ন্যানো সিম কার্ড থেকে ধীরে ধীরে ই-সিম এর জগতে প্রবেশ করছি আমরা। তবে এবার এলো আরেক চমকপ্রদ খবর, ই-সিমকে রিপ্লেস করতে যাচ্ছে নতুন ধরনের এক প্রযুক্তি। এই নতুন এডভান্সড প্রযুক্তি ফোনকে অনেও কমপ্যাক্ট বানাবে ও উন্নত পাওয়ার এফিসিয়েন্সি অফার করবে। কোয়ালকম ঘোষণা করেছে আইসিম (iSIM) নামের এই নতুন প্রযুক্তি তাদের ভবিষ্যৎ স্ন্যাপড্রাগন চিপগুলোতে দেখা যাবে।
গতবছর কোয়ালকম স্যামসাং গ্যালাক্সি জি ফ্লিপ ৩ এর একটি মডিফাইড ভার্সন ব্যবহার করে আইসিম এর ব্যবহার প্রদর্শন করে। এই বছর কোম্পানিটি তাদের স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ চিপসেটে এর আইসিম ভার্সন নিয়ে আসে যা ইতিমধ্যে GSMA সার্টিফিকেশন পেয়েছে। এছাড়া এই সিম ইসিম এর মত একই লেভেলের সিকিউরিটি পাবে যা আইসিম এর যেকোনো ধরনের নিরাপত্তা সম্পর্কিত প্রশ্নের অবসান ঘটাবে।
ন্যানো সিম এর চেয়ে প্রায় ১০০গুণ ছোট এই আইসিম ও অনেক বেশি পাওয়ার-এফিসিয়েন্ট। আইসিম এর সাইজ এক স্কয়ার মিলিমিটার এর চেয়েও কম ও এটি স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ প্রসেসরের মধ্যেই রয়েছে। এর সুবিধা হলো কোনো ধরনের সিম কার্ড স্লট ব্যবহারের প্রয়োজন মুছে দেয় এই নতুন ধরনের সিম।
আর ফোনে এই বাড়তি স্পেস প্রয়োজন হবেনা যা ব্যবহার করা যাবে ভালো স্পিকার বা ভাইব্রেশন মোটর প্রদান করতে। এছাড়া ফোনকে ধুলাবালি ও পানি থেকেও বাড়তি সুরক্ষা প্রদান করবে এই প্রযুক্তি।
এছাড়া কোয়ালকম জানিয়েছে যে ইসিম বা ন্যানো সিম কার্ড চেয়ে আইসিম অনেক বেশি পাওয়ার-এফিসিয়েন্ট। Qualcomm ও Thales স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ প্রসেসরের মডিফাইড ভার্সন ব্যবহার করে আইসিম এর ব্যবহার কেমন হতে পারে তা দেখিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০০মিলিয়ন ফোনে আইসিম থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে যার মধ্যে অধিকাংশ ফোন হবে স্যামসাং এর গ্যালাক্সি লাইনআপ এর।
আইসিম, ই-সিম ও ন্যানো সিম এর এই প্রতিযোগিতায় আইসিম এর জেতার সম্ভাবনা অনেক। কোয়ালকম যেহেতু সবচেয়ে বড় চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের একটি তাই তাদের এই সিদ্ধান্ত বেশ বিশাল পরিবর্তন আনতে পারে এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে।
0 responses on "আসছে নতুন আইসিম, স্যামসাং এবং স্ন্যাপড্রাগন ফোনে নতুন প্রযুক্তি"