• No products in the cart.

গুরুত্বপূর্ণ ইউটিউব চ্যানেল সেটিং যেগুলো করা জরুরি

জরুরি ইউটিউব চ্যানেল সেটিং: ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম বা কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করবেন, এই বিষয়ে ইন্টারনেটে প্রচুর video এবং article আপনারা পাবেন।

কিন্তু চ্যানেল তৈরি করার পর কোন কোন চ্যানেল সেটিং গুলো শুরুতেই করে নিতে হবে, সেই বিষয়ে অনেক কম তথ্য অনলাইনে পাবেন।

তাই, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সেই প্রত্যেক YouTube channel settings গুলোর বিষয়ে বলবো যেগুলো আপনার চ্যানেল এর বিকাশ এর জন্যে জরুরি।

যদি এই জরুরি ইউটিউব সেটিং গুলো আপনারা ভালো করে করে রাখতে পারেন, তাহলে চ্যানেল তাড়াতাড়ি grow করবে।

জরুরি ইউটিউব চ্যানেল সেটিং

এমনিতে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার পর প্রচুর ছোট বড় সেটিং গুলো থেকে থাকে যেগুলোকে শুরুতেই করে নিতে হয়।

তবে, নিচে আমি যেই সেটিংস গুলোর বিষয়ে বলতে চলেছি, সেগুলো করে রাখলেই আপনার আর অন্য সেটিংস গুলো করতে হবেনা।

এর পর, আপনি কেবল নিজের চ্যানেল এর জন্যে ভালো ভালো video content তৈরি করার ক্ষেত্রে ফোকাস (focus) করতে পারবেন।

১. Channel status and features

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে লগইন করে “Your Channel >> Settings” এর মধ্যে গেলেই আপনারা এই “channel status and features” অপশনটি দেখতে পাবেন।

সরাসরি এই অপশনে ক্লিক করার পর আপনারা নিজের চ্যানেল এর সাথে জড়িত কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস গুলো দেখতে পাবেন।

নিচে ছবিটি দেখলে আপনারা সেটিংস গুলোর বিষয়ে ভালো করে বুঝতে পারবেন।

আপনারা “channel status and features” অপশনে ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনারা ওপরে দেওয়া ছবিটির মতোই একটি page দেখবেন।

Channel-এর সাথে related মূলত তিনটি options আপনারা দেখবেন।

Basic info
Advanced settings
Feature eligibility

Basic info

১. Country of residence

এখানে আপনারা মূলত দুটি গুরুত্বপূর্ণ YouTube channel settings পাবেন।

Country of residence, এর অপশনে আপনাকে নিজের দেশটি select করতে হবে।

আপনি কোন দেশে থাকেন বা কোন দেশ থেকে নিজের YouTube channel তৈরি করেছেন ও সেটাকে পরিচালনা করছেন ?

সেটাই এই সেটিংস এর মধ্যে আপনাকে দিতে হয়।

২. Keywords

এখন দ্বিতীয় জরুরি basic settings-টি হলো “keywords“.

এখানে আপনাকে channel এর সাথে related কিছু keywords গুলো দিতে হবে।

ধরুন আপনি একটি চ্যানেল তৈরি করলেন যেখানে মূলত blogging-এর সাথে জড়িত content আপলোড করে থাকেন।

তাহলে এখানে আপনি কিছু related keywords যোগ করতে পারেন যেমন, blog, how to create blog, blogging, SEO, blogging income ইত্যাদি।

এই keyword option-টিতে চ্যানেলের সাথে জড়িত keywords গুলো যোগ করলে, YouTube SEO-এর ক্ষেত্রে লাভ পাবেন।

Advanced settings

চ্যানেলের (Channel) এর section-এই basic ট্যাব এর পর আপনারা “Advanced settings” নামের ট্যাব দেখতে পাবেন।

এখানেও আপনারা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইউটিউব সেটিংস গুলো পাবেন যেগুলোকে চাইলে করে রাখতে পারেন।

এই ট্যাবে থাকা অন্যান্য settings-গুলো যেভাবে রাখা আছে সেভাবেই রাখুন, তবে “Audience” এর সেটিংটি নিজের হিসেবে করে রাখতে পারেন।

Audience-এর ভাগে আপনারা একটি বিশেষ সেটিংস পাবেন।

Do you want to set your channel as made for kids ?

মানে, আপনার চ্যানেলটি বা চ্যানেলের ভিডিও গুলি কি বাচ্চাদের (kids) জন্যে তৈরি করা হয়েছে ?

ধরুন, cartoon video, বাচ্চাদের গল্প (stories) ইত্যাদি এই ধরণের কনটেন্ট গুলো।

যদি, আপনি মূলত বাচ্চাদের টার্গেট করে ভিডিও আপলোড করছেন তাহলে “Yes, set this channel as made for kids“, অপশনটি সিলেক্ট করুন।

যদি, আপনি আপনার চ্যানেলে বাচ্চাদের সাথে রিলেটেড কনটেন্ট আপলোড করেননা, তাহলে, “No, set this channel as not for kids”, অপশনটি সিলেক্ট করুন।

এখন, যদি আপনি প্রত্যেকটি ভিডিও আপলোড করার সময় এই অপশনটি প্রত্যেক বার রিভিউ করে সিলেক্ট করতে চান, তাহলে “I want to review this setting for every video” সিলেক্ট করুন।

Advanced settings-এর ট্যাবে থাকা অন্যান্য settings / options গুলো এতটা গুরুত্বপূর্ণ না, তাই সেগুলো যেভাবে আছে সেইভাবেই থাকতে দিন।

২. YouTube channel verification

YouTube channel তৈরি করার পর সবচেয়ে আগেই যেই কাজটি আপনার করা দরকার সেটা হলো, “channel verification“.

একটি সাধারণ চ্যানেল ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়াতে আপনাকে কেবল mobile verification প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে হবে।

আপনাকে একটি verification code পাঠানো হবে, আপনাকে সেই কোডটি দেখে, সরাসরি ইউটিউবের ভেরিফিকেশন পেজে জমা করতে হবে।

এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পর ইউটিউব এটা বুঝে যাবে যে আপনি একজন রিয়েল ইউসার তবে বোট না।

জেকেও যারা নিজের একটি চ্যানেল তৈরি করেছেন, শুরুতেই এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করে নিতে পারেন।

তবে, একবার channel verification সঠিক ভাবে হয়ে যাওয়ার পর, কিছু অন্যান্য YouTube features গুলো আপনার জন্যে unlock করে দেওয়া হবে।

যেমন,

Upload videos longer than 15 minutes
Use custom thumbnails
Live streaming on desktop
এখন প্রশ্ন হলো, কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করবেন ?

কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করবেন ?

চ্যানেল ভেরিফাই করার প্রক্রিয়া অনেক সোজা।

আপনাকে সরাসরি নিজের কম্পিউটার থেকে “www.youtube.com/verify” লিংকে চলে যেতে হবে।

এখন আপনাকে গুগলের লগইন পেজ দেখানো হবে।

আপনার ইউটিউব চ্যানেল যেই গুগল একাউন্টে রয়েছে সেই একাউন্টের ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।

এখন আপনারা একটি পেজ দেখবেন যেখানে phone number verify করার দুটো steps দেখানো হবে।

১. কিভাবে আপনি মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করতে চান: Text নাকি call এর মাধ্যমে verification code পেতে চান, সিলেক্ট করুন।

২. আপনি কোন দেশে থাকেন: আপনি কোন দেশে থাকছেন, সেটা সিলেক্ট করুন।

৩. আপনার মোবাইল নাম্বার কি: আপনার মোবাইল নম্বর এখানে সঠিক ভাবে দিয়ে দিতে হবে।

৪. সব সঠিক ভাবে দিয়ে দেওয়ার পর, নিচে থাকা “Get Code” এর বাটনে ক্লিক করুন।

এখন দ্বিতীয় স্টেপে আপনার দিয়ে দেওয়া মোবাইল নাম্বারে 6 digit code চলে আসবে, এই code-টি সঠিক ভাবে দেখে জমা দিয়ে দিন।

Congratulations, your phone number has now been verified, লেখাটি আপনাকে দেখানো হবে।

মানে, আপনার ইউটিউব চ্যানেল সঠিক ভাবে ভেরিফাই হয়ে গিয়েছে।

৩. Channel customization

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইউটিউব চ্যানেল সেটিং হলো, “channel customization“.

Channel customization page-এর মধ্যে যাওয়ার জন্যে আপনাকে যেতে হবে, “YouTube studio >> customization“.

Channel customization-এর পেজে আপনারা ৩-টি আলাদা আলাদা ট্যাব পাবেন।

Layout
Branding
Basic info

Layout
Layout-এর ট্যাব এর দ্বারা আপনারা Featured video, Channel trailer ইত্যাদি সেট করতে পারবেন।

তবে, শুরুতে এই সেটিংস গুলো করার প্রয়োজন হবেনা বা এগুলো আমার হিসেবে এতটা জরুরি সেটিংস না।

তাই, Layout settings গুলো শুরুতে না করলেও চলবে।

Branding
Branding-এর ট্যাবে যেগুলো settings রয়েছে, সেগুলো একটি professional YouTube channel এর জন্যে অনেক জরুরি।

যদি আপনি এই settings গুলো না করে থাকেন, তাহলে আপনার চ্যানেলটি অনেক low quality-র দেখাবে।

এছাড়া, users-রা আপনার চ্যানেলে আসতেও পছন্দ করবেননা।

এখানে মূলত কি কি সেটিংস গুলো থাকছে ?

Picture: পিকচার এর অপসন এর সাহায্যে আপনারা নিজের চ্যানেলের জন্যে একটি profile picture set করতে পারবেন।

Banner image: এই অপশনের দ্বারা আপনি নিজের চ্যানেলের জন্যে একটি “Banner image” সেট করতে পারবেন।

Video watermark: যদি আপনি নিজের ভিডিও গুলোতে নিজের চ্যানেল বা ব্র্যান্ড এর লোগো ডিসপ্লে করতে চান, তাহলে এই অপসন ব্যবহার করে সেটা করতে পারবেন।

Basic info
Basic info-এর মধ্যে আপনারা নিজের চ্যানেল এর সাথে জড়িত কিছু বেসিক সেটিংস গুলো পাবেন।

যেমন, channel name, unique handle, channel Description, Channel URL, Contact info ইত্যাদি।

এছাড়া, যদি আপনি নিজের চ্যানেলের হোম পেজের banner-এ links দেখাতে চাইছেন, তাহলে সেটার অপসনও এখানেই রয়েছে।

প্রত্যেকটি অপসন ভালো করে দেখে নিয়ে ভালো করে ফিলাপ করলেই হবে।

৪. View advanced settings
এই অপশনে যাওয়ার জন্যে আপনাকে যেতে হবে, “Your Channel >> Settings >> View Advanced Settings“.

এখানে আপনারা বিশেষ কোনো settings পাবেননা, তবে নিজের channel-এর সাথে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ options গুলো এখানে অবশই রয়েছে।

User ID: আপনার চ্যানেলের User ID এখানে পাবেন।

Channel ID: চ্যানেলের Channel ID এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন।

Move channel
এই Move channel-এর সেটিং অবশই করে নিবেন যদি আপনি একটি brand হিসেবে ইউটিউবে কাজ করতে চান।

আপনাকে সরাসরি “Move channel to a brand account” লিংকে click করতে হবে।

এবার পরের পেজে আপনাকে আপনার Google account password দিতে বলা হবে।

সঠিক password দিয়ে দেওয়ার পর আপনার সাধারণ ইউটিউব চ্যানেলটি একটি brand account-এ পরিবর্তন হয়ে যাবে।

Delete channel
যদি কোনো কারনে আপনি আপনার ইউটিউবের চ্যানেল ডিলিট করতে চান, তাহলে এই অপসন ব্যবহার করতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেল ডিলিট করার জন্যে আপনাকে সরাসরি Delete channel-এর লিংকে ক্লিক করতে হবে।

লিংকে ক্লিক করার পর পরের পেজে আপনাকে নিজের জিমেইল একাউন্ট এর পাসওয়ার্ড দিতে বলা হবে।

সঠিক পাসওয়ার্ড দিয়ে দেওয়ার পর আপনার YouTube account delete হয়ে যাবে।

মনে রাখবেন, YouTube account ডিলিট করলে আপনার গুগল একাউন্ট ডিলিট হয়ে যাবেনা।

আপনি এই জিমেইল আইডি দিয়ে গুগলের অন্যান্য সেবা গুলো অবশই ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে, আপনি যদি নিজের গুগল একাউন্ট ডিলিট করতে চাইছেন, তাহলে সেটা একটি সম্পূর্ণ আলাদা প্রক্রিয়া।

উপসংহার
তাহলে বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি কিছু ইউটিউব চ্যানেল সেটিং গুলোর বিষয়ে জানলেন।

আশা করছি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাজে অবশই লাগবে।

এমনিতে, ইউটিউবের মধ্যে একটি চ্যানেল তৈরি করার পর ওপরে বলে দেওয়া বেসিক চ্যানেল সেটিংস গুলো করে নেওয়াটা অনেক জরুরি।

এতে, আপনার চ্যানেল এর ইউসার এবং সাবস্ক্রাইবাররা আপনার চ্যানেল এবং চ্যানেলের কনটেন্ট এর কোয়ালিটির মান কতটা ভালো সেটার আন্দাজ লাগিয়ে নিতে পারবেন।

YouTube channel settings নিয়ে যদি অন্য কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ আপনাদের মনে থাকে, তাহলে অবশই নিচে কমেন্ট করবেন।

0 responses on "গুরুত্বপূর্ণ ইউটিউব চ্যানেল সেটিং যেগুলো করা জরুরি"

Leave a Reply

top
Technical Bangla ©  All rights reserved.