সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায়: ফ্রিল্যান্সিং কাজের যে স্বাধীনতা বা নমনীয়তা রয়েছে, তা বর্তমান প্রজন্মের বহু যুবক-যুবতীকেই ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট করেছে।
আর, যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্রে, সেই কাজের প্রতি প্যাশন থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার।
ফ্রিল্যান্সিং পেশাগুলো আধুনিক যুগে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
তাই, আগের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক মানুষই সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায় খুঁজছেন।
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে চলেছি,
একজন সফল ফ্রীল্যান্সার হয়ে ওঠার সেরা কতগুলো টিপস নিয়ে, যার সাহায্যে আপনি নিজেকে একজন পেশাদার ও উন্নতিশীল ফ্রীলান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।
ফ্রীল্যান্সার হতে গেলে কি কি করতে হবে ?
আপনি যখন একজন ফ্রীলান্সার হওয়ার পথে এগোবেন, তখন আপনাকে কয়েকটি কাজ আগে থেকেই সেরে রাখতে হবে।
১. নিশ নির্দিষ্ট করুন:
বেশিরভাগ ফ্রীল্যান্সাররাই নিজেদের নিশ সঠিকভাবে উল্লেখ না করার ভুলটা করে থাকেন।
তাই, নিজের কাজের ব্যাপারে স্পেসিফিক হন।
ধরুন, যদি, আপনি কনটেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই আপনার নিশ মেনশন করুন।
যেমন- প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটার কিংবা লাইফস্টাইল রাইটার ও আরও অন্যান্য।
২. ফ্রীল্যান্স প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হন:
স্বনির্ভর পেশাদার হিসেবে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত হওয়া খুবই জরুরি।
বর্তমানে বহু ফ্রীলান্সিং ওয়েবসাইট ও অ্যাপ রয়েছে, যেখানে আপনার ফ্রীলান্সিং প্রোফাইল তৈরী করে আপনি জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্ট বা প্রজেক্ট সহজেই পেতে পারেন।
এমনকি, আপনি নানান সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও আপনার পেশার ব্যাপারে প্রচার করে সরাসরি ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে পারেন।
৩. সক্রিয় ও প্রতিক্রিয়াশীল হন:
শুধুমাত্র কোনো প্রোফাইল বা অ্যাকাউন্ট তৈরী করলেই চলবে না।
আপনাকে আপনার প্রোফাইলটাকে সক্রিয় রেখে সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের সাথে কথোপকথন এগিয়ে নিয়ে গিয়ে তাদের কাছ থেকে প্রজেক্ট পেতে হবে।
কারণ, মনে রাখবেন যে, আপনি একজন স্বাধীন পেশাদার, তাই আপনার নিজের আয়ের পথ আপনাকে নিজে থেকেই করতে হবে।
ক্লায়েন্ট পাওয়ার পর, তাদের সাথেও সক্রিয় কনভার্সেশন চালিয়ে যাবেন, যাতে তারা আপনার কাজের ব্যাপারে সর্বদা এলার্ট থাকে।
আর, অবশ্যিক চেষ্টা করুন, সঠিক সময়ে প্রজেক্ট সাবমিট করার।
৪. আপনার পরিষেবার প্রচার করুন:
বিভিন্ন ফ্রীলান্সিং প্ল্যাটফর্মে নিজের প্রোফাইল তৈরি করার পাশাপাশি, আপনার সোশ্যাল সার্কলেও আপনার কাজের ব্যাপারে প্রচার করতে থাকুন।
কারণ, কেবলমাত্র বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে কাজ পাওয়ার পরিবর্তে, ব্যক্তিগত সুপারিশ থেকেও কাজ পাওয়া সম্ভব।
সেই কারণেই, আপনার উচিত নিজের চেনা-জানা গ্রুপের মধ্যে আপনার পরিষেবার প্রচার করা।
৫. অন্যদের সাথে কাজ করতে দ্বিধাবোধ করবেন না:
নিজের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস বা অতিরিক্তি কাজ- আপনার কাজের প্রবাহকে নষ্ট করে দিতে পারে।
কোনো প্রজেক্টে যদি আপনার সঙ্গীর প্রয়োজন হয়, তাহলে অবশ্যই ক্লায়েন্টের কাছে আরও লোক চান।
কারণ, ক্লায়েন্টরা সবসময়েই ক্লিয়ার ডিলিং ও সৎভাবে কাজ করাকে বেশি পছন্দ করে।
তাই, প্রয়োজনে অন্য ব্যক্তিদের সাহায্য নিয়ে প্রজেক্ট শেষ করুন ও অবশ্যই বাকিদের তাদের প্রাপ্য সম্মান দিন।
৬. একই ক্লায়েন্ট থেকে নতুন কাজের জন্য উন্মুক্ত হন:
আপনি যদি সফলভাবে একজন ক্লায়েন্ট জোগাড় করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই তার কাছ থেকে বিভিন্ন ধরণের কাজের প্রত্যাশা রাখুন।
ফ্রীলান্সিং-এর ক্ষেত্রে কাজের বহুমুখিতা আপনাকে আরও বেশি কাজ পেতে সাহায্য করে।
তাই, চেষ্টা করবেন, একই ক্লায়েন্টদের বিভিন্ন প্রজেক্টে পারদর্শিতার সাথে কাজ করার।
যাতে, আপনার কাজের মানে সন্তুষ্ট হয়ে, সেই ক্লায়েন্ট আপনাকে আরও অনেক প্রজেক্ট অফার করে।
একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায় গুলো
এইবার, চলুন আমরা জেনে নিই, একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে, আমাদের কি কি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে-
১. কঠোর পরিশ্রম:
সাধারণ কর্মচারীর তুলনায় একজন ফ্রীলান্সার হিসেবে অনেক বেশি কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
কারণ, আপনাকে নিজের কাজের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হতে হয়।
তাই, আপনাকে কাজের পিছনে অনেকটা সময়ই ব্যয় করতে হয়।
এছাড়াও, আপনি যদি একজন ফ্রীলান্সার হন, তাহলে প্রতিটা কাজই আপনাকে পারফেক্টভাবে করতে হয়,
যাতে কাজের গুণমান বজায় থাকে। আর, কাজের গুণমান বজায় থাকলে, তবেই আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে আরও কাজ দিতে উৎসাহী থাকবে।
এইসব কারণের জন্যে ফ্রীলান্সিং-এ সফল হতে গেলে, কঠোর পরিশ্রম করা একান্তই প্রয়োজনীয়।
২. কম্যুনিকেশন স্কিল:
কথায় কিন্তু চিঁড়ে ভেজে না- কিন্তু আবার সুন্দরভাবে ও পেশাদারীভাবে কথা বললে কাজ হাসিলও হয়ে যায়।
মানুষকে কথার মাধ্যমে কনভিন্স করার ক্ষমতা খুব কম মানুষেরই থাকে।
তাই, একজন সফল ফ্রীলান্সার হিসেবে আপনার কিন্তু এই দক্ষতাটা রাখতেই হবে।
আপনি যদি কম্যুনিকেশনে মাস্টার নাও হন, তাও আপনাকে অন্তত পেশাদারিত্বের সাথে ক্লায়েন্টের সঙ্গে কথা বলাটা জানতেই হবে।
তা, সামনাসামনি কথা বলা, ফোনে বা ভিডিও কলে কথা বলা কিংবা মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করা- সবক্ষেত্রেই গুছিয়ে কথা বলাটা আপনার পেশার পক্ষে কাঙ্খিত একটা বিষয়।
ভালোভাবে কথা বললে, আপনার ক্লায়েন্টের মধ্যে আপনার সম্পর্কে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরী হলে, তবেই কিন্তু তারা আপনাকে কাজ প্রোভাইড করবে।
এছাড়াও, এখনকার লিডিং ভিডিও কনফারেন্স কলিং অ্যাপ, যথা- স্কাইপ, ভয়েস মেইল-ইত্যাদির সম্পর্কে ব্যাপকভাবে জানতে হবে।
৩. পেশাদারিত্ব:
কোর্ট-টাই-স্যুট নয়, বরং প্রফেশনালিজম বা পেশাদারিত্ব আনতে হবে, আপনার কাজের পদ্ধতিতে।
একজন পেশাদার হিসেবে আপনাকে নিজেকে পেশাদার ভাবে উপস্থিত করতে হবে।
তা ক্লায়েন্ট মিটিং হোক বা প্রজেক্ট ডেলিভারির সময় হোক- আপনাকে আপনার আচার-ব্যবহার এবং কাজ- দুই ক্ষেত্রেই সঠিকভাবে পেশাদারিত্ব মেনে চলতে হবে।
আপনার ড্রেসআপ, বডি ল্যাঙ্গুয়েজে ও আপনার টোন- সব কিছুর উপরই আপনার পেশাদারিত্বের ছাপ ফুটিয়ে তুলতে হবে।
৪. সময় ব্যবস্থাপনা:
একজন ফ্রীলান্সারের জীবনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সময় ব্যবস্থাপনা।
আপনার ক্লায়েন্ট সবসময়েই আপনাকে ডেডলাইন নির্ভর কাজ দেবে এবং আপনাকে সবসময়েই সেটা সময়ের মধ্যেই জমা দিতে হবে।
সময় ব্যবস্থাপনা না জানলে, না তো আপনি ঠিকমতো কাজ জমা দিতে পারবেন, না তো ক্লায়েন্ট আপনার সাথে কাজ করা পছন্দ করবে।
কারণ, ক্লায়েন্টকেও ডেডলাইন পালন করেই কাজ করতে হয়,
আর আপনার জন্যে যদিও তাকেও ডেডলাইন ফেল করতে হয়, তাহলে আপনি তো তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবেনই, বরং অনেক সময়েই ডেডলাইন ফেল হলে ক্লায়েন্ট টাকা দিতেও নাকচ করে।
৫. অধ্যবসায়:
ফ্রিল্যান্সিং আসলেই যথেষ্ট কঠিন।
ক্লায়েন্টদের ধরে রাখতে আপনাকে আপনার কাজের ব্যাপারে সবসময় সিরিয়াস থাকতে হবে।
আপনার ক্লায়েন্টদের সম্মান প্রদর্শনের জন্যে আপনার উচিত আপনার কাজের বিষয়ে অবিচল থাকা।
যখন একজন ক্লায়েন্ট শেষ মুহুর্তে কোনো প্রজেক্ট নিয়ে আসে, তখন আপনাকে সেটাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেওয়ার জন্যে অবিচল থেকে তা শেষ করার ব্যাপারে পরিকল্পনা করতে হবে।
আপনাকে এই মুহূর্তে বা ডেডলাইনের প্রেসারে ভেঙে পড়লে চলবে না, বরং এই পরিস্থিতিতে আপনাকে শক্ত থেকে কাজ উদ্ধার করতে হবে।
৬. কর্তব্যপরায়ণতা:
আপনার যতই অসুবিধা থাকুক না কেন, আপনার প্রফেশনাল জায়গাতে, ব্যক্তিগত সমস্যার কোনো স্থানই নেই।
আপনার ক্লায়েন্ট কখনোই আপনার কোনো এক্সকিউসের কথা শুনতে চাইবে না।
তাই, পরিস্থিতি যেমনই থাকুক না কেন, আপনাকে আপনার কাজগুলো সময়ের মধ্যে দায়িত্ব সহকারেই সম্পন্ন করতে হয়।
যেহেতু, আপনি একজন স্বাধীন পেশাদার, তাই সময়মতো কাজ জমা না দিলে, আপনার সুনাম নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
যেটা আদতেই আপানর পেশাতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
তাই, নিজের কর্তব্যপরায়ণতার সাথে আপনাকে আপনার কাজ শেষ করতেই হবে।
৭. উদ্যোগী মনোভাব:
ফ্রিল্যান্সারদের উদ্যোগ নিতে, সব সময়েই প্রস্তুত থাকতে হবে।
কারণ, আপনি নিজেই নিজের মালিক ও আপনি একাই আপনার কোম্পানি।
আপনি কোনো উদ্যোগ না নিলে, কেউই এসে আপনাকে নিজে থেকে প্রজেক্ট দেবে না।
তাই, আপনাকে নিজেই নিজের উদ্যোগ নিয়ে প্রজেক্ট বা ক্লায়েন্ট খুঁজতে হবে।
তা নাহলে, আপনার অর্থ উপার্জনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৮. নীতিপরায়ণতা:
আপনাকে প্রতিটা সময়ে আপনার ক্লায়েন্টদের সাথে সৎভাবে ডিল করতে হবে।
আপনাকে নৈতিকভাবে আপনার কাজের ধরণের প্রতি সততা রেখে মান নির্ধারণ করতে হবে।
আপনি যদি মিথ্যাবাদী কিংবা প্রতারক হিসেবে একবার চিহ্নিত হয়ে যান, তবে আপনার সুনাম ফিরে পেতে গেলে আপনাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হতে পারে।
যখন কোনো কাজ ভুল হয়ে যায়, তখন সেগুলো ঠিক করা আপনার কর্তব্য হিসেবেই গণ্য করা হয়।
তবে, এর অর্থ এই নয় যে, আপনার ক্লায়েন্টদের অন্যায় দাবিও আপনাকে মেনে নিতে হবে।
কিন্তু, ভুল যদি আপনার হয়ে থাকে, তাহলে যেকোনোভাবে ঠিক করার দায়িত্বও আপনাকেই নিতে হবে।
এতে, যদি আপনাকে অতিরিক্ত সময় বা অর্থ ব্যয় করতেই হয়, তবে তাইই সই।
৯. লক্ষ্য নির্ধারণ ও মূল্যায়ন:
বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররাই উচ্চতর লক্ষ্য নির্ধারণকারী হয়ে থাকে।
তারা তাদের ক্লায়েন্টদের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করে থাকে।
এমনকি, তারা ব্যক্তিগত উন্নয়নের লক্ষ্য ও পেশাগত উন্নতির পরিকল্পনাও নির্ধারণ করে নেয়।
আর, তারা একাই এই সমস্ত লক্ষ্যগুলো অনুসরণ করে থাকে।
তারা বোঝে যে, পেশা ও জীবন হল পুনরাবৃত্তিমূলক প্রক্রিয়া- যা তাদের লক্ষ্য পূরণের জন্য বারবার মূল্যায়ন ও পুনর্মূল্যায়ন করে চলতে হয়।
তাই, ফ্রিল্যান্সিংকে নিজের সফল পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে চাইলে, অবশ্যই নির্দিষ্ট লক্ষ্য তৈরি করে, মূল্যায়ন করে এবং নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করার পথে অবিচল থাকতে হবে।
১০. নমনীয়তা:
ফ্রীলান্সিং কাজের ক্ষেত্রে এমনও দিন যায়, যেদিন আপনাকে সকাল ৬টা থেকে শুরু করে, রাত ১২টা পর্যন্তও কাজ করতে হতে পারে।
আবার, এমনও দিন আসে, যখন আপনাকে দিনের পর দিন একই বোরিং প্রজেক্টের কাজ করে চলতে হয়।
কারণ, ক্লায়েন্টদের কাজের ধরণ ও এসাইন করার সময়ের কোনো নির্দিষ্ট বাধাধরা ব্যাপার নাও থাকতে পারে।
কিন্তু, সেক্ষেত্রে আপনাকে নমনীয়ভাবে আপনার কাজের সময়সূচী পাল্টানোর জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে।
কারণ, ক্লায়েন্টরা একটা ব্যাপারই বোঝেন যে, সময়মতো আপনার কাছ থেকে সঠিক কাজ পাওয়া।
১১. নতুন কিছু শেখার আগ্রহ:
একজন ফ্রীলান্সার হিসেবে নিজেকে সফল করে তুলতে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি ও অর্জন করা আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদাভাবে ফুটে উঠতে সাহায্য করবে।
সব সময় জানবেন যে, জ্ঞান আমাদের বৃদ্ধি ও চেতনার বিকাশের জন্যে সবথেকে বেশি উপযোগী।
আর, আপনি আপনার পেশার ব্যাপারে যত বেশি খোঁজখবর রাখবেন ও জ্ঞান বাড়াবেন, ততই বেশি আপনার পেশাগত দক্ষতা ও মূল্য বৃদ্ধি পাবে।
যে কারণেই, আপনি সময়ের সাথে সাথে একজন দক্ষ ফ্রীলান্সার হয়ে উঠতে পারবেন।
পরিশেষে:
আমাদের সকলেরই কম-বেশি নানান দুর্বলতা রয়েছে।
আমাদের কারোর মধ্যেই সবরকমের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকে না।
কিংবা, হাজার চেষ্টা করলেও, আমরা সব ধরণের গুণের অধিকারী হয়ে উঠতে পারিনা।
কিন্তু, ব্যাপারটা হল এই যে, আপনি যদি আপনার দুর্বলতাগুলো সম্পর্কে সচেতন হন, তবে আপনি সেগুলোকে উন্নত করার চেষ্টা করতে পারেন।
আর, ফ্রিল্যান্সার হিসাবে সফলতা পেতে গেলে, আপনাকে নিজের দুর্বল জায়গাগুলোকে মেরামত করে নিজেকে একদম প্রফেশনালভাবে গড়ে তুলতে হবে।
কঠোর পরিশ্রম করার ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, পেশাদারিত্ব, অধ্যবসায়, আত্ম-শৃঙ্খলা ও উদ্যোগ হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে কয়েকটি।
এখানে, আমরা মোট ১১টি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করতে পেরেছি, যা আপনাকে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সফল করে তুলতে পারে।
এর মধ্যে সবগুলো বৈশিষ্ট্যকেই যে আপনার সম্পূর্ণ আয়ত্তে আনতে হবে, তা কিন্তু নয়।
তবে, আপনি যদি আপনার ক্লায়েন্টদের কাছে নিজের মূল্য তুলে ধরতে চান, তাহলে আপনাকে আপনার দুর্বলতাগুলোকে কাটিয়ে উঠতে জানতে হবে।
আমাদের আজকের সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায় গুলো নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হল।
লেখাটি পছন্দ হলে, অবশ্যই তা কমেন্টের, মাধ্যমে জানাবেন।
0 responses on "একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার সেরা ১১টি উপায়"