আপনি যদি বাংলাটেক এর নিয়মিত পাঠক হয়ে থাকেন তাহলে কিছুদিন আগেই আমাদের অন্য একটি পোস্টে হয়ত সিমের সীমা সম্পর্কে জেনেছেন। একজন ব্যক্তি কতটি সিম চালু রাখতে পারবে সেই সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বিটিআরসি কর্তৃক। সেই নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদিত সংখ্যার বাইরে বেশি পরিমাণ সিম থাকলে অতিরিক্ত সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
একজন ব্যক্তির নামে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধিত থাকতে পারবে। এটা সাধারণত এনআইডি দ্বারাই রেজিস্টার করা হয়। তার মানে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের অধীনে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম কিনতে পারবেন। এর বেশি কিনলে আপনার বাড়তি সিম হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে এবং ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত নোটিশ প্রকাশ করেছে। সেসব নোটিশ থেকে জানা যায়, অতিরিক্ত সিম যাদের আছে তাদের বাড়তি সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে ১৫ই নভেম্বরের পর। এক্ষেত্রে দৈব চয়নের ভিত্তিতে সিম বন্ধ করা হবে। অর্থাৎ, কোন সিমটি বন্ধ হবে সেটা আপনি বন্ধ হওয়ার আগে জানতে পারবেন না।
অর্থাৎ আপনার যদি ১৬টি সিম থাকে তাহলে সেই ১৬টি সিমের মধ্য থেকে যেকোনো একটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হবে। এভাবে অটোম্যাটিক বন্ধ হলে আপনার দরকারি সিমও বন্ধ হতে পারে। তাই আপনার উচিত হবে আপনার বাড়তি সিম নিজেই বন্ধ করা/মালিকানা স্থানান্তর করা যাতে আপনার দরকারি সিম বন্ধ না হয়।
তার মানে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনার হাতে দুটি উপায় আছে। প্রথমত, আপনি আপনার বাড়তি সিম সংশ্লিষ্ট সিম কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে ‘ডিরেজিস্টার’ করতে পারেন। এতে সিমটি আপনার নামে আর নিবন্ধিত থাকবেনা। সিমটি বন্ধ হয়ে যাবে। সিম কোম্পানি হয়ত ভবিষ্যতে অন্য কারো কাছে সেই নম্বর বিক্রি করবে
দ্বিতীয় উপায় হচ্ছে, আপনি চাইলে আপনার বাড়তি সিমগুলোর মালিকানা অন্য কাউকে স্থানান্তর করে দিতে পারেন। হয়ত আপনার কাছের কোনো ব্যক্তিকে আপনার বাড়তি সিমের মালিকানা দিয়ে দিলে সেই সিম নম্বরটি আপনার নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। এতে করে আপনার নম্বরটি বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
বর্তমানে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৫ নভেম্বরের মধ্যে অতিরিক্ত সিমের ব্যাপারে গ্রাহকদের নিজ থেকেই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তা না হলে ১৫ নভেম্বরের পর অতিরিক্ত সিম বন্ধ হয়ে যাওয়া শুরু হবে। তাই আজই আপনার নামে কতগুলো সিম আছে তা জেনে নিয়ে দরকারি পদক্ষেপ নিন!
0 responses on "অতিরিক্ত সিম বন্ধ হবে ১৫ নভেম্বরের পর – জানুন করণীয়"