বর্তমানের ফিচার ফোনগুলো এতোটাই উন্নত হয়ে গিয়েছে যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় ফোনগুলোতে। “ইন্টারনেট সংযোগ যুক্ত বাটন ফোন” এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ফোকাস প্রদান করেছে নকিয়া। স্যামসাং এর ও অল্প কয়েকটি বাটন ফোনে বেসিক ইন্টারনেট ফিচার চোখে পড়ে।
বাংলাদেশের বাজারে নতুন অনেক স্মার্টফোন ম্যানুফ্যাকচারার রয়েছে যারা ইন্টারনেট সংযোগ যুক্ত বাটন মোবাইল তৈরী করছে। তবে এই পোস্টে আমরা জানবো ইন্টারনেট সংযোগ যুক্ত সেরা বাটন ফোনসমূহ সম্পর্কে। আপনি যদি বাটন ফোনে ফেসবুক চালাতে চান বা নেট চালাতে চান তাহলে এই ফোনগুলো দেখতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক ইন্টারনেট যুক্ত সেরা বাটন ফোনসমূহের দাম ও স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে বিস্তারিত।
নকিয়া ২১৫ ৪জি – Nokia 215 4G
নকিয়ার স্বল্প মূল্যের বাটন ইন্টারনেট ফোন এটি। এই ফোনের দাম কম হলেও এতে ডুয়াল সিম ৪জি সুবিধা আছে। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় দ্রুততগতিতে। এছাড়া কলের ক্ষেত্রে ভোল্টিই সুবিধাও পাওয়া যাবে এই ফোনে।
২.৪ ইঞ্চির এই কালার ফোনে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বেশ কিছু অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সুবিধাও আছে ফোনে। এছাড়া ফোনে থাকা গেম খেলে স্কোর বন্ধুদের সাথে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শেয়ার করা যায়। ফোনটিতে অবশ্য কোন ক্যামেরা থাকছে না। ফোনের মাধ্যমে আপনি দীর্ঘসময় সহজেই ব্যাটারি ব্যাকাপ পাবেন। নকিয়ার মতে টানা ১৯ দিন টকটাইম সুবিধা দেবে এই ফোনটি। কেননা ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ১১৫০ মিলিএম্পের বড় ব্যাটারি। এই ফোনে র্যাম হিসেবে আছে ৫৪ এম্বি এবং এসডি কার্ডের মাধ্যমে ৩২ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ বাড়িয়ে নেয়া যাবে।
বাজারে এই ফোনটি বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫,৯৯০ টাকায়। দুটি রঙে পাওয়া যাবে এটি।
একনজরে নকিয়া ২১৫ ৪জি
- ডিসপ্লেঃ ২.৪ ইঞ্চি
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ৪ জি
- ব্যাটারিঃ ১১৫০ মিলিএম্প
- ক্যামেরাঃ নেই
- র্যামঃ ৩২ এমবি
- দামঃ ৫,৯৯০ টাকা
নকিয়া ২৬৬০ ফ্লিপ ৪জি – Nokia 2660 Flip 4G
নকিয়ার নতুন এই ফ্লিপ ফোন মডেলেও দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা। এই ফোনে আপনি ৪ জি সাপোর্ট সহ আরও বেশ কিছু ভালো ফিচার পাবেন। স্টাইলিশ এই ফোন ব্যবহার করে আরাম পাওয়া যায়। এর ডিজাইনও আপনার মন কেড়ে নেবে সহজেই।
ফোনের দুইটি সিমে একই সাথে ৪ জি নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। ভোল্টিই ব্যবহারের সুবিধাও আছে ফোনে। ইন্টারনেট ব্রাউজ বা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ রয়েছে ফোনের মধ্যেই। ফলে সহজেই ইন্টারনেটে জরুরি আপডেট দেখে নেয়া যায়। ফোনের সামনে আলাদা ছোট একটি স্ক্রিনের পাশে একটি ক্যামেরাও রয়েছে যা ০.৩ মেগাপিক্সেলে ছবি তুলতে পারে। ইউনিসকের একটি চিপ থাকায় ফোনে কোন ল্যাগ দেখতে পাবেন না। এছাড়া টর্চ, রেডিও, এম্পিথ্রি প্লেয়ারের মতো বাড়তি কিছু ফিচারেরও দেখা পাবেন এই ফোনে। ব্যাটারি রয়েছে ১৪৫০ মিলিএম্পের।
ফোনটির বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ৬,৯৯০ টাকায়। অনেকগুলো কালারে এই ফোন পাওয়া যায়।
একনজরে নকিয়া ২৬৬০ ফ্লিপ ৪জি
- ডিসপ্লেঃ ২.৮ ইঞ্চি
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ৪ জি
- ব্যাটারিঃ ১৪৫০ মিলিএম্প
- ক্যামেরাঃ ০.৩ মেগাপিক্সেল
- র্যামঃ ৪৮ এমবি
- দামঃ ৬,৯৯০ টাকা
নকিয়া ৫৭১০ ৪জি – Nokia 5710 4G
নকিয়ার এই ফোনটি মূলত মিউজিকের দিকে আলাদা দৃষ্টি রেখে বানানো হলেও এই ফোনে দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা। অন্যরকম দেখতে এই ফোনটি গান ভালবাসলে আপনার ভালো লেগে যাবে। সেই সাথে বাড়তি ফিচার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন ইন্টারনেটও।
দুটি সিমে সাপোর্ট করা এই ফোনে সহজেই ডুয়াল সিমে ৪ জি নেটওয়ার্ক পাবেন। ক্রিস্টাল ক্লিয়ার অডিও কল করার সুবিধা রয়েছে ভোল্টিই ব্যবহার করে। ০.৩ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা পাবেন ফোনের পিছনে। এখানে রয়েছে ইউনিসকের একটি চিপ। ফলে দ্রুত সব কাজ করতে পারে ফোনটি। ইন্টারনেট ব্যবহার ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা যাবে ফোনের মাধ্যমে। ১৪৫০ মিলিএম্প ব্যাটারি থাকায় ৭ ঘণ্টা পর্যন্ত পাওয়া যাবে টকটাইম।
ফোনটির বর্তমান মূল্য ৭,৪৯০ টাকা। দুটি রঙে বাজারে পাওয়া যায় এই ফোনটি।
একনজরে নকিয়া ৫৭১০ ৪জি
- ডিসপ্লেঃ ২.৪ ইঞ্চি
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ৪ জি
- ব্যাটারিঃ ১৪৫০ মিলিএম্প
- ক্যামেরাঃ ০.৩ মেগাপিক্সেল
- র্যামঃ ৪৮ এমবি
- দামঃ ৭,৪৯০ টাকা
নকিয়া ৫২১০ ৪জি – Nokia 8210 4G
নকিয়ার আরেকটি ক্ল্যাসিক ডিজাইনের ৪ জি ইন্টারনেট ফোন এটি। আগের দিনের নকিয়া ফোন থেকে ডিজাইন গ্রহণ করে এরপর এই নতুন ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। সেই সাথে আছে বড় ব্যাটারি ও লম্বা সময়ের টকটাইম সুবিধা।
ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য এই ফোনে দেয়া হয়েছে ৪ জি সাপোর্ট যা দুটি সিমেই পাবেন। আর একটি সিমে ভোল্টিই সুবিধাও পাওয়া যাবে। ব্রাউজার, ফেসবুকসহ বেশ কিছু ইন্টারনেট যুক্ত প্রয়োজনীয় অ্যাপ পাবেন ফোনের সাথেই। তবে থার্ড পার্টি কোন অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ নেই। ফোনের বড় ২.৮ ইঞ্চির ডিসপ্লে ফোনের ব্যবহার আরও সহজ করে দেয়। আছে ০.৩ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরাও। ১৪৫০ মিলিএম্প ব্যাটারি এই ফোনে ৭ ঘণ্টা টানা টকটাইম দিতে পারবে। ইউনিসকের চিপ ও ৪৮ মেগাবাইট র্যাম থাকায় ফোনটি দ্রুত সব কাজ করে ফেলতে পারে।
বর্তমানে এই ফোনের বাজারমূল্য ৬,৪৯০ টাকা। পাওয়া যায় ৩ টি রঙে।
একনজরে নকিয়া ৫৭১০ ৪জি
- ডিসপ্লেঃ ২.৮ ইঞ্চি
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ৪ জি
- ব্যাটারিঃ ১৪৫০ মিলিএম্প
- ক্যামেরাঃ ০.৩ মেগাপিক্সেল
- র্যামঃ ৪৮ এমবি
- দামঃ ৬,৪৯০ টাকা
স্যামসাং মেট্রো ৩৫০ – Samsung Metro 350
স্যামসাং মেট্রো ৩৫০ একটি বেশ সাধারণ বাটন ফোন। এই ফোনটিতে ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করা যাবে বিল্ট-ইন এইচটিএমএল ব্রাউজার ব্যবহার করে।
তবে এই ফোনটির নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা সর্বোচ্চ ২জি সাপোর্টেড। এফএম রেডিও, ভিডিও ও মিউজিক প্লেয়ার এর মত বাড়তি ফিচার রয়েছে ফোনটিতে। স্যামসাং মেট্রো ৩৫০ ফোনটিতে র্যাম রয়েছে ৩২এমবি। এক্সটারনাল মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা যাবে সর্বোচ্চ ১৬জিবি পর্যন্ত। মাত্র ৮৯গ্রাম ওজনের এই ফোনটির দাম ৩,৫৫০টাকা। ২মেগাপিক্সেল একটি ক্যামেরা রয়েছে ফোনটিতে। ১২০০মিলিএম্প এর ব্যাটারির সুবাদে সর্বোচ্চ ১২ঘন্টা পর্যন্ত টকটাইম পাওয়া যাবে ফোনটিতে।
একনজরে স্যামসাং মেট্রো ৩৫০
- ডিসপ্লেঃ ২.৪ইঞ্চি
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ২জি
- ব্যাটারিঃ ১২০০মিলিএম্প
- ক্যামেরাঃ ২মেগাপিক্সেল
- র্যামঃ ৩২এমবি
- দামঃ ৩,৫৫০টাকা
নকিয়া ৬৩০০ ৪জি – Nokia 6300 4G
বাটন ফোন হিসেবে বেশ জনপ্রিয় নকিয়া ৬৩০০ ফোনটি। তবে অনেকেই জানেন না যে এই ফোনটিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। ইন্টারনেট এর পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়েব ভিত্তিক অ্যাপ, যেমনঃ ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদিও ব্যবহার করা যাবে ফোনটিতে। ৫,২৯৯টাকার এই ফোনটি দেখতেও বেশ সুন্দর। সবার পরিচিত মোবাইল চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, কোয়ালকম এর প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে ফোনটিতে।
একনজরে নকিয়া ৬৩০০ ৪জি
- ডিসপ্লেঃ ২.৪ইঞ্চি
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ২জি, ৩জি, ৪জি
- চিপসেটঃ কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ২১০
- ব্যাটারিঃ ১৫০০মিলিএম্প
- ক্যামেরাঃ ভিজিএ (VGA)
- র্যামঃ ৫১২এমবি
- স্টোরেজঃ ৪জিবি
- দামঃ ৫,২৯৯টাকা
নকিয়া ২১০ – Nokia 210
নকিয়ার ক্ল্যাসিক ডিজাইনের এই ফোনটিতে একদম ব্যাসিক ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। ফোনটিতে শুধু ২জি বা জিপিআরএস সাপোর্ট করে। ফলে ধীরগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিছু ব্যাসিক কাজে ব্যবহার করতে পারবেন এই ফোন থেকে। ফোনের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য দুটি অ্যাপ দেয়া আছে। একটি হচ্ছে অপেরা মিনি ওয়েব ব্রাউজার যার মাধ্যমে সহজেই ছোটখাটো ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারবেন বা গুগলে সার্চ করতে পারবেন। এছাড়াও ফেসবুক অ্যাপ দেয়া আছে যার মাধ্যমে ফেসবুকও ব্যবহার করতে পারবেন। তবে আর কোন অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা নেই এই ফোনটিতে। এছাড়া ক্যামেরা, এফএম রেডিওর মতো সুবিধাগুলো সল্প মূল্যেই এই ফোন থেকে পেয়ে যেতে পারেন।
একনজরে নকিয়া ২১০
- ডিসপ্লেঃ ২.৪ ইঞ্চি
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ২জি
- ব্যাটারিঃ ১০২০ মিলিএম্প
- ক্যামেরাঃ ০.৩ মেগাপিক্সেল
- র্যামঃ ৮ এমবি
- স্টোরেজঃ ১৬ এমবি
- দামঃ ৩,০৯০ টাকা
নকিয়া ২২৫ ৪জি – Nokia 225 4G
নকিয়ার প্রিমিয়াম কোয়ালিটির এই বাটন ফোন দেখতে সুন্দর এবং এতে ডুয়াল সিমে ৪জি সাপোর্ট করে যার ফলে এই ফোনে খুব ভালো কল কোয়ালিটি পাওয়া যায় এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এই ফোন থেকে কিছু কাজ করে নিতে পারবেন সহজেই। ইউনিসকের চিপ থাকায় ফোনটি বেশ দ্রুত কাজ করতে পারে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফোনে থাকা অপেরা মিনি বা ফেসবুক অ্যাপ চালাতে পারবেন। তবে ফোনে থার্ড পার্টি অ্যাপ ইন্সটল করতে পারবেন না। ব্যাসিক ইন্টারনেট ব্যবহারে ফোনটি কাজে লাগতে পারে। এছাড়া এফএম রেডিও, ব্লুটুথ, এম্পি৩ প্লেয়ার, ক্যামেরা ফিচারও রয়েছে ফোনের সাথে।
একনজরে নকিয়া ২২৫ ৪জি
- ডিসপ্লেঃ ২.৪ ইঞ্চি
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ৪জি
- ব্যাটারিঃ ১১৫০ মিলিএম্প
- ক্যামেরাঃ ০.৩ মেগাপিক্সেল
- র্যামঃ ৬৪ এমবি
- স্টোরেজঃ ১২৮ এমবি
- দামঃ ৪,১৯৯ টাকা
জিওফোন টি১৯আই – GeoPhone T19i
এই ফোনটিতে কাইওএস ব্যবহার করায় ফোন থেকে স্মার্টফোনের মতো বেশ কিছু সুযোগসুবিধা পেয়ে যাবেন। ফোনে দুটি সিম ব্যবহারের সুবিধা আছে এবং দুই সিমেই আপনি ৪জি ব্যবহার করতে পারবেন। ফোনটি ভিওএলটিই সেবাও দিতে পারবে। শুধু তাই নয় ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ফোনে ওয়াইফাইয়ের সুবিধাও আছে। এমনকি আপনি চাইলে হটস্পটের মাধ্যমে ইন্টারনেট শেয়ারও করতে পারবেন। ফোনে ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, গুগল ম্যাপ সহ বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে। চাইলে কাই স্টোর থেকে ইচ্ছামতো অ্যাপ ইন্সটল করেও নিতে পারবেন। ইন্টারনেট ব্যবহার করে ভিডিও স্ট্রিমিং, ব্রাউজিং, মেসেজিং সবকিছুই বেশ আরামে করতে পারবেন এই ফোনে। সেই সাথে আছে ৩০০০ মিলিএম্পের বড় ব্যাটারি, জিপিএস, কল রেকর্ডার, ব্লুটুথসহ অসংখ্য ফিচার। কম মূল্যে এই ফোন থেকে আপনি সেরা সব সুবিধা পেয়ে যাবেন।
একনজরে জিওফোন টি১৯আই
- ডিসপ্লেঃ ২.৮ ইঞ্চি
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ৪জি
- ব্যাটারিঃ ৩০০০ মিলিএম্প
- ক্যামেরাঃ ২ মেগাপিক্সেল (উভয় দিকে)
- র্যামঃ ৫১২ এমবি
- স্টোরেজঃ ৪ জিবি
- দামঃ ৩,১০০ টাকা
জিওফোন টি১৯ – GeoPhone T19
জিওফোন টি১৯আই ফোনটির কম ব্যাটারিযুক্ত ও পাতলা ভার্সন এটি। একই সুযোগ সুবিধা থাকছে এই ফোনেও। ভিওএলটিই সেবা সহ ৪জি সুবিধা ছাড়াও কাইওএস থাকায় বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা আছে। এসব অ্যাপ থেকে ইন্টারনেটের অনেক সুবিধাই আপনি সহজে পাবেন। এমনকি ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাও থাকছে এখানে। এই ফোনেও মিডিয়াটেকের চিপ থাকায় পারফর্মেন্স বেশ ভালো। সেই সাথে হটস্পট, ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল ম্যাপ, মাইক্রো এসডি ইত্যাদি সকল সুবিধা রয়েছে। ব্যাটারির ক্ষেত্রে ফোনে ২০০০ মিলিএম্প ব্যাটারি থাকায় কিছুটা কম ব্যাকাপ পাবেন জিওফোন টি১৯আই হতে।
একনজরে জিওফোন টি১৯
- ডিসপ্লেঃ ২.৮ ইঞ্চি
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ৪জি
- ব্যাটারিঃ ২০০০ মিলিএম্প
- ক্যামেরাঃ ২ মেগাপিক্সেল (উভয় দিকে)
- র্যামঃ ৫১২ এমবি
- স্টোরেজঃ ৪ জিবি
- দামঃ ২,৯০০ টাকা
জিওফোন টি১৫ – GeoPhone T15
জিওফোন টি১৫ ফোনটি জিওর আগের দুটি মডেল থেকে কিছুটা ছোট এবং এর ব্যাটারিও কিছুটা কম। তবে ফিচারের কমতি নেই এই ফোনেও। ভিওএলটিই সহ ৪জি ডুয়াল সিম কানেকশন পাবেন এই ফোনেও। আছে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাও। কাইওএস এই ফোনটিতেও থাকায় সকল সুবিধাগুলো পাবেন একইরকম। থার্ড পার্টি অ্যাপ ইন্সটল করে নিতে পারেন নিজের সুবিধামত, তাছাড়া ফোনের মধ্যেই পাবেন ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল ম্যাপ, হোয়াটসঅ্যাপের মতো বহুল জনপ্রিয় অ্যাপগুলো। বাটন ফোন থেকে ইন্টারনেটের সকল সুবিধা পেয়ে যাবেন এই ফোনেই। এছাড়া ১৭০০ মিলিএম্প ব্যাটারি আছে যা সারাদিন ব্যাকাপ দিতে পারবে আপনাকে। ব্লুটুথ, জিপিএস ও হটস্পটের মতো সুবিধাও ফোনের সাথেই পেয়ে যাবেন।
একনজরে জিওফোন টি১৫
- ডিসপ্লেঃ ২.৪ ইঞ্চি
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ৪জি
- ব্যাটারিঃ ১৭০০ মিলিএম্প
- ক্যামেরাঃ ২ মেগাপিক্সেল (উভয় দিকে)
- র্যামঃ ৫১২ এমবি
- স্টোরেজঃ ৪ জিবি
- দামঃ ২,৮০০ টাকা
এনার্জাইজার এনার্জি ই২৪১এস – Energizer Energy E241s
এনার্জাইজার তেমন জনপ্রিয় কোন ফোন কোম্পানি না হলেও তাদের এই বাটন ফোনটি বেশ জনপ্রিয়। কাইওএস ও ৪জি থাকায় এই বাটন ফোনটি খুব কম মূল্যেই ইন্টারনেটের বিভিন্ন সেবা দিতে পারে। ডুয়াল সিম সুবিধা রয়েছে এই ফোনে। এছাড়া ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমেও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। চাইলে হটস্পট ব্যবহার করে ইন্টারনেট শেয়ার করতেও পারবেন সহজেই। ইউটিউব, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো জনপ্রিয় অ্যাপ থাকছে ফোনের সাথেই, কাইওএস হতে থার্ড পার্টি অ্যাপ ইন্সটলও করা যাবে। ইন্টারনেটের বিভিন্ন সুবিধা যেমন আবহাওয়ার তথ্য জানা, ব্রাউজ করা, ম্যাপ দেখা ইত্যাদি সহজে করে ফেলতে পারবেন। এছাড়া জিপিএস, ব্লুটুথ, ক্যামেরা, রেডিও বিভিন্ন ফিচার আছে এখানে। ১৯০০ মিলিএম্প ব্যাটারি ফোনটিকে সারাদিন ব্যাকাপ দিতে পারে।
একনজরে এনার্জাইজার এনার্জি ই২৪১এস
- ডিসপ্লেঃ ২.৪ ইঞ্চি
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ৪জি
- ব্যাটারিঃ ১৯০০ মিলিএম্প
- ক্যামেরাঃ ০.৩ মেগাপিক্সেল (উভয় দিকে)
- র্যামঃ ৫১২ এমবি
- স্টোরেজঃ ৪ জিবি
- দামঃ ৩,০৫০ টাকা
নকিয়া ৮০০০ ৪জি – Nokia 8000 4G
নকিয়া ৮০০০ ৪জি ফোনটি বাটন ফোন হওয়া স্বত্বেও এর দাম দেখে অনেকের চোখ কপালে উঠতে পারে। প্রশ্ন করা যেতে পারে ৮হাজার টাকা দিয়ে বাটন ফোন কেনো কিনবেন, যেখানে এই দামে অ্যান্ড্রয়েড ফোন পাওয়া যায়? উত্তরটা খুব সহজ। এই দামে পাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনসমূহ থেকে নকিয়া ৮০০০ ৫জি ফোনটি ব্যবহারে অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন যেকোনো ব্যবহারকারী।
বাটন ফোন হওয়া স্বত্বেও কোনো ধরণের ফিচারের কমতি নেই এই ফোনটিতে। ব্লুটুথ কানেকটিভিটি, ওয়াইফাই হটস্পট থেকে শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইউটিউব এর মত সার্ভিস ব্যবহার করা যাবে এই বাটন ফোনটিতে। স্মার্টফোন না হওয়া স্বত্বেও কাই ওএস (KaiOS) দ্বারা চালিত এই ফোনটি বেশ ফিচারে ভরপুর বলতে হবে।
একনজরে নকিয়া ৮০০০ ৪জি
- ডিসপ্লেঃ ২.৮ইঞ্চি
- প্রসেসরঃ কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ২১০
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ২জি, ৩জি, ৪জি
- ব্যাটারিঃ ১৫০০মিলিএম্প
- ক্যামেরাঃ ২মেগাপিক্সেল
- র্যামঃ ৫১২এমবি
- স্টোরেজঃ ৪জিবি
- দামঃ ৮,০০০টাকা
নকিয়া ২১৬ – Nokia 216
দেখতে বেশ সাধারণ হলেও নকিয়া ২১৬ ফোনটিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে ওয়াইফাই ও মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে। মাত্র ৩,২৫০টাকার এই ডুয়াল সিম এর ফোনটির ফিচার বিবেচনায় যে কারো পছন্দ হতে বাধ্য। ফোনটির উভয় দিকে আবার ০.৩মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাও রয়েছে। ইন্টারনাল স্টোরেজ মাত্র ১৬এমবি হলেও এসডি কার্ড ব্যবহার করে তা বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য যে ফোনটি শুধুমাত্র ২জি কানেকটিভিটি সাপোর্ট করে।
একনজরে নকিয়া ২১৬
- ডিসপ্লেঃ ২.৪ইঞ্চি
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ২জি
- ব্যাটারিঃ ১২০০মিলিএম্প
- ক্যামেরাঃ ০.৩মেগাপিক্সেল (উভয় দিকেই)
- র্যামঃ ১৬এমবি
- স্টোরেজঃ ১৬এমবি
- দামঃ ৩,২৫০টাকা
নকিয়া ৩৩১০ ৪জি – Nokia 3310 4G
আইকনিক নকিয়া ফোন, নকিয়া ৩৩১০ এর রিফ্রেশড ভার্সন হলো নকিয়া ৩৩১০ ৪জি। একই ডিজাইন বজায় রেখে নতুন সব ফিচার এড করে ফোনটির জনপ্রিয়তাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে নকিয়া। সেই শক্তিশালী বিল্ড কোয়ালিটিকে সাথে নিয়ে নতুন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ৪জি কানেকটিভিটি সুবিধা যুক্ত হয়েছে নকিয়া ৩৩১০ ফোনটি।
নস্টালজিয়ার সাথে সাথে ইন্টারনেট সংযোগ যুক্ত বাটন ফোনের খোঁজে যারা আছেন, তাদেরকে নিরাশ করবেনা নকিয়া ৩৩১০ ফোনটি। ৪,৯৯০টাকায় পাওয়া আবে নকিয়া ৩৩১০ ৪জি ফোনটি।
একনজরে নকিয়া ৩৩১০ ৪জি
- ডিসপ্লেঃ ২.৪ইঞ্চি
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ২জি, ৩জি, ৪জি
- ব্যাটারিঃ ১২০০মেগাপিক্সেল
- ক্যামেরাঃ ২মেগাপিক্সেল
- র্যামঃ ১৬এমবি
- দামঃ ৪,৯৯০টাকা
নকিয়া ২০৮ – Nokia 208
আরেক সাধাসিধে দেখতে কিন্তু অসাধারণ ফিচারের বাটন ফোন হলো নকিয়া ২০৮। ডুয়াল সিম এর এই ফোনটিতে রয়েছে ৩জি কানেকটিভিটি সুবিধা, যার মাধ্যমে ইন্টারনেট ও ব্যবহার সম্ভব। ৬,০০০টাকা দামের এই ফোনটিতে ১.৩মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। আবার ৬৪এমবি র্যাম এর পাশাপাশি ২৫৬এমবি ইন্টারনাল স্টোরেজ রয়েছে ফোনটিতে। ইন্টারনেট সংযোগ এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের মিডিয়া ফাইল প্লে করতে সক্ষম নকিয়া ২০৮।
একনজরে নকিয়া ২০৮
- ডিসপ্লেঃ ২.৪ইঞ্চি
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ২জি, ৩জি
- ব্যাটারিঃ ১০২০মিলিএম্প
- ক্যামেরাঃ ১.৩মেগাপিক্সেল
- র্যামঃ ৬৪এমবি
- স্টোরেজঃ ২৫৬এমবি
- দামঃ ৬০০০টাকা
নকিয়া ৮১১০ ৪জি – Nokia 8110 4G
অভিনব ডিজাইনের বাটন ফোন হলো নকিয়া ৮১১০ ৪জি ফোনটি। ফোনটির কার্ভড ডিজাইনের পাশাপাশি একটি মজার ফিচার হলো এর কিপ্যাড আলাদা একটি কভার দিয়ে ঢেকে রাখা যায়, যার ফলে বাটন ফোন হওয়া স্বত্বেও ফোনটিকে দেখতে বেশ আকর্ষণীয় লাগে। ৬,৪৯৯টাকার এই ফোনটিতে ৪জি সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে ৫১২এমবি র্যাম ও ৪জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ।
একনজরে নকিয়া ৮১১০ ৪জি
- ডিসপ্লেঃ ২.৪ইঞ্চি
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ২জি, ৩জি, ৪জি
- ব্যাটারিঃ ১৫০০মিলিএম্প
- ক্যামেরাঃ ২মেগাপিক্সেল
- র্যামঃ ৫১২এমবি
- স্টোরেজঃ ৪জিবি
- দামঃ ৬,৪৯৯টাকা
নকিয়া ২৩০ – Nokia 230
৫হাজার টাকা দামের ফোন, নকিয়া ২৩০ ফোনটির ডিজাইন বেশ অসাধারণ। ফোনটিতে রয়েছে ২জি কানেকটিভিটি সুবিধা। ফোনের উভয় পাশে রয়েছে ২মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা, যা এর দাম বিবেচনায় অনন্য বলা চলে। ১৬মেগাবাইট র্যামের এই ফোনটিতে এক্সটারনাল এসডি কার্ড ব্যবহার করে স্টোরেজ যুক্ত করার সুবিধা রয়েছে।
একনজরে নকিয়া ২৩০
- ডিসপ্লেঃ ২.৮ইঞ্চি
- নেটওয়ার্ক টাইপঃ ২জি
- ব্যাটারিঃ ১২০০মিলিএম্প
- ক্যামেরাঃ ২মেগাপিক্সেল (উভয় দিকেই)
- র্যামঃ ১৬এমবি
- দামঃ ৫০০০টাকা
উল্লেখ্য যে এই তালিকায় উল্লেখিত ফোনসমূহের দাম বিভিন্ন সোর্স থেকে সংগ্রহিত। ফোনসমূহের বাস্তব দাম উল্লেখিত দামের চেয়ে কম বা বেশিও হতে পারে।