বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো, ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার জন্য আমরা কি কি উপায় বা নিয়ম গুলো কাজে লাগাতে পারি (How To Earn Money With Your Mobile)। নিজের খালি সময়ে মোবাইল দিয়ে কাজ করে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনারা ইন্টারনেটে প্রচুর অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন।
কিন্তু মনে রাখবেন, ইন্টারনেটে থাকা প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ কিন্তু জেনুইন (real) না। প্রায় অনেক ওয়েবসাইট বা অ্যাপ রয়েছে যেগুলোতে আপনি কাজ করার পর আপনাকে টাকা দেওয়া হয়না।
তাই, এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের কেবল সেই রিয়েল ওয়েবসাইট বা এপস গুলোর বিষয়ে বলতে চলেছি যেগুলো ব্যবহার করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার জন্য এমনিতে যেগুলো উপায় আমি বলবো, সেগুলো জেকেও ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবেন। মহিলারা, ছাত্ররা বা যেকোনো ব্যক্তি যে নিজের খালি সময়ে পার্ট-টাইম ইনকাম করতে চাইছেন তারা এখন মোবাইলে কাজ করে অন্তত কিছু টাকা হলেও আয় করতে পারবেন।
ঘরে বসে মোবাইলে আয় কিভাবে করবেন ?
ঘরে বসে মোবাইলে কাজ করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যাবে এর সেরা ১০ টি উপায় আমি নিচে আপনাদের বলবো। তবে, এটা ভাববেননা যে কোনো কাজ না করেই আপনারা এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। দিনে ২ থেকে ৩ ঘন্টার সময় আপনাদের দিতে হবে এই উপায় গুলোর থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে।
এছাড়া, মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার এই উপায় গুলোর প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা ধরণের। তাই, কিছু উপায় ব্যবহার করে সত্যি প্রচুর টাকা আয় করা যেতে পারে এবং কিছু উপায় আপনাকে দিতে পারে অনেক সামান্য ইনকামের সুযোগ।
আপনি কোন উপায় ব্যবহার করে ইনকাম করবেন, কতটা সময় দিয়ে কাজ করবেন এবং সঠিক ভাবে কাজ করছেন কি না, এই প্রত্যেকটি বিষয়ের ওপরেই নির্ভর করছে আমি কত ইনকাম করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে কি কি লাগবে ?
মোবাইলে কাজ করার জন্য একটি ভালো মানের স্মার্টফোন লাগবে।
একটি ভালো ইন্টারনেট কানেকশন চাই। আমাদের কাজ গুলো অনলাইনে করতে হবে।
তোলার জন্য একটি payment method জরুরি টাকা। যেমন, Bank account, PayPal ইত্যাদি।
যিহেতু আপনি অনলাইনে কাজ করবেন, তাই ইন্টারনেটের সাধারণ ব্যবহার জানাটা জরুরি।
শেষে, আপনার কাছে ২ থেকে ৩ ঘন্টার খালি সময় থাকতে হবে।
মোবাইলে কাজ করে টাকা ইনকাম কিভাবে করবেন ?
চলুন এখন আমরা ঘরে বসে মোবাইলে টাকা আয় করার প্রত্যেকটি নতুন উপায় গুলোর বিষয়ে জেনেনেই।
মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে ইনকাম:
মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে সব থেকে লাভজনক এবং কার্যকর উপায় হলো blogging.
Blogging করে আজ লক্ষ লক্ষ লোকেরা ঘরে বসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন। আমি নিজেই full-time blogging করে টাকা ইনকাম করে চলেছি গত ২ বছর থেকে। এছাড়া, আমি ব্লগ থেকে মাসে কত টাকা আয় করছি এবিষয়েও আমি আপনাদের বলেছি।
আপনারা ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখলেই বুঝতে পারবেন যে blogging কতটা জনপ্রিয় একটি online business model । এখানে মূলত প্রথমেই আপনাকে একটি blog site তৈরি করতে হবে।
আপনারা অনেক সহজেই নিজের মোবাইল থেকে ফ্রীতে একটি ব্লগার ব্লগ তৈরি করে নিতে পারবেন। ব্লগ তৈরি করার পর আপনাকে নিজের ব্লগে বিভিন্ন বিষয়ে text based articles লিখে পাবলিশ করতে হয়।
এভাবে নিয়মিত নিজের ব্লগে কনটেন্ট পাবলিশ করতে থাকলে ধীরে ধীরে আপনার ব্লগে প্রচুর visitors/traffic ইন্টারনেটের মাধ্যমে চলে আসবে আপনার লেখা আর্টিকেল গুলো পড়ার জন্য।
যখনি আপনার ব্লগে ভালো পরিমানের ভিসিটর্স আসতে শুরু হবে, আপনি একাধিক উপায়ে নিজের ব্লগ থেকে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন, Google AdSense থেকে, affiliate marketing করে বা paid review লিখে ইনকাম করতে পারবেন।
সঠিক ভাবে ব্লগিং করতে পারলে প্রায় কিছু মাস পর থেকেই ১০,০০০ থেকে ৩০,০০০ এর মধ্যে প্রত্যেক মাসে ইনকাম করার সুযোগ হয়ে দাঁড়াবে।
Meesho App দিয়ে ঘরে বসে আয় করুন:
Meesho হলো একটি e-commerce reselling app যেটা ব্যবহার করে জেকেও নিজের ঘর থেকে মোবাইলের মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনারা lifestyle, clothing, kitchen, fashion ইত্যাদি এই ধরণের ক্যাটেগরিতে বিভিন্ন products গুলো meesho তে পাবেন। Meesho থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে মূলত তাদের এই products গুলোকে বিক্রি করাতে হবে।
Products বিক্রি করানোর জন্য আপনি product এর images গুলোকে বিভিন্ন social media platform গুলোতে শেয়ার করতে পারবেন। আপনি নিজের মোবাইলে meesho app download করে একটি ফ্রি account তৈরি করে কাজ শুরু করতে পারবেন।
Meesho-তে থাকা প্রত্যেক প্রডাক্ট এর একটি wholesale price আপনারা দেখতে পাবেন। আপনি সেই wholesale price এর ওপর নিজের profit margin রেখে সেগুলোকে লাভের সাথে বিক্রি করাতে পারবেন।
স্টক (stock), inventory বা delivery নিয়ে আপনার কোনো চিন্তা করতে হবেনা কেননা এগুলো সব meesho করবে। লোকেরা product গুলো অর্ডার করার পর বাকি সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া meesho দ্বারা করা হবে।
আপনাকে কেবল নিজের পছন্দ মতো products গুলোকে লোকেদের সাথে share করতে হবে এবং নিজের profit margin এর সাথে দাম বলতে হবে।
বলা হয় যে, নিজের মোবাইলের দ্বারা meesho তে কাজ করে আপনারা প্রায় ১৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ সহজেই ইনকাম করে নিতে পারবেন।
YouTube channel তৈরি করে মোবাইলে আয়:
আমি আগেও বলেছি, YouTube হলো ঘরে বসে অনলাইন ইনকামের সব থেকে সোজা উপায়। কেননা, আজ একটি YouTube channel তৈরি করে স্কুলে পড়াশোনা করা বাচ্চা থেকে বয়স্ক লোকেরাও অনলাইনে ইনকাম করছেন।
Blogging এর মতোই YouTube আজ একটি দারুন professional online business হিসেবে প্রচলিত। এক্ষেত্রে, আপনাকে কেবল নিয়মিত ভালো ভালো বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে নিজের চ্যানেলে আপলোড দিতে হবে।
তবে সবচে আগেই, আপনাকে একটি লাভজনক ইউটিউব চ্যানেল আইডিয়া অবশই ভেবে রাখতে হবে। কেননা, যেই বিষয়ে চ্যানেল তৈরি করবেন সেই বিষয়ের সাথে জড়িত videos আপনাকে তৈরি করতে হবে।
নিয়মিত কাজ করতে থাকলে, কিছু দিন পর আপনার চ্যানেলে কিছুটা হলেও subscribers-দের সংখ্যা বাড়বে এবং আপলোড করা ভিডিও গুলোতে ভিউস আসবে।
এরপর আপনাকে নিজের YouTube channel dashboard থেকে YouTube monetization এর জন্য apply করতে হবে। Monetization এর জন্য apply করার আগেই ইউটিউবের নতুন নিয়ম কানুন এবং আইন এর বিষয়ে আপনার জেনে রাখা দরকার।
যদি আপনার YouTube channel এর monetization চালু করে দেওয়া হয়, তাহলে আপনার প্রত্যেকটি ভিডিওর মধ্যে ইউটিউব বিজ্ঞাপন দেখাবে যার ফলে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার YouTube channel জনপ্রিয় হয়ে উঠলে অন্যান্য বিভিন্ন মাধ্যমে ইউটিউবের থেকে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন, affiliate marketing, paid promotion, paid reviews বা নিজের products sell করে।
এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কাজ নিজের মোবাইল থেকেই করা যাবে। খানিকটা অসুবিধা হলেও অনেকেই মোবাইল থেকেই সম্পূর্ণ কাজ করে নিচ্ছেন।
YouTube channel তৈরি করা, ভিডিও বানানো, ভিডিও এডিট করা এবং ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করা, সবটাই মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে, ইউটিউব গেমিং চ্যানেল তৈরি করে ইনকাম করাটা কিন্তু সব থেকে সহজ একটি উপায়।
মোবাইল দিয়ে আয় করার অ্যাপস:
আপনারা হয়তো অবশই জানেন যে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা আয় করার জন্য বিভিন্ন apps রয়েছে। Google play store এর মধ্যে গিয়ে search দিলেই আপনারা বিভিন্ন online income apps গুলো দেখতে পারবেন।
তবে, এই ধরণের টাকা ইনকাম করার এপস (apps) গুলোর মাধ্যমে তেমন ভালো ইনকাম করা সম্ভব হয়ে দাঁড়ায়না। মানে, আপনি যতটুকু সময় লাগিয়ে কাজ করবেন সেই হিসেবে আপনাকে টাকা দেওয়া হয়না।
তবে, যদি আপনার কাছে প্রচুর খালি সময় রয়েছে কেবল তাহলেই এই টাকা ইনকাম করার অ্যাপ গুলো ব্যবহার করার পরামর্শ আমি দিবো। এমনিতে, Apps গুলোতে বিভিন্ন রকমের কাজ করার জন্য আপনাদের টাকা দেওয়া হবে।
যেমন, video দেখা, সার্ভের কাজ করা, গেম খেলা, apps download করা ইত্যাদি।
যদি আপনি জেনুইন এবং রিয়েল অ্যাপ গুলো ব্যবহার করছেন, তাহলে মোবাইল থেকে কিছুটা পার্ট-টাইম ইনকাম (part-time income) অবশই করতে পারবেন।
মোবাইলে দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা কিছু অ্যাপস:
Google pay – লোকেদের Refer করে ৫০ টাকা ইনকাম করা যাবে।
RozDhan – কেবল signup করেই ২৫ থেকে ৫০ টাকা ইনকাম করা যাবে। এছাড়া, বিভিন্ন tasks এবং লোকেদের refer করে ইনকাম সম্ভব।
Google opinion rewards – Google দ্বারা দেওয়া survey গুলো সম্পূর্ণ করে ইনকাম করুন।
Dream 11 – এটা একটি fantasy cricket game যার মাধ্যমে রিয়েল টাকা আয় করা যায়।
Pocket money app – Survey সম্পূর্ণ করার জন্য টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া, refer করে income করতে পারবেন।
Swagbucks – মোবাইল দিয়েই পেইড সার্ভে এবং অফার গুলো সম্পূর্ণ করে টাকা আয় করা যাবে।
এছাড়াও আপনারা গুগল প্লে স্টোরে আরো প্রচুর apps পেয়ে যাবেন যেগুলো নিজের মোবাইলে ডাউনলোড করে কিছু সাধারণ কাজ করে টাকা আয় করা যাবে।
ySense ওয়েবসাইট দিয়ে ঘরে বসে আয়:
ySense দ্বারা কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন এবিষয়ে আমি আগেই সম্পূর্ণটা আপনাদের বলেছি।
এটা মূলত একটি paid survey সম্পূর্ণ করে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট যেখানে প্রত্যেকটি সার্ভে সম্পূর্ণ করার জন্য ভালো পরিমানের টাকা আপনাকে দেওয়া হবে।
প্রত্যেকটি paid survey সম্পূর্ণ করার পর আপনাকে প্রায় $0.50 থেকে $5 বা কিছু ক্ষেত্রে এর থেকেও বেশি টাকা দেওয়া হয়।
একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করা থেকে শুরু করে সার্ভে সম্পূর্ণ করা পর্যন্ত সম্পূর্ণ কাজ নিজের মোবাইল থেকে করতে পারবেন।
প্রত্যেক দিন এখানে ১ থেকে ২ ঘন্টা কাজ করে ঘরে বসে অনলাইনে পার্ট-টাইম ইনকাম করা সম্ভব। ySense অনেক পুরোনো একটি ওয়েবসাইট যেটা প্রচুর লোকেরা ব্যবহার করে অনলাইন ইনকাম করছেন।
এছাড়া, অন্যান্য লোকেদের এই সাইটে refer করতে করতে পারলেও আপনাকে রেফারেল ইনকাম দেওয়া হবে।
মোবাইল দিয়ে Fiverr ওয়েবসাইটে কাজ করুন:
আপনারা যদি কোনো বিশেষ কাজে নিপুন বা কোনো বিশেষ বিষয়ে আপনার ভালো দক্ষতা (skills) ও জ্ঞান রয়েছে, তাহলে অবশই fiverr ওয়েবসাইটে কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।
আসলে fiverr হলো একটি সেরা freelancing ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেস। এখানে, প্রচুর লোকেরা নিজের প্রয়োজন হিসেবে কাজ করানোর জন্য লোকেদের খুজেঁ। এবং, আমার এবং আপনার মতো লোকেরা একজন freelancer হিসেবে সেই কাজ গুলো সম্পূর্ণ করে যেখানে টাকা ইনকাম করতে পারি।
Fiverr এর মধ্যে হাজার রকমের কাজ আপনারা পাবেন।
যিহেতু আপনি মোবাইল থেকে কাজ করবেন, তাই আপনি content writing এবং social media management এর মতো কাজ গুলো করতে পারবেন। Fiverr এর মধ্যে গিয়ে একটি সম্পূর্ণ free account তৈরি করে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন।
মোবাইলে ক্যাপচা পূরণের কাজ করে আয়:
ইন্টারনেটে এরকম প্রচুর ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো আপনাকে captcha typing করার জন্য পয়সা দিবে। আমি আগেই আপনাদের বলেছি যে নিজের খালি সময়ে কাজ করে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার ক্ষেত্রে ক্যাপচা টাইপিং সাইট গুলো অনেক লাভজনক।
অবশই, এই কাজ আপনারা নিজের মোবাইল থেকে করতে পারবেন। প্রত্যেক দিন প্রায় ২ থেকে ৩ ঘন্টা কাজ করে প্রায় ২০০০ থেকে ৬০০০ টাকা আয় করতে পারবেন। ১০০০ ক্যাপচা কোড সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ করার বিপরীতে প্রায় $2 থেকে $3 দেওয়া হয়।
ইন্টারনেটে সার্চ করলেই ক্যাপচা থেকে টাকা আয় করার প্রচুর ওয়েবসাইট আপনারা পাবেন।
মোবাইল দিয়ে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করুন:
যদি আপনি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন তাহলে অবশই অনলাইনে আর্টিকেল লিখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে ইন্টারনেটে হাজার হাজার blogs, online news portal, social media page ইত্যাদি রয়েছে যেগুলোতে আর্টিকেল লেখার জন্য কনটেন্ট রাইটার দের প্রয়োজন হয়ে থাকে। হে, আপনি নিজের মোবাইলে যেকোনো text editor app বা Google docs ব্যবহার করে মোবাইলেই আর্টিকেল লিখতে পারবেন।
লেখালেখির কাজ খোঁজার জন্য আপনারা blogging এর সাথে জড়িত Facebook page গুলোতে গিয়ে কাজ খুঁজতে পারবেন। এছাড়া, সরাসরি ব্লগ এর মালিকদের ইমেইল এর মাধ্যমে যোগাযোগ করেও কাজ খুঁজতে পারবেন।
যদি আপনার লেখা আর্টিকেলের কুয়ালিটি ভালো হয়ে থাকে, তাহলে প্রত্যেক ১৩০০ থেকে ১৫০০ শব্দের আর্টিকেলের জন্য প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করতে পারবেন।
অনলাইন সার্ভে করে মোবাইল দিয়ে আয়:
ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন অনলাইন পেইড সার্ভে সাইট গুলো ব্যবহার করেও কিন্তু মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে পার্ট-টাইম ইনকাম করা সম্ভব। অবশই, সার্ভে গুলো সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে তেমন বেশি ইনকাম হবেনা যদিও কিছুটা হাত খরচ আসবে।
MyPoints, Swagbucks, InboxDollars, এগুলি হলো অনেক প্রচলিত অনলাইন সার্ভে সাইট। আপনি চাইলে প্রত্যেকটিতে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিয়ে একসাথে কাজ শুরু করতে পারবেন।
পেইড সার্ভে গুলোতে আপনাকে নানান brand, product, company-র সাথে সম্পর্কিত আপনার থেকে আপনার পরামর্শ এবং অভিজ্ঞতার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়। ব্যাস, সঠিক ভালো উত্তর দিন এবং ইনকাম করুন।
Swagbucks-এর মধ্যে আপনি সার্ভে সম্পূর্ণ করা ছাড়া অন্যান্য ছোট ছোট কাজ গুলো করেও ইনকাম করতে পারবেন। যেমন, ভিডিও দেখা, গেম খেলা, অন্যান্য ব্যক্তিদের রেফার করা ইত্যাদি।
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম
আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো বিভিন্ন অনলাইন স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট গুলোর বিষয়ে জানেন।
এগুলো মূলত এমন ওয়েবসাইট যেখান থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন কোম্পানি, ব্র্যান্ড, ব্যবসা ইত্যাদিরা কনটেন্ট মার্কেটিং বা অন্যান্য বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন ছবি গুলো কিনে থাকেন। আমার এবং আপনার মতো লোকেরাও এই সাইট গুলোর থেকে ছবি কিনে ব্যবহার করে থাকেন।
যদি আপনার কাছে ভালো স্মার্টফোন আছে যার ক্যামেরা কুয়ালিটি অনেক ভালো তাহলে আপনিও নিজের মোবাইলে তোলা ছবি গুলোকে এই সাইট গুলিতে আপলোড করে বিক্রি করতে পারবেন।
সাইট গুলিতে গিয়ে আপনাকে নিজের একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। একাউন্ট তৈরির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর আপনি নিজের তোলা হাই কুয়ালিটি ছবি গুলোকে এই সাইটে আপলোড দিতে পারবেন।
যখনি সাইট গুলোর থেকে আপনার কোনো ছবি ডাউনলোড করা হবে, আপনাকে প্রত্যেক ডাউনলোডের জন্য কিছু টাকা কমিশন হিসেবে দেওয়া হবে।
Shopify Store চালু করুন
আপনি কি জানেন এখন একটি সম্পূর্ণ e-commerce ওয়েবসাইট পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করার কাজটা সম্পূর্ণভাবে নিজের স্মার্টফোন দিয়ে করতে পারবেন। মানে, নিজের একটি অনলাইন শপিং সাইট মোবাইলের মাধ্যমেই শুরু করা যাবে।
Shopify হলো একটি বাণিজ্য প্ল্যাটফর্ম যার দ্বারা আপনি কোনো ঝামেলা ছাড়া নিজের একটি ই-কমার্স অনলাইন দোকান শুরু করতে, সেটআপ করতে এবং পরিচালনা করতে পারবেন।
Shopify-এর একটি mobile app রয়েছে যেটা ব্যবহার করে মোবাইল দিয়েই নিজের অনলাইন দোকান/স্টোর পরিচালনা করা যাবে। Shopify App ব্যবহার করে product যোগ করা থেকে শুরু করে অর্ডার পূরণ করা, গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ সবটা করতে পারবেন।
তবে, প্রথমবারের জন্য নিজের অনলাইন শপিং সাইট সেটআপ করার ক্ষেত্রে আপনাকে একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহার করতেই হবে। একবার অনলাইন স্টোর সেটআপ হওয়ার পর দোকানের প্রতিদিনের কার্যক্রম গুলো মোবাইল অ্যাপ দিয়েই করা যাবে।
FAQ:
প্র: মোবাইল দিয়ে কি কি মাধ্যমে টাকা আয় করা যাবে ?
ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার জন্য আপনি বিভিন্ন টাকা ইনকাম করার অ্যাপস গুলো ব্যবহার করতে পারেন, একটি YouTube channel বা blog চালু করতে পারেন। এছাড়া, মোবাইল দিয়ে বাংলায় আর্টিকেল লিখেও বর্তমানে ইনকাম করা সম্ভব।
প্র: মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার সেরা উপায় কি?
বেশিরভাগ মেয়েরাই আজকের বিভিন্ন নিউজ ওয়েবসাইট, ব্লগ এবং সোশ্যাল মিডিয়া পেজ গুলোর জন্য কনটেন্ট লিখার মাধ্যমে ঘরে বসে নিয়মিত রোজগার করতে পারছেন।
প্র: মোবাইলে ইনকাম করার অ্যাপস গুলো কি টাকা দেয়?
যদি জেনুইন এবং ভালো অ্যাপস ব্যবহার করছেন তাহলে টাকা অবশই পাবেন। তবে, বেশিরভাগ অ্যাপ থেকে ভালো মানের টাকা আয় করতে অনেক বেশি সময় লাগতে পারে।
প্র: মোবাইল দিয়ে কাজ করে কত টাকা ইনকাম করা যাবে?
আমি আগেও বলেছি, ওপরে বলা উপায় গুলোর মধ্যে বেশিরভাগ থেকেই অনেক সামান্য রকমের হাত খরচ বের করতে পারবেন। তবে, একটি সফল ব্লগ সাইট বা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারলে সেখান থেকে কিন্তু ভালো মানের ইনকাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, যদি আপনারা ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে কাজ করে টাকা আয় করার সেরা এবং সুবিধাজনক উপায় গুলো খুঁজছেন, তাহলে ওপরে বলা তথ্য গুলো আপনাদের কাজে অবশই লাগবে। ওপরে বলা প্রত্যেকটি কাজ আপনারা চাইলে নিজের মোবাইল থেকেই করতে পারবেন। এছাড়া, নিজের মোবাইলে কাজ করে ইনকাম করার ক্ষেত্রে তেমন বিশেষ অনলাইন জব বা ওয়ার্ক গুলো নেই।
তবে, যেগুলো উপায় আমি ওপরে বলেছি সেগুলোর মাধ্যমেই কিছুটা হলেও পার্ট-টাইম ইনকাম আপনি নিজের মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। শেষে, how to earn money with smartphone নিয়ে লেখা আমাদের আর্টিকেল যদি আপনাদের পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে আর্টিকেলটি অবশই শেয়ার করবেন।
0 responses on "ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার সেরা উপায় গুলো: ১০টি"