• No products in the cart.

ক্লাউড কম্পিউটিং কি ? এর ব্যবহার, সুবিধা ও উদাহরণ

ক্লাউড কম্পিউটিং কি (what is cloud computing in bangla) ? এই বিষয় নিয়ে অনেকেই আমাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করছেন।

তাছাড়া, ক্লাউড কম্পিউটিং এর জনপ্রিয়তা ও প্রচলন অধিক বেশি হয়ে যাওয়ার ফলে, প্রত্যেকেই এর বিষয়ে সূম্পূর্ণ তথ্য জেনেনিতে চাচ্ছেন।

Cloud computing কি ? কেন ব্যবহার করা হয় cloud computing service এবং এর সুবিধা ও কাজ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন অবশই রয়েছে।

তবে আজকের এই আর্টিকেলে আমি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করবো।

বর্তমান সময়ে, “computing technology” প্রচুর উন্নত হয়ে গেছে।

এই আধুনিক কম্পিউটিং টেকনোলজি গুলোর মধ্যেই, “ক্লাউড কম্পিউটিং টেকনোলজি“, জনসাধারণের ক্ষেত্রে অনেক লাভজনক হিসেবে প্রমানিত হয়েছে।

এবং, জনসাধারণের লাভের বিষয় হয়ে যাওয়ার ফলে, বর্তমানে এই ক্লাউড সার্ভিস এর সেবা, “কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হিসেবে পরিণত হয়েছে”.

এর কারণ, বর্তমানে প্রায় প্রত্যেক কোম্পানি গুলো, কিছু না কিছু ক্ষেত্রে এই উন্নতমানের কম্পিউটিং প্রযুক্তির ব্যবহার অবশই করছেন।

উদাহরণ স্বরূপে,

যখন আমরা Google এর service গুলো ব্যবহার করি, যেমন “Google Gmail”, “Google drive”, “Google photos”, “Google sheets” ইত্যাদি, তখন কিন্তু আমরা আমাদের প্রত্যেক data গুলো এই cloud service এই store করে থাকি।

এবং, যখন আমরা Twitter ব্যবহার করি, তখনো আমরা পরোক্ষভাবে এই cloud computing service এর ব্যবহার করছি।

কারণ, আমার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটটি একটি “remote cloud server” এর সাথে সংযুক্ত।

আমার এই ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ data ও file গুলো, একটি cloud based server এ রাখা হয়েছে।

cloud computing network” এর মাধ্যমে, data গুলোকে “server” এবং “client” এর মধ্যে অনেক তাড়াতাড়ি আদান-প্রদান করা যেতে পারে।

যার ফলে, ব্যবহারকারীরা অনেক দ্রুত ভাবে service গুলো ব্যবহার করতে পারেন।

এবং, এই কারণেই বর্তমানের এই cloud computing technology এবং এর service এর চাহিদা ও ব্যবহার প্রচুর।

তাহলে চলুন, নিচে আমরা সম্পূর্ণ স্পষ্ট ভাবে জেনেনেই “cloud computing কি” এবং “ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা” ও “ব্যবহার” গুলো কি কি.

ক্লাউড কম্পিউটিং কি ? (What Is Cloud Computing In Bangla)

Cloud computing হলো, এমন একটি আধুনিক প্রযুক্তি যেখানে যেকোনো file, data, database, programs ইত্যাদি গুলোকে জমা (store) করার ক্ষেত্রে, ইন্টারনেটে সক্রিয় কিছু remote server এর network গুলোকে ব্যবহার করা, যাতে data processing বা data store করার ক্ষেত্রে একটি personal computer, local server বা local hard drive ব্যবহার করার প্রয়োজন না হয়।

এই ক্ষেত্রে, আপনার data বা file গুলো একটি local server বা hard drive এ জমা হওয়ার বিপরীতে, internet এর remote server গুলোতে জমা হয়ে থাকে।

এবং, এর ফলে আপনি আপনার data ও file গুলো যেকোনো জায়গার থেকে ব্যবহার (access) করতে পারবেন।

কারণ, আপনার data ও file গুলো ইন্টারনেটের remote server network এ রয়েছে।

তবে, ক্লাউড কম্পিউটিং এর সংজ্ঞা (definition) বলতে আমরা এভাবে বলতে পারি,

Cloud computing মানে, বিভিন্ন data এবং programs গুলোকে নিজের computer hard drive বা physical hard drive এ রাখার বিপরীতে, ইন্টারনেটে জমা করে (store) রাখা এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেগুলো manage, process এবং access করা”।

Cloud” শব্দটিকে এখানে কেবল “internet” এর রূপক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

যখন আমরা, আমাদের data এবং অন্যান্য programs গুলোকে একটি local hard drive বা personal computer এ রেখে, process বা manage করি, তথন সেটাকে “local computing” বলা যেতে পারে।

একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি 

আমরা সবাই জানি, Google এর অনেক জনপ্রিয় cloud storage service রয়েছে, যেটার নাম হলো “Google Drive“.

Google drive হলো একটি cloud storage service, যেটার ব্যবহার করে আমরা গুগলের cloud server এ আমাদের files, data ও programs গুলো জমা করে রাখতে পারি।

এখন, Google drive ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজন হবে, একটি “computer / mobile“, “web browser” এবং “Internet” এর।

নিজের computer / mobile থেকে google drive এর ওয়েবসাইট বা এপ্লিকেশন ব্যবহার করে, আপনারা বিভিন্ন data (images, documents, videos etc.) গুলোকে Google drive এ আপলোড করতে পারবেন।

এতে, আপনার data গুলো computer এর physical hard disk এর পরিবর্তে ইন্টারনেটে সক্রিয় google এর remote server এ জমা হয়ে যাবে।

যার ফলে, আপনার data ও file গুলো এখন, “internet based cloud network” এ মাধ্যমে manage, process ও access করা সম্ভব।

এখন যদি আপনার কম্পিউটার বা কম্পিউটারে থাকা physical hard disk নষ্ট হয়ে যায়, তাহলেও কোনো ভয় নেই।

কারণ, আপনি আপনার file গুলোকে google drive এর  service ব্যবহার করে, ইন্টারনেটের রিমোট সার্ভারে রেখে দিয়েছেন।

যার ফলে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো computer বা mobile ব্যবহার করে, আবার নিজের ফাইল গুলোকে ডাউনলোড বা ব্যবহার করতে পারবেন।

এবং এভাবেই, একটি cloud service ব্যবহার করে, নিজের file, data, database, program ইত্যাদি গুলোকে, internet based remote server এ রাখা এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে process ও manage করার প্রক্রিয়াকেই বলা হয় cloud computing.

বর্তমান, ৮৫% online website গুলো এই cloud computing এর মাধ্যমেই ওয়েবসাইটের file ও data গুলো manage ও process করছেন।

কারণ, cloud storage এর মাধ্যমে তাদের ওয়েবসাইট গুলো অনেক দ্রুত ভাবে কাজ করে, এবং ওয়েবসাইটের data ও file গুলো অধিক সুরক্ষিত হয়ে থাকে।

তাহলে বন্ধুরা, “ক্লাউড কম্পিউটিং কি” বা “ক্লাউড কম্পিউটিং কাকে বলে“, বিষয়টি বুঝলেন তো।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর উদাহরণ কিছু

এমনিতে cloud computing এর উদাহরণ প্রচুর রয়েছে।

তবে, আপনার যাতে বুঝতে সুবিধে হয় তার জন্য কেবল কিছু স্পষ্ট উদাহরণ নিচে দিয়ে দিচ্ছি।

  • YouTube, হলো এক অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ cloud storage এর যেখানে কোটি কোটি ইউসার এর ভিডিও ফাইল গুলো host করেন।
  • Google Photos, একটি online photo hosting service যার মাধ্যমে জেকেও নিজের ডিজিটাল ছবি গুলো cloud এ save করে রাখতে পারবেন।
  • Google docs, Microsoft office ইত্যাদি cloud service গুলোর মাধ্যমে, নিজের word documents, presentations, spreadsheet ইত্যাদি তাদের data server গুলোতে host করে রাখতে পারবেন। তাছাড়া, documents গুলো cloud server থেকেই edit ও create করতে পারবেন।
  • Microsoft one drive এবং Google drive এর মতো cloud storage service রয়েছে, যেগুলো আমাদের files, data এবং documents গুলোকে তাদের cloud server এ host করতে দিচ্ছেন।
  • Facebook কেও এই ক্ষেত্রে ক্লাউড কম্পিউটিং এর উদাহরণ হিসেবে ধরা যেতে পারে। কারণ, কোটি কোটি লোকেদের upload করা images, videos এবং data গুলো ফেসবুক নিজের data center এ host করছে। এবং, আমরা আমাদের files গুলো ইন্টারনের মাধ্যমে যেকোনো সময় manage, process এবং access করতে পারি।

এগুলো ছাড়া আরো অনেক রকমের ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস রয়েছে যেমন, “Amazon cloudFront“, “Google cloud“, “Alibaba cloud“, “Digitalocean” ইত্যাদি, যেগুলো ব্যবহার করে নিজের online application গুলো cloud server এ host করা যেতে পারে।

Online application বলতে, website এবং live video streaming apps ইত্যাদি গুলোকে ধরা যেতে পারে।

Cloud computing এর সুবিধা ও লাভ কি কি ?

বর্তমান সময়ে cloud hosting services প্রচুর লাভ ও সুবিধে হওয়া দেখা যাচ্ছে।

এদের মধ্যে কিছু নিচে আমি বলে দিচ্ছি,

  1. অনেক কম খরচে আপনি cloud services ব্যবহার করতে পারবেন।
  2. ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো জায়গার থেকে data, apps বা files গুলো access ও manage করতে পারবেন।
  3. নিজের অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে দামি দামি hardware, utilities বা data center তৈরি করতে হবেনা।
  4. Cloud storage ও computing এর সব থেকে সেরা লাভ হলো “নিরাপত্তা” (security). আপনার data ও file গুলো সুরক্ষিত থাকবে।
  5. নিজের প্রয়োজন হিসেবে storage এবং virtual requirements গুলো বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারবেন।
  6. এই আধুনিক কম্পিউটিং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে, আপনি যতটুকু resources ব্যবহার করবেন, কেবল ওই ব্যবহারের ওপরেই টাকা দিতে হবে।
  7. একটি cloud platform থেকে অনেক সহজেই অন্য cloud platform এ migrate করা সম্ভব।
  8. Storage এর ক্ষেত্রে cloud hosting এর প্রচুর লাভ। কারণ, নিজের file ও data গুলো cloud এর store করে রাখলে, সেগুলো ইন্টারনেটে জমা হয়ে থাকবে। যার ফলে, যেকোনো device এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে, নিজের file গুলো access বা manage করতে পারবেন।

তাহলে এগুলো ছিল, ক্লাউড কম্পিউটিং এর কিছু মূল সুবিধে ও লাভ।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর ব্যবহার

বিভিন্ন আলাদা আলাদা ক্ষেত্রে এই আধুনিক কম্পিউটিং প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে।

  1. File storage এর ক্ষেত্রে এর প্রচুর পরিমানে ব্যবহার করা হয়।
  2. বিভিন্ন ধরণের online application গুলোর backup নেওয়ার ক্ষেত্রে cloud storage এর ব্যবহার করা হয়।
  3. Website এবং web application তৈরি করা ক্ষেত্রে অধিক পরিমানে cloud hosting services ব্যবহার করা হয়। (Google cloud, Digitalocean)
  4. নিজের personal files এবং data গুলো cloud storage এ store করার ক্ষেত্রে। (Google drive, Microsoft One drive).
  5. Application test এবং development এর ক্ষেত্রে।

এই ৫ টি ছিল ক্লাউড কম্পিউটিং এর সেরা ব্যবহার।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর কাজ কি

আমি আগেও বলেছি, যখন আমরা physical hard drive বা personal computer এর বিপরীতে ইন্টারনেটে থাকা remote server গুলোতে আমাদের file, application, data গুলোকে process বা manage করি, তথন সেই প্রক্রিয়াটিকেই বলা হয় cloud computing.

Cloud storage ব্যবহার করে আমরা করা বিভিন্ন কাজ গুলোকেই বলা হয় cloud computing.

আর তাই, ক্লাউড কম্পিউটিং এর কাজ বলতে “রিমোট ক্লাউড স্টোরেজ” ব্যবহার করে আমরা করা বিভিন্ন কাজ গুলোকেই বলা যেতে পারে।

যেমন, file storage, file backup, web application hosting ইত্যাদি।

আবার, ইন্টারনেটে থাকা remote server গুলোতে বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে আমাদের জায়গা (storage) প্রদান করাটাও পরোক্ষভাবে (indirectly) হতে পারে ক্লাউড কম্পিউটিং এর কাজ।

Types of cloud computing services

ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস এর প্রকার বলতে ৩ টি।

  • IaaS (Infrastructure-as-a-Service)
  • PaaS (Platform-as-a-Service)
  • SaaS (Software-as-a-Service)

১. IaaS (Infrastructure-as-a-Service)

এই service টিকে self service model হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

এবং, cloud computing এর সব থেকে basic service হিসেবে IaaS ব্যবহার করা হয়।

এখানে আপনাকে কেবল, infrastructure (জায়গা) টি দিয়ে দেওয়া হয় এবং সম্পূর্ণ জায়গা কিভাবে ব্যবহার করবেন সেটা নিজেরে প্রয়োজন অনুসরি নিজেকেই সেটআপ করতে হবে।

যেমন, application install, application management, application data সম্পূর্ণটা আপনার করতে হবে।

তবে, “data storage, server, virtualization এবং networking”, কেবল এগুলোই cloud computing provider আপনাকে দিবে।

Web application development এবং online based application তৈরি করার ক্ষেত্রে এই service ব্যবহার করা হয়।

 ২. PaaS (Platform-as-a-Service)

এই ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস software developers দের ক্ষেত্রে একটি সেরা platform.

কারণ এই সার্ভিস ব্যবহার করে developers রা বিভিন্ন applications গুলোকে সহজেই develop, চালানো এবং ম্যানেজ করতে পারেন।

এই ক্ষেত্রে, application development এর জন্য জরুরি hardware এবং software tools গুলো, একটি third party provider দ্বারা প্রদান করা হয়।

যেমন, infrastructure, operating system, database management এবং development tools গুলো দিয়ে দেওয়া হয়।

একজন developer এর জন্য, web application তৈরি করার প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ হয়ে দাঁড়ায় এই cloud computing service এর মাধ্যমে।

৩. SaaS (Software-as-a-Service)

এটা হলো এমন এক cloud based method যেটার ব্যবহার করা হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইউসারকে software service প্রদান করার উদ্দেশ্যে।

এই ক্ষেত্রে, একজন SaaS ইউসারের একটি সফটওয়্যার বা এপ্লিকেশন কম্পিউটারে ইনস্টল করে ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়না।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি computer device ব্যবহার করে, SaaS application এ login করে সেটা ব্যবহার করতে পারবেন।

এমনিতে, মুখ্য application টি একটি cloud server এ host করা থাকবে।

একটি SaaS application যেকোনো web browser ব্যবহার করে ব্যবহার করা যেতে পারে।

যেমন, অনলাইনে ব্যবহার করা বিভিন্ন email applications যেমন, “Gmail” এবং “Yahoo mail” এই ধরণের SaaS application এর গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।

সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি “cloud applications” গুলোকে SaaS এ ধরা হয়।

আজকে আমরা কি শিখলাম ?

আজকে আমরা শিখলাম “ক্লাউড কম্পিউটিং কাকে বলে” (about cloud computing in bangla), এর সুবিধে, কিছু উদাহরণ এবং কাজ গুলো।

আমার এটাই চেষ্টা থাকে যাতে আমি আপনাদের সম্পূর্ণ সঠিক এবং মূল্যবান তথ্য প্রদান করতে পারি।

আর তাই, “ক্লাউড কম্পিউটিং কি” বিষয়টি নিয়ে যদি আপনার মনে কোনো ধরণের প্রশ্ন বা সমস্যা থাকে, তাহলে আমাকে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে অবশই জিগেশ করবেন।

শেষে, আমি আপনাদের এটাই অনুরোধ করবো যে, যদি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে share অবশই করবেন।

কারণ, হতে পারে ক্লাউড কম্পিউটিং এর বিষয়ে লিখা এই আর্টিকেলটি অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

তাই, Facebook এবং Twitter তাছাড়া Whatsapp platform এ আমাদের এই আর্টিকেল অবশই শেয়ার করবেন।

 

0 responses on "ক্লাউড কম্পিউটিং কি ? এর ব্যবহার, সুবিধা ও উদাহরণ"

Leave a Message

Your email address will not be published. Required fields are marked *

top
Technical Bangla ©  All rights reserved.