যেকোনো ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড কতটা দ্রুত বা ফাস্ট এই বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
কারণ, বর্তমান সময়ে ওয়েব পেজ এর ফাস্ট লোডিং হওয়াটাও জরুরি “Google ranking factors” গুলোর ভেতরে ধরা হয়।
একটি ফাস্ট লোডিং ওয়েবসাইট, Google search ranking page (SERP) এ অধিক ভালো করে rank করে এবং ভালো user experience প্রদান করে।
মনে রাখবেন, বর্তমান সময়ে যদি আপনি high quality content কিখছেন তবে আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড অনেক স্লো, তাহলে গুগল থেকে ট্রাফিক পাওয়ার আশা ছেড়েদিন।
ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেজ স্লো লোডিং হলে, আপনি যতই ভালো কনটেন্ট লিখুন, “Google” এবং “User” সেটা কখনোই পছন্দ করবেনা।
আর তাই, যদি আপনি একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড দ্রুত করে নিতে চাচ্ছেন, তাহলে এর উপায় অবশই রয়েছে।
তবে, ওয়েব পেজের লোডিং স্পিড বাড়িয়ে নিতে হলে আপনার একাধিক প্রক্রিয়া গুলোকে সম্পন্ন করতে হবে।
চিন্তা করবেননা, আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া গুলো বলে দিবো।
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার পর, আপনারা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের স্পিড ফাস্ট করার সঠিক উপায় গুলো জেনে যাবেন।
Website এর loading speed কেন গুরুত্বপূর্ণ
একটি ওয়েবসাইটের loading speed তার সফলতার বা অসফলতা, দুটোরি কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আপনার ওয়েব পেজ কতটা তাড়াতাড়ি বা স্লো ভাবে লোড হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের পরিচয়ের ওপরে প্রভাব ফেলতে পারে।
ওয়েবসাইটের bounce rate, view, জনপ্রিয়তা, conversion এবং পরিচয় তৈরি, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তার লোডিং স্পিড দ্রুত হওয়াটা জরুরি।
কিন্তু, এগুলোর থেকেও সবচে জরুরি বিষয়টি হলো “page speed” হলো গুগলের একটি জরুরি “ranking factor“.
মানে, গুগল নিজের সার্চ রেজাল্ট পেজে (SERP) একটি ওয়েবসাইট rank করার সময় ওয়েবসাইটের মধ্যে কিছু বিশেষ গুনের যাচাই করে, তারপর website গুলোকে র্যাংক করে।
এবং এই বিশেষ গুন গুলোকেই বলা হয় “Google ranking factors” যেগুলোর মধ্যে “page speed” এর ভূমিকা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
তাই, যদি আপনি গুগল সার্চ থেকে নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে, প্রচুর ট্রাফিক পেয়ে যেতে চাচ্ছেন তাহলে “website এর page speed” নিয়ে প্রথমেই ভাবতে হবে।
যদি আপনার ওয়েবসাইট অধিক ফাস্ট লোড হয়, তাহলে গুগল সার্চে আপনার ওয়েবসাইটের ranking ভালো রাখা হবে।
কারণ, গুগল সব সময় fast loading website পছন্দ করে।
এবং, গুগল সার্চে র্যাংকিং ভালো থাকার ফল স্বরূপে আপনি পাবেন প্রচুর organic traffic ও visitors.
এর বিপরীতে, যদি ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড স্লো হয়ে থাকে, তাহলে গুগল সার্চে (SERP) আপনার ওয়েবসাইটের ranking প্রচুর খারাপ হয়ে থাকবে।
যার ফল স্বরূপে, গুগল থেকে অর্গানিক ট্রাফিক বা ভিসিটর্স ৭০% কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়া, যখন আপনার ওয়েব পেজ গুলো অধিক স্লো ভাবে লোড হবে, তখন ওয়েবসাইটের user রা বিরক্তি পেয়ে সাইট থেকে সাথে সাথে চলে যাবেন।
এতে, website এর ক্ষেত্রে একটি খারাপ user-experience এর সৃষ্টি হয় এবং যেটা ওয়েবসাইটের branding এবং reputation এর ক্ষেত্রে প্রচুর ক্ষতিকারক।
আর এজন্যেই বর্তমান সময়ে, “কিভাবে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বাড়াতে হয়” এই বিষয়ে প্রত্যেকেই জেনেনিতে চাচ্ছেন।
WordPress ওয়েবসাইট স্লো হওয়ার কারণ কি ?
ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে নির্ভর করে।
আমরা যখন, কিছু জনপ্রিয় online tool ব্যবহার করে website এর speed চেক করি, তখন বিভিন্ন technical কারণ গুলোর বিষয়ে বলা হয় যেগুলো আমাদের সাইট স্লো করে তোলে।
তবে, সেই technical কারণ গুলোর মধ্যে বেশিরভাগ অনেক সহজেই সঠিক করে নেওয়াটা সম্ভব।
তবে যদি, আপনি WordPress ব্যবহার করে নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন কেবল তখন website speed এর সাথে জড়িত technical সমস্যা গুলোর সমাধান সহজেই করা যেতে পারে।
এই বিষয়ে নিচে আমি আপনাদের সম্পূর্ণটা বলবো।
নিচে আমি এমন কিছু কারণ এর বিষয়ে বলে দিচ্ছি, যেগুলো একটি ওয়েবসাইট কে স্লো করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- Web hosting – একটি খারাপ hosting company থেকে হোস্টিং ব্যবহার করার ফলে, আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড প্রচুর স্লো হয়ে থাকতে পারে।
- Caching – একটি ওয়েবসাইটের দ্রুত লোডিং এর ক্ষেত্রে caching এর ভূমিকা প্রচুর। ওয়েবসাইটে সঠিক ভাবে caching এর প্রক্রিয়ার ব্যবহার না করলে সাইট প্রচুর স্লো থাকবে।
- Page size – যদি আপনার ওয়েবসাইটের পেজ গুলোর সাইজ অনেক বেশি, তাহলে slow website loading এর এ প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
- External scripts – একটি ওয়েবসাইটের background এ বিভিন্ন ধরণের JavaScript ও external scripts লোড হয়। এই ধরণের scripts গুলো “google fonts”, “ads” বা “analytics” ইত্যাদির কারণে ওয়েবসাইটে লোড হয়। এবং, এই external scripts গুলো যেকোনো ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড প্রচুর স্লো করে তুলতে পারে।
তাহলে এখন আপনারা বুঝেই গেছেন যে, কেন একটি ওয়েবসাইট এর লোডিং স্পিড স্লো হয়ে যেতে পারে।
Website loading speed ফাস্ট করার আগেই এই দুই বিষয়ে জেনে রাখুন
নিচে আপনারা অনেক সহজেই বুঝে যাবেন যে, কিভাবে একটি WordPress website এর loading speed বাড়াতে হয়।
তবে, প্রক্রিয়া গুলো জানার আগেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জেনে রাখাটা জরুরি।
১. নিজের ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড চেক করুন
দেখুন, যেকোনো ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের স্পিড অপ্টিমাইজেশন করার আগেই সেই ওয়েবসাইটের বর্তমান দ্রুততা চেক করে নেওয়াটা অনেক জরুরি।
কারণ, কেবল তারপর আপনি অনুমান করতে পারবেন যে আপনার ওয়েবসাইট স্লো যদি সেটা কতটা স্লো এবং কতটুকু optimisation করতে হবে।
এই ক্ষেত্রে, আপনারা কিছু জনপ্রিয় website speed test tools ব্যবহার করে নিজের ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড চেক করে নিতে পারবেন।
- Tools.pingdom.com
- Page speed insights
- GTmetrix
- KeyCDN website speed test
- Sucuri Load Time Tester
তাহলে বন্ধুরা, ওপরে বলা online tool গুলো ব্যবহার করে আপনারা নিজের ওয়েবসাইটের loading speed check করতে পারবেন।
২. নিজের ওয়েবসাইটের backup নিতে হবে
দেখুন, website speed optimisation হোক বা অন্য যেকোনো editing এর কাজ, আপনার সাইট এর backup থাকাটা অনেক জরুরি।
এতে, যদি optimisation বা editing এর ক্ষেত্রে কিছু উল্টো পাল্টে হয়ে যায় তাহলে নিজের নেওয়া backup টি restore করে ওয়েবসাইটটি আবার সুস্থ ও আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে পারবেন।
তাই, speed optimisation এর ক্ষেত্রে নিজের WordPress ওয়েবসাইট edit করার আগেই সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের backup অবশই নিয়ে নিবেন।
আর তাই, একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট এর ব্যাকআপ নেওয়ার ক্ষেত্রে, নিচে দেওয়া এই backup plugin গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
- Updraftplus
- BackupBuddy
- BackWPup
- Duplicator
- VaultPress
ওপরে বলা plugin গুলো ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ব্যাকআপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সেরা।
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড কিভাবে ফাস্ট করবেন ?
যদি আপনি নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগে ভালো ভালো এবং quality content পাবলিশ করছেন কিন্তু আপনার সাইট এর লোডিং স্পিড স্লো, তাহলে গুগল সার্চে আপনার ওয়েবসাইটের ranking ভালো কখনোই থাকবেনা।
আর তাই, নিচে আমি আপনাদের এমন কিছু website speed optimisation tips কিছু দিবো, যেগুলোর মাধ্যমে যেকোনো ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের লোডিং এর দ্রুততা (speed) বাড়ানো যাবে।
১. Focus on web hosting
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা টাকা বাঁচানোর উদ্দেশ্যে কিছু local ও low quality web hosting ব্যবহার করেন।
তবে, এই ধরণের low quality web hosting এর দাম কম হলেও, আপনার ওয়েবসাইটের স্লো লোডিং স্পিড হওয়ার মূল কারণ এটাই।
একটি খারাপ hosting server যেকোনো ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড প্রায় ৭০% কমিয়ে দিতে পারে।
এবং এর প্রমান আমি নিজেই পেয়েছি।
আমাদের ব্লগ “banglatech.info” তে প্রথমে আমরা ব্যবহার করতাম একটি local web hosting service.
সেই সময়, আমার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড অনেক স্লো ছিল এবং প্রায় ৩ সেকেন্ড থেকেও অধিক সময় লাগতো ওয়েবসাইট লোড হতে।
কিন্তু প্রায় ১ বছর আগেই, ইন্টারনেটে বিভিন্ন review পড়ার পর “digitalocean” থেকে হোস্টিং কেনার সিদ্ধান্ত নিলাম।
আর, আপনারা চাইলে যেকোনো online speed checker tool ব্যবহার করে দেখে নিতে পারেন, বর্তমানে আমাদের ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড প্রায় ১.৫ সেকেন্ড থেকেও কম।
আর তাই, আমি সব সময় বলবো যে, যদি আপনারা নিজের ওয়েবসাইটের স্পিড দ্রুত করে নিতে চাচ্ছেন, তাহলে সবচে প্রথমেই একটি ভালো web hosting company থেকে হোস্টিং কিনুন।
আমি আপনাদের সব সময় পরামর্শ দিবো যে কেবল কিছু সেরা এবং বেস্ট হোস্টিং কোম্পানি থেকেই হোস্টিং ব্যবহার করুন।
যেমন,
- Digitalocean
- www.inmotionhosting.com
- www.cloudways.com
- www.a2hosting.com
- www.bluehost.com
এবং আরো কিছু ভালো এবং সেরা ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি রয়েছে, যেগুলোর থেকে হোস্টিং কেনার পরামর্শ আমি দিবো।
তাছাড়া, দ্রুত লোডিং স্পিড এর ক্ষেত্রে সব সময় cloud hosting service ব্যবহার করবেন।
Cloud hosting হলো বর্তমান সময়ের আধুনিক একটি web hosting এর প্রকার।
এবং যেকোনো ওয়েবসাইটের দ্রুততার ক্ষেত্রে এই ধরণের হোস্টিং সার্ভার এর গুরুত্ব প্রচুর।
আর তাই, ওয়েব হোস্টিং কেনার আগেই ধ্যান রাখতে হয় কিছু জরুরি বিষয় গুলো নিয়ে।
২. Select a fast loading WordPress theme
যখন একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের loading speed নিয়ে কথা হচ্ছে, তখন সেই ওয়েবসাইটের theme নিয়ে অজ্ঞানতা করা যাবেনা।
মনে রাখবেন, ওয়েবসাইটের থিম ভালো ও সঠিক ভাবে coding করা থাকতে হবে।
তাছাড়া, আপনার বেছে নেওয়া WordPress theme টি প্রচুর হালকা (light) থাকতে হবে।
আপনি যদি ভালো করে যাচাই না করে ওয়েবসাইটের থিম সিলেক্ট করেন, তাহলে হতে পারে আপনার ওয়েবসাইটের ভারী থিম ওয়েবসাইটটিকে স্লো করে তুলছে।
নিজের WordPress website loading speed ভালো করার ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের থিম এর ভূমিকা প্রচুর।
তাই, কেবল একটি theme এর সৌন্দর্য দেখে সেটা ব্যবহার করার কথা ভাববেন না।
একটি থিম কতটা তাড়াতাড়ি লোড হতে পারে সেই ক্ষমতা দেখার পর থিম এর বাছাই করবেন।
WordPress website এর জন্য কিছু সেরা ও ফাস্ট থিম অবশই রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার পরামর্শ আমি দিবো।
যেমন,
- Astra pro
- OceanWP
- GeneratePress
- Schema
- Genesis Framework
ওপরে বলা ওয়ার্ডপ্রেস থিম গুলোর মধ্যে “Astra” এবং “GeneratePress” এর মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারবেন।
দুটোই থিম ফ্রি এবং প্রচুর ফাস্ট।
উন্নতমানের কোডিং এর ব্যবহার এবং প্রচুর পরিষ্কার ও হালকা এই দুটি ওয়ার্ডপ্রেস থিম বর্তমান সময়ে প্রত্যেক ব্লগারের প্রিয় ওয়ার্ডপ্রেস থিম।
তাছাড়া, থিম গুলো আপনারা ফ্রীতেই ব্যবহার করতে পারবেন।
তাই আবার বলবো, আপনার ওয়েবসাইটে একটি light এবং fast theme এর ব্যবহার করলেই, ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড প্রচুর দ্রুত হয়ে যাবে।
৩. Use minimum plugin in WordPress
আমি অনেক সময় দেখেছি, অনেক blogger রা তাদের WordPress ওয়েবসাইটে নানান অপ্রয়োজনীয় plugin এর ব্যবহার করেন।
এবং, এই অত্যাধিক plugin এর ব্যবহারের ফলে আপনার ওয়েবসাইট প্রচুর স্লো হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বর্তমান সময়ে, আপনি যতটা পারবেন কম plugin এর ব্যবহার করুন।
দেখুন, ওয়েবসাইটে যতটা বেশি plugin install করবেন plugin এর সাথে জড়িত বিভিন্ন scripts এবং requests গুলো background এ process হতে থাকবে।
এতে, আপনার ওয়েবসাইট লোডিং হতে যতটা সময় লাগতো plugin ইনস্টল করার পর তার থেকেও অধিক সময় নিয়ে নিচ্ছে।
তাই, নিজের WordPress ওয়েবসাইট থেকে প্রত্যেক অপ্রয়োজনীয় plugin গুলো uninstall করুন।
এতে আপনার ওয়েবসাইট প্রচুর লাইট ও হালকা হয়ে থাকবে এবং লোডিং স্পিড ও বৃদ্ধি পাবে।
৪. Simple & clean site design
নিজের ওয়েবসাইট ফাস্ট রাখার এটা এক অনেক জরুরি স্টেপ।
সব সময় ওয়েবসাইটটে পরিষ্কার এবং ক্লিন ডিজাইন ব্যবহার করবেন।
ওয়েবসাইটে যত বেশি অপ্রয়োজনীয় images, design, iframe ইত্যাদি ব্যবহার করবেন, সেগুলো স্বাভাবিক ভাবে লোড হতেও ততটাই বেশি সময় নিবে।
এবং, এর ফলস্বরূপ আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড স্লো হয়ে দাঁড়াবে।
তাই, ওয়েবসাইটে পরিষ্কার ও হালকা ডিজাইন ব্যবহার করবেন।
প্রয়োজনের বাইরে কোনো ধরণের images, function বা design কখনোই ব্যবহার করবেননা।
ওয়েবসাইটের একটি হালকা ডিজাইন রেখে, তার loading speed improve করা যেতে পারে।
৫. Compress images before uploading
নতুন ব্লগাররা image compress না করার এই ভুল অবশই করেন।
দেখুন, একজন ব্লগার হিসেবে আমাদের আর্টিকেল গুলোতে বিভিন্ন screenshots এবং অন্যান্য images ব্যবহার করতে হয়।
এখন, এই images এবং screenshots গুলোর size যতটা বেশি থাকবে, ততটাই বেশি সময় নিবে সেগুলো লোড হতে।
তাছাড়া, অধিক বেশি সাইজের images গুলোর ফলে, আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের size বৃদ্ধি যায়।
এর ফলে, আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট লোড হতে প্রচুর বেশি সময় নিয়ে নেয়।
তাই সব সময় মনে রাখবেন, নিজের ওয়েবসাইটে যেকোনো image আপলোড করার আগেই, সেটা compress করে তার size অবশই কমিয়ে নিবেন।
এতে, images গুলোর size কমে যাবে এবং তুলনামূলক ভাবে প্রচুর তাড়াতাড়ি লোড হবে।
আর এই প্রক্রিয়ার ফলে, আপনার website এর speed এবং performance দুটোই ভালো হয়ে যাবে।
এখন প্রশ্ন,
কিভাবে images গুলো compress করবো ?
দেখুন, ছবি কমপ্রেস করার বিভিন্ন online ও offline tool রয়েছে।
আমি নিজেই, কিছু সেরা online image compress করার tools ব্যবহার করে ছবি গুলোকে কমপ্রেস করি।
তাই, আপনারা ছবি কমপ্রেস করার জন্য এই online compressor tool গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
- www.compressjpeg.com
- www.imageresizer.com
- www.tinyjpg.com
- www.compressnow.com
তাহলে, ওপরে বলা online image compressor tools গুলো ব্যবহার করে, ছবি গুলোকে ওয়েবসাইটে আপলোড করার আগেই compress করে সেগুলোর সাইজ কম করে নিতে পারবেন।
এবং, যেহেতু ছবি গুলোর সাইজ কম থাকবে তাই ওয়েবসাইটটি দ্রুত ভাবে লোড হওয়ার ক্ষেত্রে প্রচুর লাভ হবে।
৬. Minify HTML, CSS & JavaScript
নিজের ওয়েবসাইটের HTML, CSS এবং JavaScript গুলো minify করে সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের speed এবং performance অধিক ভালো করা যেতে পারে।
Minification এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের scripts গুলোতে ব্যবহার হওয়া বিভিন্ন codes গুলোকে optimise করা হয়।
তাছাড়া, অপ্রয়োজনীয় codes বা ব্যবহার না হওয়ার codes গুলোকে এই minification এর মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এর ফলে, ওয়েবসাইটের size কম থাকে এবং web browser এ প্রচুর তাড়াতাড়ি ওয়েবসাইটটি লোড হয়।
HTML, CSS, এবং JavaScript Minification হলো একটি website এর speed এবং performance ভালো করার মূল উপায়।
কারণ, সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের coding এবং functioning, এই ৩ টি coding language মাধ্যমেই করা হয়।
এখন, আপনি যদি চাচ্ছেন নিজের ওয়েবসাইটে minify এপলাই করার কথা, তাহলে এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন WordPress minification plugin অবশই রয়েছে।
যেমন,
- WP super minify
- Fast velocity minify
- Merge Minify Refresh
- Hummingbird
ওপরে বলা WordPress plugin গুলো ব্যবহার করে আপনারা নিজের ওয়েবসাইটের scripts এবং codes গুলোকে মিনিফাই করে ওয়েব পেজ গুলোর লোডিং স্পিড ফাস্ট করে নিতে পারবেন।
৭. Remove query strings from static resources
Query strings একটি ওয়েবসাইট কে স্লো করার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ওয়েবসাইটের caching, speed এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যার সৃষ্টি করে এই query strings গুলো।
যখন আপনারা যেকোনো একটি online website speed checker tool ব্যবহার করে নিজের ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড চেক করবেন, তখন এই “remove query strings” এর সমস্যা আপনাকে দেখানো হয়।
এবং, লোডিং স্পিড ফাস্ট করার জন্য এই query strings গুলো remove করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে, কিভাবে remove করবেন এই query strings গুলো ?
চিন্তা করবেননা,
WordPress ব্যবহার করার লাভ এটাই যে, আপনি যেকোনো feature এবং function এর জন্য একটি plugin অবশই পেয়ে যাবেন।
এবং, ওয়েবসাইটের static resources থেকে query strings remove করার জন্য আমাদের কাছে কিছু ফ্রি প্লাগিন অবশই রয়েছে।
যেমন,
- W3 Total Cache
- Remove query strings from static resources
- Speed booster pack
- Autoptimize plugin
ওপরে বলা প্লাগিন গুলো ব্যবহার করে, আপনারা খুব সহজেই নিজের ওয়েবসাইট থেকে query strings গুলো remove করে, ওয়েবসাইটের লোডিং ফাস্ট করতে পারবেন।
৮. Use CDN for your website
ওয়েবসাইট ফাস্ট রাখার জন্য CDN (content delivery network) এর ব্যবহার অনেক জরুরি।
একটি content delivery network এর ব্যবহারের ফলে, ওয়েবসাইটটিকে user এর location এর হিসেবে deliver করা হয়।
মানে, যখন আপনি CDN ব্যবহার করবেন তখন, আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন static cache image তৈরি করে CDN এর বিভিন্ন location এ থাকা server গুলোতে save করে রাখা হয়।
এতে, যখন কোনো user আপনার ওয়েবসাইটের domain একটি web browser এ type করবে, তখন সেই user location এর সব থেকে পাশের CDN server থেকে তাকে ওয়েব পেজটি দেখানো হবে।
এভাবে, user এর সবচেয়ে নিকটতম server থেকে ওয়েবসাইটটি access করার ফলে, ওয়েবসাইটটি প্রচুর তাড়াতাড়ি লোড হয়ে যাবে।
তাছাড়া, একটি ভালো CDN service এ বিভিন্ন caching options থাকছে যার জন্য আপনার ওয়েবসাইট আরো দ্রুত ভাবে লোড হয়।
তাই, ২০২০ সালে যেকোনো ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে একটি CDN সার্ভিস ব্যবহার করাটা প্রচুর জরুরি।
Website fast load হওয়ার ক্ষেত্রে CDN এর ব্যবহার অনেক জরুরি।
বর্তমান সময়ে, অনেক জনপ্রিয় ও সেরা ফ্রি CDN service হল “Cloudflare“.
৯. Enable caching in website
একটি ওয়েবসাইটের caching function প্রচুর প্রয়োজন যদি আপনি ওয়েবসাইটের দ্রুততা এবং কর্মক্ষমতা ভালো করে রাখতে চাচ্ছেন।
Website caching এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের একটি আলাদা static HTML file তৈরি কয়ে থাকে।
এই static HTML file এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের images, files, multimedia, web documents, HTML pages ইত্যাদি গুলো সাময়িকভাবে save হয়ে থাকে।
এতে, ওয়েব ব্রাউসার এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট ভিসিট করার সময় সম্পূর্ণ website data গুলো বার বার web browser এ লোড হওয়ার প্রয়োজন হয়না।
যার ফলে, server load এবং server request প্রচুর কম পরিমানে হয়।
আর, যখন server load এবং server এর request প্রচুর কম থাকবে, তখন অবশই ওয়েব পেজ প্রচুর দ্রুত ভাবে লোড হবে।
বিভিন্ন WordPress plugin রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে নিজের ওয়েবসাইটে caching enable করা যেতে পারে।
Website Caching চালু করার ক্ষেত্রে কিছু জনপ্রিয় ক্যাশিং প্লাগিন এর নাম হলো :-
- WP super cache
- W3 Total Cache
- WP Rocket
- WP Fastest Cache
তাহলে বন্ধুরা, যদি আপনারা নিজের ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে ক্যাশিং ব্যবহার করছেননা, তাহলে ওপরে বলা যেকোনো একটি ক্যাশিং প্লাগিন ইনস্টল করে caching feature চালু করতে পারবেন।
১০. Upgrade to latest PHP version
WordPress.org অফিসিয়ালি বলেছেন যে, আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে latest PHP version ব্যবহার করাটা অনেক জরুরি।
কারণ, PHP version যতটাই আধুনিক ও উন্নত হবে ততই তার নতুন নতুন version জারি করা হবে।
এবং, এটা দেখা গেছে যে প্রায় প্রত্যেক ওয়েবসাইট যেগুলোকে latest PHP version এ upgrade করা হয়েসে, সেগুলোর speed এবং performance, security তুলনামূলক ভাবে অধিক ভালো ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাই, আমি আপনাকে পরামর্শ দিবো যে নিজের ওয়েবসাইটে সব সময় latest PHP version ব্যবহার করবেন।
মনে রাখবেন, যখন আপনি নতুন PHP version এ upgrade করবেন, তখন সাথে সাথেই ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড দ্রুত হওয়ার অনুভব করতে পারবেন।
এখন, প্রশ্ন হলো নিজের web server টিকে নতুন PHP ভার্শনে আপগ্রেড কিভাবে করবেন ?
এর দুটো সমাধান রয়েছে।
- নিজের web hosting এর cpanel এ লগইন করার পর, আপনারা PHP version upgrade করার অপসন দেখতে পারবেন।
- Web hosting company র support team কে অনুরোধ করলে, তারা অনেক সহজেই এই কাজ করে দিবে।
১১. Lazy load images এর ব্যবহার
আমরা সবাই জানি, একটি website বা web page এর slow loading speed এর মূল কারণ হলো images.
ওয়েবসাইটে যতটাই বেশি images থাকবে, ততটাই বেশি টাইম লাগবে সেটা সম্পূর্ণ লোড হতে।
এই ক্ষেত্রে, Image lazy loading এর ব্যবহারের ফলেও আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং এর সময় প্রচুর পরিমানে কমিয়ে নেওয়া যাবে।
দেখুন, যখন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রচুর images ব্যবহার করি, তখন সেই images গুলো web browser এ load হতেও প্রচুর সময় নিয়ে নেয়।
ফলে, সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট লোড হতে প্রচুর সময় লেগে যায়।
তাই, image lazy loading এমন একটি আধুনিক প্রক্রিয়া যেখানে একটি web page এর সম্পূর্ণ images গুলোকে এক সাথেই load করা হয়না।
মানে, ওয়েব পেজের যতটুকু ভাগ আপনার mobile বা computer screen এ দেখা যাচ্ছে, ঠিক ততটুকু ভাগে যদি কোনো ছবি থাকছে, তাহলে কেবল সেই ছবিটি লোড করা হবে।
কিন্তু, সম্পূর্ণ ওয়েব পেজের images গুলোকে একেবারেই একটি web browser এ একসাথেই load করা হবেনা।
এতে, আপনার ওয়েব পেজে অধিক ছবি থাকলেও সেগুলো একসাথেই লোড হচ্ছেনা।
আর তাই, ওয়েবসাইটের সার্ভারে অধিক কম request পাঠানো হবে, যার ফলে ওয়েব পেজটি অনেক তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণ লোড হয়ে যাবে।
এই ধরণের lazy loading images এর function নিজের WordPress ব্লগে যোগ করার জন্য, আপনি কিছু plugin অবশই ব্যবহার করতে পারবেন।
যেমন,
- Speed Up – Lazy Load
- a3 Lazy Load
- Lazy Load – Optimize Images
ওপরে বলা plugin গুলো ব্যবহার করে, নিজের ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে লেজি লোড ইমেজ এর ফীচার যোগ করা যেতে পারে।
১২. Use minimum ads
যেকোনো ওয়েবসাইট সবচে অধিক পরিমানে স্লো ভাবে লোড তখন হবে যখন তাতে প্রচুর বিজ্ঞাপন (ads) ব্যবহার করা হয়।
হে, একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিয়মিত কাজ করা মানে ঠিক একটি ব্যবসা চালানোর মতোই বলা যেতে পারে।
আর এই blogging business থেকে income করার সব থেকে সহজ ও জনপ্রিয় উপায় হলো বিজ্ঞাপন (ads).
কিন্তু মনে রাখবেন, যত বেশি বিজ্ঞাপন একটি web page এ ব্যবহার করা হবে, ততটাই বেশি scripts loading এবং external server request আপনার ওয়েবসাইট থেকে যাবে।
ফলে, আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং এর সময় কিছু বৃদ্ধি পায়।
আর এই সময় আরো অধিক বৃদ্ধি পারে যদি আপনি প্রচুর পরিমানে advertisements codes নিজের ওয়েবসাইট যোগ করেছেন।
তাই, আমি পরামর্শ দিবো যে যতটুকু প্রয়োজন কেবল ততটুকু ad codes বা ads নিজের ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।
এতে আপনার ওয়েবসাইট এর স্পিড দ্রুত হওয়ার সাথে সাথে user- experience ও ভালো থাকবে।
WordPress website loading speed বাড়ানোর জন্যে এই প্লাগিন ব্যবহার করুন
ওপরে আমি যেগুলো বিষয়ে আপনাদের বললাম সেগুলো নিয়ে কাজ করলেই আপনার ওয়েবসাইটের স্লো লোডিং এর সমস্যার সমাধান অবশই হয়ে যাবে।
তবে, নিচে আমি কিছু ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন এর বিষয়ে বলে দিচ্ছি, যেগুলো ব্যবহার করে আপনারা নিজের ওয়েবসাইটের speed এবং performance দুটোই ভালো করে নিতে পারবেন।
- WP total cache – ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ ক্যাশিং (caching) এর সাথে জড়িত প্রত্যেকটি option আপনারা এখানে পাবেন। ওয়েবসাইটের speed ও performance প্রায় ৫০% অধিক বাড়িয়ে নিতে পারবেন এই প্লাগিন এর মাধ্যমে।
- Autoptimize – এই ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন প্রত্যেক ওয়েবসাইটে থাকা দরকার। নিজে নিজে আপনার সম্পূর্ণ database, files এবং scripts গুলোকে optimize করে আপনার ওয়েবসাইটের দ্রুততা বৃদ্ধি করে।
- WP-Optimize – আপনারা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের মূল অংশ হলো database. এবং, ওয়েবসাইটের database এ তার প্রত্যেকটি information জমা হয়ে থাকে। তাই, এই WP-optimize plugin এর ব্যবহার করে এক ক্লিকেই সম্পূর্ণ database টি optimize করে নিতে পারবেন।
- Wp Smush – এটা অনেক জনপ্রিয় একটি ওয়ার্ডপ্রেস ইমেজ অপ্টিমাইজেশন প্লাগিন। এর মাধ্যমে, নিজের ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে আপলোড করা images গুলোকে অধিক ভালোকরে optimize ও compress করা যেতে পারে।
আজকে আমরা কি শিখলাম ?
বন্ধুরা, আজকে আমরা শিখলাম যে, “একটি স্লো ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট কে কিভাবে ফাস্ট করতে হয়”.
কি কি প্রক্রিয়া ব্যবহার করে, আমরা একটি স্লো লোডিং ওয়েবসাইটের স্পিড ফাস্ট ও দ্রুত করে নিতে পারি।
বর্তমান সময়ে, একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তীর করাটা অনেক সহজ।
তবে, যখন প্রশ্ন আসে ওয়েবসাইটের স্পিড অপ্টিমাইজেশন এর তখন অনেকেই এই বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য খুঁজে পায়না।
অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন যে, দাদা ওয়েবসাইট অনেক স্লো লোড হচ্ছে বা অনেক বেশি সময় নিয়ে লোড হচ্ছে, এর সমাধান কি।
আর তাই, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড দ্রুত করার জন্য জরুরি প্রত্যেক টিপস এবং প্রক্রিয়া আমি বলেছি।
আমার সব সময় এটাই চেষ্টা থাকে যাতে আমি আপনাদের সম্পূর্ণ সঠিক ও কাজের তথ্য প্রদান করতে পারি।
তাই, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে আমাদের কমেন্ট করে অবশই জানাবেন।
তাছাড়া, আর্টিকেল ভালো লেগে থাকলে, শেয়ার অবশই করবেন।
0 responses on "ওয়ার্ডপ্রেস স্পিড অপ্টিমাইজেশন : ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড ফাস্ট করুন"