. ট্রান্সলেটর (Translator):

আপনি কি একাধিক আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে বা লিখতে দক্ষ? তাহলে আপনি ট্রান্সলেশনের কাজ করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনাকে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় নথি অনুবাদ করতে হবে। আর পরিবর্তে আপনাকে প্রজেক্ট প্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে কিধরনের ডকুমেন্ট অনুবাদ করতে হতে পারে?

উত্তর হল ‘ট্রান্সলেটর’ বা অনুবাদক হিসাবে আপনাকে – আর্টিকেল, বই, ডকুমেন্ট, এমনকি অডিও ক্লিপকেও এক ভাষার থেকে অপর ভাষায় অত্যন্ত নির্ভুলতার সাথে অনুবাদ করতে হতে পারে।

১০. ভার্চুয়াল অ্যাডসিস্টেন্ট (Virtual Assistant):

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট বা সংক্ষেপে VA হিসাবে আপনার কাজ হবে, বিভিন্ন ব্যবসায়িক কোম্পানির হয়ে অনলাইন মোডে তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পাদন ও সম্পন্ন করতে সহায়তা করা।

যেমন – ক্লায়েন্টের হয়ে মিটিং শিডিউল ও অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ করা, প্রজেক্ট বা প্রেজেন্টেশন বানানো, ফোন কল রিসিভ, ওয়েবসাইট পরিচালনা, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করা এবং ক্লায়েন্টদের চিঠি লিখে প্রত্যুত্তর দেওয়ার মতো কাজ করতে হবে আপনাকে।

যদিও ক্লায়েন্টের প্রয়োজনীয়তা উপর নির্ভর করবে আপনার কাজের প্রক্রিয়া ও করণীয়তা। প্রসঙ্গত ব্যক্তিগত সহায়ক হওয়ার জন্য আপনার মধ্যে – ভাল কমিউনিকেশন স্কিল, মাইক্রোসফ্ট অফিসে পারদর্শিতা এবং যথাযথ টাইম মেনেজমেন্ট স্কিলের মতো গুণাবলী থাকা আবশ্যক।

১১. ক্যাপশনিং (Captioning):

ক্যাপশনিং পেশায় – যেকোনো ধরণের ভিডিও, চলচ্চিত্র বা অডিও রেকর্ডিংয়ের জন্য একটি উপযুক্ত ক্যাপশন তৈরি করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ – কন্টেন্টের সংলাপগুলি শুনে তা একটি ভাষা থেকে অপর ভাষায় অথবা মৌখিক রূপ থেকে লিখিত রূপে প্রতিলিপি করাতে হবে, যা থেকে স্ক্রিনে দেখানো হবে। এরূপ ভিজ্যুয়াল বিবরণ যোগ করা করার কারণ দর্শকরা যাতে সহজেই সংলাপ পড়ে বুঝতে পারেন।

যাইহোক এই পেশায় ভাষাগত দক্ষতা থাকা দরকার।

১২. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট:

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট পেশার অধীনে আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর এবং কমিউনিটি ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতে হবে। এই পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারদের – Facebook, LinkedIn, Google Plus -এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি পরিচালনা করতে হবে। পরিচালনা বিষয়টিকে একটি ব্যাখ্যা করে বলি তাহলে।

আপনাকে ক্লায়েন্টের হয়ে তার সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রত্যহ কনটেন্ট আপলোড, অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাক রাখা এবং গ্রাহকদের রিপ্লাই দিতে হবে রাখতে হবে। তাই আপনার কমিউনিকেশন স্কিল ভালো হওয়া দরকার এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ থাকাও প্রয়োজন।

১৩. হ্যান্ডরেটিংয়ের কাজ:

হাতের লেখা বা হ্যান্ডরেটিংয়ের কাজ করার জন্য ল্যাপটপ বা ইন্টারনেট কনেকশন না থাকলেও চলবে। কেননা পুরো কাজটা খাতা ও কলম ভিত্তিক। অর্থাৎ আপনাকে হাতে কনটেন্ট লিখতে হবে। এই কাজের অধীনে আপনাকে – পার্সোনালাইজড বা ব্যক্তিগতকৃত কার্ড, হাতে লেখা চিঠি বা থ্যাংক ইউ নোট তৈরি করতে হতে পারে। এইধরণের কাজ আপনি – Upwork, Fiverr, Freelance সাইটে খুঁজে পেতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রতি প্রজেক্ট অনুসারে অর্থ প্রদান করা হবে।

১৪. প্রোডাক্ট রিভিউয়ার (Product Reviewer):

আপনি কোনো একটি কোম্পানিটি পণ্য (প্রোডাক্ট) এবং পরিষেবা (সার্ভিস) পর্যালোচনা করে এবং ফিডব্যাক দেওয়ার মাধ্যমেও ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই ধরণের কাজের অধীনে – বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং তাদের পরিষেবাগুলির গুণমান তুলনা করা বা নতুন প্রোডাক্ট টেস্ট করা ও রিভিউ লেখার অন্তর্ভুক্ত থাকছে।

১৫. ক্যাপচা টাইপিং (Captcha Typing):

ক্যাপচা টাইপিং হল এমন একটি কাজ যাতে আপনি যে রোবট নন তা প্রমাণ করার জন্য ছবিতে থাকা শব্দ ও সংখ্যা সনাক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে 2Captcha এবং Megatypers -এর মতো কোম্পানিগুলি আপনাকে এই কাজ করার জন্য অর্থ প্রদান করবে। অনলাইনে ঘরে বসে টাইপিং করে আয় করার এটা একটি দুর্দান্ত উপায়। মূলত, স্প্যামার এবং হ্যাকারদের থেকে ওয়েবসাইটগুলিকে রক্ষা করতেই ক্যাপচা কোড ব্যবহৃত হয়।

১৬. অনলাইন সার্ভে (Online Surveys):

আপনি অনলাইন সার্ভে করার মাধ্যমে টাকা রোজগার পড়তে পারেন। এর জন্য বিভিন্ন সাইটে গিয়ে একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট, পরিষেবা বা ব্র্যান্ডটির সম্পর্কে আপনাকে নিজের ফিডব্যাক শেয়ার করতে হবে। এক্ষেত্রে সাইটগুলিতে গিয়ে সাইন-আপ করার পর একটি উপযুক্ত সার্ভে খুঁজুন এবং কয়েকটি সহজবোধ্য প্রশ্নের উত্তর দিন। পরিবর্তে সার্ভে প্রতি আপনি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

১৭. রিসার্চ (Researching):

আপনাকে নির্দিষ্ট একটি বিষয় সম্পর্কে গবেষণা এবং তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এই কাজে। বিনিময়ে অর্থ দেওয়া হবে। আরেকটু বিশদে বলি ব্যাপারটা। আপনাকে কোম্পানির তরফ থেকে যেকোনো একটি টপিক দিয়ে দেওয়া হবে। এবার আপনাকে সেই বিষয় ভিত্তিক অনলাইন রিসার্চ পরিচালনা করতে হবে বা বিষয়টি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ এমন ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিয়ে একটি রিপোর্ট বানাতে হবে।

১৮. টাইপিং টেস্ট (Typing Tests):

বর্তমানে একাধিক কোম্পানি তাদের সম্ভাব্য কর্মীদের হাইপিং স্পিড এবং বানানের নির্ভুলতা কিরকম যাচাই করার জন্য অনলাইনে টাইপিং পরীক্ষা নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনাকে অন্য একটি ব্যক্তির হয়ে এই পরীক্ষাগুলি দিতে হবে এবং বিনিময়ে সেই ব্যক্তি আপনাকে উপযুক্ত পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে।

১৯. গ্রাফিক্স ডিজাইনিং (graphics designing):

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং পেশায় আপনাকে বিভিন্ন ধরণের আকর্ষণীয় পোস্ট, লোগো, কভার ইমেজ, লেটারহেট ইত্যাদি ডিজাইন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যদি কোনো সার্টিফাইড ইনস্টিটিউশন থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শিখে থাকেন তবে আপনার চাকরি পাওয়া নিশ্চিত। তবে আপনাকে আবশ্যিকভাবে – Photoshop, Illustrator, CorelDRAW, Adobe InDesign ইত্যাদি গ্রাফিক্স সফ্টওয়্যার ব্যবহারে পটু হতে হবে।

এই কাজ আপনি কোনো প্রকার বিনিয়োগ ছাড়াই অফলাইন মোডের পাশাপাশি অনলাইন মোডে অর্থাৎ বাড়িতে থেকেও করতে পারবেন।

২০. একাডেমিক রাইটিং:

একাডেমিক রাইটিং, কনটেন্ট রাইটিংয়েরই একটি ভাগ আর টাইপিং করে টাকা ইনকাম করার আরেকটি দারুন কৌশল। পার্থক্য হল, এই ধরণের কাজে আপনাকে শিক্ষার্থীদের হয়ে বা তাদের জন্য গবেষণামূলক আর্টিকেল / প্রতিবেদন, প্রবন্ধ এবং অ্যাসাইনমেন্ট লিখে জমা দিতে হবে। এই ধরণের চাকরি করার জন্য বিভিন্ন একাডেমিক ফরম্যাট সম্পর্কে ভাল জ্ঞান এবং রিসার্চ স্কিল থাকা আবশ্যক। আপনি – Essaypro, UvoCorp, Course Hero ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মাধ্যমে একাডেমিক রাইটিং কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন।

২১. ব্লগিং (Blogging):

বাড়ি বসে টাইপিং করে অর্থোপার্জন করার অন্যতম একটি সেরা পন্থা হল ব্লগিং করা। এর জন্য আপনাকে মাত্র কয়েক ঘন্টা বিনিয়োগ করতে হবে। আপনি যেকোনো বিষয়কে কেন্দ্র করে ব্লগিং করতে পারেন। যেমন – লাইফস্টাইল, মুভি, খাবার, কসমেটিক্স বা সাজসজ্জার সরঞ্জাম, ভ্রমণ, মিউজিক বা বই রিভিউ ইত্যাদি বিষয়কে টপিক হিসাবে আপনি বেছে নিতে পারেন।

আবার নিজের জীবনে প্রতিদিন ঘটে যাওয়া গুলিকে পার্সোনাল ডাইরি বা ব্লগ হিসাবেও পোস্ট করতে পারেন। মোট কথা পাঠকদের আপনি যত বেশি মনোরঞ্জন করতে পারেন ততই আপনার লেখা ভিউ পাবে এবং শেয়ার করা হবে। তার বিনিময়ে আপনার পকেট টাকায় ভরাট হবে।

এছাড়া আপনি কোনো প্রখ্যাত ব্র্যান্ডের সাথে অংশীদারিত্বে তাদের প্রোডাক্টের প্রচার নিজের ব্লগিংয়ের মাধ্যমে করতে পারেন। এমনটা করলে পার্টনার কোম্পানির প্রচারকার্য যেমন হবে, তেমনি আপনার রোজগারও বাড়বে। বিনামূল্যে ব্লগ সেট আপ করার জন্য আপনি Google -এর blogger.com অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন নিজের মোবাইলে।

তবে, ব্লগিং কিন্তু অনেক লাভজনক অনলাইনে টাইপিং জব গুলোর মধ্যে একটি আর ঘরে বসে অনলাইনে টাইপিং করে ইনকাম করার দারুন একটি উপায়।

২২. স্ক্রিপ্ট বা স্ক্রিন রাইটিং (Script / screen writing):

সিনেমা বা টেলিভিশন অনুষ্ঠানের জন্য স্ক্রিপ্ট লেখা হয় তা তো আমরা সকলেই জানি। এক্ষেত্রে প্রায় প্রত্যেক প্রোডাক্শন হাউসে স্ক্রিপ্টরাইটারদের চাহিদা ব্যাপক। জব-রোলের কথা বললে, স্টোরিলাইন তৈরি করা এবং চরিত্রদের জন্য সংলাপ লেখা ইত্যাদি কাজ করতে হবে। তাই এই প্রকারের চাকরি করার জন্য আপনার সৃজনশীল হওয়া দরকার। তবেই নতুন তথা ব্যতিক্রমী ভাবনা, টপিক, গবেষণার বিষয়, চরিত্র তৈরি, দৃশ্যের কাঠামো ইত্যাদি তৈরি করতে পারবেন।

Upwork এবং Freelancer -এর মতো ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আপনি এই ধরণের অনেক চাকরি খুঁজে পেয়ে যেতে পারেন।

২৩. স্কোপিস্ট (Scopists):

স্কোপিস্ট হলেন ফ্রিল্যান্স এডিটর বা সম্পাদক, যারা আদালতের রিপোর্টাদের আইনি প্রক্রিয়ার প্রতিলিপি করতে সহায়তা করে। এই চাকরির জন্য চমৎকার রাইটিং স্পিড এবং এডিটিং দক্ষতা থাকা দরকার। একই সাথে, আইনি শর্তাবলী এবং পদ্ধতি সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকাও প্রয়োজন। তদ্ব্যতীত, ব্যাকরণের দিক থেকে আপনার রিপোর্ট সঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে প্রতিলিপিগুলি পড়তে হবে এবং দরকার পড়লে আবারো এডিট করতে হবে।

২৪. ইমেল সাপোর্ট (Email support):

বড় কোম্পানি বা ওয়েবসাইটগুলি তাদের ইমেল প্রক্রিয়াকরণের জন্য লোক নিয়োগ করে, যাদের ইমেল সাপোর্টার বলে। তবে ইমেল প্রক্রিয়াকরণের পাশাপাশি অন্যান্য কাজও করতে হতে পারে। যেমন – স্প্যাম ইমেল ফিল্টার করা, গ্রাহকের ইমেলের রিপ্লাই দেওয়া ও অটো-রেস্পনডার সেট আপ করার কাজ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই ধরণের অনলাইন চাকরিতে সফলতা পেতে আপনাকে গ্রাহকদের সমস্যা ভালো করে বোঝার ক্ষমতা রাখতে হবে।

টাইপিং করে টাকা ইনকাম: উপসংহার

তাহলে বন্ধুরা, টাইপিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় বা টাইপিং করে টাকা ইনকাম করার কি কি কৌশল বা উপায় রয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে জানলেন তো ? আশা করছি আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনাদের অবশই ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি সত্যি ভালো লেগে থাকলে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার অবশই করবেন। এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে নিচে কমেন্ট করে অবশই জানাবেন।

0 responses on "টাইপিং করে টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন কৌশল গুলো কি কি ?"

Leave a Reply

© Technial Bangla. All rights reserved. 2025